Monday, August 31, 2015

বুকের উপর হাত বাঁধার পক্ষে সহিহ কোনো হাদিস আছে কি?



উত্তর :

নামাযে মুসল্লি বুকের উপর হাত বাঁধার পক্ষে সহিহ, সরীহ ও মুত্তাফাক আলাইহি কোনো ধরণের হাদিস উল্লেখ পাওয়া যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্প্রতি কতিপয় গায়রে মুকাল্লিদ ও লা-মাযহাবীদের ভুল ব্যাখ্যার কারণে স্বাধারণ মুসল্লিগণ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছেন।



১ হাদিস রয়েছে যা ওয়ায়েল বিন হুজুর (রা) থেকে বর্নিত কিন্তু ইহা সনদের দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল। কেননা হাদিসটির একটি সনদে একজন রাবী হলেন মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল।
তিনি প্রখ্যাত ছিকাহ রাবী ইমাম সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) থেকেই উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু হাদিসটি আরো আটটি (৮) সনদে বর্ণিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। যার সবগুলোই ইমাম সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। অথচ আটটি সনদের কোনো একটিতেও علي صدره (বুকের উপর) কথাটুকু পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল এর বর্ণিত হাদিসেই علي صدره (বুকের উপর) কথাটুকু পাওয়া যায়, যিনি منكر الحديث তথা হাদিসের জগতে পরিত্যাজ্য। তাই ধারণা করা যাচ্ছে যে, “বুকের উপর” অংশটুকু তারই বৃদ্ধিকৃত। ফলে তা বাতিল। মজার ব্যাপার হল, ইমাম সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) নিজেও علي صدره (বুকের উপর) কথাটুকুর উপর আমল করতেন না। তাহলে সেটি কিভাবে তাঁর থেকে علي صدره (বুকের উপর)— অংশটুকু সহকারে বর্ণিত হতে পারে!


হাদিসটির সনদ এরকম :



হাদিসের সংকলক তিনি আবু তাহের থেকে তিনি আবু বকর থেকে তিনি আবু মূসা থেকে তিনি মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল থেকে তিনি হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) থেকে তিনি আছিম ইবনে কুলাইব থেকে তিনি স্বীয় পিতা থেকে তিনি সাহাবী হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

– ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺃﺑﻮ ﻃﺎﻫﺮ ، ﻧﺎ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ، ﻧﺎ ﺃﺑﻮ ﻣﻮﺳﻰ ، ﻧﺎ ﻣﺆﻣﻞ ، ﻧﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ، ﻋﻦ ﻋﺎﺻﻢ ﺑﻦ ﻛﻠﻴﺐ ، ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ، ﻋﻦ ﻭﺍﺋﻞ ﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﻗﺎﻝ : ” ﺻﻠﻴﺖ ﻣﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ، ﻭﻭﺿﻊ ﻳﺪﻩ ﺍﻟﻴﻤﻨﻰ ﻋﻠﻰ ﻳﺪﻩ ﺍﻟﻴﺴﺮﻯ ﻋﻠﻰ ﺻﺪﺭﻩ

অর্থাৎ আমি আল্লাহ’র রাসুল (সাঃ)-এর সাথে নামায পড়েছিলাম। তিনি (নামাযে) তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর বুকের উপর রাখলেন।

(সহিহ ইবনে খুযায়মা ১/২৭২ , হাদিস নং ৪৭৯)।

Note :

প্রথমত : রাবী মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইলের সূত্রে উক্ত বর্ণনাটি সঠিক নয়। কেননা হাদিসশাস্ত্রের নীতিমালা অনুসারে এ বর্ণনায় (বুকের ওপর) কথাটা মুনকার । অর্থাৎ সুফিয়ান সাওরী (রহঃ)-থেকে অপরাপর আটটি বর্ণনায় علي صدره (বুকের উপর) কথাটুকুর উল্লেখ পাওয়া যায়না। সম্ভবত মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল ভুলক্রমে তা বৃদ্ধি করে দেন।

কেননা মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল এর উস্তাদ হলেন ইমাম সুফিয়ান সাওরী (রহঃ)। যাঁর কাছ থেকে হাদিসটি মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ ফিরয়াবী এবং আবদুল্লাহ ইবনে ওয়ালীদ (রহঃ) সহ আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন। যাদের সবাই ছিকাহ (বিশ্বস্ত) ও শক্তিশালী রাবী । কিন্তু তাদের কারোর রেওয়ায়েতে علي صدره (বুকের উপর) কথাটুকুর উল্লেখ পাওয়া যায়না।

(দেখুনঃ মুসনাদে আহমদ ৪/৩১৮, আল-মুজামুল কাবীর তিবরানী ২২/৩৩)।

মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল সম্পর্কে জারহ তা’দীলের ইমামদের সিদ্ধান্ত :

আগেই বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল এর বর্ণিত হাদিসেই علي صدره (বুকের উপর) কথাটুকু পাওয়া যায়, যিনি منكر الحديث তথা হাদিসের জগতে পরিত্যাজ্য। ইমাম বুখারী, ইমাম যাহাবী এবং ইমাম বদরুদ্দীন আইনী (আলাইহিমুর রাহমাহ) তাকে منكر الحديث তথা হাদিসের জগতে পরিত্যাজ্য বলে উল্লেখ করেছেন।

(দেখুনঃ তাহযীবুল কামাল- ১৮/৫২৬, তাহযীবুত তাহযীব- ১০/৩৪০, মীযানুল- ইতিদাল ৮৯৪৯, আল-মুগনী ফি দ্বু’আফা- ৬৫৪৭)।

তার সম্পর্কে ইমাম আল্লামা মুরূযী (রহ) বলেছেন :

و قال محمد ابن نصر المروزي المؤمل إذا انفرد بحديث وجب ان يتوقف و يثبت فيه لأنه كان سيئ الحفظ كثير الغلط . ميزان الاعتدال ، تهذيب التهذيب : ٢٧٢

অর্থাৎ মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল তিনি যখন কোনো হাদিস একাকী বর্ণনা করবে তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। কেননা তার স্মরণ শক্তি দুর্বল ছিল এবং অনেক ভুলও করতেন বেশি। ”
( সূত্র— মীযানুল ইতিদাল, তাহযীবুত তাহযীব ২৭২)।

আশ্চর্যের বিষয় হল, লামাযহাবীদের শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী তিনিও তার সিলসিলাতু আদ-দ্বয়ীফা’র কিতাবে অনক জায়গায় তাকে দ্বয়ীফ (দুর্বল) বলেছেন এবং তার সম্পর্কে ইমামগনের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন ।
(দেখুনঃ সিলসিলাতু আদ-দ্বয়ীফা- ১/১৩১ , ২/২৪৬ , ৩/১৭৯, ৩/২২৭, ৪/৪৫৫ ইত্যাদি ।)

দ্বিতীয়তঃ হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) তিনি হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ)-এর রেওয়ায়তটি হযরত আছিম ইবনে কুলাইব থেকে বর্ণনা করেছেন ।


আছিম ইবনে কুলাইব থেকে এ হাদিস আরো যাঁরা বর্ণনা করেছেন তাঁরা হলেন-

১- বিশিষ্ট রাবী ইমাম শোবা ইবনুল হাজ্জাজ,
২- হযরত বিশর ইবনুল মুফাদ্দাল,
৩- হযরত কায়স ইবনুর রাবী,
৪- হযরত যাইদা ইবনে কুদামা,
৫- হযরত আব্দুল ওয়াহিদ ইবনে যিয়াদ,
৬- হযরত খালিদ ইবনু আবদিল্লাহ ,
৭- হযরত আবু ইসহাক,
৮- হযরত আবুল আহওয়াস,
৯- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ইদরীস ,
১০- হযরত মুসা ইবনে আবী আয়েশা ,
১১- হযরত আবু আওয়ানা প্রমুখ। তাঁরা প্রত্যেকে হাদিসের বিখ্যাত ইমাম এবং ছিকাহ রাবী।

প্রত্যেকে আছিম ইবনে কুলাইব (রহ) থেকে নামাযে হাত বাঁধার হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু উনাদের কেউ علي صدره (বুকের উপর) কথাটুকু উল্লেখ করেননি।
এদের রেওয়াতগুলোর জন্য নিচের তথ্যগুচ্ছ দেখা যেতে পারে।

যেমন,

মুসনাদে আহমদ- ৪/৩১৯, হাদিস নং ১৮৮৭৮;

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৭২৬;

সূনানে নাসায়ী, কুবরা , হাদিস ১১৮৯;

মুজতাবা, হাদিস নং ১২৬৫;

মুসনাদে বাযযার আল-বাহরুয যাখখার, হাদিস নং ৪৪৮৫;

আল-মু’জামুল কাবীর তিবরানী ২২/৩৭;

আল-মুজামুল কাবীর, তিবরানী ২২/৩৩;

মুসনাদে আহমদ ৪/৩১৮;

আল-মুজামুল কাবীর ২২/৩৫;

মুসনাদে আহমদ ৪/৩১৬;

সুনানে কুবরা বায়হাকী ২/১৩১;

আল-মুজামুল আওসাত তিবরান ২/৪২৩;

মুসনাদে আবু দাউদ ত্বায়ালিসী ২/৩৫৮, হাদিস নং ১১১৩

আল-মুজামুল কাবীর তাবারানী ২২/৩৪;

সহীহ ইবনে হিববান ৫/২৭১;

মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ ৩/৩১৭;

মুসনাদে বাযযার আল-বাহরুয যাখখার, হাদিস নং , ৪৪৮৯;

মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার বায়হাকী ৩/৫০।




~
সুতরাং দীর্ঘালোনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা গেল যে , আছিম ইবনে কুলাইব থেকে বুকের উপর হাত বাঁধার কথাটুকুর উল্লেখ নেই।

শুধুমাত্র মুয়াম্মল ইবনে ইসমাইল এর বর্ণিত হাদিসেই ﻋﻠﻲ ﺻﺪﺭﻩ (বুকের উপর) কথাটুকু পাওয়া যায়, যিনি ﻣﻨﻜﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ তথা হাদিসের জগতে পরিত্যাজ্য। তাই ধারণা করা যাচ্ছে যে, “বুকের উপর” অংশটুকু তারই বৃদ্ধিকৃত। ফলে তা মুনকার ও বাতিল । যেজন্য লা-মাযহাবীরা “সহিহ ইবনে খোজাইমা” কিতাবের (হাদিস নং ৪৭৯) উদ্ধৃতি দিয়ে নামাযে বুকের উপর হাত বাঁধার পক্ষে যে হাদিসটি প্রদর্শন করে থাকেন সেটি অাদৌ আমলযোগ্য নয়।



Sunday, August 30, 2015

আল্লাহর দয়া ছাড়া কারো আমল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে না :-



→→  নবীজি রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'আমার উম্মতের মধ্যে যারা আবদাল শ্রেণীর অলিআল্লাহ, তারা নামাজ-রোজার বিনিময়ে বেহেশতে প্রবেশ করবে না। তবে তারা বদান্যতা, হৃদয়ের পবিত্রতা এবং মানুষকে হেদায়েতের বিনিময়ে বেহেশতে প্রবেশ করবে।'

রেফারেন্স :
★ [ইয়াহ্উল উলুম, হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী


→→ হযরত জিবরাঈল (আঃ) নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে এসে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি পাহাড়ের উচ্চ চূড়ায় পাঁচশ বছর ধরে আল্লাহ পাকের ইবাদতে মশগুল ছিল। ঐ পাহাড়ের চারদিক লবণাক্ত পানি দ্বারা বেষ্টিত ছিল। আল্লাহ তা'আলা তার জন্য পাহাড়ের অভ্যন্তরে সুপেয় পানির ঝর্ণা এবং একটি আনার গাছের সৃষ্টি করেন।
প্রতিদিন সেই ব্যক্তি আনার ফল খেত এবং পানি পান করত। আর পানি দিয়ে অযূ করত। সে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে এই দু'আ করল- হে আল্লাহ্‌! আমার দেহ থেকে রূহ যেন সেজদারত অবস্থায় কবয করার ব্যবস্থা করা হয়।
আল্লাহ্‌ তা'আলা তার এই দু'আ কবুল করেন। হযরত জিবরাঈল (আঃ) বলেন- আমি আসমানে আসা যাওয়ার সময় তাকে সেজদারত দেখতাম। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ তা'আলা তার সম্পর্কে বলবেনঃ আমার এই বান্দাকে আমার রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাও। ঐ ব্যক্তি বলবে না, বরং আমার আমলের বরকতে।
তখন নির্দেশ আসবে- আমার নিয়ামতের বিপরীতে তার কৃতামল পরিমাপ কর। পরিমাপ করে দেখা যাবে, পাঁচশ বছরের ইবাদাত খতম হয়ে গেছে একটি চোখের নিয়ামতের বিনিময়ে।
তখন আল্লাহ্‌ পাক নির্দেশ দিবেনঃ আমার বান্দাকে জাহান্নামে নিয়ে যাও। ফেরেশতারা তখন তাকে নিয়ে রওয়ানা হবে। কিছুদূর যাওয়ার পর ঐ ব্যক্তি আরয করবে হে আল্লাহ্‌! আমাকে তোমার রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাও। নির্দেশ আসবে তাকে ফিরত নিয়ে আস।
আল্লাহ্‌ পাকের নিকট ফিরিয়ে আনার পর তাকে নিচের প্রশ্নগুলো করা হবে আর সে বলবেঃ-
- তোমাকে কে সৃষ্টি করেছেন?
- আল্লাহ, আপনি।
- এই কাজটা তোমার আমল না আমার রহমতের বরকতে হয়েছে?
- আপনার রহমতে।
- তোমাকে পাঁচশ বছর ইবাদাত করার শক্তি ও তাওফীক কে দিয়েছে?
- হে আল্লাহ্‌! আপনি।
- সমুদ্রের মাঝে পাহাড়ের উপর তোমাকে কে পৌঁছিয়েছে? লবণাক্ত পানির মাঝে সুপেয় পানির ব্যবস্থা কে করেছে? আনার গাছ কে সৃষ্টি করেছে? তোমার দরখাস্ত মুতাবেক সেজদার মাঝে কে তোমার রূহ কবয করার ব্যবস্থা করেছে?
-হে পরওয়ারদিগার! আপনি।
তখন ইরশাদ হবেঃ এই সব কিছু আমার রহমতে হয়েছে এবং আমার রহমতেই তোমাকে জান্নাতে দাখিল করছি।

রেফারেন্স :

★ ইমাম নববী : রিয়াযুস স্বালেহীনঃ ২/৫৩,৫৪


এখন সহিহ হাদিস থেকে :


→→ তাওহীদ পাবলিকেশন। গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৮১/ সদয় হওয়া।  হাদিস নাম্বার:৬৪৬৪ |

 6464 | ٦٤٦٤

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَاعْلَمُوا أَنْ لَنْ يُدْخِلَ أَحَدَكُمْ عَمَلُهُ الْجَنَّةَ وَأَنَّ أَحَبَّ الأَعْمَالِ إِلَى اللهِ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّ.

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ঠিকভাবে নিষ্ঠাসহ কাজ করে নৈকট্য লাভ কর। জেনে রেখ, তোমাদের কাউকে তার ‘আমাল জান্নাতে প্রবেশ করাবে না এবং আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় ‘আমাল হলো, যা সদাসর্বদা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়।

রেফারেন্স :

★ বুখারী ৬৪৬৪, ৬৪৬৭;
★ মুসলিম ৫০/১৭, হাঃ ২৮১৮,
★ মুসনাদে আহমাদ ২৪৯৯৫,
★ বুখারী : আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২০


→→ তাওহীদ পাবলিকেশন। গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৮১/ সদয় হওয়া। হাদিস নাম্বার:৬৪৬৩


| 6463 | ٦٤٦۳

آدَمُ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَنْ يُنَجِّيَ أَحَدًا مِنْكُمْ عَمَلُهُ قَالُوا وَلاَ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَلاَ أَنَا إِلاَّ أَنْ يَتَغَمَّدَنِي اللهُ بِرَحْمَةٍ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَاغْدُوا وَرُوحُوا وَشَيْءٌ مِنْ الدُّلْجَةِ وَالْقَصْدَ الْقَصْدُ تَبْلُغُوا.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কস্মিনকালেও তোমাদের কাউকে তার নিজের ‘আমাল কক্ষনো নাজাত দিবে না। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকেও না? তিনি বললেনঃ আমাকেও না। তবে আল্লাহ্ আমাকে তাঁর রহমত দিয়ে আবৃত রেখেছেন। তোমরা যথারীতি ‘আমাল করে নৈকট্য লাভ কর। তোমরা সকালে, বিকালে এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহর ইবাদাত কর। মধ্য পন্থা অবলম্বন কর। মধ্য পন্থা তোমাদেরকে লক্ষ্যে পৌঁছাবে।

রেফারেন্স :

★ আল আদাবুল মুফরাদ: ইমাম বুখারী, হাদিস  নং-৪৬৩
★ মুসলিম ৫০/১৭, হাঃ ২৮১৬
★ বুখারী : আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৯


→→ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৬২/ রোগীদের বর্ণনা। হাদিস নাম্বার:৫২৭১


| 5271 | ۵۲۷۱

আবূল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি তোমাদের কাউকে তার নেক আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে সক্ষম হবে না। লোকজন প্রশ্ন করল: ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনাকেও নয়? তিনি বললেনঃ আমাকেও নয়, ততক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে তার করুণা ও মেহেরবানীর দ্বারা ঢেকে না দেন। কাজেই মধ্যপন্থী অবলম্বন কর এবং নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে যাও। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভাল লোক হলে (বেশী বয়স পাওয়ার দরুন) তার নেক আমল বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ পাবে। পক্ষান্তরে মন্দ লোক হলে সে লজ্জিত হয়ে তওবা করার সুযোগ লাভ করতে পারবে।

আল্লাহর নিদর্শন সমুহ : লুত (আ) এর অবাধ্য স্ত্রীর পরিনতি :









হযরত লুত(আ:) এর স্ত্রী অবাদ্ধতার পরিনতি,
আল্লাহ পাকের হুকুমে জাহান্নামের আযাবদানকারী ফেরেশতা নবী হযরত লুত (আ) তার উম্মতদের জঘন্য অপরাধের শাস্তি স্বরূপ তাদের ধ্বংস করে দেয়া পয়গাম শুনালে নবী খুব ভেঙ্গে পড়েন। নবীকে সান্ত্বনা দিয়ে ফেরেশতারা বলেন যে ” আল্লাহপাক আপনার পরিবারকে হেফাজত করবেন, শুধু আপনার স্ত্রী ছাড়া , কারনে সে অবিশ্বাসীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত “। এতে হযরত লুত (আ) আরও বিষণ্ণ হয়ে পড়লে , ফেরেশতারা বলেন যদি আপনার স্ত্রী এই এলাকা ছেড়ে যাবার সময় পিছনে না তাকায় তাহলে সে আল্লাহর গজবে পতিত হবে না,। সুদুম এলাকা থেকে রাতে আসার সময় নবী তার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে পিছনে তাকাতে না বললেন। নবীর নির্দেশ সবাই শুনলেও তার অবাধ্য স্ত্রী শুনে নি।ফলে পিছনে ফিরে তাকানোর সাথে সাথেই আল্লাহর আজাবের ফেরেশতা তাকে পাথরের মূর্তিতে পরিনত করে দেন এবং সমগ্র সুদুম এলাকা উল্টে সমুদ্রে পরিনত করে দেন।
বর্তমানে যে পাথরের স্তম্ভ দেখতে পাচ্ছেন তা নবী লুত (আ) এর জীবন্ত স্ত্রীর মূর্তি । যা আজও আল্লাহর কুদরতে ধ্বংস হয় নি।
ইহা বর্তমানে জর্ডানের মৃত সাগর এলাকায় অবস্থিত।

Tuesday, August 25, 2015

Yazid (May Allah's Lanah (Curse) be upon him) :


The Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam)


In some Hadith, Yazid has only been indicated and in some he has been explicitly mentioned, that,

```the first person in the Ummah to change the Sunnah and to destroy the Deen will be a person from Bani Ummayyah called Yazid.```




Reference :

★ Musannaf Ibn Abi Shaiba,

★ Dalaail Un Nabuwwah lil Baihaqi

★ Imam Abu Ya'ala has written in his "Musnad"

★ Imam Ibn Hajar Asqalani has written in his "Al-Matalib al A'aliya”

★ Imam Shahabuddin Ahmed bin Hajar Haitami in “As- Sawaaiq Al Muhriqa”

★ Imam Ibn Katheer in "Bidayah Wan Nihayah"

★ Imam Jalaluddin Suyuti in "Tarikh Al Khulafa."

সনদ পর্যালোচনা : About Sanad :

The great Muhaddith of the 3rd century Hijri
Imam Abu Ya'ala has recorded a Hadith along with its chain of narration in his Musnad Vol 2, Pg No. 71:

It has been narrated on the authority of Hadhrat Abu Ubaidah bin Jarrah (May Allah SWT be well pleased with him) that the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) said: The affairs of Ummah will be maintained with justice, till a person from Bani Ummayyah will be first to cast a crack in the religion. He will be called Yazid. All the narrators of this Hadith are honest and reliable.

The aforementioned Hadith has also been recorded by the great Muhaddith Imam Shahabuddin Ahmed bin Hajar Haitami in As Sawaaiq Al Muhriqa, Pg no. 132. He has recorded another Hadith in this regard in the same book on Pg No. 132.

Hadhrat Abu Darda (May Allah SWT be well pleased with him) relates: I heard the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) say: The first person to change My Sunnah will be a person from Bani Ummayyah who will be called Yazid."

Imam Ibn Katheer has recorded the same Hadith in Bidayah wan Nihayah, Vol 6, Pg No. 256 on the authority of Hadhrat Abuzar Ghifari (May Allah SWT be well pleased with him). In that narration, the words, "who will be called Yazid," are not related.

★ Musannaf Ibn Abi Shaiba, Vol 8, Pg No. 341. Hadith no. 145

★ Dalaail Un Nabuwwah lil Baihaqi- Abwab Ghazwa Tabuk, Hadith No.2802

★ Matalib al A'aliyah, Kitabul Futooh, Hadith No.4584.

হাদিসটির বিভিন্ন সুত্র (Different Sanads of this Hadith) :

1.

Hadhrat Abu Ubaidah bin Jarrah (May Allah SWT be well pleased with him)

2.

Hadhrat Abu Darda (May Allah SWT be well pleased with him)

3.

Hadhrat Abuzar Ghifari (May Allah SWT be well pleased with him).


______________________________________




MY UMMAH WILL BE DESTROYED
AT THE HANDS OF A FEW LADS OF QURAISH





Amr bin Yahya Sae'ed bin 'Amr bin Sae'ed narrates on the authority of his paternal grandfather; that he said: I was sitting along with Hadhrat Abu Hurairah (May Allah SWT be well pleased with him) in Masjid Nabawi in Madina and Marwan was along with us.

Hadhrat Abu Hurairah (May Allah SWT be well pleased with him) said: I heard the truthful Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) say:

My Ummah will be destroyed at the hands of a few young men of the Quraish. Marwan said: Allah curse such youngsters. Hadhrat Abu Hurairah (May Allah SWT be well pleased with him) said: I can say 'so and so, son of so and so and so and so, son of so and so, if I want to. Hadhrat 'Amr bin Yahya says, I, along with my grandfather, went to Bani Marwan when they were ruling over Syria and found that he was a young boy and my grandfather said shortly they will also become one of them. We said you understand this better.

Reference :

Sahib Bukhari, Vol 2, Kitab ul Fitan.


______________________________________



ASK FOR ALLAH'S PROTECTION AGAINST
THE RULE OF LADS (the first youngster would become a ruler in 60 A.H."He was Yazid.")




There is a Hadith in Musnad Imam Ahmed. (Hadith No: 3800)
Translation: It has been narrated on the authority of Hadhrat Abu Hurairah (May Allah SWT be well pleased with him) relates that the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) said:


Ask for Allah's protection, against the start of the decade of 70 and against the against the rule of young men."


The interpreter of Sahih Bukhari and the author of Fath Ul Bari, Hafidh Ahmed bin 
Hajar Asqalani (May Allah SWT shower His Mercy on him), mentions another 
Hadith on the authority of "Musannaf Ibn Abi Shaiba, and writes:


The Hadith of Musannaf Ibn Abi Shaiba says that Hadhrat Abu Hurairah (May Allah SWT be well pleased with him) even while passing through markets, used to pray, 'O Allah SWT, 
let me not reach 60 A.H. and the rule of youngsters.'"

Hafidh Ibn Hajar Asqalani (May Allah SWT shower His Mercy on him) writes after mentioning this Hadith:


In this Hadith, it is indicated that the first youngster would become a ruler in 60 A.H.

Accordingly this is what happened. Yazid bin Mua'awiyah occupied the seat in this year, stayed there till 64 A.H. and died.

The interpreter of Sahih Bukhari, Imam Badruddin 'Aini Hanafi (May Allah SWT shower His Mercy on him) specifies what is meant by "the first child to rule" in Umdat ul Qari/ Vol 16, Pg No. 333. He writes:


"The first youngster to rule was Yazid."


It is mentioned in the Hadith, which mention the tribulations close to the Qiyamah, 
Translation:


"Then those who invite towards misguidance will arrive."


In the interpretation of this Hadith, Hadhrat Shah Waliullah (May Allah SWT shower His 
Mercy on him) writes in Hujjatullah il Baligha,. Vol 2, Pg No. 213;

______________________________________



YAZID ORDERED
THE MARTYRDOM OF IMAM HUSSAIN
(MAY ALLAH SWT BE WELL PLEASED WITH HIM)




A CONFESSION BY IBN ZYAD

Ibn Zyad himself said that Yazid ordered him to martyr Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him) on the threat of death.

Imam Ibn Atheer (May Allah SWT shower His Mercy on him) records the confession of Ibn Zyad.


Translation: "Now, about my martyring Hussain (May Allah SWT be well pleased with him), the fact is that Yazid ordered me to do this. He threatened to kill me if I didn't, so I martyred Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him)."


According to Islamic Law, if any person murders anybody else, then as a punishment, the murderer is killed. But Yazid neither killed Ibn Zyad, Shimar or other officials nor dismissed them from their offices. Instead, he expressed his happiness. Afterwards, out of fear that the situation might go out of control he expressed some sorrow in a formal, political manner.

^In fact, this wretched man

used his stick to poke at the teeth of Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him), those teeth, which the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) kissed.

REFERENCE :

★ Imam Ibn Atheer (May Allah SWT shower His Mercy on him) has written in Tarikh Kamil


★ Imam Ibn Katheer (May Allah SWT shower His Mercy on him) in Bidayah wan Nihayah


★ Imam Tabari (May Allah SWT shower His Mercy on him) in Tarikh Tabari.

______________________________________



Translation: 

Abu Muhnaf relates on the authority of Abu Hamza Thimali, who relates on the authority of Abdullah Yamani, who relates on the authority of Qasim, who said:

When the blessed head of Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him) was placed before Yazid, he had a stick in his hands with which he started poking at the teeth of Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him).

Then he said:

“Verily, ours and his example is as said by Hisseen bin Hamam Mari: Our swords smash the skulls of those who have strength and domination over us; and of those who are really disobedient and oppressors."


Hadhrat Abu Bazrah Aslami
(May Allah SWT be well pleased with him) said:


Listen O Yazid! By Allah! Your stick is touching that spot, which I witnessed the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) used to kiss. Then he said: Beware, O Yazid! On the day of judgment, Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him) will arrive with such grandeur that his intercessor will be the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) and you will arrive in such a state that Ibn Zyad will be yours."

REFERENCE :

★ Bidayah wan Nihayah, Vol 8, Pg No. 215, at the end of the aforementioned Hadith, it is mentioned →→ 

""At that time, Hadhrat Abu Bazrah Aslami (May Allah SWT be well pleased with him) said:

Remove your stick! By Allah! I have often seen the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) place His mouth on the mouth of Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him) and kiss it.""

______________________________________



`````WE FEARED THAT STONES WOULD FALL FROM THE SKY


Due to the martyrdom of Imam Hussain (May Allah SWT be well pleased with him), the people of Madina became strongly opposed to Yazid and pledged their allegiance to Hadhrat Abdullah bin Hanzlah (May Allah SWT be well pleased with him).


Yazid sent an army to attack Madina, which attacked the people of Madina and persecuted its citizens. On that occasion, Hadhrat Abdullah bin Hanzlah (May Allah SWT be well pleased with him) spoke to the people of Makkah and described the un-islamic activities of Yazid.``````

REFERENCE :

★ Hadhrat Muhammad bin Sa'ad (May Allah SWT be well pleased with him) who is a Muhaddith as well as a historian, has written in Tabaqaat e Kubra, Vol 5 Pg No. 66.

______________________________________


Imam Abu Ja'afar Muhammad bin Jarir Al Tabari (Rah) 




````The people of Madina agreed to pledge their allegiance to Hadhrat Abdullah bin Hanzlah (May Allah SWT be well pleased with him) and gave him authority over their affairs. He took the pledge from them to fight till their last breath. Then he said:


O my community! Fear Allah, who has got not equal. By Allah! We stood up against Yazid, when we feared that stones would be rained on us from the sky. He is such a person, who declares marriage with mothers, daughters and sisters as permissible (Jayaz), who drinks wine and abandons Salaat. By Allah! If no one from the people supported me, even then I will use my courage and bravery in this matter for the sake of Allah SWT."


WE COME FROM SUCH A PERSON WHO HAS GOT NO DEEN

Imam Abu Ja'afar Muhammad bin Jarir Al Tabari (May Allah SWT shower His Mercy on him), writes in Tarikh Tabari, Vol 1, Pg No. 403:


They (the delegation from the people of Madina, after returning from Yazid) said:

"We come from such a person, who has got no Deen. He drinks wine, plays tambourines, songstresses dance before him, he plays with dogs and listens to stories with thieves and rascals. O people! We make you a witness that we break our pledge given to him. Then all the people of Madina broke their pledge. People came to Hadhrat Abdullah bin Hanzlah (May Allah SWT be well pleased with him)and pledged their allegiance to him.``````


______________________________________



★ Imam Ibn Atheer (May Allah SWT shower His Mercy on him) writes in Tarikh Kamil Vol 3, Pg no. 337,
The great Tabi'e Hadhrat Hasan Basri (May Allah SWT be well pleased with him) says about Yazid: He was a drunkard of the last degree, he wore silk and played with tambourines."


______________________________________
★ It is written in Tarikh Kamil, Vol 3 Pg No. 465 :

Translation: Yazid performed Hajj in the life of his father. When he reached Madina Munawwarah, he started drinking wine."

______________________________________


Imam Ibn Katheer
(May Allah SWT shower His Mercy on him)

writes in Bidayahwan Nihayah,
Vol 6, Pg No. 262:

Translation:


The reason for the incident of Hira is that a delegation from Madina went to Damascus to meet Yazid. When they returned, they related Yazid's habit of drinking and his other bad habit to their families. The worst among his habit was that he missed Salaat because of wine.

For this reason, the people of Madina agreed to break their pledge of allegiance. They declared this near the Prophet's Pulpit in Masjid Nabawi.


When Yazid came to know this, he sent an army to Madina Munawwarah. The leader of the army was a person named Muslim bin 'Uqba.

The Pious Elders (Salaf Saliheen) have also addressed this person as Musrif bin 'Uqba. When he entered Madina, he declared the lives of the Madinians and their property as "Mubah" for 3 days, which meant that for 3 days, the army could do whatever they liked with the lives and the property of the people of Madina. Thus, in those 3 days, he martyred hundreds of people. 


______________________________________


There is Tradition in Imam Baihaqi's Dalaail Un Nabuwwa 

Translation:


It has been narrated on the authority of Hadhrat Mugheera (May Allah SWT be well pleased with him) that Musrif bin 'Uqba looted Madina for 3 days and raped 1000, unwed, chaste daughters of Islam.

______________________________________

It is written in Tabaqat Al kubra, Vol 5, Pg No.66:


Muslim bin 'Uqba attacked Madina with his army. Yazid's army martyred 700 Hafidh of the Holy Quran, raped 1000 unwed, chaste Muslim women and for 3 days, there could not be any Adhaan and Salaat in Masjid Nabawi.

______________________________________



ALLAH'S CURSE IS ON THE ONE,

WHO FRIGHTENS THE PEOPLE OF MADINA


````There is a Hadith in Musnad Ahmed, Musnad madaniyyen Hadith No. 15962.


Translation:


It has been narrated on the authority of Hadhrat Saib bin Khalad (May Allah SWT be well pleased with him) that the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) said: Whoever frightens the people of Madina by their oppression, Allah SWT will frighten him and on him rests the curse of Allah SWT, of the angels and of all the people. Allah SWT will not accept any obligatory (Fardh) of optional (nafl) act from such a person the Day of Judgment. `````


______________________________________



YAZID'S ARMY STONED THE KA'ABA



It is written in Tarikh Kamil, Vol 3, Pg. No. 464:


"To the extent that when 3 days of Rabe'e ul Awwal passed, they stoned the Ka'aba with their cannons, burnt it and started singing thus:

"We have tremendous power and courage; we stone this Masjid with cannons."


______________________________________



"May Allah curse him and his helpers."



★ In the basic tract of beliefs (Aqaaid), which is taught in most Madrasas, Sharh Aqaaid Nasafi,

→ → Imam Sa'aduddin Taftazani (May Allah SWT shower His Mercy on him) writes:


"Some Imams, because of ordering the martyrdom of Imam Hussain, declare him as a disbeliever (kafir) and defector (murtad), and hold cursing Yazid as permissible.

The scholars of this Ummah are in agreement on the permissibility of cursing those martyred Imam Hussain and those who ordered it or those consider it (the martyrdom) as permissible and those who became happy on it.

The fact is that Yazid's agreement on the martyrdom of Imam Hussain, his being happy with it and his insulting the Ahle Bait is well established by those traditions, which are in effect, equal to the "mutawatir" (popular) Traditions, even though its details may not be established by a first-hand report (Khabr Wahid). So we cannot exercise restraint on Yazid, but we will exercise restraint about the Iman of Yazid.

May Allah curse him and his helpers."


______________________________________



SHARIAH RULING ON ADDRESSING YAZID WITH

("RAZIALLAHU ANU")



→ → "Raziallahu anhu" is used specially for the Sahabah and for those pure souls, whose hearts are filled with fear and awe of Allah SWT, as Allah SWT himself says: 
(see Surah Bayyinah-08.)


NOTE : ~~~ The aforementioned Hadith and the interpretations of the Imams make it clear that Yazid was wretched. He changed the Sunnah, he cast a crack in the Deen.

★ He insulted the Haramain, he insulted the Ahle Bait. Using "raziallahu anhu" for such a person is to respect him and this is equal to destroying the edifice of Islam.

This is to invite Allah's anger and misguidance. The Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) has declared respecting an innovator (bida'ati) as helping to destroy the edifice of Islam.~~~



→→ There is a Hadith in Imam Tabarani's Mo'jam ausat (Hadith No: 6263).


It has been narrated on the authority of Hadhrat Aisha Siddiqua (May Allah SWT be well pleased with her) that the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) said:


"Whoever respects an innovator, verily he helps in destroying Islam."""""




→→ There is a Hadith in Imam Baihaqi's Shu'abul Iman:


It has been narrated on the authority of Hadhrat Anas (May Allah SWT be well pleased with him) that the Holy Prophet (Sallallahu alaihi wa sallam) said:


When a innovator (bid’ati) is respected, Allah SWT expresses His anger and because of it, the 'Arsh trembles."


______________________________________



PUNISHMENT FOR THE ONE WHO ADDRESSES YAZID AS

("RAZIALLAHU ANHU")




★★★ The just Caliph of Bani Ummayyah, 
MUJADDID OF HIJRI 1ST CENTURY Hadhrat Umar bin Abdul 'Aziz

(May Allah SWT be well pleased with him)

declared the person who addressed Yazid as "Raziallahu anhu" as liable to be punished.


This is written in "Tahdheeb ul Tahdheeb", the authoritative book on Rijal (the science of the classification of men, for the purpose of categorizing the Hadith), by

Imam Ibn Hajar Asqalani, in Vol 11, the letter "ya", Pg No. 316.

Imam Ibn HajarHaitamu has written in "As Sawaiiq Al Muhriqa" on Pg No. 132 and

Imam Jalaluddin Suyuti (May Allah SWT shower His Mercy on him) in Tarikh ul Khulafa 
Pg No. 166.

Nouful bin Abu Aqrab states that,

“I was in the presence of Hadhrat Umar bin Abdul 'Aziz (May Allah SWT shower His Mercy on him), one person while talking about Yazid said,

"Amir Ul Momineen Yazid said so and so and Amir Ul Momineen said so and so"

Hadhrat Umar bin Abdul 'Aziz (May Allah SWT shower His Mercy on him) said

"You address Yazid as ‘Amir Ul Momineen’?" and ordered that he should be lashed 20 times. Hence, he was lashed 20 times."


______________________________________



Reply to Dr zakir about Yazeed(LA)



---
Imam Badruddin 'Aini

(May Allah SWT shower His Mercy on him)

writes in the interpretation of the Hadith:

"My Ummah will be destroyed at the hands of a few lads of Quraish..."

Yazid was the first among those lads and wrote along with Yazid's name:

"On him is what he deserves!"




Sunday, August 23, 2015

যে গল্পে হৃদয় গলে (২) : হজরত মালেক বিন দিনার রহ. এর ঘটনা :-

প্রথম পর্ব :

যে গল্পে হৃদয় গলে (১) : হযরত সাদ সালামি (রা) এর ১টি ঘটনা :-

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/06/blog-post_23.html?m=1

২য় পর্বে →

মদখোর থেকে পৃথিবী খ্যাত ইমাম হয়েছিলেন যিনি -

তিনি ছিলেন ২য় হিজরির বিখ্যাত সুফি।
একদিন লোক
ভরপুর এক মাহফিলে বক্তব্য
দিচ্ছিলেন তিনি।
শুরুতেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন এক
শ্রোতা।
বললেন, আপনার বক্তৃতা পড়ে শুনব।
তার আগে
আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিন।
বছর দশেক আগে আপনাকে মাতাল
অবস্থায় রাস্তায়
পড়ে থাকতে দেখেছিলাম। আপনি
ছিলেন ছন্নছাড়া
এক ব্যক্তি। খারাপ কাজ ছাড়া
ভালো কাজে দেখিনি
কখনো। অথচ আজ আপনি আমাদের
সামনে ওয়াজ
করছেন। আপনার এই পরিবর্তন
কিভাবে হলো?
শ্রোতার এমন প্রশ্ন এড়াতে
পারলেন না বক্তা।
বললেন, শুনুন তাহলে আমার ঘটনা।
সেদিন ছিল শবে কদরের রাত। শহরের
মদের
দোকানগুলো বন্ধ ছিল। এক
দোকানিকে
অনুরোধ করে মদ কিনলাম। তারপর
চলে এলাম
বাসায়। রাতে মদ ছাড়া ঘুমই আসত
না।
সেদিন বাসায় ঢুকেই দেখি স্ত্রী
নামাজ পড়ছে।
নিশ্চুপে আমার ঘরে চলে এলাম।
টেবিলে রাখলাম
বোতলটা। হঠাৎ আমার তিন বছরের
মেয়েটা দৌড়ে
এলো। টেবিলে সঙ্গে তার ধাক্কা
লেগে
মদের বোতলটি পড়ে ভেঙে গেল।
সেটা
দেখে অবুঝ মেয়েটি খিলখিল করে
হাসতে
লাগল। মেয়ে বলে তাকে কিছু বলতেও
পারছিলাম
না।
ভাঙা বোতল ফেলে দিয়ে ঘুমিয়ে
গেলাম।
সেরাতে আর মদ খাওয়া হল না।
তারপর চলে
গেছে এক বছর। আবার এল
লাইলাতুল কদর। অভ্যাস
মতোই আমি মদ নিয়ে বাড়ি এলাম।
বোতলটা
টেবিলে রাখলাম। হঠাৎ বোতলের
দিকে তাকাতেই
বুক ভেঙে কান্না এলো। কারণ তিন
মাস আগে
আমার মেয়েটি মারা গেছে। গতবার
তার বোতল
ভাঙার কাহিনী আমার চোখের সামনে
ভেসে
উঠছে। মদটা আর খেতে পারলাম না।
ঘুমিয়ে
পড়লাম।
মাঝ রাতে স্বপ্নে দেখলাম এক
বিরাট সাপ আমাকে
তাড়া করছে। এত বড় সাপ আমি
জীবনে দেখিনি।
সেই ভয়ে আমি দৌড়াচ্ছি। এমন
সময় এক দুর্বল
বৃদ্ধকে দেখলাম। তাকে অনুরোধ
করলাম সাপটি
থেকে আমাকে রক্ষা করতে। কিন্তু
বৃদ্ধ বলল,
আমি খুব দুর্বল এবং ক্ষুধার্ত। এ
সাপের সাথে আমি
পারব না। তুমি বরং এই পাহাড়ের
ডানে যাও।
বৃদ্ধের কথা মতো পাহাড়ে উঠেই
দেখি দাউদাউ
করে আগুন জ্বলছে। আর পেছনেই
এগিয়ে
আসছে সেই মোটা কুৎসিত সাপ।
আমি বৃদ্ধের কথা
মতো ডানে ছুটলাম। দেখলাম সুন্দর
এক বাগান।
বাচ্চারা খেলছে। গেটে দারোয়ান।
বাগানে ঢুকতে চাইলে দারোয়ান বাধা
দিল। বাচ্চাদের
ডেকে বললো, দেখতো এলোকটি
কে?
ওকে তো সাপটা খেয়ে ফেলবে,
নয়তো
আগুনে ফেলে দেবে। দারোয়ানের
কথায়
বাচ্চারা ছুটে এলো। এর মধ্যে তিন
মাস আগে
মৃত্যুবরণ করা আমার মেয়েটাকেউ
দেখলাম।
মেয়েটা আমাকে ডান হাতে জড়িয়ে
বাম হাতে
সাপটাকে থাপ্পর দিলো। ভয়ে সাপ
পালিয়ে
গেলো।
ঘটনা দেখে চোখ কপালে উঠল।
বললাম, মা তুমি
কত ছোট আর এত বড় সাপ
তোমাকে ভয় পায়?
তুমি এতো সাহস কোথায় পেলে।
মেয়ে বললো, আমি তো জান্নাতি
মেয়ে।
জাহান্নামের সাপ আমাদের ভয় পায়।
বাবা ওই সাপকে
তুমি চিনতে পেরেছো?
বললাম, না মা সাপকে তো চিনতে
পারিনি।
বাবা ওতো তোমার নফস। তুমি
নফসকে এতো
বেশি খাবার দিয়েছো যে সে এমন বড়
আর
শক্তিশালী হয়েছে। সে তোমাকে
জাহান্নাম
পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়েছে।
বললাম, পথে এক দুর্বল বৃদ্ধ
তোমার এখানে
আসার পথ বলে দিয়েছে। সে কে?
মেয়ে বললো, তাকেও চেনোনি? সে
তোমার রুহ। তাকে তো কোনোদিন
খেতে
দাওনি। তাই না খেয়ে দুর্বল হয়ে
কোনো মতে
বেঁচে আছে।
এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেলো।
দীর্ঘ স্বপ্নের কথা বলে বক্তা একটু
দম নিলেন।
এরপর বললেন, সেইদিন থেকে আমি
আমার
রূহকে খাদ্য দিয়ে যাচ্ছি আর
নফসের খাদ্য একদম
বন্ধ করে দিয়েছি। এখনো চোখ
বুঝলেই
নফসের সেই ভয়াল রূপ দেখতে পাই।
আর দেখি
রূহকে। আহা কতো দুর্বল হাঁটতে
পারে না।
তারপর ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন
বক্তা।
বিখ্যাত এ বক্তার নাম হজরত
মালেক বিন দিনার রহ.।
হিজরি দ্বিতীয় বর্ষের বিখ্যাত সুফি
ও ইসলাম
বিশ্লেষক। এক সময় মদ খেয়ে
মাতাল হয়ে পড়ে
থাকতেন রাস্তায়। একটা স্বপ্ন তার
জীবনকে
পাল্টে দিল। তিনি হয়ে গেলেন
ইসলামের মহা
মনীষী। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল
তার
খ্যাতি।

Saturday, August 15, 2015

ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল সম্পর্কে পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসদের অভিমত :-



১. ইমাম আলী ইবন আল মাদীনী (মৃঃ ২৩৪ হিজরি) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা’আলা রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পর দুই জন ব্যাক্তির মাধ্যমেই ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, একজন হলেন আবু বকর(রাদিয়াল্লাহু আনহু) অপরজন হলেন আহমাদ ইবন হাম্বল”  [তবকাত আল-হানাবিলাহ, পৃঃ ১/৩১]

২.  ইমাম আব্দুল ওয়াহহাব আল ওয়াররাক বলেনঃ “আমি ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বলের মত আর কাউকে দেখিনি, তাকে জিজ্ঞাসা করা হল আপনি অন্যের চেয়ে ইমাম আহমাদের মাঝে জ্ঞান বা মর্যাদার বেশী পেয়েছেন কি? তিনি বললেনঃ ইমাম আহমাদ এমন একজন ব্যাক্তি যাকে ৬০,০০০ (ষাট হাজার) প্রশ্ন করা হল, তিনি সকল প্রশ্নের জবাবে হাদ্দাছানা ওয়া আখবারানা অর্থাৎ শুধু হাদীস হতে জাবাব দিয়েছেন অন্য কিছু বলেন নি”  [তবকাত আল-হানাবিলাহ, পৃঃ ১/৯]
বিঃ দ্রঃ  ৬০,০০০ (ষাট হাজার) প্রশ্নের জবাব ইমাম আহমাদ শুধু মাত্র হাদীস হতে দিয়েছেন, অন্য কিছু বলেন নি, এ থেকেই ইমাম আহমাদের জ্ঞান সম্পর্কে বুঝা যায়।

৩. ইমাম আবু হাতীম মুহাম্মাদ বিন ইদ্রীস আর-রাযী (মৃঃ ২৭৭ হিজরি) বলেছেনঃ “সহীহ ও যইফ(দুর্বল) হাদীস সম্পর্কে আহমাদ ইবন হাম্বল খুব ভাল বুঝতেন” [Al-Jarh wat ta’deel: 1/302]

৪. ইমাম আবু হাতীম আরো বলেছেনঃ “যদি তুমি কোন মানুষকে দেখ আহমাদ ইবন হাম্বলকে ভালবাসতে তাহলে যেনে রেখ সে একজন সুন্নাহ এর অনুসারী” [Al-Jarh wat ta’deel: 1/308]
ইমাম আবু হাতীম, আহমাদ ইবন হাম্বলকে আলী ইবন আল-মাদীনী থেকেও বড় ফকীহ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। [Al-Jarh wat ta’deel: 1/209]

৫. ইমাম আবু রাজা কুতাইবা বিন সা’ইদ (মৃঃ ২৪০ হিজরি) বলেছেনঃ “আহমাদ ইবন হাম্বল হলেন পুড় পৃথিবীর ইমাম” [Al-Jarh wat ta’deel: 1/295]

৬. ইমাম আবু রাজা কুতাইবা আরো বলেছেনেঃ “যদি আহমাদ ইবন হাম্বল সাক্ষ্য দিয়ে থাকেন ছাওরী,মালিক,আওযাই এবং লাইছ ইবন সা’দ এর যুগের তাহলে তিনি(ইমাম আহমাদ) তাদের থেকেও উচ্চতর”
(আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন শাবওয়াইহ বলেন) আমি আবু রাজা কুতাইবাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ “আহমাদ ইবন হাম্বলকে কি তাবেয়ীদের সাথে তুলনা করা হত?”
তিনি(ইমাম আবু রাজা কুতাইবা) জবাবে বললেনঃ “(হ্যাঁ, তাকে(ইমাম আহমাদ) তুলনা করা হত) প্রখ্যাত তাবেয়ীদের সাথে”     [Al-Jarh wat ta’deel: 1/293,2/69]
বিঃ দ্রঃ
উপরে উল্লেখিত ছাওরী হলেন সুফিয়ান ছাওরী যিনি প্রখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ ছিলেন।
উপরে উল্লেখিত মালিক হলেন ইমাম মালিক যিনি প্রখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ ও মালিকি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা।
উপরে উল্লেখিত আওযাই হলেন প্রখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ ইমাম আওযাই।
উপরে উল্লেখিত লাইছ ইবন সা’দ হলেন ইমাম ও মুজতাহিদ এবং লাইছী মাযহাবের প্রবর্তক।

৭. ইমাম আবু রাজা কুতাইবা আরো বলেছেনেঃ “আহমাদ ইবন হাম্বল আর এখানে নেই, দ্বীনের(ধর্মের) চাড়া মরে গেছে” [Hilyat al-Awliyaa: 9/168]

৮. ইমাম আবু রাজা কুতাইবা আরো বলেছেনেঃ “আস-সাওরী এখানে নেই, ন্যায়পরায়নতা মরে গেছে; আহমাদ(ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) এখানে নেই, মানুষেরা দ্বীনের(ধর্মের) মধ্যে বিদ’আত প্রবেশ করিয়ে ফেলবে”  [Taareekh Baghdaad: 4/417]

৯. ইমাম আবু উবাইদ আল-কাসীম বিন সালাম (মৃঃ ২২৪ হিজরি) বলেছেনঃ “জ্ঞান চার জনের মধ্যে শেষ হয়েছে(আহমাদ,ইবন আল-মাদীনী,ইবন মঈন এবং আবু বকর ইবন আবী শায়বাহ), আহমাদ ইবন হাম্বল তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফকীহ ছিলেন”    [Al-Jarh wat ta’deel: 1/293]

১০. আবু ছাওর ইবরাহীম বিন খালীদ আল-ফকীহ (মৃঃ ২৪০ হিজরি) বলেছেনঃ “আহমাদ ইবন হাম্বল বড় ফকীহ ছিলেন সুফিয়ান ছাওরী থেকে”  [Al-Jarh wat ta’deel: 1/293]


১১. ইমাম আলী ইবন আব্দুল্লাহ আল-মাদীনী (মৃঃ ২৩৪ হিজরি) বলেছেনঃ “আমাদের সঙ্গীদের মধ্যে আবু আব্দুল্লাহ আহমাদ ইবন হাম্বল(ইমাম আহমাদ) থেকে বড় হাফীয অন্য কেউ নেই”   [Al-Jarh wat ta’deel: 1/295; 2/69]

১২. ইমাম ইবন আল-মাদীনী আরো বলেছেনঃ “আহমাদ ইবন হাম্বল আমাদের নেতা(ইমাম)”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/165,171 ; Taareekh Baghdaad: 4/417 ;  Manaaqib Ahmad: page-109]

১৩. আমর বিন মুহাম্মাদ বিন বুকায়র আল-নাকীব (মৃঃ ২৩২ হিজরি) বলেছেনঃ “যদি আহমাদ ইবন হাম্বল হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে আমাকে সঙ্গতি দেয়, তাহলে আমি ভ্রুক্ষেপ করি না যে কে আমার বিরধিতা করছে”   [Al-Jarh wat ta’deel: 1/296]

১৪. মুহাদ্দিস কবীর ইমাম আহমাদ বিন সিনান আল-ওয়াসিতি (মৃঃ ২৫৯ হিজরি) বলেছেনঃ “ইয়াযীদ বিন হারুন(মৃঃ ২০৬ হিজরি) কে আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে অন্য কাউকে বেশী প্রশংসা করতে আমি দেখি নি। যখন তিনি আমাদের নিকট কোন হাদীস বর্ণনা করতেন তখন তাকে(ইমাম আহমাদ) তার(ইয়াযীদ বিন হারুন) সাথে বসাতেন; এবং যখন আহমাদ অসুস্থ হলেন, তার(ইমাম আহমাদ) সুস্থ হওয়ার খবর নেওয়ার জন্য  ইয়াযীদ বিন হারুন তার(ইমাম আহমাদ) কাছে গমন করতেন”   [Al-Jarh wat ta’deel: 1/297]

১৫. আসমা উল রিজাল এর একজন প্রখ্যাত ইমাম, ইমাম ইয়াহইয়া ইবন মঈন (মৃঃ ২৩৩ হিজরি) বলেছেনঃ “মানুষেরা বলে যে আহমাদ ইবন হাম্বল এর মত আমার হওয়া উচিত, না আল্লাহর শপথ! আমি আহমাদ ইবন হাম্বল এর মত হতে পারব না”   [Al-Jarh wat ta’deel: 1/298]

১৬. আবু আল আব্বাস মুহাম্মাদ বিন আল হুসাইন বিন আব্দুর রাহমান আল-আনমাতি (মৃঃ ২৯৩ হিজরি) বলেছেনঃ “আমরা একটি জনসমাবেশে ছিলাম যেখানে ইয়াহইয়া ইবন মঈন, আবু খাইথামাহ জুহাইর বিন হারব, প্রধান আলেমদের একটি দল উপস্থিত ছিল।  তারা আহমাদ ইবন হাম্বল এর প্রশংসা করছিলেন এবং তার গুনাবলী ব্যক্ত করছিলেন, তাই একজন বললোঃ ‘এসব কথা বলার ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম করবেন না।’ ইয়াহইয়া ইবন মঈন বললেনঃ ‘আহমাদ ইবন হাম্বল এর বেশী প্রশংসা করা কি
নিন্দামূলক কাজ? এমনকি যদি আমরা তার প্রশংসা করা শুরু করি আমাদের সকল সমাবেশে তার পরও আমরা তার সম্পূর্ণ গুনাবলী বর্ণনা করে শেষ করতে পারব না’”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/169, 170 ; Taareekh Baghdaad: 4/421]

১৭. মুহাদ্দিস আবু জা’ফর মুহাম্মাদ বিন হারুন আল-মাখরামি (মৃঃ ২৬৫ হিজরি) বলেছেনঃ  “যদি তুমি কাউকে দেখ যে সে আহমাদ ইবন হাম্বলকে হীন করছে তাহলে যেনে রাখ সেই ব্যক্তি একজন পথভ্রষ্ট বিদ’আতী”  [Al-Jarh wat ta’deel: 1/309]

১৮. ইমাম ইবরাহীম বিন ইসহাক বিন ইবরাহীম বিন বাশীর আল-হারবী (মৃঃ ২৮৫ হিজরি) বলেছেনঃ “সা’ঈদ ইবন আল-মুসাইয়াব তার জমানায় ইমাম ছিলেন, সুফইয়ান ছাওরী তার জমানায় ইমাম ছিলেন, এবং আহমাদ ইবন হাম্বল তার জমানায় ইমাম ছিলেন”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/167 ; Taareekh Baghdaad: 4/417]

তিনি আরো বলেছেনঃ “আমি আহমাদ ইবন হাম্বল কে দেখেছি; নারীরা তার(আহমাদ ইবন হাম্বল) মত কাউকে জন্ম দেওয়া থেকে বঞ্চিত”  [Taareekh Baghdaad: 7/73]

১৯. যখন ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আল-নিসাবুরী আল-ধাহলী (মৃঃ ২৫৮ হিজরি) শুনেছিলেন ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল এর মৃত্যুর খবর, তখন তিনি বলেছিলেনঃ “বাগদাদের সকল মানুষ তাদের গৃহে দুঃখিত আহমাদ ইবন হাম্বল এর জন্যে”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/170]

২০. ইমাম আবু আল-ওয়ালীদ হিশাম বিন আব্দুল মালিক আত-তিয়ালসি আল-বাহিলী আল-বাসারী (মৃঃ ২২৭ হিজরি) বলেছেনঃ “বাসরাহ এবং কুফাতে আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে অন্য কেউ আমার বেশী প্রিয় নয়”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/171 Chain Hasan ; Taareekh Dimashq: 5/299 Chain Hasan]

২১. প্রখ্যাত ইমাম এবং ফাকীহ, আবু মুহাম্মাদ ইশহাক বিন ইবরাহীম বিন মাখলাদ আল-হানধালী আল-মারওয়াযী, ইশহাক বিন রাহওয়াহ নামে পরিচিত (মৃঃ ২৩৮ হিজরি) বলেছেনঃ “যদি আহমাদ ইবন হাম্বল এখানে না থাকতেন, এবং তার জীবন বিসর্জন না দিতেন তাহলে (আমি মনেকরি) ইসলাম বিলুপ্ত হয়ে যেত”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/171, Chain Hasan]


২২. মুহাদ্দিস আবু আল-হাসান ইদরীস বিন আব্দুল করীম আল-হাদ্দাদ আল-মাকরী আল-বাগদাদী (মৃঃ ২৯২ হিজরি) বলেছেনঃ “আমি আমাদের উলামাদের দেখেছি, যেমন হাইথাম বিন খারিজাহ, মুস’আব আয-যুবাইরি, ইয়াহইয়া ইবন মঈন, আবু বকর বিন আবী শাইবাহ, উসমান বিন আবী শাইবাহ, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল মালিক বিন আবী আশ-শাওারীব, আলী ইবন আল-মাদীনী, উবাইদুল্লাহ ইবন উমার আল-কাওারেরী, আবু খায়থামা জুহাইর বিন হারব, আবু মা’মার আল-কাতী’ঈ, মুহাম্মাদ বিন জাফর আল-ওয়ারকানী, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন আয়্যুব শাহীব আল-মাঘাআযি, মুহাম্মাদ বিন বাক্কার আর-রায়্যাআন, আমর বিন মুহাম্মাদ আল-নাকীদ, আবু আর-রাবী আল-যাহিরানী, এবং আর অনেক জ্ঞানী ও ফকীহ। তারা সকলে আহমাদ ইবন হাম্বল এর প্রশংসা করতেন। তারা তাকে(আহমাদ ইবন হাম্বল) জালীল উল-ক্বাদর বলে বিবেচনা করতেন এবং তাকে সম্মান করতেন। তারা তার তারীফ করতেন, তারা প্রায়ই তাকে(আহমাদ ইবন হাম্বল) তাদের সালাম সমর্পণ করতে চাইতেন(যখন তার কাছে দেখা করতে যেতেন)”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/171 ; Taareekh Baghdaad: 4/416 ; Taareekh Dimashq: 5/312]

২৩. আসমা উল রিজাল রাস্ত্রের ইমাম, আবু সা’ইদ ইয়াহইয়া ইবন সা’ইদ বিন ফারুখ আল-কাত্তান আল-বাসরী (মৃঃ ১৯৮ হিজরি) বলেছেনঃ “আহমাদ ইবন হাম্বল এবং ইয়াহইয়া ইবন মঈন এর মত অন্য কেউ কখনই আমাদের কাছে আসে নাই”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/165, Chain Hasan]
তিনি আরও বলেছেনঃ “বাগদাদ থেকে এমন কেউ কখনই আমার কাছে আসে নাই, যে আহমাদ বিন হাম্বল থেকে আমার কাছে বেশী প্রিয়”  [Taareekh Dimashq: 5/295, Chain Hasan]

২৪.  আল মুহাদ্দিস আল-সুদুক, ইমাম আবু আল-কাসীম আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল আযীয আল-বাঘায়ি (মৃঃ ৩১৭ হিজরি) বলেছেনঃ “আহমাদ ইবন হাম্বল আমাদের বর্ণনা করেছেন, তিনি পুড় পৃথিবীর ইমাম”  [Al-Kaamil by ibn Adee: 1/128, Chain Hasan]

২৫. আবু আল হাসান আব্দুল ওয়াহহাব বিন আবুল হাকাম বিন নাফী’ আল-ওয়াররাক আল-বাগদাদী (মৃঃ ২৫১ হিজরি) বলেছেনঃ “তিনি(আহমাদ ইবন হাম্বল) তার যুগের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ ছিলেন”  [Taareekh Baghdaad: 4/418,419 Chain Hasan ; Narrated ibn al-Jawzee in Manaaqib Al-Imaam Ahmad: p. 142]

২৬. মুহাদ্দীস কবীর, আহমাদ বিন ইবরাহীম বিন কাসীর বিন যায়দ আদ-দাউরাকী আন-নুকরী আল-বাগদাদী (মৃঃ ২৪৬ হিজরি) বলেছেনঃ “যদি তুমি কাউকে আহমাদ ইবন হাম্বল সম্পর্কে দুর্বল(মন্দ) কিছু বলতে শুন তাহলে সেই ব্যক্তির ইসলাম(দ্বীন) আছে কিনা তা সন্দেহ কর”  [Taareekh Baghdaad: 4/420 Chain Hasan Garib ; Manaaqib Al-Imaam Ahmad of ibn al-Jawzee: p.494,495]

২৭. ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন ইদরীস বিন আব্বাস আশ-শাফিঈ আল-মুতলাবী আল-মাক্কী আল-মিসরি {ইমাম শাফিঈ নামে পরিচিত, তিনি শাফিঈ মাযহাবের ইমাম,মুজতাহীদ} (মৃঃ ২০৪ হিজরি) বলেছেনঃ “আমি বাগদাদ থেকে বের হয়ে আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে বড় কোন ফকীহ, বড় কোন কঠোর তপস্বী, বেশী আল্লাহ ভীরু এবং বেশী জ্ঞানী আর কাউকে পাই নি”  [Ma’rifah Uloom ul-Hadeeth By Haakim: p. 72  H. 140, Chain Hasan ; Taareekh Baghdaad: 4/419 ;  Taareekh Dimashq: 5/298 ; Manaaqib Al-Imaam Ahmad of ibn al-Jawzee: p. 107]

২৮.  ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমাদ কে বলেছেনঃ “হে আবু আব্দুল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে বেশী সহীহ বর্ণনা(হাদীস এর বর্ণনা) জানেন, তাই যদি কোন সহীহ বর্ণনা থাকে তাহলে আমাকে জানাবেন(বর্ণনাটির সম্পর্কে) যাতে আমি এটি(বর্ণিত হাদীস) অনুসরন করতে পারি”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/170]

২৯. আবু নাসর আল-ফাথ বিন শাখরাফ বিন দাওদ বিন মুযাহীম আল-আবিদ (মৃঃ ২৭৩ হিজরি) বলেছেনঃ “এবং ইবন হাম্বল(আহমাদ ইবন হাম্বল) তার সময়ের (সবচেয়ে বড় আলেম ছিলেন)”
এটি শুনে, আবু আব্দুল্লাহ আল-হারিছ বিন আসাদ আল-মুহাসিবী আল-বাগদাদী (মৃঃ ২৪৩ হিজরি) বলেছেনঃ “আহমাদ ইবন হাম্বল অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন যা সুফইয়ান আছ-ছাওরী এবং আল-আওযায়ী এর সাথে ঘটেনি”  [Hilyat al-Awliyaa: 9/167 Chain Hasan ; Manaaqib Al-Imaam Ahmad of ibn al-Jawzee: p. 121 Chain Hasan]

৩০. হাফিজ আবু ইয়া’লা আল-খালীল বিন আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন খালীল আল-খালেলী আল-কুযওয়াইনী (মৃঃ ৪৪৬ হিজরি) ইমাম আহমাদ সম্পর্কে বলেছেনঃ “এবং তিনি(আহমাদ ইবন হাম্বল) তার সময়ের সবচেয়ে বড় ফকীহ ও ন্যায়নিষ্ঠ ব্যাক্তি ছিলেন”  [Al-Irshaad fi Ma’rifah Uloom ul-Hadeeth: 2/597 T.302]


৩১. আবু আল-হাসান আলী বিন ইসমাইল বিন ইশহাক বিন সালীম আল-আশ’আরী (আবুল হাসান আশ’আরী নামে পরিচিত) (মৃঃ ৩২৪ হিজরি) বলেছেনঃ “আমাদের অভিমত এবং যেই আকীদা আমরা অনুসরন করি তা হল দৃঢ় ভাবে ধরা আল্লাহর কিতাব এবং রাসুল মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহ, যা সাহাবীদের থেকে বর্ণিত হয়েছে তা, তাবেয়ী এবং হাদীসের আইম্মা থেকে আমরা আশ্রয় গ্রহন করি। এবং আমরা তাও অনুসরন করি যা আবু আব্দুল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) বলেছেন- আল্লাহ তার চেহারাকে উন্নীত করুক এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করুক এবং তাকে সবচেয়ে ভাল বিনিময় দান করুক। যদি কোন ব্যাক্তি তার (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) কথার বিরুদ্ধে যায় তাহলে আমরা সেই ব্যক্তির কাছ থেকে বিরত থাকব, কারন তিনি (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) ছিলেন ইমাম আল-ফাযেল, এবং রা’ঈস আল-কামীল। আল্লাহ তার (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) মাধ্যমে সত্যকে স্পষ্ট করেছেন এবং পথভ্রষ্টতাকে দূরীভূত করেছেন। তিনি (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) মানহাযকে (পথকে) স্পষ্ট করেছেন (মানুশের জন্য) এবং ধ্বংস করেছেনঃ বিদ’আতীদের
বিদ’আতকে, পথভ্রষ্টদের পথভ্রষ্টতাকে, সন্দিহানদের সন্দেহকে। আল্লাহ তার দয়া দেখাক এই মুকাদ্দাম ইমামকে এবং শ্রেষ্ঠ বন্ধুকে এবং সকল মুসলিম আইম্মাদের।”  [Al-Ibaanah An Usool ad-Diyaanah: p.8]

৩২. হাফীজ আমীর আবু নাসর আলী বিন হিবাতুল্লাহ (ইবন মাকুলা নামে পরিচিত) (মৃঃ ৪৭৫ হিজরি) বলেছেনঃ “তিনি (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) বর্ণনায় ইমাম ছিলেন এবং জুহদে বিশিষ্ট ছিলেন এবং ন্যায়পরায়ণ ছিলেন; সাহাবী ও তাবেয়ীদের মাযহাব সম্বন্ধে তিনি সবথেকে বেশী জানতেন”  [Al-Ikmaal: 2/563 ; Taareekh Dimashq: 5/287, Chain Saheeh up to Ibn Makoola]

৩৩. হাফীয আবু ফারজ আব্দুর রাহমান বিন আলী বিন মুহাম্মাদ ইবন আল-জাওজী (মৃঃ ৫৯৭ হিজরি) বলেছেনঃ “তিনি(ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) ছিলেন একজন ইমাম… তিনি(ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) তার মধ্যে হাদীস,ফিকাহ,জুহদ এবং ন্যায়পরায়ণতা সংরক্ষন করে রেখেছিলেন”  [Al-Muntazim fi Taareekh al-Malook: 11/286]

৩৪. ইমাম আবু বকর আহমাদ ইবন আলী বিন ছাবীত আল-খাতীব আল-বাগদাদী (মৃঃ ৪৬৩ হিজরি) বলেছেনঃ “তিনি (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) মুহাদ্দিসদের ইমাম ছিলেন, দ্বীনের(ইসলাম) সাহায্যকারী ছিলেন, সুন্নাতের রক্ষক ছিলেন, দুঃখে ধৈর্যশীল ছিলেন”  [Taareekh Baghdaad: 4/412 T.2317]

৩৫. আসমা উল রিজাল এর প্রখ্যাত ইমাম, হাফিজ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন উছমান আয-যাহাবী (ইমাম যাহাবী নামে পরিচিত) (মৃঃ ৭৪৮ হিজরি) ইমাম আহমাদ সম্পর্কে বলেছেনঃ “এটি বাস্তবতা যে তিনি (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) একজন ইমাম ছিলেন, এবং এটি সত্য যে তিনি ছিলেন শায়খ উল ইসলাম”  [Siyar A’laam al-Nabula: 11/177]

৩৬. হাফীজ আবু আল-ফাজল আহমাদ বিন আলী ইবন হাজার আল-আসকালানী (ইবন হাজার আসকালানী নামে পরিচিত) (মৃঃ ৮৫২ হিজরি) বলেছেনঃ “আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন হাম্বল… তিনি আইম্মাদের মধ্য থেকে একজন ছিলেন, তিনি ছিলেন ছিকাহ,হাফিজ,ফাকীহ,হুজ্জাহ(দলীল)”  [Taqreeb at-Tahdheeb: 96]


৩৭. মুসা বিন উবায়দুল্লাহ বিন ইয়াহইয়া খাকান (মৃঃ ৩২৫ হিজরি) ইমাম আহমাদের প্রশংসায় বলেছেনঃ “তুমি দেখবে যে (প্রত্যেক) বিদ’আতী আহমাদের (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) প্রতি ঘৃণা পোষণ করে, এবং তোমার জানা উচিত যে (প্রত্যেক) ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি ইবন হাম্বলকে (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) ভালোবাসে”  [Manaaqib Al-Imaam Ahmad of ibn al-Jawzee: p. 431]

৩৮. শামস উদ-দ্বীন মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ আল-জাজরী (মৃঃ ৮৩৩ হিজরি) বলেছেনঃ “তিনি(ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) ছিলেন শায়খ উল-ইসলাম এবং সুন্নাহ’র শাইখ, এবং তিনি (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) সেই ব্যাক্তি যিনি এই উম্মাহকে(মুসলিম উম্মাহ) দয়া করেছেন”  [Al-Mus’ad Al-Ahmad fi Khatm Musnad Al-Imaam Ahmad, With Tahqeeq of Ahmad Shaakir: 1/35]

৩৯. ইমাম হাজ্জাজ বিন আবী ইয়াকুব ইউসুফ বিন হাজ্জাজ আশ-শা’ইর আছ-ছাকাফী আল-বাগদাদী (মৃঃ ২৫৯ হিজরি) বলেছেনঃ “আমি একবার আহমাদের (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) কপালে চুমু দিলাম এবং বললাম, ‘হে আবু আব্দুল্লাহ! তুমি সুফইয়ান(ইমাম সুফইয়ান ছাওরী) এবং মালিকের(ইমাম মালিক) পর্যায়ে পৌঁছে গেছ’”  [Manaaqib Ahmad: p.134]

৪০. ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল এর শিক্ষক, হাফিজ আবু বকর আব্দুর রাজ্জাক বিন হাম্মাম বিন নাফি আল-হুমায়রি আস-সানা’আনী (মৃঃ ২২১ হিজরি) (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর লেখক) বলেছেনঃ “আহমাদ বিন হাম্বল এর মত কেউ আমাদের কাছে কখনও আসে নাই”  [Manaaqib al-Imaam Ahmed  by Ibn Al-Jawzee: p.69 Chain Hasan]

৪১.  হাফিয ইবন হিব্বান(মৃঃ ৩৫৪হিজরি) বলেছেনঃ “সে(ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) ছিলেন হাফিজ,ফকীহ,অসাধারন। আল্লাহ উম্মাতে মুহাম্মাদ কে তার(ইমাম আহমাদ) মাধ্যমে সাহায্য করেছেন। তিনি একটি আশ্রয়স্থল এর মত ছিলেন এবং মানুষেরা তার মধ্যে আশ্রয় খুজতো” [Ath-Thiqaat Of Ibn Hibban: vol.8 p. 18/19]

৪২. মুহাম্মাদ ইবন সা’দ ইবন মুনী আল-হাশমী আল-বাসরী আল-বাগদাদী (মৃঃ ২৩০ হিজরি) বলেছেনঃ “সে(ইমাম আহমাদ) নির্ভরযোগ্য,যথাযথ,সত্যবাদী,কাসীরুল হাদীস(প্রচুর হাদীস বর্ণনাকারী)” [Tabaqaat ibn sa’d: 7/354]


বিভিন্ন গ্রন্থে ইমাম আহমদ (রহ) থেকে বর্নিত হাদিস সংখ্যা :



★ সহীহ বুখারী তে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে বর্ণিত হাদীস রয়েছে ৫ টি, সেগুল হলঃ আরবী সহীহ বুখারী এর ৩৭৭,২১০৮,৪৪৭৩,৫১০৫,৫৮৭৯ নং হাদীস।

★ সহীহ মুসলিম এ ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে বর্ণিত হাদীস রয়েছে ১৯ টি, সেগুল হলঃ আরবী সহীহ মুসলিম এর ৪২০/১৬৬, ৫১৯/২১৫, ১১১৭/৫০২, ১৩১৩/৫৮১, ১৬৪৪/৭১০, ৩০৯৫/১২৮৪, ৩১৩৯/১২৯৮, ৩৯৬২/১৫৫১, ৪৩৭৭/১৬৭৬, ৪৫৭৪/১৭৫৬, ৪৬৯৬/১৮১৪, ৪৯৯৬/১৯৩৪, ৫৪৪৫/২০৮১, ৫৪৭৯/২০৯২, ৫৬০৪/২১৩৯, ৫২১০/২১৪৩, ৬০১৩/২৩০৯, ৬২৫৬/২৪২১, ৬৩০৯/২৪৪৯ নং হাদীস।

★ সুনানে আবু দাউদ এ ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে বর্ণিত হাদীস রয়েছে ১০ টি, সেগুল হলঃ আরবী সুনানে আবু দাউদ এর ৩৮৫,৫১৭,১৪২৮,১৮৩৭,১৯০৭,১৯৫১,২০১৬,২৩৭০,২৩৭৪,৪০০০ নং হাদীস।

★ সহীহ ইবন খুজাইমাহ এ ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে বর্ণিত হাদীস রয়েছে ১ টি, তা হলঃ আরবী সহীহ ইবন খুজাইমাহ ১/৫৯ হাদীস ১১২।

★ ইমাম ইবন হিব্বান এর সহীহ(আল-ইহসান) গ্রন্থে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল থেকে বর্ণিত হাদীস রয়েছে ২৪ টি। [সেগুলর নম্বর আমি উল্লেখ করছি না]

★ ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন ইসমাইল আল-বুখারী(রাহিমাহুল্লাহ) , আসমা উল রিজাল শাস্ত্রে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল এর কথাকে দলীল হিসাবে গ্রহন করেছেন। [Kitab ad-Du’afa Of Imaam Bukhari- 80,110,240,260,355 ; Al-Tareekh Al-Kabeer 7/291]





সালাতে হাত কোথায় বাধব? (পর্ব ২)



ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর "হাত বাধা" সম্পর্কিত হাদীসটির বিভিন্ন সুত্র নিম্নরুপ, কিন্তু এগুলোরে ""বুকের উপর হাত রাখার"" বর্ননাটি সম্পুর্ন অনুপস্থিত :



সৌদি আরবের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শাইখ মুকবিল ইবন হাদী আল-ওয়াদায়ীর উপস্থাপনায় শাইখ খালীদ ইবন আব্দুল্লাহ আশ-শায়ি’ ‘আল-ইলাম বি তাখয়ীরিল মুসাল্লী বিমকানি ওয়াদয়িল ইয়াদাইনি বা’দা তাকবীরাতিল ইহরাম’(তাকবীর তাহরীমার পরে হস্তদ্বয়ের অবস্থান মুসল্লীর ইচ্ছাধীন হওয়া অবগতকরন) নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাদের গবেষণায় ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর হাদীসটির বিভিন্ন সুত্র নিম্নরুপঃ

(১) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৮) আব্দুস সামাদ, যায়েদা থেকে।
(২) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৮) ইউনূস ইবন মুহাম্মাদ, আব্দুল ওয়াহিদ থেকে।
(৩) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৮) আব্দুল্লাহ ইবন ওয়ালীদ, সুফিয়ান থেকে।
(৪) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৮) আসওয়াদ ইবন আমির, যুহাইর থেকে।
(৫) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৯) আসওয়াদ ইবন আমির, শু’বা থেকে।
(৬) সুনানে আবু দাউদ (৭২৬ নং) মুসাদ্দাদ, বিশর ইবনুল মুফাদ্দাল থেকে।
(৭) সুনানে আবু দাউদ (৭২৭ নং) হাসান ইবন আলী, আবুল ওয়ালীদ, যায়েদা থেকে।
(৮) সুনানে ইবন মাজাহ (৮১০ নং) আলী ইবন মুহাম্মাদ, আব্দুল্লাহ ইবন ইদরীস ও বিশর ইবনুল মুফাদ্দাল থেকে।
(৯) সুনানে নাসাঈ (৮৮৯ নং) সুওয়াইদ ইবন নাসর, ইবনুল মুবারাক, যায়েদা থেকে।
(১০) সহীহ ইবন খুযাইমা (৪৭৭ নং) আব্দুল্লাহ ইবন সাঈদ, ইবন ইদরীস থেকে।
(১১) সহীহ ইবন খুযাইমা (৪৭৮ নং) হারুন ইবন ইসহাক, ইবন ফুদাইল থেকে।

উপরের ১১টি সনদে হাদীসটি(ওয়ায়িল ইবন হুজরের হাদীস) বর্ণিত হয়েছে আসিম ইবন কুলাইব থেকে, তার পিতা থেকে, ওয়ায়িল ইবন হুজর থেকে। এগুলোতে যায়েদাহ, সুফিয়ান, শু’বা, আব্দুল ওয়াহিদ, ইবন ইদরীস কূফী, বিশর ইবনুল মুফাদ্দাল, যুহাইর ইবন মুআবিয়া, ইবন ফুদাইলঃ এ আট জন নির্ভরযোগ্য রাবী হাদীসটি আসিম ইবন কুলাইব থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা বা ধরার কথা বলেছেন কিন্তু ★★★ কেউই ‘বুকের উপর’ কথাটি বলেন নি।

(১২) সহীহ মুসলিম (১/৩০১) যুহাইর, আফফান, হাম্মাম, মুহাম্মাদ ইবন জুহাদাহ থেকে
(১৩) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৬) ওকী, মাসঊদী, আব্দুল জাব্বার ইবন ওয়ায়িল, পরিবারের লোকজন থেকে ওয়ায়িল থেকে
(১৪) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৭) আফফান, হাম্মাম, মুহাম্মাদ ইবন জুহাদাহ, আব্দুল জাব্বার, আলকামা ও মাওলা থেকে ওয়ায়িল থেকে
(১৫) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৮) ইয়াহইয়া ইবন আবী বুকাইর, যুহাইর, আবূ ইসহাক, আব্দুল জাব্বার থেকে উপরের সনদে
(১৬) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৮) হাসান ইবন মূসা, যুহাইর, আবূ ইসহাক, আব্দুল জাব্বার ইবন ওয়ায়িল থেকে …
(১৭) সুনানে দারিমী (১/২৮৩) আবূ নুআইম, যুহাইর, আবূ ইসহাক আব্দুল জাব্বার ইবন ওয়ায়িল থেকে …
(১৮) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৬) মুহাম্মাদ ইবন জা’ফার, শু’বা, সালামাহ ইবন কুহাইল, হাজর ইবন আবিল আনবাস, আলকামা থেকে …
(১৯) মুসনাদে আহমাদ (৪/৩১৬) ওকী, মূসা ইবন উমাইর, আলকামা থেকে …।

★★★ এদের কারো বর্ণনাতেই ‘বুকের উপর’ কথাটি নেই।

অর্থাৎ, সুফিয়ান সাওরী, আব্দুল ওয়াহীদ ইবন যিয়াদ, শু’বা, যুহাইর, যায়েদা ইবন কুদামা, বিশর ইবনুল মুফাদ্দাল, আব্দুল্লাহ ইবন ইদরীস ও মুহাম্মাদ ইবনুল ফুদাইলঃ আট জন আসিম ইবন কুলাইবের সুত্রে বর্ণনা করেছেন। আর মুহাম্মাদ ইবন জুহাদাহ, আবূ ইসহাক ও মাসঊদীঃ তিন জন আব্দুল জাব্বার ইবন ওয়ায়িল থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হাজর ইবন আবিল আনবাস ও মুসা ইবন উমাইর দুজন আলকামা থেকে বর্ণনা করেছেন।

★ মোট ১৩ জন রাবী (তাদের অধিকাংশই প্রসিদ্ধ হাদীসের ইমাম) তারা কেউ ‘বুকের উপর’ কথাটি উল্লেখ করেন নি।
★ শুধু মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল এর বর্ণনাতেই ‘বুকের উপর’ কথাটি রয়েছে। মুআম্মাল দুর্বল হওয়ার কারনে তার হাদীস দুর্বল। উপরন্তু সকল নির্ভরযোগ্য রাবীর বিপরীত বর্ণনা হওয়ার কারনে তা ‘মুনকার’ অর্থাৎ, অত্যন্ত দুর্বল বা আপত্তিকর।

★ ইরাকের প্রসিদ্ধ হাদীস গবেষক ড. মাহির ইয়াসীন বলেন যে, মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল এ হাদীসটি(আলোচ্য ‘খ’ নং হাদীসটি) ইমাম সুফিয়ান সাওরী থেকে বর্ণনা করেছেন। অথচ সুফিয়ান সাওরী সালাতে হস্তদ্বয় নাভীর নিচে রাখতে বলেছেন। এতে প্রমান হয় যে, ‘বুকের উপর’ কথাটি সুফিয়ান সাওরী বর্ণনা করেন নি; বরং মুআম্মাল ভুলে কথাটি সংযোজন করেছেন। কারন সুফিয়ান বর্ণিত হাদীসে ‘বুকের উপর’ কথাটি থাকলে তিনি তার বিপরীতে মত প্রকাশ করতেন না।[42]


অর্থাৎ, ইবন খুযাইমাতে বর্ণিত উপরোক্ত ‘বুকে’ হাত বাধার হাদীস অত্যন্ত দুর্বল, যা মোটেও দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।



(গ) ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল বলেনঃ

“আমাদেরকে ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ বলেন, তিনি সুফিয়ান থেকে, তিনি বলেন, আমাদেরকে সিমাক ইবন হারব বলেন, তিনি কাবীসাহ ইবন হুলব থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি বলেন, আমি নাবীউল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখলাম…, তিনি এটিকে(হস্তদ্বয়কে) বুকের উপর রাখলেন। ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ ব্যাখ্যা করে দেখানঃ ডান হাতকে বাম হাতের উপর, কব্জির উপর।”[43]

উপরোক্ত হাদীসের সমস্যা মূলত তিনটি, যথাঃ

(১) হাদীসের সনদে থাকা একজন রাবী ‘কাবীসাহ ইবন হুলব’ অজ্ঞাত পরিচয়।
(২) হাদীসটি ‘শাযয’ [44]।
(৩) হাদীসটি মুদাল্লাস।

হাদীসটির প্রথম সমস্যা হলো ‘কাবীসাহ ইবন হুলব’। সিমাক ছাড়া কেউ তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন নি, আর ইমাম ইবনুল মাদীনী এবং ইমাম নাসায়ী ‘কাবীসাহ ইবন হুলব’কে ‘মাজহূল’ বা অজ্ঞাত পরিচয়[45] বলেছেন। হাফিয ইবন হাজার তাকবীরে তাকে ‘মাকবূল’ বলেছেন।
হাদীসটির দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে হাদীসটি ‘শাযয’। মুহাদ্দিসগন একমত যে, ‘শাযয’ হাদীস অত্যন্ত দুর্বল এবং অগ্রহণযোগ্য। উপরোক্ত হাদীসের এক বর্ণনায়[46] ‘বুকের উপর’ কথাটি নেই আর উপরোক্ত বর্ণনায় তা আছে। শাইখ মুকবিল এবং শাইখ খালিদ ‘আল-ই’লাম’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছন যে, হাদীসটির উপরোক্ত বর্ণনাটি ‘শাযয’। কারন এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইয়াহইয়া আল-কাত্তান সুফিয়ান থেকে, সিমাক থেকে কাবীসাহ থেকে…। এ বর্ণনায় ‘বুকের উপর রাখলেন’ কথাটি রয়েছে। এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ছাড়াও নিম্নের কয়েকজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ‘সুফিয়ান সাওরী’ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ

(১) ওয়াকী ইবনুল জাররাহ(মৃঃ ১৯৬ হিজরী), তিনি ইলমুল হাদীসের প্রসিদ্ধ ইমাম ও হাফিযুল হাদীস। ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল তার মুসনাদে(৫/২৬৬) হাদীসটি আবূ বকর ইবন আবী শাইবা থেকে, ওয়াকী থেকে সুফিয়ান থেকে … সংকলন করেছেন।

(২) আব্দুর রহমান ইবন মাহদী(মৃঃ ১৯৮ হিজরী), তিনি ইলমুল হাদীসের প্রসিদ্ধতম ইমাম ও হাফিযুল হাদীস। দারাকুতনী তার সুনান গ্রন্থে(১/২৮৫) হাদীসটি আব্দুর রহমান ইবন মাহদী থেকে সুফিয়ান থেকে সংকলন করেছেন।

(৩) আব্দুর রাযযাক ইবন হাম্মাম সানআনী (মৃঃ ২১১ হিজরী), তিনি ইলমুল হাদীসের প্রসিদ্ধ ইমাম ও হাফিযুল হাদীস। তিনি তার মুসান্নাফ গ্রন্থে(১/২৮৫) সুফিয়ান সাওরী থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

(৪) হুসাইন ইবন হাফস ইবনুল ফাদল হামদানী (মৃঃ ২১০ হিজরী), তিনি ইসপাহানের প্রসিদ্ধ কাযী ও মুফতী ছিলেন। ইমাম মুসলিম তার বর্ণনা গ্রহন করেছেন। ইবন হাজার আসকালানী তাকে ‘সত্যপরায়ণ’ বলেছেন। বাইহাকী তার সুনান গ্রন্থে(২/২৯৫) হুসাইন ইবন হাফস ইবনুল ফাদল হামদানী থেকে সুফিয়ান সাওরী থেকে… হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

(৫) মুহাম্মাদ ইবন কাসীর আল-আবদী (মৃঃ ২৩৩ হিজরী), তিনি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম স্বীকৃত সিকাহ বা নির্ভরযোগ্য রাবী। ইবন কানি ‘‘মু’জামুস সাহাবা’ গ্রন্থে(৫/১৬৩) এবং আবূ নুআইম ইসপাহানী ‘‘মা’রিফাতুস সাহাবা’ গ্রন্থে(৫/১৬৩) মুহাম্মাদ ইবন কাসীর আল-আবদী থেকে সুফিয়ান সাওরী থেকে হাদীসটি সংকলন করেছেন।

★ তারা কেউই ‘বুকের উপর রাখলেন’- এই অতিরিক্ত কথাটুকু বর্ণনা করেন নি। শুধু তাই নয়; ইয়াহয়া এবং উপরের সকল রাবীর উস্তাদ সুফিয়ান সাওরী ছাড়া অন্যান্য যে সকল রাবী এ হাদীসটি সিমাক ইবন হারব থেকে বর্ণনা করেছেন তারাও এই অতিরিক্ত কথাটুকু(‘বুকের উপর রাখলেন’ কথাটি) বলেন নিঃ


(১) শারীক, সিমাক থেকেঃ মুসনাদে আহমাদ ৫/২২৬
(২) শু’বা, সিমাক থেকেঃ মুসনাদে আহমাদ ৫/২২৬, সুনানে আবু দাউদ ১/২৭৩
(৩) আবুল আহওয়াস, সিমাক থেকেঃ মুসনাদে আহমাদ ৫/২২৬
(৪) যায়েদা, সিমাক থেকেঃ মুসনাদে আহমাদ ৫/২২৭
(৫) আবসাত ইবন নাসর, সিমাক থেকেঃ তাবারানী, কাবীর ২২/১৬৪
(৬) হাফস ইবন জামী, সিমাক থেকেঃ তাবারানী, কাবীর ২২/১৬৫
(৭) যাকারিয়া ইবন আবী যায়েদা, সিমাক থেকেঃ তাবারানী, কাবীর ২২/১৬৭
(৮) ইসরাঈল, সিমাক থেকেঃ ইবন কানি, মু’জামুস সাহাবাহ ৩/১৯৮
(৯) কাইস ইবন রাবী, সিমাক থেকেঃ ইবন কানি, মু’জামুস সাহাবাহ ৩/১৯৯

★ এরা সকলেই(উপরের ৯ জন) সিমাক থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন কিন্তু তাদের কেউই ‘বুকের উপর’ কথাটি বর্ণনা করেন নি। এতে প্রমান হয় যে, এ হাদীসে ‘বুকের উপর রাখলেন’ কথাটি সিমাক বলেন নি।
তার নয় জন ছাত্রের কেউই তা(‘বুকের উপর রাখলেন’ কথাটি) বর্ণনা করেন নি।

★ দশম ছাত্র সুফিয়ান সাওরীর কোনো ছাত্রই তা বলেন নি।

★ শুধু ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ তা বলেছেন।

→ ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আল-কাত্তান (মৃঃ ১৯৮ হিজরী), :

তিনি ইলমুল হাদীসের সুপ্রসিদ্ধ ইমাম। তবে তিনি এ হাদীসটির বর্ণনায়

* ইমাম ওয়াকী,
* ইবন মাহদী,
* ইমাম আব্দুর রাযযাক ও অন্যান্য প্রসিদ্ধ ইমাম ও নির্ভরযোগ্য রাবীদের বিপরীত বর্ণনা করেছেন; ফলে তার বর্ণনাটি ‘শাযয’ বলে গণ্য।

★ সর্বোপরি ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ হাদীসটি সুফিয়ান সাওরীর সুত্রে বললেন; অথচ আমরা দেখেছি যে, সুফিয়ান সাওরীর মত ছিল সালাতে নাভীর নিচে হাত রাখা।



এতে প্রমান হয় যে, ‘বুকের উপর’ কথাটি সুফিয়ান সাওরীর বর্ণনায় ছিল না; ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ ভুল করে তা সংযোজন করেছেন।


শাইখ মুকবিল এবং শাইখ ওয়ালিদের মতে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল এ কারনের এ হাদীস গ্রহন করেন নি। তিনি(ইমাম আহমাদ) নিজেই হাদীসটি সংকলন করেছেন(তার মুসনাদ গ্রন্থে), তা সত্ত্বেও তিনি নিজেই সালাতে হস্তদ্বয় বুকে রাখা মাকরুহ বলে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন।

প্রসিদ্ধ হাম্বলী ফকীহ মুহাম্মাদ ইবন মুফলিহ (মৃঃ ৭৬৩ হিজরী) বলেনঃ

“হস্তদ্বয় বুকের উপর রাখা মাকরুহ। তিনি(ইমাম আহমাদ) সুস্পষ্টভাবে এ কথা বলেছেন, যদিও আহমাদ নিজেই এ হাদীস সংকলন করেছেন।”[47]

ইমাম আবু দাউদ ইমাম আহমাদের বিভিন্ন ফিকহী মত নিজে তার কাছ থেকে শুনে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত গ্রন্থে বুকে হাত রাখা সম্পর্কে ইমাম আহমাদের মত প্রসঙ্গে ইমাম আবু দাউদ বলেনঃ

“আমি তাকে(ইমাম আহমাদ) বলতে শুনেছি, হস্তদ্বয় বুকের নিকট রাখা মাকরুহ[48]।”[49]

★ হাদীসটির তৃতীয় সমস্যা হচ্ছে হাদীসটি ‘তাদলীস’। তাদলীস-কারী (মুদাল্লিস) রাবী তার কোনো উস্তাদের হাদীস সরাসরি তার থেকে না শুনে তার কোনো দুর্বল ছাত্রের মাধ্যমে শুনলে ছাত্রের নাম উল্লেখ না করে তার উস্তাদের নাম উল্লেখ করেন। এজন্য মুদাল্লিস রাবী ‘আমি নিজে শুনেছি’ না বললে তার হাদীস দুর্বল বলে গণ্য। কাবীসাহ ‘মুদাল্লিস’ রাবী। তিনি তার পিতা থেকে হাদীসটি শুনেছেন বলে জানান নি, শুধু বলেছেনঃ “পিতা থেকে”। এজন্য হাদীসটি ‘মুদাল্লাস’। শাইখ খালিদ শায়ি বলেন, এ অতিরিক্ত কথাটুকুর(‘বুকের উপর রাখলেন’) কারনের ইমাম তিরমিযী এটিকে গ্রহন করেন নি। তিনি(ইমাম তিরমিযী) কাবীসার যেই বর্ণনাটি ‘হাসান’ বলেছেন সেটিতে এ অতিরিক্ত কথা নেই। কাজেই তিরমিযীর বর্ণনাকে হাসান বলার কারনে এ বর্ণনাকে(‘বুকের উপর রাখলেন’ কথা যুক্ত বর্ণনাকে) হাসান বলার সুযোগ নেই। শাইখ খালিদ শায়ি বলেনঃ
“আল্লামা আলবানী(শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী)(রাহিমাহুল্লাহ) সিফাতুস সালাত (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামায) গ্রন্থে বলেছেনঃ ‘তিরমিযী কাবীসা বর্ণিত কোনো কোনো সনদকে হাসান বলেছেন।’ আল্লামা আলবানীর(রাহিমাহুল্লাহ) এ কথাটি সঠিক নয়, বরং এটি তার অসতর্কতা। কারন ‘বুকের উপর’- এ অতিরিক্ত কথাটুকু যে বর্ণনায় নেই তিরমিযী(রাহিমাহুল্লাহ) শুধু সে বর্ণনাকেই হাসান বলেছেন। অতিরিক্ত কথাটুকু-সহ বর্ণনাটি তিরমিযী গ্রহন করেন নি। কাজেই তিরমিযীর মত দ্বারা এ অতিরিক্ত কথাটুকুর হাসান হওয়া সমর্থন করা সঠিক নয়।”[50]

অর্থাৎ, কাবীসাহ বর্ণিত ‘বুকে হাত রাখা’ সম্পর্কিত হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল তাই দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।



(ঘ) ইমাম আবু দাউদ বলেনঃ


“আমাদেরকে আবূ তাওবা বলেছেন, আমাদেরকে হাইসাম ইবন হুমাইদ বলেছেন, আমাদেরকে সাওর বলেছেন, তিনি সুলাইমান ইবন মূসা থেকে, তিনি তাউস থেকে[51], তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতের মধ্যে থাকা অবস্থায় তার ডান হাতকে তার বাম হাতের উপর রাখতেন, অতঃপর উভয়কে বুকের উপর চেপে ধরতেন।”[52]
উপরোক্ত হাদীসটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তাবিয়ী তাউস সরাসরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন কোনো সাহাবীর নাম উল্লেখ না করে, আমরা জানি তাবিয়ীগন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেননি। তাই এই হাদীসটি ‘মুরসাল’[53]। আর হাদীসতাত্ত্বিকভাবে ‘মুরসাল’ হাদীস দুর্বল বলে গণ্য। হাদীসটির সনদের পর্যালোচনাঃ

(ক) হাদীসের প্রথম রাবীঃ আবূ তাওবা রাবী ইবন নাফি(মৃঃ ২৪১ হিজরী), তিনি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম স্বীকৃত নির্ভরযোগ্য রাবী।
(খ) হাদীসের দ্বিতীয় রাবীঃ হাইসাম ইবন হুমাইদ, তাকে কিছু মুহাদ্দিস দুর্বল বলেছেন তার ‘কাদারিয়া’ মতের কারনে।
(গ) হাদীসের তৃতীয় রাবীঃ সাওর ইবন ইয়াযিদ, তিনি ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম স্বীকৃত নির্ভরযোগ্য রাবী।
(ঘ) হাদীসের চতুর্থ রাবীঃ সুলাইমান ইবন মূসা সত্যপরায়ণ রাবী। তবে মৃত্যুর অল্প আগে তার স্মৃতি বিলোপ ঘটে। ইমাম মুসলিম তার বর্ণনা গ্রহন করেছেন।
(ঙ) হাদীসের পঞ্চম রাবীঃ তাউস ইবন কাইসান(মৃঃ ১০৬ হিজরী) ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম স্বীকৃত সুপ্রসিদ্ধ নির্ভরযোগ্য তাবিয়ী।

এভাবে আমরা দেখেছি যে, হাইসাম ইবন হুমাইদ ছাড়া এ সনদের রাবীগন ইমাম মুসলিম শর্তানুসারে নির্ভরযোগ্য। হাইসাম ইবন হুমাইদ-কে কেউ কেউ কিছুটা দুর্বল বলে গণ্য করেছেন।
এছাড়াও হাদীসটি মুরসাল। তাউস তাবিয়ী। তিনি কার কাছ থেকে হাদীসটি শুনেছেন তা বলেন নি। মুরসাল হাদীস গ্রহনের বিষয়ে ফকীহগন মতভেদ করেছেন। হাদীসতাত্ত্বিকভাবে মুরসাল হাদীস দুর্বল বলে গণ্য।
শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী(রাহিমাহুল্লাহ) এ হাদীস সম্পর্কে বলেনঃ

“এ হাদীসটি মুরসাল হলেও তা সকলের নিকটই প্রমান হিসেবে স্বীকৃত। অধিকাংশ আলীম মুরসাল হাদীসকে প্রমান হিসেবে গ্রহন করেছেন। তাদের মতে তো এটি গ্রহণযোগ্য। আর যারা মুরসাল হাদীস অন্য বর্ণনা দ্বারা প্রমানিত না হলে গ্রহন করেন নি তাদের নিকটও এ মুরসাল হাদীসটি গ্রহণযোগ্য; কারন এ হাদীসটির দুটি প্রমান করেছেঃ

প্রথম প্রমান ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর হাদীস(‘খ’ নং হাদীস যা ইবন খুজাইমাও সংকলন করেছেন)…, বাইহাকী দুটি সনদে হাদীসটি সংকলন করেছেন। এর দুটি বর্ণনার একটি অন্যটির শক্তি বৃদ্ধি করে।
দ্বিতীয় প্রমাণ কাবীসাহ ইবন হুলব থেকে বর্ণিত(আলোচ্য ‘গ’ নং হাদীস)। এ তিনটি হাদীস প্রমাণ করে যে ‘বুকের উপর’ হস্তদ্বয় রাখাই সুন্নাত। এ তিনটি হাদীস যিনি একত্রে বিচার করবেন তিনি সন্দেহমুক্ত হবেন যে, এগুলো প্রমাণ হিসেবে পেশ করার যোগ্য। পক্ষান্তরে নাভীর নিচে হাত রাখার হাদীস সর্বসম্মতভাবে দুর্বল। নববী, যাইলাই ও অন্যান্য আলীম তা উল্লেখ করেছেন।”[54]


শাইখ মুকবিল ও শাইখ খালিদ শায়ি দ্বিবিদভাবে ভিন্নমত পোষণ করেছেনঃ

প্রথমতঃ এ হাদীসটি(‘ঘ’ নং তাউস এর মুরসাল হাদীসটি) মুরসাল হওয়া ছাড়াও এর অন্য দুর্বলতা যে, এর বর্ণনাকারী সুলাইমান ইবন মূসা এবং বিশেষত হাইসাম ইবন হুমাইদের বিষয়ে মুহাদ্দিসগনের আপত্তি রয়েছে। ইলমে হাদীসের ইমামগনদের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় যে, কোনো রাবীর বর্ণনা কিছু দুর্বলতা থাকলেই শুধু তারা তাকে ‘সিকাহ’ বা নির্ভরযোগ্য না বলে ‘সাদুক’ বা সত্যপরায়ন বলেছেন। এ সকল রাবীর বর্ণনা অন্যান্য রাবীদের বর্ণনার সাথে যাচাই করে গ্রহন করতে হয়। অন্য সকল রাবীর বিপরীতে শুধু তাদের বর্ণিত হাদীসকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহন করা যায় না। যারা মুরসাল হাদীসকে এককভাবে প্রমাণ হিসেবে গ্রহন করেছেন এবং যারা অন্যান্য প্রমাণ সাপেক্ষ গ্রহন করেছেন সকলেই একমত যে, মুরসাল হাদীস তখনই প্রমাণ বা গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হয় যখন তার সনদ ‘তাবিয়ী’ পর্যন্ত ‘সহীহ’ হয়। এ হাদীসটিকে(আলোচ্য ‘ঘ’ নং তাউসের হাদীস) এ পর্যায়ের ‘সহীহ মুরসাল’ বলে গণ্য করা যায় না।

দ্বিতীয়তঃ অন্য যে দুটো হাদীসকে শাইখ আলবানী এ হাদীসের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সে হাদীসদুটোও ‘শাযয’ ও ‘মুদাল্লাস’ হওয়ার কারনে অত্যন্ত দুর্বল বলে গণ্য। এজন্য এদুটো হাদীস প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য এ তিনটি হাদীস একত্রে গ্রহণযোগ্য বলে প্রমানিত হয় না।[55]

কেউ কেউ কিছু হাদীসের এ অংশ দ্বারাও ‘বুকে হাত রাখা’ প্রমাণ করতে চানঃ “তিনি(রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ডান হাত তার বাম হাতের তালুর পিঠ, কব্জি ও বাহুর উপর রাখলেন।” শাইখ আলবানী হাদীসের এ অংশকে ‘বুকে হাত রাখার’ পক্ষে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী বলেছেনঃ

“এ কথা জানতে হবে যেমন হাদীসে বলা হয়েছেঃ তিনি তার ডান হাত তার বাম হাতের তালুর পিঠ, কব্জি ও বাহুর উপর রাখলেন। এতে প্রমানিত হয় যে, তিনি হস্তদ্বয়কে তার বুকের উপর রেখেছিলেন।”[56]

প্রকৃতপক্ষে হাদীসের এ অংশটি শাইখ আলবানীর এ দাবীর পক্ষে নিশ্চিত প্রমান নয়। হাদীসের ঠিক এই একই অংশ দিয়ে ইমাম ইবনুল মুনযির নাভীর উপরে বা নিচে হাত রাখার কথা বলেছেন।
পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসগন ‘ডান হাত’ বলতে হাতের ‘করতল’ বুঝেছেন। আর ডান হাতের করতলকে বাম হাতের পাতা ও কব্জিসহ বাহুর কিয়দাংশের উপর রাখলে হস্তদ্বয় বুকের উপর থেকে শুরু করে নাভীর নিচে পর্যন্ত রাখা সম্ভব।[57]






রেফারেন্স সমুহ :





[42] . ড. মাহির ইয়াসীন, আসার ইলালিল হাদীস ফী ইখতিলাফিল ফুকাহা, ৬/৬৮। আরো দেখুনঃ ইমাম নববী, আল-মাজমূ, ৩/৩১৩ ; ইমাম ইবন কুদামা, আল-মুগনী, ১/৫৪৯
[43] . মুসনাদে ইমাম আহমাদ
[44] . শাযয এর সংজ্ঞাঃ কোনো হাদীস যদি অধিকাংশ নির্ভরযোগ্য রাবী এককভাবে বর্ণনা করেন, কিন্তু তাদের বিপরীতে একজন নির্ভরযোগ্য রাবী অন্যরূপ বর্ণনা করেন তবে হাদীসটিকে ‘শাযয’ বলা হয়।
[45] . অজ্ঞাত পরিচয় এর অর্থ হলো উক্ত রাবী বা বর্ণনাকারী সম্পর্কে জানা যায় না, তাই উক্ত রাবীর হাদীস গ্রহণযোগ্য কিনা তাও জানা যায় না।
[46] . বর্ণনাটি হচ্ছেঃ
ইমাম তিরমিযী বলেনঃ “আমাদেরকে কুতাইবা বলেছেন, আমাদেরকে আবুল আহওয়াস বলেছেন, তিনি সিমাক ইবন হারব থেকে, তিনি কাবীসাহ ইবন হুলব থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের ইমামতি করতেন, তখন তিনি তার বাম হাতকে ডান হাত দিয়ে ধরতেন।” [সুনানে তিরমিযী, ২/৩২]
ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল হাদীসটি সংকলন করেছেন ইবন আবী শাইবা থেকে, ওকী থেকে, সুফিয়ান সাওরী থেকে সিমাক থেকে। তার বর্ণনায়ঃ “তখন তিনি তার ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখতেন।” [মুসনাদে আহমাদ, ৫/২২৬]
ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে ‘হাসান সহীহ’ বলেছেন। পক্ষান্তরে শাইখ শুআইব আরনাঊত বলেনঃ “কাবীসাহ অজ্ঞাতপরিচয় রাবী হওয়ার কারনে এ সনদটি দুর্বল।” [আলবানী, সহীহ ওয়া যায়ীফ সুনানিত তিরমিযী, ১/২৫৬ ; মুসনাদে ইমাম আহমাদ(শুআইব আরনাঊতের টীকা সহ), ৫/২২৬]
[47] . ইবন মুফলিহ, আল-ফুরু, ২/১০৯
[48] . ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল(রাহিমাহুল্লাহ) নিজে সালাতে ‘বুকে হাত রাখা’ বিষয়ে হাদীস সংকলন করেছেন তার ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে, কিন্তু তিনি নিজেই তা গ্রহন করেন নি, এ থেকে বিষয়টি সুস্পষ্ট হয় যে, উক্ত হাদীসটি দুর্বল বলে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল তা গ্রহন করেন নি। আর ইমাম আহমাদ সালাতে ‘বুকে হাত রাখা’কে মাকরুহ বলতেন, যা পরবর্তীতে ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহও বলেছেন। যদি আলোচ্য হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল না হতো তাহলে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল হাদীসটি পাওয়া সত্ত্বেও ‘বুকে হাত রাখা’কে মাকরুহ বলতেন না। ইলমে হাদীস সম্পর্কে যার প্রাথমিক জ্ঞান রয়েছে তিনিও জানেন যে, ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল হাদীস শাস্ত্রে একজন নক্ষত্রতুল্য ইমাম ও হাফীযুল হাদীস ছিলেন। তিনি সেই ব্যক্তি ছিলেন যাকে ৪০ হাজার প্রশ্ন করা হয়েছিল আর প্রশ্নের জবাবে ইমাম আহমাদ শুধুই হাদীস বলেছিলেন। আর ইসলামী ইতিহাস সম্পর্কে যার প্রাথমিক জ্ঞান রয়েছে তিনিও জানেন যে, ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কোরআন এবং সুন্নাহর দৃঢ় অনুসারী ছিলেন, এর জন্য তাকে সহ্য করতে হয়েছিল কঠোর শাস্তি। তিনি ছিলেন বিদ’আতীদের আতঙ্ক। তাই ‘বুকে হাত রাখা’ সম্পর্কিত হাদীস পাওয়া সত্ত্বেও তার বিপক্ষে মত প্রকাশ করার অর্থ এই যে, ‘বুকে হাত রাখা’ সম্পর্কিত হাদীসগুলো অত্যন্ত দুর্বল।
[49] . ইমাম আবু দাউদ, মাসায়েলে আহমাদ, পৃঃ ৩১
[50] . মুকবিল ওয়াদায়ী ও খালিদ শায়ি, আল-ই’লাম, পৃঃ ১৭
[51] . তাউস, ইনি হচ্ছেন তাবিয়ী তাউস ইবন কাইসান(মৃঃ ১০৬ হিজরী), তাউস সরাসরি বলেছেনঃ ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতের মধ্যে…’। এরুপ হাদীসকে মুরসাল বলা হয়। এরুপ হাদীস দুর্বল বলে গণ্য।
[52] . সুনানে আবু দাউদ, খণ্ড-১, হাদীসঃ ৭৫৯ [ইসলামী ফাউনডেশন বাংলাদেশ]
[53] . মুরসাল হাদীসের সংজ্ঞাঃ কোনো হাদীসে যদি তাবিয়ী তার পরবর্তী বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ না করে সরাসরি ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ থেকে বর্ণনা করেন তাহলে সেই হাদীসকে মুরসাল হাদীস বলা হয়। এরুপ হাদীস দুর্বল বলে গণ্য। কেননা তাবিয়ী কার কাছ থেকে হাদীসটি শুনেছেন তা তিনি বলেন নি।
[54] . আলবানী, আহকামুস জানাইয, পৃঃ ১১৮-১১৯
[55] . ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, সালাতের মধ্যে হাত বাধার বিধান, পৃঃ ৪৭
[56] . বিস্তারিত আলোচনাঃ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, সালাতের মধ্যে হাত বাধার বিধান, পৃঃ ২০-২২, ৪৭
[57] . মুকবিল ওয়াদায়ী ও খালিদ শায়ি, আল-ই’লাম, পৃঃ ১৭







Friday, August 14, 2015

সালাতে কোথায় হাত বাধতে হবে? (পর্ব ১)

উত্তরঃ এ ব্যাপারে চার ধরনের বর্ননা পাওয়া যায় :

★ সালাতে হাত রাখবে বুকে[1],
★ বুকের নীচে নাভীর উপরে[2] (সর্বোত্তম)
★ নাভীর নিচে[3]। (সর্বোত্তম)
★ গলা বা কন্ঠনালীর নিচে হাত বাধা [26]

সুত্র :

[1] . সুনানে আবু দাউদ, তাউস কর্তৃক বর্ণিত মুরসাল(যঈফ) হাদীস; ইবনু খুজাইমাতে বর্ণিত যঈফ হাদীস।(বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসছে)
[2] . সুনানে আবু দাউদ, আলী(রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যঈফ হাদীস।
[3] . সুনানে আবু দাউদ, আলী(রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যঈফ হাদীস।
[26], বায়হাকী : সুনানে কুবরা



হানাফী মাযহাবের মত[4],
শাফিয়ী মাযহাবের একটি মত[5],
ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বলের প্রসিদ্ধ মত[6],
হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ মত[7] অনুসারে সালাতে হাত নাভীর নিচে রাখা উত্তম,
ইমাম ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি, সুফিয়ান সাওরী প্রমুখ মুহাদ্দিস ফকীহও এ মতটি গ্রহন করেছেন।[8]
ইমাম মালিক ইবন আনাস এবং আহমাদ ইবন হাম্বলের একটি মত[9], এবং
শাফিয়ী মাযহাবের মূল মত[10] অনুসারে সালাতে হাত নাভীর উপরে বুকের নিচে রাখা উত্তম। কিছু হানাফী ফকীহ বলেছেন যে শাফিয়ীদের মতে বুকে হাত বাধবে কিন্তু এরুপ কোনো কথা শাফিয়ী ফকীহগন বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায় না।

সুত্র :

[4] . মারগীনানী, আল-হেদায়া, ১/৪৭
[5] . ইমাম নববী, আল-মাজমূ ৩/৩১০-৩১৩ ; মুবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়াযী ৩/৮৩
[6] . ইবনুল কায়্যিম, বাদাইউল ফাওয়াইদ, ৩/৯১ ; ইবন কুদামা, আল-মুগনী ১/৫১৪-৫১৫
[7] . আলী ইবন সুলাইমান মারদাবী, আল-ইনসাফ, ২/৩৫
[8] . শাওকানী, নাইলুল আওতার, ২/২০৩
[9] . ইবনুল কায়্যিম, বাদাইউল ফাওয়াইদ, ৩/৯১ ; ইবন কুদামা, আল-মুগনী ১/৫১৪-৫১৫ ; শাওকানী, নাইলুল আওতার, ২/১৮৯ ; বাকর আবু যাইদ, লা জাদীদা ফী আহকামিস সালাত, পৃঃ ১২
[10] . ইমাম নববী, আল-মাজমূ ৩/৩১০-৩১১




এ ব্যাপারে বিখ্যাত মুহাদ্দিসগ এর বক্তব্য :




প্রখ্যাত শাফিয়ী ফকীহ ও মুহাদ্দিস ইমাম নববী(রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ

“হস্তদ্বয় বুকের নিচে এবং নাভীর উপরে রাখবে। এটিই হচ্ছে মাযহাবের লিপিবদ্ধ নিশ্চিতকৃত সঠিক মত। এ বিষয়ে আবূ ইসহাক মারওয়াযীর আরেকটি প্রসিদ্ধ মত আছে, তা হলো, হস্তদ্বয় নাভীর নিচে রাখতে হবে। প্রথম মতটিই (আমাদের)মাযহাব।”[11]

প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও হাম্বলী ফকীহ আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহ) (মৃঃ ৫০৮ হিজরী) বলেনঃ

“ডান হাত বাম হাতের উপর বুকের নিচে রাখবে। এটি (ইমাম)শাফিয়ীর মত। আহমাদ(ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) থেকে বর্ণিত মত যে, হস্তদ্বয় নাভীর নিচে রাখবে। তার অন্য মত বিষয়টি মুসাল্লীর ইচ্ছাধীন। আমাদের(হাম্বলী মাযহাবের) মতটিই(নাভীর নিচে রাখা) সালাতের বিনয় ও বিনম্রতার জন্য বেশী উপযোগী।”[12]

ইমাম নববী(রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ

“তাকবীরে তাহরীমার পর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা মুসতাহাব। এভাবে হস্তদ্বয় বুকের নিচে নাভীর উপরে রাখবে। এটিই আমাদের(শাফিয়ী মাযহাবের) প্রসিদ্ধ মত। অধিকাংশ ফকীহ এ মত গ্রহন করেছেন। আবু হানীফা, সুফিয়ান সাওরী, ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি এবং আমাদের মাযহাবের আবূ ইসহাক মারওয়াযী বলেন যে, হস্তদ্বয় নাভীর নিচে রাখবে। আলী(রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে এ দু মাযহাবের পক্ষে দুটি বর্ণনা রয়েছে। ইমাম আহমাদ(ইবন হাম্বল) থেকে দুটি মত বর্ণিত উপরের দুটি মাযহাবের মত। ইমাম আহমাদের তৃতীয় মত যে, এ বিষয়ে উত্তম বলে কিছু নেই; কাজেই বিষয়টি মুসাল্লীর ইচ্ছাধীন। ইমাম আওযায়ী এবং ইবনুল মুনযির এ মত গ্রহন করেছেন। ইমাম মালিক থেকে দুটি মত বর্ণিতঃ এক মতে হস্তদ্বয় বুকের নিচে রাখবে, অন্য মতে হস্তদ্বয় একটির উপর অন্যটি রাখবে না, বরং ঝুলিয়ে রাখবে। মালিকী মাযহাবের অধিকাংশ আলিম দ্বিতীয় মতটি বর্ণনা করেছেন এবং এটিই তাদের নিকট অধিক প্রসিদ্ধ।”[13]

এখানে আমরা দেখছি যে, ইমাম নববী(রাহিমাহুল্লাহ) ফকীহগনের ৪টি মত উল্লেখ করেছেনঃ

(১) নাভীর উপরে বুকের নিচে রাখা,
(২) নাভীর নিচে রাখা,
(৩) বিষয়টি মুসল্লীর ইচ্ছাধীন,
(৪) হস্তদ্বয় ঝুলিয়ে রাখা।

(কিন্তু) বুকের উপরে রাখা বা গলার নিচে রাখার মত দুটি তিনি উল্লেখ করেন নি।…পূর্ববর্তী কোনো ফকীহ এ মত দুটি গ্রহন করেছেন বলে জানা যায় না।[14]
তবে সমসাময়িক কিছু আলীম বুকের উপর হাত বাধার মত প্রকাশ করেছেন।[15]
অপরদিকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল[16] এবং
প্রসিদ্ধ হাম্বলী ফকীহ, মুজতাহিদ ও মুহাদ্দিস শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ[17] বুকে হাত বাধাকে ‘মাকরুহ’ বা অপছন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন।

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ(রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ

“এবং সে (সালাতে)হাত বাধবে নাভীর নিচে অথবা বুকের নিচে(নাভীর উপরে), এর কোনোটিই অপছন্দনীয় নয়(দুটিই বৈধ)।”[18]


প্রসিদ্ধ হাম্বলী ফকীহ ইমাম মুওয়াফফাক উদ্দীন ইবন কুদামাহ(মৃঃ ৬২০ হিজরী) বলেনঃ

“হস্তদ্বয় রাখার স্থান সম্পর্কে ইমাম আহমাদ থেকে একাধিক মত বর্ণিত হয়েছে। এক বর্ণনায় তিনি বলেছেনঃ নাভীর নিচে রাখবে। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেছেনঃ নাভীর উপরে রাখবে। তৃতীয় বর্ণনায় তিনি বলেনঃ মুসল্লী এ বিষয়ে স্বাধীন, সে যেখানে ইচ্ছা রাখতে পারে; কারন সবই হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। বিষয়টি প্রশস্ত।”[19]

সুনানে তিরমিযী গ্রন্থের লিখক, প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মাদ ইবন ঈসা আত-তিরমিযী(রাহিমাহুল্লাহ) সালাতে হস্তদ্বয় রাখার একটি হাদীস উল্লেখ করে বলেনঃ

“সাহাবীগন, তাবিয়ীগন ও পরবর্তী যুগের আলীমগন এ হাদীসের উপর আমল করেন। তারা মত প্রকাশ করেন যে, সালাতের মধ্যে মুসল্লী তার ডান হাত বাম হাতের উপর রাখবে। তাদের কারো মতে হস্তদ্বয় নাভীর উপরে রাখবে। আর কারো মতে হস্তদ্বয় নাভীর নিচে রাখবে। বিষয়টি তাদের মতে প্রশস্ত।”[20]

ইমাম তিরমিযীর ভাষ্য অনুসারে হাত রাখাই(বাধাই) সুন্নাত, রাখার স্থানটির বিষয় প্রশস্ত, নাভীর উপরে বা নিচে রাখা যেতে পারে। লক্ষনীয় যে, তিনি এখানে গলার নিচে বা বুকের উপরে হাত রাখার মত উল্লেখ করেন নি।


ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল(রাহিমাহুল্লাহ) এবং ইমাম ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি(রাহিমাহুল্লাহ) এই দুই প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগনের প্রসিদ্ধ ছাত্র, মুহাদ্দিস ও ফকীহ ইমাম ইসহাক ইবন মানসূর আল-কাওসাজ আল-মারওয়াযী(মৃঃ ২৫১ হিজরী) তাদের দুজন থেকে ফিকহী মাসআলা জিজ্ঞাসা করে তা সংকলন করেন। তার বইটির নাম ‘মাসাইলুল ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল ওয়া ইমাম ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি’। এ গ্রন্থে তিনি(ইমাম মারওয়াযী) বলেনঃ

“আমি (ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বলকে) বললামঃ যদি বাম হাতের উপর ডান হাত রাখে তাহলে হস্তদ্বয় কোথায় রাখবে? তিনি বললেনঃ নাভীর উপরে ও নিচে, কোনোটিতেই অসুবিধা নেই, সবই আমার মতে প্রশস্ত। ইসহাক(ইমাম ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি) বলেনঃ তিনি(ইমাম আহমাদ) যেমন বলেছেন। নাভীর নিচে রাখা হাদীসের আলোকে শক্তিশালী এবং বিনয়ের জন্য বেশী উপযোগী।”[21]

ইমাম ইবনুল মুনযির(মৃঃ ৩১৯ হিজরী)(রাহিমাহুল্লাহ) সালাতে হাত রাখার স্থান সম্পর্কে ইমাম ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি এর মত উল্লেখ করে বলেনঃ

“ইসহাক বলেছেনঃ নাভীর নিচে রাখা হাদীসের দৃষ্টিতে অধিক শক্তিশালী ও বিনম্রতার জন্য অধিক উপযোগী।”[22]

কেউ কেউ দাবী করেন যে, ইমাম ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি(রাহিমাহুল্লাহ) সালাতে ‘বুকে’ হাত রাখতেন, শাইখ নাসীরুদ্দিন আলবানী(রাহিমাহুল্লাহ)ও এই দাবী করেছেন এবং ‘বুকে’ হাত রাখার জন্য শাইখ আলবানী ইমাম ইসহাকের প্রশংসাও করেছেন। শাইখ আলবানী(রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ

“এ সুন্নাতটির(সালাতে বুকে হস্তদ্বয় রাখা) বিষয়ে মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ইমাম ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি। মারওয়াযী তার মাসাইল গ্রন্থের ২২২ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ ‘ইসহাক আমাদের নিয়ে বিতর পড়তেন। … তিনি কুনূতের মধ্যে হস্তদ্বয় উত্তোলন করতেন, রুকুর পূর্বে কুনূত পড়তেন এবং তার হস্তদ্বয় তার স্তনদ্বয়ের উপর অথবা স্তনদ্বয়ের নিচে রাখতেন।’”[23]


ইমাম মারওয়াযী(রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ

‘ইসহাক আমাদের নিয়ে বিতর পড়তেন। … তিনি কুনূতের মধ্যে হস্তদ্বয় উত্তোলন করতেন, রুকুর পূর্বে কুনূত পড়তেন এবং তার হস্তদ্বয় তার স্তনদ্বয়ের উপর অথবা স্তনদ্বয়ের নিচে রাখতেন।’
এটি দ্বারা শাইখ আলবানী বলেছেন যে, ইমাম ইসহাক সালাতে হস্তদ্বয় বুকে রাখতেন। কিন্তু মারওয়াযীর গ্রন্থের টীকাকার[24] বলেনঃ

“এখানে কাওসাজ(ইমাম মারওয়াযী)এর কথার অর্থ হলো, ইসহাক ইবন রাহাওয়াইহি কুনুতের সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন করে তার স্তনদ্বয়ের বরাবর বা স্তনদ্বয়ের নিচে দুআর জন্য তুলে রাখতেন। এর অর্থ এ নয় যে, তিনি হস্তদ্বয় স্তনদ্বয়ের উপরে বা নিচে রাখতেন।
এর প্রমাণ হলো, ইবন কুদামা মুগনী গ্রন্থের ২/৫৮৪-এ ইমাম আহমাদের মত উল্লেখ করেছেন যে, কুনুতের সময় দু হাত দুআর জন্য বুক পর্যন্ত উঠাবে। এরপর বলেনঃ ইসহাকও এ মত পোষণ করেছেন। দ্বিতীয় বিষয় হলো, ইসহাক(রাহিমাহুল্লাহ) ফরয বা বিতর কোনো সালাতেই বুকের উপর হাত রাখার মত পোষণ করতেন না; বরং তিনি নাভীর নিচে হাত রাখার মত পোষণ করতেন, যা কাওসাজ(ইমাম মারওয়াযী) নিজেই উদ্ধৃত করেছেন।
… কাজেই শাইখ আলবানী(রাহিমাহুল্লাহ)-এর বক্তব্যে আপত্তির অবকাশ আছে। কাওসাজের(ইমাম মারওয়াযীর) পূর্বাপর বক্তব্য শাইখ আলবানীর বক্তব্য সমর্থন করে না।”[25]




‘গলার নিচে’ হাত বাধা সম্পর্কিত হাদীসের পর্যালোচনাঃ



(ক) ইমাম বাইহাকী বলেনঃ “আমাদেরকে আবূ যাকারিয়া ইবন আবী ইসহাক বলেন, আমাদেরকে হাসান ইবন ইয়াকূব বলেন, আমাদেরকে ইয়াহইয়া ইবন আবী তালিব বলেন, আমাদেরকে যাইদ ইবনুল হুবাব বলেন, আমাদেরকে রাওহ ইবনুল মুসাইব বলেন, আমাকে আমর ইবন মালিক নুকরী বলেন, তিনি আবুল জাওযা থেকে, তিনি ইবন আব্বাস(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে, তিনি সূরা কাওসারে (তোমার রব্বের জন্য সালাত আদায় কর এবং নাহর কর)- আল্লাহর এ কথার ব্যাখ্যায় বলেনঃ ‘নাহর’ করার অর্থ ডান হাতকে বাম হাতের উপর সালাতের মধ্যে ‘নাহর’ বা কণ্ঠনালীর কাছে রাখা।”[26]

হাদিস পর্যালোচনা :

এ হাদীসের ভিত্তি রাওহ ইবনুল মুসাইব[27] নামক রাবীর উপর। এই রাবীর বিষয়ে :

★ ইমাম ইয়াহইয়া ইবন মঈন বলেনঃ (صويلح) কোনো রকম গ্রহনযোগ্য।
★ রাযী বলেনঃ কোনো রকম গ্রহণযোগ্য তবে শক্তিশালী নয়।
★  ইবন আদী বলেন, লোকটি অনেক অনির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান বলেনঃ লোকটি নির্ভরযোগ্য রাবীদের সূত্রে জাল[28] হাদীস বর্ণনা করে; তার হাদীস গ্রহন করা বৈধ নয়। তার(রাওহ ইবনুল মুসাইবের) উস্তাদ আমর ইবন মালিক আন-নুকরী সম্পর্কে ইবন আদী বলেনঃ মুনকারুল হাদীসঃ লোকটি আপত্তিকর হাদীস বর্ণনাকারী এবং হাদীস চুরি করে।[29]
অর্থাৎ এই মাউকূফ হাদীসটির সনদ অত্যন্ত দুর্বল বলে প্রমানিত হলো।[30]



বুকের উপর বা বুকে হাত বাধা সম্পর্কিত হাদীসসমূহের পর্যালোচনাঃ


(ক) ইমাম বাইহাকী বলেনঃ

“আমাদেরকে আবূ সা’দ আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ সূফী বলেন, আমাদেরকে আবূ আহমাদ ইবন আদী বলেন, আমাদেরকে ইবন সায়িদ বলেন, আমাদেরকে ইবরাহীম ইবন সাঈদ বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবন হুজর আল-হাদরামী বলেন, আমাকে সায়ীদ ইবন আব্দুল জাব্বার ইবন ওয়ায়িল তার পিতা থেকে তার মাতা থেকে ওয়ায়িল(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে, তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি মাসজিদের দিকে উঠে যেয়ে মিহরাবে ঢুকলেন, অতঃপর তাকবীর বলে হস্তদ্বয় উঠালেন, অতঃপর তার ডান হাত বাম হাতের উপরে বুকের উপরে রাখলেন।”[31]

শাইখ নাসীরুদ্দিন আলবানী উল্লেখ করেছেন যে, (উপরোক্ত)হাদীসটি তিনটি কারনে (যঈফ)দুর্বলঃ

(১) মুহাম্মাদ ইবন হুজর হাদরামী দুর্বল। তার বিষয়ে ইমাম বুখারী বলেনঃ তার বিষয়ে আপত্তি আছে। ইমাম বুখারীর এ কথার অর্থ লোকটি অত্যন্ত দুর্বল। (ইমাম)যাহাবী বলেনঃ লোকটি আপত্তিকর হাদীস বর্ণনা করেছেন।
(২) সায়ীদ ইবন আব্দুল জাব্বারের বিষয়েও আপত্তি রয়েছে। নাসাঈ বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। ইবন হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্যদের তালিকায় উল্লেখ করেছেন।
(৩) ‘আব্দুল জাব্বারের মাতা’ একেবারেই অজ্ঞাত পরিচয়।[32]
অর্থাৎ উপরের হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল[33] এবং দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।

(খ) ইমাম ইবন খুযাইমা বলেনঃ

“আমাদেরকে আবূ তাহির বলেন, আমাদেরকে আবূ বকর বলেন, আমাদেরকে আবূ মূসা বলেন, আমাদেরকে মুআম্মাল(ইবন ইসমাঈল) বলেন, তিনি সাওরী থেকে, তিনি আসিম ইবন কুলাইব থেকে তিনি তার পিতা থেকে, তিনি ওয়ায়িল(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে, তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করলাম এবং তিনি তার ডান হাত তার বাম হাতের উপর তার বুকের উপর রাখলেন।”[34]



উপরোক্ত হাদীসটিকে ‘সহীহ’ দাবী করে সমসাময়িক কিছু আলীমগন বুকে হাত বাধার পক্ষে মত দিয়েছেন।[35] অপরদিকে কেউ কেউ উপরোক্ত হাদীসটির মধ্যে কিছুটা দুর্বলতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন এবং এর উপর আমল করেছেন।[36] তবে উপরোক্ত হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল যা আমরা আলোচনা করবো।
উপরোক্ত হাদীসের মূল সমস্যা দুইটি, যথাঃ

(১) হাদীসটির সনদে থাকা মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল দুর্বল রাবী হিসেবে বিবেচিত।
(২) ওয়ায়িল ইবন হুজর থেকে আসিম ইবন কুলাইবের সনদে আরো কিছু সহীহ হাদীস হাত বাধার পক্ষে বর্ণিত হয়েছে তবে সেখানে হাত কোথায় রাখবে তা বর্ণিত হয়নি[37], তাই হাদীসটি ‘মুনকার’ বা ‘আপত্তিকর’ ও ‘অত্যন্ত দুর্বল’ বলে গণ্য।

হাদিস পর্যালোচনা :

মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল সম্পর্কে :

★ ইমাম আবূ হাতিম রাযী বলেন, তিনি সত্যপরায়ণ; তবে খুব বেশী ভুল করেন।
★ ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস বা আপত্তিকর হাদীস বর্ণনাকারী। ইমাম বুখারী অত্যন্ত দুর্বল বা মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারীদেরকেই মুনকারুল হাদীস বলেন।
★ ইবন হাজার আসকালানী বলেনঃ সত্যপরায়ণ; তবে সৃতিশক্তি খারাপ।[38]

★ ইবনুল কায়্যিম বলেনঃ “মুহাদ্দিসগন সুফিয়ান সাওরী থেকে, আসিম ইবন কুলাইব থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে, তিনি বলেনঃ ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করলাম। তখন তিনি তার ডান হাত তার বাম হাতের উপর, বুকের উপর রাখলেন।’ ‘বুকের উপর’ কথাটি মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল ছাড়া কেউ বলেন নি।”[39]

★ ইবনুল কায়্যিম অন্যত্র বলেনঃ “তিনি(ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল) বলেনঃ … বুকের উপর হাত রাখা মাকরুহ; কারন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ‘তাকফীর’ করতে নিষেধ করেছেন। আর ‘তাকফীর’ অর্থ বুকের উপর হাত রাখা।
মুআম্মাল সুফিয়ান থেকে, আসিম ইবন কুলাইব থেকে তার পিতা থেকে ওয়ায়িল বর্ণনা করেছেন যে, নাবীউল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাত বুকের উপর রাখেন। অথচ এ হাদীসটিই আব্দুল্লাহ ইবন ওয়ালীদ সুফিয়ান থেকে বর্ণনা করেছেন; কিন্তু তিনি ‘বুকের উপর’ কথাটি উল্লেখ করেন নি।”[40]


★ আব্দুল্লাহ ইবন ওয়ালীদের বর্ণনা ইমাম আহমাদ সংকলন করেছেনঃ “আমাদেরকে আব্দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ বলেন, আমাকে সুফিয়ান বলেছেন, তিনি আসিম ইবন কুলাইব থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকেঃ আমি নাবীউল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখলাম যে, তিনি তার ডান হাত বাম হাতের উপর দিয়ে ধরে রেখেছেন।”

বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে অনেকেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন; কিন্তু কেউই ‘বুকের উপর’ কথাটি বলেন নি। ওয়ায়িলের হাদীসটি আসিম ইবন কুলাইবের সুত্রেও অনেকেই বর্ণনা করেছেন কিন্তু তারাও কেউ ‘বুকের উপর’ কথাটি বলেন নি। এমনকি আসিম ইবন কুলাইব থেকে সুফিয়ান সাওরীর মাধ্যমে একই সনদে অন্যান্য রাবী বর্ণনা করেছেন কিন্তু কেউই ‘বুকের উপর’ কথাটি বলেন নি। শুধুমাত্র ‘মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল’ ‘বুকের উপর’ কথাটি বলেছেন।

এখানে ইবনুল কায়্যিম বুকে হাত রাখা অপছন্দ করার বিষয়ে ইমাম আহমাদের মতের দলীল ব্যাখ্যা করেছেন। বুকে হাত রাখার কথা মুআম্মাল-এর হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে; কিন্তু মু’আম্মাল নিজে দুর্বল রাবী। উপরন্তু তিনি নির্ভরযোগ্য রাবীদের বিপরীতে বর্ণনা করেছেন। কাজেই তার বর্ণনা ‘মুনকার’ বা ‘আপত্তিকর’ ও ‘অত্যন্ত দুর্বল’ বলে গণ্য।[41]



রেফারেন্স সমুহ :



[11] . ইমাম নববী, আল-মাজমূ, ৩/৩১০-৩১১
[12] . ইবনুল জাওযী, আত-তাহকীক, ১/৩৩৯
[13] . ইমাম নববী, শারহ সহীহ মুসলিম, ৪/১১৪
[14] . ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, সালাতের মধ্যে হাত বাধার বিধান, পৃঃ ১০

[15] . যেমনঃ সৌদি আরবের বিগত প্রধান মুফতী শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায, শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালীহ আল-উসাইমীন, শাইখ মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন আলবানী, শাইখ সাঈদ ইবন আলী আল-কাহতানী, শাইখ মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম আত-তুওয়াইযিরী। এছাড়াও বাঙ্গালী কিছু আলীম যেমনঃ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, ড. মনজুরে ইলাহী, ড. আসাদুল্লাহ গালীব, মুফতী কাজী ইবরাহীম, শাইখ মতিউর রহমান মাদানী, শাইখ সাইফুদ্দীন বিলাল মাদানী, শাইখ আবুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী।

[16] . ইবনুল কায়্যিম, বাদাইউল ফাওয়াইদ, ৩/৯১-৯২
[17] . ইবন তাইমিয়্যাহ, শারহ উমদাহ আল-ফিকহ ফিল মাযহাব আল-হাম্বলী, পৃঃ ৬৭
[18] . ইবন তাইমিয়্যাহ, শারহ উমদাহ আল-ফিকহ ফিল মাযহাব আল-হাম্বলী, পৃঃ ৬৭
[19] . ইবন কুদামা, আল-মুগনী, ১/৫৪৯
[20] . সুনানে তিরমিযী, ২/৩২
[21] . মারওয়াযী, মাসাইলুল ইমাম আহমাদ ওয়া ইসহাক, ১/৫৫১-৫৫২
[22] . ইবনুল মুনযির, আল-আউসাত, ৪/১৮৫-১৮৭
[23] . আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, ২/৭১
[24] . মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষণা বিভাগ।
[25] . মারওয়াযী, মাসাইলুল ইমাম আহমাদ, টীকা, ৯/৪৮৫১
[26] . বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা, ২/৩১
[27] . অর্থাৎ, উপরোক্ত হাদীসের সনদের মধ্যে এই রাবী বিদ্যমান এবং এই রাবী যদি দুর্বল হয় তাহলে উপরোক্ত হাদীসও দুর্বল বা যঈফ বলে প্রমানিত হবে।
[28] . জাল অর্থাৎ বানোয়াট হাদীস, যা হাদীস নয় বরং কারো বানানো কথা হাদীস বলে চালিয়ে দেওয়া।
[29] . ড. ইবরাহীম আনীস, আম-মু’জামুল ওয়াসীত, ১/৫০৯ ; ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, সালাতের মধ্যে হাত বাধার বিধান, পৃঃ ৩০
[30] . ইবনুল মুলাক্কিন, সিরাজ উদ্দীন উমার ইবন আলীঃ আল-বাদরুল মুনীর, ৪/৮১ ; বাকর আবু যাইদ, লা জাদীদা ফী আহকামিস সালাত, পৃঃ ৯
[31] . বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা, ২/৩০
[32] . আলবানী, সিলসীলা যায়ীফাহ, ১/৬৪৩-৬৪৭
[33] . মুকবিল ওয়াদায়ী ও খালীদ শায়ি, আল-ই’লাম বি তাখয়ীরিল মুসাল্লী, পৃঃ ১০-১৩
[34] . সহীহ ইবন খুযাইমা, ১/২৪৩। [বিঃ দ্রঃ ইমাম ইবন খুযাইমা তার হাদীস গ্রন্থের নাম ‘সহীহ’ রাখলেও এতে সহীহ ও যঈফ সকল প্রকার হাদীস বিদ্যমান, এটি ইলমুল হাদীস সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান সম্পূর্ণ সকল মানুষই জানেন।]
[35] . যেমনঃ শাইখ মতিউর রহমান মাদানী। আর শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী দাবী করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সালাতে) উভয় হাতকে বুকের উপর রাখতেন।[সালাতে মুবাশশির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), পৃঃ ১৪৪]
[36] . যেমনঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালীহ আল-উসাইমীন, তিনি বলেছেনঃ “হাদীসটিতে সামান্য দুর্বলতা থাকলেও এক্ষেত্রে বর্ণিত অন্যান্য হাদীসের তুলনায় এটিই সর্বাধিক শক্তিশালী।” [ইবন উসাইমীন, ফাতওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃঃ ২৯৮]
[37] . এখানে এরুপ দুটি হাদীস উল্লেখ করছি যা ওয়ায়িল ইবন হুজর থেকে বর্ণিত কিন্তু ‘বুকের উপর’ কথাটি নেই।


ইমাম মুসলিম বলেনঃ “আমাদেরকে যুহাইর ইবন হারব বলেন, আমাদেরকে আফফান বলেন, আমাদেরকে হাম্মাম বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবন জুহাদাহ বলেন, আমাকে আব্দুল জাব্বার ইবন ওয়ায়িল বলেন, তিনি আলকামা ইবন ওয়ায়িল ও তাদের একজন মাওলা থেকে, তারা ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে, তিনি দেখেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন তখন তার দু হাত উঠালেন- হাম্মাম হাত উঠানোর বর্ণনা দিয়ে বলেনঃ তার কান পর্যন্ত – আল্লাহু আকবর বলেন। এরপর তিনি তার কাপড় জড়িয়ে নিলেন। অতঃপর তিনি তার ডান হাত বাম হাতের উপর রাখলেন।” [সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সালাত, ১/৩০১]
ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল বলেনঃ “আমাদেরকে ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ বলেন, আমাদেরকে আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, আমাদেরকে আসিম ইবন কুলাইব তার পিতা থেকে, তিনি ওয়ায়িল ইবন হুজর(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে, তিনি বলেনঃ আমি নাবীউল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করলাম আর বললাম, তিনি কিভাবে সালাত আদায় করেন তা আমি দেখবো। তিনি বলেনঃ তিনি তখন কিবলামুখী হলেন, আল্লাহু আকবার বললেন এবং তার কাধদ্বয় পর্যন্ত হস্তদ্বয় উঠালেন। তিনি বলেনঃ এরপর তিনি তার ডান হাত দিয়ে বাম হাত ধরলেন।” [ইমাম আহমাদ, মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩১৬(শুআইব আরনাউতের টীকাসহ)]
উপরোক্ত হাদীসটি ওয়ায়িল ইবন হুজর থেকে ‘আসিম ইবন কুলাইব’ এর সুত্রে বর্ণিত কিন্তু এখানেও ‘বুকের উপর’ কথাটি নেই। শুধুমাত্র ‘মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল’ এর বর্ণনায় ‘বুকের উপর’ কথাটি রয়েছে। যেহেতু ‘মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল’ এর বর্ণনা তার থেকে শক্তিশালী রাবীর বর্ণনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে সেহেতু ‘মুআম্মাল ইবন ইসমাঈল’ এর বর্ণিত ‘বুকের উপর’ হাত বাধার হাদীসটি মুনকার বা দুর্বল অর্থাৎ দলীল হিসেবে অগ্রহনযোগ্য।


[38] . ইবন হাজার, তাহযীবুত তাহযীব, ১০/৩৩৯-৩৪০ ; তাকরীবুত তাহযীব, পৃঃ ৫৫৫
[39] . ইবনুল কায়্যিম, ই’লামুল মুওয়াক্কিয়ীন, ২/৪০০
[40] . ইবনুল কায়্যিম, বাদাইউল ফাওয়াইদ, ৩/৯১
[41] . বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ ড.খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার এর ‘সালাতের মধ্যে হাত বাধার বিধান’ বইটি। উক্ত বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে ভিসিট করুনঃ http://www.quranheart.com
















Wednesday, August 5, 2015

মিলাদুন্নবী (সা) সম্পর্কে ৪০ টি বই ডাউনলোড লিংক :


ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন এবং মিলাদ-ক্বিয়ামের দলীল সম্বলিত বই/নিবন্ধ/রচনাবলী
--------------------------------------------------------------------------------------
শরীয়তের দৃষ্টিতে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন এবং মীলাদ ও ক্বিয়াম শরীফের দলীলসমূহ জানতে নিম্নোক্ত কিতাব এবং নিবন্ধসমগ্র ডাউনলোড করে সংগ্রহে রাখুন। ধন্যবাদ।

১। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের দলীল
মূলঃ আল্লামা সাইয়্যেদ ইউসুফ হাশেম রেফায়ী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/fz7r019dl4zrc6d/Ahle+Sunnah+Wal+Jamaat-er+Dalil.pdf

২। আহলে সুন্নাহর দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্ননবী (দঃ)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/3ut0ay6lj9y19xv/Ahlus+Sunnahr+Dristi-te+Eid-e+Miladunnabi.pdf

৩। আকায়েদে আরবায়াহ
মূলঃ মুফতী মোহাম্মদ আলী আকবর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/c3y1uk8xra2os98/Akayed-e+Arbayah.pdf

৪। আল-কুরআন ও সহীহ্‌ হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন আল্‌কাদেরী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/344i4co5tq0eacq/Al-Quran+o+Sahih+Hadith-er+Aloke+Eid+Miladunnabi+%28saws%29.pdf

৫। আন্‌-নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদে সাইয়্যিদে উলদে আযম
মূলঃ আল্লামা ইবনে হাজার হাইছামী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/7b4ycsxb1rf42v0/An+nimatul+Qubra+Alal+%27Alam+Fi+Mawlid-e+Uld-e+Azam.pdf#39;Alam_Fi_Mawlid-e_Uld-e_Azam.pdf

৬। বিশ্বনবীর জন্ম ইতিহাস ও মীলাদ শরীফের হুকুম
মূলঃ হাফেয মুহাম্মদ আবদুল হক এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা কারামত আলী নিযামী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/xq4pq7ye0uedcp1/Bishyo+nabir+jonmo+iteehas+o+milad+sharif-er+hukum.pdf

৭। ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) কি কেন ও ফযীলত
মূলঃ হযরত সৈয়দ শাহ্‌ মোহাম্মদ জুনায়েদ ওসমানী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/45mslqaf2fsheqq/Eid-e+Miladunnabi+%28SAWS%29+ki+keno+o+fazilat.pdf

৮। কুরআন হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (দঃ) ও জুলুস
প্রকাশনঃ বাংলাদেশ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত ফাউন্ডেশন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/e0snt8nle3tqse0/Eid-e+Miladunnabi+%28Saws%29+published+by+Bangladesh+Ahle+Sunnah+Wal+Jammat+Foundation.pdf

৯। ঈদে মীলাদুন্নবী বা মৌলুদে খায়রুল বারিয়াহ্‌
মূলঃ মাওলানা খাজা মোহাম্মদ ছাইফুদ্দিন নক্‌শেবন্দী মুজাদ্দেদী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/t4iqeeaushdicee/Eid-e+Miladunnabi+ba+Mawlud-e+Khairul+Bariyah.pdf

১০। ঈদে মীলাদুন্নবী ও মীলাদ মাহফিল
মূলঃ মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাফওয়ান নোমানী এবং সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাঈমুল ইহসান বারাকাতী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/54v47sx4i2284a1/Eid-e+Miladunnabi+o+Milad+Mahfil.pdf

১১। ঈদে মীলাদুন্নবীই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ
মূলঃ মুফতী মোহাম্মদ আলী আকবর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/z0cdeoinrcjgb13/Eid-e+Miladunnabi-e+hocche+sorbo-shresthho+Eid.pdf

১২। ফাসায়েলে হাফতে মাসায়ালা
মূলঃ হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/lr2ckwrpnc8jnyg/Fasayel-e+Haft-e+Masalaa.pdf

১৩। ফয়সালা ২০০৯
প্রকাশনঃ আহলা দরবার শরীফ, চট্টগ্রাম
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/r77c3v59vi6x6g3/Faysala+%282009%29+-+Published+from+Ahla+Darbar+Sharif.pdf

১৪। হাকীকতে মীলাদে মুস্তফা (সঃ)
প্রকাশনঃ মুহাম্মদী কুতুবখানা
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/wtc5wv3n1pwgsi6/Haqiqat-e+Milad-e+Mustafa+%28SAWS%29.pdf

১৫। হাকীকতে মীলাদ
মূলঃ আল্লামা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল করিম সিরাজনগরী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/zjz5m17t828u43k/Haqiqat-e+Milad.pdf

১৬। হাকীকতে মুহাম্মদী ও মীলাদে আহাম্মদী
মূলঃ মাওলানা মোহাম্মাদ বেশারাতুল্লাহ (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/63xowrt41v0qp9n/Haqiqat-e+Muhammadi+o+Milad-e+Ahmadi.pdf

১৭। হুসনুল মাকাসীদ ফী আমালিল মাওলিদ ও ...
মূলঃ ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুতী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা ছালিক আহমদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/vo1tz1he46vi1ao/Husnul+Maqasid+Fi+Amalil+Mawlid+o+Immaul+Ajkiya+bi+Hayatul+Ambiya.pdf

১৮। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
প্রকাশনঃ জাতীয় ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন কমিটি, বাংলাদেশ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/dusaaqthpyhbwj6/Islami+Shariat-er+Dristite+Eid-E+Miladunnabi+%28SAWS%29+Udjaapon.pdf

১৯। জা'আল হক্ক (২য় খন্ড)
মূলঃ মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী (রঃ)

ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/z9uuz6hbyxx0xuk/Ja%27al+Haq+%28Part+2%29.pdf#39;al_Haq_(Part_2).pdf

২০। কিশোরগঞ্জে মীলাদ-ক্বিয়ামের বাহাস
মূলঃ হযরত আল্লামা মোহাম্মদ রুহুল আমিন (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/sw5c8cqgbporuqm/Kishorganj-e+Milad-Qiyam-er+Bahas.pdf


২১। মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ আল্লামা সৈয়দ আহমদ সাঈদ কাযেমী (রঃ)
অনুবাদঃ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/lnrx6xcbisg267c/Milaadunnabi+%28SAWS%29.pdf

২২। দারুল ফতোয়া অস্ট্রেলিয়াঃ মীলাদুন্নবী (দঃ)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/h4uyhhhm6t2ra77/Milad+Bishoyok+Australian+Fatwa.pdf

২৩। মীলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপনের বৈধতা
মূলঃ ডঃ ঈসা আল-মানী আল-হুমায়রী (আরব আমিরাত)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/wzwhjylw84q4jxf/Milad+Bishoyok+Dubai+Fatwa.pdf

২৪। মীলাদ-ক্বিয়ামের বিধান
মূলঃ আল্লামা হাফেয মোহাম্মদ আবদুল জলিল (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/qc66v5ytzddn6ub/Milad+o+Qiyam-er+Bidhaan.pdf

২৫। মীলাদে মুস্তফা (সঃ)
মূলঃ মুহাম্মদ আজিজুল হ আল-কাদেরী
অনুবাদঃ উপাধ্যাক্ষ্য মুহাম্মদ আবদুল অদুদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/rwdgjq16xk160jt/Milad-e+Mustafa+%28SAWS%29.pdf

২৬। মীলাদে সুয়ুতী ও মীলাদ ক্বিয়ামের দলীল
অনুবাদঃ মাওলান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/1s4h4af1hzp2a73/Milad-i-Suyuti+%26+Milad-Qiaum+er+Dolil.pdf

২৭। মীলাদ-ক্বিয়াম ও দেওবন্দী আলেমগণ
প্রকাশনঃ মাকতাবাতুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/7su4vnd2obxl2t6/Milad-Qiyam+o+Deobandi+Alem-gon.pdf

২৮। মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ ড. তাহের আল কাদ্‌রী
অনুবাদঃ অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল হাই
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/sctnzcx32aroh4g/Miladunnabi+%28Saws%29.pdf

২৯। মীলাদুন্নবী (সঃ) সকল ঈদের সেরা
মূলঃ প্রফে. ড. মোহাম্মদ মাসউদ আহ্‌মদ (যুক্তরাজ্য)
অনুবাদঃ নিজামউদ্দীন মাহমুদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/fs74gfsl5fu7hx5/Miladunnabi+Sokol+Eid-er+Shera+%28Translated+from+UK%29.pdf

৩০। নূরনবী (সঃ)
মূলঃ আল্লামা হাফেয মোহাম্মদ আবদুল জলিল (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/wdgx4sx5cwd92vb/Nurnabi+%28SAWS%29.pdf

৩১। ঐক্যের ডাক
মূলঃ আল্লামা কাজী মু'তাসিম বিল্লাহ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/r0p9tqgs7e9cm8i/Oikyer+Daak.pdf

৩২। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সঃ) সংকলন
মূলঃ শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নক্‌শেবন্দী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/5mcana1r7uzvdnw/Pobitro_Miladunnabi_(saws)_sonkolon.pdf

৩৩। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে ঈদে মওলুদ শরীফের মাহফিল ও ক্বিয়াম
মূলঃ আল্লামা সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ ইবনে সাইয়্যিদ আলাভী আল-মালাকী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম হাতিয়ুভী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/52o09mklz07mga5/Pobitro+Quran+o+Hadith-er+Aloke+Mawlud+Sharif-er+Mahfil+o+Qiyam.pdf

৩৪। কুরআন হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
প্রকাশনঃ আল হাশেমীয়া সোসাইটি
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/r9l0d5z561u6yfd/Quran+Hadith-er+Aloke+Eid-e+Miladunnabi+%28saws%29.pdf

৩৫। কুরআন হাদীসের আলোকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) (স্মরণিকা ২০১২ ইং)
প্রকাশনঃ বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/mkm668o2kcb9hkg/Quran+Hadith-er+Aloke+Pobitro+Eid-e+Miladunnabi+%28SAWS%29.pdf

৩৬। শরীয়তের আলোকে জশনে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ প্রফে. ড. আল্লামা তাহের আল কাদেরী
অনুবাদঃ মাওলানা মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/1qhdl9g9cvkkysu/Shariat-er+Aloke+Jashne+Miladunnabi+%28SAWS%29.pdf

৩৭। সিরাজাম মুনীরা ও মীলাদ নামা
মূলঃ সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাঈমুল ইহসান বারাকাতী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/6bpobh6mnb6mbhj/Sirajam+Munira+o+Milad+Namaa.pdf

৩৮। সকল যুগের সেরা ঈদ ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ আল্লাম মুফতী কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/7gfjami40mk4j5v/Sokol+Juger+Shera+Eid+Eid-e+Miladunnabi+%28SAWS%29.pdf

৩৯। তকী ওসমানীর মীলাদ বিরোধী ফতোয়ার রদ
মূলঃ ড. জি. এফ. হাদ্দাদ দামেশ্‌কী
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/3ss6bdk6whdbcbk/Taqi+Usmani-r+Milad+Birodhi+Fatwar+Radd.pdf

৪০। মীলাদুন্নবী বনাম সীরাতুন্নবী
মূলঃ কে. জি. এম. বিন আনোয়ার
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/d4g4ribcu5dcc0m/Miladunnabi+bonam+Siratunnabi+%28SAWS%29.pdf