Sunday, February 21, 2016

ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত দোয়াঃ(হাদিসের আলোকে)








শাফেয়ী মাযহাবে ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত দোয়ার ফতোয়াঃ





শাফেয়ী মাযহাবের বিশ্ববিখ্যাত ইমাম, হাফিযুল হাদিস আন- নাওয়াওয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ইমাম এবং মুক্তাদীর দোয়া করা সর্বসম্মতিক্রমে মুসতাহাব। তিনি একাকী নামাজ আদায় কারী পুরুষ, নারী, মুসাফির এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও দোয়া করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
তিন আরো বলেন,
মুসতাহাব তারীকা হচ্ছে, ফরজ নামাজ শেষে ইমাম সাহেব মুক্তাদীর দিকে মুখ করে বসবেন এবং দোয়া করবেন।
রেফারেন্সঃ
আল-মাজমু’
খন্ড- ৩
পেইজ নাম্বার- ৪৬৫,৪৬৯
এবার কি বিশ্ব বিখ্যাত এই হাফিযুল হাদীসকে বেদ'আতী বলবেন?
কারণ, তিনি যে ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত দোয়া মুসতাহাব ফতোয়া দিয়ে দিলেন!
_______________
বিঃ দ্রঃ
ফরজ নামাজের পর ইমাম সাহেবের মুখ ফেরানো, কিংবা কোন কোন সালাতের পর বা সকল সালাতের পর এভাবে মুখ ফিরিয়ে সম্মিলিত দোয়া -- এনিয়ে ইমামগণের মধ্যে এখতেলাফ রয়েছে।
কিন্তু সকলেই মুল/ আসল অর্থাৎ ফরজ সালাতের পর সম্মিলিত দোয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। মুস্তাহাব বলেছেন।
______________
লেখাটি কপি শেয়ার করুন।

(কলম সৈনিক)

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর চোর ধরার ১টি মজার কাহিনীঃ


  • ইমাম আযম আবু হানিফা রহঃ এর এক প্রতিবেশীর ময়ূর চুরি হয়ে ছিল । সে ইমাম আযমের কাছে এ ঘটনা বললো । ইমাম আযম ওকে বললেন, তুমি এ কথা আর কাউকে বলিও না । ইমাম আযম মসজিদে গেলেন । যখন সব লোক নামাযের জন্য জমায়েত হলো, ইমাম আযম দাঁড়িয়ে বললেন, বড় লজ্জার বিষয়, প্রতিবেশীর ময়ূর চুরি করে এমন অবস্থায় নামায পড়তে আসল ওর মাথায় এখনও ময়ূরের পালক রয়েছে । এ কথা শুনা মাত্র এক ব্যক্তি স্বীয় মাথায় হাত দিল এবং মাথা লুকাতে চেষ্টা করলো । ইমাম আযম লোকটিকে বললেন, ওর ময়ূর তুমিই চুরি করেছ । লোকটি স্বীকার করলো এবং ময়ূরটি ফেরত দিয়ে দিল । 
  • [সূত্রঃ খায়রাতুল হাসান ১০২ পৃষ্ঠা]

Saturday, February 20, 2016

রাসুল (সাঃ) এর শালিনতা ও ওনার কারণে আবূ তালিবের পরিবারে খাদ্যে বরকতঃ



★ যরত রাসূলুল্লাহ্ (সা) নিজে বর্ণনা করেন-শৈশবে কুরায়শী বালকদের সাথে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতাম। তন্মধ্যে বড় বড় পাথর একস্থান থেকে অন্যস্থান সরিয়ে নিয়ে যাওয়া একটা খেলা ছিল। এ খেলা খেলতে গিয়ে প্রায় সকল বালকই উলঙ্গ হয়ে যেত। পরনের কাপড় কাঁধে দিয়ে পাথর বহন করত। আমি সময় সময় এরুপ উলঙ্গ হওয়ার উপক্রম করতাম। এ সময় অদৃশ্য কোন শক্তি আমাকে ঘুষি মারত। তাতে বেশ ব্যথা পেতাম এবং বলত, ‘চাদের পরে ফেলো।’ আমি শক্ত করে চাদর বেঁধে পরতাম। এভাবে সকল বালকের মাঝে কেবল আমি চাদরপরা খালি কাঁধে পাথর বহন করতাম।
(ইবন ইসহাক)


★ হযরত ইব্ন আব্বাস ও মুজাহিদ থেকে বর্ণিত আছে যে, আবূ তালিবেরা সকালে একত্রে বসে বা আলদা আলদা যখন আহার করত তাদের পেট ভরত না। (কারণ আবূ তালিবের পরিবারের লোকসংখ্যা ছিল বেশি, আর তিনি কখনও সচ্ছল ছিলেন না।) কিন্তু রাসূল (সা) যখন তাদের সাথে বসে আহার করতেন তখন সকলেরই পেট ভরে যেত। সেজন্য সকাল কিংবা সন্ধ্যায় খাওয়ার সময় হলে আবূ তালিব বলতেন- অপেক্ষা করো, আমার বাছা আসুক। তারপর রাসূল (সা) আসলে সকালে একসাথে আহার করতেন। তখন সকালের পেট তো ভরতই, খাদ্য বেঁচেও যেত। আর তিনি খাদ্যে অংশগ্রহণ না করলে সকালে (খাদ্যের স্বল্পতা হেতু) ক্ষুধার্ত থাকত। দুধ থাকলে আবূ তালিব প্রথমে রাসূল (সা)-কে পান করাতেন, এরপর সকালে এ পাত্র থেকে পান করতেন। এতে সকলেই পূর্ণভাবে তৃপ্ত হয়ে যেতেন। তাঁকে আবূ তালিব বলতেন, ‘তুমি বড়ই বরকতওয়ালা।’ (খায়ায়েসুল কোবরা)

★ হযরত উম্মে আরমান রেওয়ায়েত করেন- আমি কখনও রাসূল (সা)-কে ক্ষুধা-তৃষ্ণার কথা বলতে শুনিনি। তিনি ভোরে যমযমের পানি পান করতেন। আমারা তাকে সকালের খাবার দিলে তিনি বলতেন, আমার পেট ভরা। (মাদারেজুন্নবুওয়াত ও খাসায়েসুল কোবরা)

পারস্য রাজপ্রসাদের গম্বুজ ভূমিসাৎঃ


হযরত ওয়াহাক ইব্ন মুনাব্বিহ বর্ণনা করেন-যখন আল্লাহ্ পাক রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে প্রেরণ করলেন, তখন পারস্য সম্রাট সকালবেলা দেখলেন , তাঁর প্রাসাদের গম্বুজ ভূমিসাৎ হয়ে গেছে এবং দজলা নদীর স্রোত বন্ধ হয়ে আছে। এতে সম্রাট অত্যন্ত বিচলিত হলেন। গণক, জ্যোতির্বিদ এবং জাদুকরদের দরবারে তলব করে বললেন, ব্যাপারটি কি, চিন্তা-ভাবনা করো।’

তারা নিজেদের জ্ঞান ও সাধনা দ্বারা জানতে চেষ্টা করতে গিয়ে দেখল, আকাশের চারপাশ বন্ধ। যে পথে ওরা এসব এতদিন জানতে পারত সে পথ অন্ধকার। তারা নিজেদের শাস্ত্রে ব্যর্থ হয়ে অপমানিত হয়ে গেল। এমনকি কোন জাদুকরের জাদু, অতীন্দ্রিয় কৌশল এবং জ্যোতিষীর গণনা কিছুই কার্যকর রইল না।
(সীরাতে ইব্ন ইসহাক)

রাসুলুল্লাহ (দুরুদ) ওনাকে গাছ ও পাথরের সালামঃ



★ নবুওয়াতপ্রাপ্তির প্রাক্কালে মুহাম্মদ (সা)-এর অবস্থা কিছু ভিন্ন হয়ে গেল। নির্জনতা ভাল লাগত। লোক-কোলাহলে অস্থিরতা বোধ করতেন। অন্তরে এক ধরনের শূন্যতা ও অপূর্ণতাবোধ তাঁকে আকুল করে রাখতো । তাই মাঝে মাঝে লোকালয় ছেড়ে দূরে মক্কার উপকন্ঠে জনবিরল পার্বত্য উপত্যকায় বা বিস্তীর্ণ সমভূমির দিকে তিনি চলে যেতেন। কোন গাছ বা পাথরের পাশ দিয়ে যখন তিনি অতিক্রম করতেন, সেগুলো তাঁকে সালাম দিত। আওয়াজ হতো- আস্সালামু আলাইকুম ইয়া রাসূলাল্লাহ। কোথা থেকে এ আওয়াজ ও সালাম আসে, কে দেয় দেখার জন্য তিনি চারদিকে চোখ ফেরাতেন, খুঁজতেন। কিন্তু শুধু গাছ বা পাথর ব্যতীত কিছুই তাঁর চোখে পড়ত না।
এভাবে যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা হতো তিনি দাঁড়িয়ে থাকতেন। চারদিকে দেখতেন এবং শুনতেন। তারপর এক রমযান মাসে যখন তিনি হেরার গুহায় ধ্যানে মগ্ন ছিলেন, আল্লাহ্ তা’আলার তরফ থেকে সম্মান ও মর্যদার বাণী ওহী নিয়ে জিবরাঈল আমীন (আ) আসলেন তাঁর কাছে। (ইব্ন ইসহাক)

★ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনা মতে- রাসূল (সা) নিজেই ইরশাদ করেনঃ মক্কায় একটি পাথরকে আমার চেনা আছে, ওহী আসার আগে সেটি আমায় সালাম দিত। হাদীসের কোন গ্রন্থে এরুপ আছে যে, সেই পাথরটি ছিল হাজারে আসওয়াদ। (সীরাতে ইব্ন ইসহাক)

★ রাসূল (সা)-এর ক্ষেত্রে আল্লাহ্ পাক যেমন একটি খেজুর গাছের কান্ডকে ক্রন্দন করার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন তেমনি গাছ ও পাথরকে কথা বলার ক্ষমতা দান করেছিলেন। তাতে বোঝা যায়, জিন ও ইনসানের উপর তখনও তাঁর নবুওয়াত ও রেসালাত প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু সৃষ্টি জগতের অন্য সকল কিছুর উপরই তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। তারা সবাই রাসূল (সা)-এর উপর ঈমান এনেছিল এবং তাকে ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছিল। (ইব্ন ইসহাক)

রাসূল (সা)-এর নবুওয়াতের জীবনে পরবর্তীকালে এরুপ আরও বহু ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল।


★ হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে যখন মক্কায় ছিলাম, তখন একদিন তিনি আমাদের নিয়ে শহরের একদিকে গেলেন। তাঁর সামনে যে বৃক্ষ, টিলা বা পাথর পড়ত সেই তাঁকে ‘আস্সাললামু আলাইকুম ইয়া রাসূলুল্লাহ্’ বলত। আমি নিজে তা শুনতাম। (বায়হাকী ও তিবরানী)

★ আবূ নায়ীম কর্তৃক বণিত অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে- রাসূল (সা) ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’ বলে জওয়াব দিতেন। জিবরাঈল (আঃ) তাঁকে এ সালাম শিক্ষা দিয়েছিলেন। (খাসায়েসুল কোবরা)

তথ্যসূত্র
রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর জীবনে আল্লাহর কুদরত ও রুহানিয়াত (লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল গফুর হামিদী, প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)

'উম্মী' শব্দের অর্থ ও তাৎপর্যঃ


আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন-

اَلَّذِيْنَ يَتَّبِعُوْنَ الرَّسُوْلَ النَّبِىَّ الْاُمِّىَّ الَّذِيْنَ يَجِدُوْنَهُ مَكْتُوْبًا عِنْدَهُمْ فِىْ التَّوْرَاةِ وَالْاِنْجِيْلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ لَهُمْ الطَّيِّبَتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمْ الْخَبَائِثُ وَيَضَعُ عَنْهُمْ اِصْرَهُمْ وَالْاَغْلَلَ الَّتِىْ كَانَتْ عَلَيْهِمْ ط فَالَّذِيْنَ اَمَنُوْا بِهِ وَعَزَّرُوْهُ وَنَصَرُوْهُ وَاتَّبَعُو النُّوْرَ الَّذِيْنَ اُنْزِلَ مَعَهُ اُولَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُوْنَ
(১৫৭ سوره الاعراف: اية)

তরজমা: ওই সব লোক, যারা দাসত্ব করবে এ রসূল, পড়া বিহীন অদৃশ্যের সংবাদ দাতার যাকে লিপিবদ্ধ পাবে নিজের নিকট তাওরীত ও ইঞ্জীলের মধ্যে; আর পবিত্র বস্তু সমূহ তাদের জন্য হালাল করবেন এবং অপবিত্র বস্তুসমূহ তাদের উপর হারাম করবেন; এবং তাদের উপর থেকে ওই কঠিন কষ্টের বোঝা ও গলার শৃঙ্খল, যা তাদের উপর ছিলো, নামিয়ে অপসারিত করবেন। সুতরাং ওইসব লোক, যারা তাঁর উপর ঈমান এসেছে, তাকে সম্মান করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং ওই নূরের অনুসরণ করেছে, যা তাঁর সাথে অবতীর্ণ হয়েছে তারাই সফলকাম হয়েছে।
— সূরা আ’রাফ: আয়াত- ১৫৭, তরজমা কানযুল ঈমান

প্রথম অর্থঃ
আয়াতে হুযুর পাক (সঃ) কে উম্মী উপাধি দিয়ে আল্লাহ পাক সম্বোধন করেছেন । উম্মী শব্দের একাধিক অর্থ হতে পারে- এটা ‘উম্মুন’ দ্বারা শব্দের সাথে সম্পৃক্ত শব্দ। আরবীতে (উম্মুন) বলে মাকে, আসল বা মূলকে। অর্থাৎ এর অর্থ হচ্ছে মা-বিশিষ্ট নবী। দুনিয়ায় সব মানুষ মা-বিশিষ্টই হয়; কিন্তু যেমন ‘মা’ আল্লাহ্ তা‘আলা হুযূর-ই আকরামকে দান করেছেন, তেমন গোটা দুনিয়ায় কেউ পায়নি। হযরত মরিয়মও ‘মা’-ই ছিলেন। কিন্তু ‘নবীকুল সরদার’ যেমন বে-মেসাল (উপমাহীন), তাঁর আম্মাজানও তুলানাহীন (বে-মেসাল)। কবির ভাষায়-
وه كنوپارى اك مريم وه نَفَخْتُ فِيْهِ كادم هے عجب نشان اعظم مر امنه كا جايا وه هے سب سے افضل ايا
অর্থ: তিনি ওই পবিত্র কুমারী মরিয়ম, তিনি আল্লাহর তা‘আলার বাণী- ‘আমি তার মধ্যে রূহ ‘ফুৎকার করেছি’-এর প্রাণবায়ু বা সারতত্ব। তিনি এক বৃহত্তর নিদর্শনের আশ্চর্যজনক প্রকাশস্থল। (এতে কোন সন্দেহ নেই।) কিন্তু হযরত আমেনার মহান সন্তান (হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) হলেন সবার সেরা, সবার চেয়ে শ্রেষষ্ঠ হিসেবেচ এ ধরা বুকে তাশরীফ এনেছেন।
যে ঝিনুক নিজের পেটে মূল্যবান মুক্তা ধারণ করে, ওই ঝিনুকও মূলবান হয়ে যায়। যেই বরকতময়ী মা আপন পাক গর্ভাশয়ে ওই অদ্বিতীয় মুক্তাকে ধারণ করেন, তিনি কতই বরকত মণ্ডিত হবেন! (তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।)

দ্বিতীয় অর্থঃ
আরেক বৈশিষ্ট্য ‘পড়াবিহীন’। এর অর্থ হচ্ছে তিনি আপন মায়ের গর্ভাশয় থেকে সর্ববিষয়ে জ্ঞানবান হয়েই ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, দুনিয়ার কারো নিকট পড়ালেখা করেন নি, করতে হয়নি। কবি বলেন-
خاك وبراوج عرش منزل – امى وكتاب خانه در دل امى ودقيقه دان عالم – بے سايه وسائبان عالم
অর্থ: তিনি মাটির পৃথিবীতে সদয় অবস্থান করছেন, অথচ আরশের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন। তিনি ‘উম্মী’ (দুনিয়ার কোন ওস্তাদের নিকট পড়ালেখা করেননি, কিন্তু তাঁর পবিত্র নূরানী হৃদয়ে রয়েছে বিশালতম কিতাবখানা- (গ্রন্থালয়)
তিনি ‘উম্মী’ উপাধিধারী, অথচ বিশ্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে অবগত। তাঁর ছায়া ছিলো না, অথচ সেটা বিশ্বের জন্য বিশাল সামিয়ানা। হুযূর আকরামের ছায়া ছিলো না, কিন্তু সমগ্র দুনিয়ার উপর তাঁর ছায়া রয়েছে।

তৃতীয় অর্থঃ
‘উম্মী’ শব্দের তৃতীয় অর্থ- ‘উম্মুল কোরা’ (মক্কা মুকাররামাহ্)’য় সদয় অবস্থানকারী।

চতুর্থ অর্থঃ
এর চতুর্থ অর্থ- তিনি সমগ্র বিশ্বের মূল।
তথ্যসূত্র
mishukifti.wordpress.com

জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ সাহাবীর নামঃ





পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আল্লাহ তাআলা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করে বলেন : ‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে অগ্রবর্তী সাহাবীগণ এবং কল্যাণকর্মের মাধ্যমে তাদের অনুসারীগণের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।’ (আত-তাওবাহ ১০০)

সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুল (সা) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সব চাইতে নেক লোক যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’ অন্য বর্ণনায়, রাসুল (সা) বলেছেন: ‘সবচাইতে সেরা মানব আমার সাহাবাগণ।’

আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা তাদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবন মাজা : ১৬২)


তবে সাহাবাগণের মধ্যে এমন দশ সাহাবা রয়েছেন, যারা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবি বলে পরিচিত। আরবি আশারা শব্দের অর্থ দশ। আর মুবাশশারা শব্দের অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত। অর্থাৎ যারা দুনিয়ায় বেহেশেতের সুসংবাদ পেয়েছে তাদের আশারায়ে মুবাশশারা বা বেহেশেতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবি বলা হয়।

তাদের সম্পূর্ণ তালিকা হলো:
– হযরত আবূ বাকর সিদ্দীক (রা)
– হযরত উমার বিন খাত্তাব (রা)
– হযরত উসমান বিন আফফান (রা)
– হযরত আলী বিন আবি তালিব (রা)
– হযরত আবূ উবাইদাহ বিন জাররাহ (রা)
– হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা)
– হযরত আবদুর রহমান বিন আওফ (রা)
– হযরত যুবাইর বিন আওম (রা)
– হযরত তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা)
– হযরত সাঈদ বিন যায়দ (রা)।

এই দশজন সাহাবি সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তাদের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আবু বকর জান্নাতি, উমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলী জান্নাতি,তালহা জান্নাতি, যুবাইর জান্নাতি, আবদুর রহমান জান্নাতি, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, সাঈদ ইবনে যায়েদ জান্নাতি এবং আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা.)। -তিরমিজি

ইংরেজীতে বিস্তারিত পড়ুনঃ




→→ The narration pertaining to these ten companions is recorded by Ahmad (1/193) and At-Tirmithee (no. 3747) 
Abdur-Rahmaan Ibn ‘Awf (radiallahu anhu) 
narrated that the Prophet (salallahu alayhi wassalam) said:


أَبُو بَكْرٍ فِي الْجَنَّةِ وَعُمَرُ فِي الْجَنَّةِ وَعَلِيٌّ فِي الْجَنَّةِ وَعُثْمَانُ فِي الْجَنَّةِ وَطَلْحَةُ فِي الْجَنَّةِ وَالزُّبَيْرُ فِي الْجَنَّةِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فِي الْجَنَّةِ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فِي الْجَنَّةِ وَسَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ فِي الْجَنَّةِ وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فِي الْجَنَّةِ

Abu Bakr is in Paradise, ‘Umar is in Paradise, ‘Alee is in Paradise, ‘Uthmaan is in Paradise, Talhah is in Paradise, Az-Zubayr is in Paradise, ‘Abdur-Rahmaan Ibn ‘Awf is in Paradise, Sa’d Ibn Abee Waqqaas is in Paradise, Sa’eed Ibn Zayd Ibn ‘Amr Ibn Nufayl is in Paradise, and Abu ‘Ubaydah Ibn Al-Jarraah is in Paradise.

→→ It also has other supporting narrations by way of Sa’d Ibn Zaid (radiallahu anhu) from Ahmad (1/187-188) and At-Tirmithee (no. 3747).



→→ Al-Hakim narrated - declaring it sahih - from,
Ibn Mas`ud (radiallahu anhu) 
 who said the Prophet said: "A man from the dwellers of Paradise is about to come into your sight." Whereupon Abu Bakr came and sat among them.2 The Prophet had already given him the glad tidings of Paradise before that occasion. Meaning: When he said: "Abu Bakr is in Paradise, `Umar is in Paradise, `Uthman is in Paradise, `Ali is in Paradise, Talha is in Paradise, al-Zubayr [ibn al-`Awwam] is in Paradise, `Abd al-Rahman ibn `Awf is in Paradise, Sa`d [ibn Abi Waqqas], Sa`id [ibn Zayd ibn `Amr] is in Paradise, and Abu `Ubayda ibn al-Jarrah is in Paradise."



(Narrated from `Abd al-Rahman ibn `Awf and Sa`id ibn Zayd in the Sunan and Ahmad in his Masnad).


→→ Abu Daoud in his book , narrates from ,
Saeed bin Zaid (ra) said: 
I bear witness, I heard the messenger of Allah (s) say: Ten are in Paradise: The prophet is in Paradise, Abu Bakr in Paradise, Talha in Paradise, Omar in Paradise, 'Uthman in Paradise, Saad bin Malik in Paradise, and AbdulRahman bin `Awf in Paradise. If you wish I could tell you the tenth? He said. They said: Who is he? He said: Saeed bin Zaid."

1. Abu Bakr in Paradise,

2. Talha in Paradise,

3. Omar in Paradise,

4. 'Uthman in Paradise,

5. Saad bin Malik in Paradise, and

6. AbdulRahman bin `Awf in Paradise.

7. Saeed bin Zaid."

→→ al-Tirmithi in his book under #3747, narrates from,
Abdur-Rahmaan Ibn ‘Awf (radiallahu anhu) 
The prophet (s) said: Abu Bakr in Paradise, Omar in Paradise, 'Uthman in Paradise, Ali in Paradise, Talha in Paradise, al- Zubair (bin al-'Awwam) in Paradise, AbdulRahman bin `Awf in Paradise, Saad (bin Abi Waqqass) in Paradise, Saeed (bin Zaid), and abu 'Ubaida bin al- Jarrah in Paradise." 


1. Abu Bakr in Paradise,

2. Omar in Paradise,

3. 'Uthman in Paradise,

4. Ali in Paradise,

5. Talha in Paradise,

6. al- Zubair (bin al-'Awwam) in Paradise,

7. AbdulRahman bin `Awf in Paradise,

8. Saad (bin Abi Waqqass) in Paradise,

9. Saeed (bin Zaid), and

10. abu 'Ubaida bin al- Jarrah in Paradise."


→→ al-Tirmithi , under #3748, narration by "

Saeed bin Zaid (ra) said: 
that the prophet (s) said in a number of people, ten are in Paradise: Abu Bakr in Paradise, Omar in Paradise, 'Uthman, Ali, al-Zubair, Talha, AbdulRahman, Abu 'Ubaida, and Saad bin Abi Waqqass. He counted these nine and was quite about the tenth. They said: By Allah, abu-alAawar (i.e. Saeed), who is the tenth? He said: You swore by Allah - abu-alAawar is in Paradise." al-Tirmithi commented that abu-alAawar is Saeed bin Zaid bin Amr bin Nawfal.


1. Abu Bakr in Paradise,

2. Omar in Paradise,

3. 'Uthman,

4. Ali,

5. al-Zubair,

6. Talha,

7. AbdulRahman,

8. Abu 'Ubaida,

9. and Saad bin Abi Waqqass.

10. abu-alAawar -> Saeed bin Zaid bin Amr bin Nawfal.








Thursday, February 18, 2016

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানাযাঃ



ইবনে মাজাহ শরিফে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, মঙ্গলবার সাহাবায়ে কেরাম রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম.-এর গোসল ও কাফনের কাজ শেষ করেন। নবীজির দেহ মোবারক রওজার পাশে রাখেন। সাহাবারা দল দলে নবীজির কাছে আসতে থাকেন। কারও ইমামতিতে নয়; সবাই একা একা নামাজ ও দুরুদ শেষে বেরিয়ে যান। ইবনে মাজাহ


অন্য কিতাবে আছে, রাসুল সা.-এর ইন্তেকাল এক আগে সাহাবিরা নবীজির দরবারে আসলেন। সাহাবাদের দেখে নবীজির চোখে বেদনার জল। নবীজি বললেন, আমি তোমাদের আল্লাহর কাছে সোপর্দ করছি, আল্লাহ তোমাদের সঙ্গী হবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম.! আপনার যাওয়ার সময় খুব নিকটে চলে এসেছে, আপনার ইন্তেকালের পর আপনাকে কে গোসল দিবে? রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম. বললেন, আমার আহলে বাইত মানে আমার পরিবারের সদস্যরা।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ আবার জানতে চাইলেন, কে আপনাকে কাফন পরাবে? রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আআলাইহী ওয়া সাল্লাম. বললেন, আমার আহলে বাইত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ আবার জানতে চাইলেন কে আপনাকে কবরে নামাবে? রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম. বললেন, আমার আহলে বাইত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ আবার জানতে চাইলেন কে আপনার জানাজা কে পড়াবে? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম-এর চোখ বেয়ে বেদনার জল নেমে এলো। তিনি বললেন, তোমাদের নাবীর জানাজা এমন হবে না, যেমন তোমাদের হয়। যখন আমার গোসল হয়ে যাবে তখন তোমরা সবাই ঘর থেকে বের হয়ে যাবে। সবার আগে জিবরাইল আমার জানাজা পড়বে। তারপর মিকাঈল ও ইস্রাফিল ধারাবাহিকভাবে আরশের অন্যান্য ফেরেশতারা আসবে ও আমার জানাজা পড়বে। তারপরে তোমাদের পুরুষরা, নারীরা এবং শিশুরা আমার জন্য দোয়া ও সালাম পড়বে। অতঃপর তোমরা আমাকে আল্লাহর সোপর্দ করে দিবে। আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া-৫/২২২, দালায়েলুন নবুয়্যাহ লিল বায়হাককি।



নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওওয়া সদসাল্লাম এর জানাজা বিষয়ে আরো দীর্ঘ হাদিস পাওয়া যায় তিরিমিজি শরিফে। সাহাবি হজরত সালেম বিন ওবায়েদ রা. বলেন, আমি প্রথমে হজরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কে রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর ইন্তেকালের সংবাদ দিই। তখন আবু বকর সিদ্দিক রা. আমাকে বললেন, তুমি আমার সঙ্গে ভেতরে আসো। সাহাবি হজরত সালেম বিন ওবায়েদ রা. বলেন, হজরত আবু বকর রা. যখন আকা সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম নিকট যেতে চাইলেন, তখন চারপাশে মানুষের প্রচন্ড- ভিড়। হজরত আবু বকর রা. লোকদের বললেন, তোমরা আমাকে সামান্য রাস্তা দাও! লোকেরা ভেতরে যাওয়ার পথ করে দিল! তিনি ভেতরে গেলেন, মাথা নুইয়ে কাছে গিয়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম. কে দেখলেন। নবীজির পবিত্র কপালে হজরত আবু বকর রা. চুমু খেলেন। তারপর কোরআনের আয়াত পড়লেন, যার অর্থ হলো, নিশ্চয় তুমিও ইন্তেকাল করবে এবং তারাও ইন্তেকাল করবে।

হজরত আবু বকর রা. বেরিয়ে এলে; লোকেরা জানতে চাইলেন, ওগো নবীজির বন্ধু! নবীজি কি ইন্তেকাল করেছেন? হজরত আবু বকর রা. বললেন, হ্যা। তখন লোকেরা নবীজির ইন্তেকালের খবর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করলো । তারপর সাহাবায়ে কেরাম হজরত আবু বকর রা. কে জিজ্ঞেস করলেন, ওগো নবীজির বন্ধু! নবীজির কি জানাজার নামাজ পড়া হবে? তিনি বললেন, হ্যা। জিজ্ঞাসা করা হল, কিভাবে? হজরত আবু বকর রা. বললেন, এভাবে যে, এক এক জামাত নবীজির ঘরে প্রবেশ করবে এবং জানাজা পড়ে বেরিয়ে আসবে। তারপর অন্য জামাত প্রবেশ করবে। সাহাবারা হজরত আবু বকর রা. কে জিজ্ঞাসা করলেন, নবীজিকে কি দাফন করা হবে? তিনি বললেন, জি।

জিজ্ঞাসা করা হল, কোথায়? তিনি বললেন, যেখানে আল্লাহ তায়ালা নবীজির রূহ কবজ করেছেন সেখানেই। কেননা, আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় নবীজিকে এমন স্থানে মৃত্যু দান করেছেন যে স্থানটি উত্তম ও পবিত্র। সাহাবারা দৃঢ়ভাবে মেনে নিলেন হজরত আবু বকর রা.-এর কথা। হজরত আবু বকর রা. নিজেই নবীজির আহলে বায়াত তথা রাসুলের পরিবার ও বংশের মানুষদের ডেকে গোসল নির্দেশ দেন। সূত্র : শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৯, ৩৯৭, শরফুল মুস্তফা, বর্ণনা নং-৮৫০, আল আনওয়ার ফি শামায়িলিন নাবিয়্যিল মুখতার, বর্ণনা নং-১২০৯

ইমাম শাফি রহ. এবং কাজি ইয়াজ রা. বলেন, নবীজি সা.-এর জানাজা পড়া হয়েছে। কিতাবুল উম্মু/ সিরাতে মস্তুফা/৩য় খ-: ২৩৫
পুনশ্চ : নবীজির জানাজা হয়েছে। সাহাবারা একা একা পড়েছেন। কেউ ইমামতি করেননি। তবে তাবাকাতে ইবনে সাদের বরাতে বলা হয়, হজরত আবু বকর ও ওমর রা. এক সঙ্গে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম.-এর ঘরে উপস্থিত হন। নবীজির দেহ মোবরক সামনে রেখে নামাজ-সালাম ও দুরুদ পেশ করেন। দীর্ঘ দোয়ার সময় পেছনে সারিবদ্ধ সাহাবিরা আমিন আমিন বলেছেন।


Friday, February 5, 2016

অশ্লীল হিজাবধারী নারীদের উদ্দেশ্যে নুরনবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হুঁশিয়ারিঃ






→→© আবূ হুরায়ররা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, একটি হাদিসে বিশ্বনবী (সা.) কড়া ভাবে বলেছেন, ‘জাহান্নামবাসী দুটি দল রয়েছে। যাদেরকে আমি এখনো দেখিনি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে।

আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে। তারা অন্যদের তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে। তাদের মস্তক উটের পিঠের কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।’ [মুসলিম : ২১২৮]

Monday, February 1, 2016

আল-হাদিস ও বিজ্ঞানঃ


MEDICAL science is totally impossible without research the holy AL-QURAN & HADITH :

.............



মুমিনদের মৃত্যুর পর তাদের রূহ আসমানে চলে যায় এবং শরীর মাটিতে খেয়ে নেয়। তবে নবীগন ও অলীগন ওনাদের কবরে জীবিত অবস্থায় আছেন।

★ রাসূল (ছাঃ) বলেন,
আদমের সকল সন্তানকে মাটিতে খেয়ে নিবে শুধু তার মেরুদন্ডের সর্বনিম্ন হাড্ডি (عَجْبُ الذَّنَبِ) ব্যতীত। কারণ তা থেকেই তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তা থেকেই তাদের দেহ পুনর্গঠন করা হবে।’
(মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫২১)

আল-কোরআনে বর্নিত শব্দ সমুহই পবিত্র কুরআনের সত্যতার এক মহা নিদর্শনঃ


কুরআনেঃ-

১.পুরুষ শব্দটা এসেছে ২৪ বার, নারী শব্দটা এসেছে ২৪ বার

২.আদেশ শব্দটা এসেছে ১০০০ বার, নিষেধ শব্দটা এসেছে ১০০০ বার

৩.হালাল শব্দটা এসেছে ২৫০ বার, হারাম শব্দটা এসেছে ২৫০ বার

৪.জান্নাত শব্দটা এসেছে ১০০০ বার, জাহান্নাম শব্দটা এসেছে ১০০০ বার

৫.দুনিয়া শব্দটা এসেছে ১১৫ বার, আখিরাত শব্দটা এসেছে ১১৫ বার

৬.ফেরেশতা শব্দটা এসেছে ৮৮ বার,শয়তান শব্দটা এসেছে ৮৮ বার

৭.জীবন শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার, মৃত্যু শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার

৮. উপকার শব্দটা এসেছে ৫০ বার, ক্ষতিকর শব্দটা এসেছে ৫০ বার

৯.মানুষ শব্দটা এসেছে ৩৬৮ বার, রাসূল শব্দটা এসেছে ৩৬৮ বার

১০.যাকাত শব্দটা এসেছে ৩২ বার, বরকত শব্দটা এসেছে ৩২ বার

১১.জিহ্বা শব্দটা এসেছে ২৫ বার, উত্তম বাক্য শব্দটা এসেছে ২৫ বার

১২.মাস শব্দটা এসেছে ১২ বার, দিন শব্দটা এসেছে ৩৬৫ বার

অতএব, এটা নির্দিধায় বলা যায় যে, মহাগ্রন্থ আল কুরআন কোন মানুষের বানানো নয় বরং এটা মহান স্রষ্টা আল্লাহরাব্বুলআলামীনের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। মুক্তির পথ।

শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

আল-কোরআন ও বিজ্ঞানঃ





মানব ও জীব সৃষ্টিতত্ত্বঃ

পানি থেকে জীব সৃষ্টিঃ

★ মানুষ সৃষ্টি পানি দিয়ে।[সুরা ফুরকান;৫৪]-
আধুনিক বিজ্ঞান এটার সাথে একমত ।

★ আল্লাহ সমস্ত জীব-জন্তু সৃষ্টি করেছেন পানি দিয়ে।[সুরা নুর;৪৫]-বিজ্ঞান ও এই কথাই বলছে।


★ সুরা আম্বিয়া (২১) ৩০ নং আয়াত – প্রানবান সবকিছু সৃস্টি করলাম পানি হতে তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না? 

মানুষের সৃষ্টি (A) 

★ সুরা মোমেনুন (২৩) ১২ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন – আমি তো মানুষকে সৃস্টি করেছি মৃত্তিকার মুল উপাদন থেকে। 

★ সুরা সাজদাহ (৩২) ৭,৮ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন – যিনি তার সকল কিছু সৃজন করেছেন উত্তম রুপে এবং কাদা মাটি হতে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।অতঃপর তার বংশ উৎপন্ন করেছেন তুচ্ছ তরল পর্দাথের নির্যাস থেকে। 

★ সুরা সোয়াদ (৩৮)৭১ নং আয়াত- আল্লাহ বলেছেন – আমি মানুষকে সৃস্টি করেছি মাটি হতে । 

★ সুরা ফুরকান (২৫) ৫৪ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন -আমি তোমাদের সৃস্টি করেছি পানি হতে। 

মানুষের সৃস্টি মাটি ও পানি হতে এবং আল্লাহই সৃস্টি করেছেন। 

_____



★ ভ্রুন দেখতে জোঁকের মত। [সুরা আলাক;১-২]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত । প্রফেসর কিথমুর এটি প্রমান করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “এটি আমার বলতে কোন আপত্তি নেই যে এই কোরআন আল্লাহর বানী এবং নবী মুহাম্মাদ আল্লার রাসুল”(সাঃ)

★ মানুষকে ৩টি স্তরে সৃষ্টি করা হয়েছে।[সুরা জুমার;৬]
মেডিকেল সায়েন্স বলছে ভ্রুন মায়ের পেটে ৩টি স্তরে আস্তে আস্তে বড় হয় ।

★ ভ্রুন ১১ ও ১২তম পাজরের হাড়ের মধ্যে থেকে বড় হয়।[সুরা তারিক;৫-৭]
মেডিকেল সায়েন্সে এটা প্রমানিত ।

★ নঘন্য পরিমান মিশ্র শুক্রানো থেকে সৃষ্টি হয় মানুষ।[সুরা সাজদাহ;৮]-
মেডিকেল সায়েন্সের মতে বলে শুক্রানোর কিছু অংশ থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়।



মানুষের সৃস্টি (B) 

বিবর্তন প্রাকৃতিক নির্বাচন ও পরিব্যক্তি এই দুই মৌলিক এিয়ার দ্বারা ঘটে বিবর্তনের জন্য গভীরতা বাড়তে বাড়তে এক পর্যায় জড় বস্তু থেকে জৈব বস্তু DNA (অনু) থেকে এক কোষী প্রানী ,আসতে আসতে জটিলতর প্রানী এবং এক পর্যায় মানুষ প্রানীর মাঝে আত্নসচেতনতার উদ্ভব হয়। 

আমার প্রশ্ন হল আল্লাহ আমাদের সৃস্টি না করলে ,এই ভাবে মানুষ এখন কেন সৃস্টি হইনা ? 

science কি theory তে বিশ্বাসী ?science তো fact এ বিশ্বাসী। evolution তো একটা theory !বই এর নামই হলো Charles Darwin Theory of Evolution ।Charles Darwin – the origin of peaches বইটি কি পড়েন নি? Charles Darwin একটি চিঠি পাঠালেন JOHN HERSCHEL এর কাছে ১৮৬১ সালে তিনি লিখেছেন আমি বিশ্বাস করি না Theory of Evolution কারন আমার কাছে কোন প্রুফ নেই।আমি এইটাকে শুধু মাএ বিশ্বাস করি এই কারনে- এইটা আমাকে সাহায্য করে classification of embryology,morphology 
(নিস্চয় ভাল কাজ মোমিন মানুষের লক্ষন।এইগুলো মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে কিছু সওয়াবের অধিকারি হন।দয়া করে পেজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ভাই ও বোনেরা ধন্যবাদ )


★ ভ্রন তত্ব
নিয়ে বিজ্ঞান আজ
জেনেছে পুরুষই ( শিশু
ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে)
তা নির্ধারণ করে।

ভাবা যায়... কুরআন এই
কথা জানিয়েছে ১৪০০
বছর আগে।
( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬
নং আয়াত,
সূরা কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯
নং আয়াত)

★ একটি শিশু যখন
গর্ভে থাকে তখন
সে আগে কানে শোনার
যোগ্যতা পায় তারপর পায়
চোখে দেখার।

ভাবা যায়?
১৪০০ বছর আগের এক
পৃথিবীতে ভ্রুনের
বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন
বিস্তর
আলোচনা করে।
যা আজ
প্রমাণিত !
( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ ,
৭৬ এবং সূরা ইনসান
আয়াত নং ২ )

★ সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪
নং আয়াতে ১৪০০ বছর
আগেই
জানানো হয়েছে;
মানুষের আঙ্গুলের
ছাপ
দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব।

যা আজ
প্রমাণিত।

______



পৃথিবী, মহাকাশ ও নক্ষত্র সৃষ্টিতত্ত্বঃ


★ পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।[সুরা নাযিয়াত;৩০]
আজকের আধুনিক বিজ্ঞান বলছে পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার না, বরং একটু চাপট (কমলালেবুর মত) আর উট পাখির ডিমও কমলালেবুর মত। অর্থাৎ,পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত।

★ মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল।[ সুরা যারিয়াত;৪৭]-
বিজ্ঞানীরা একমত । এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নায় ।

★ আমি(আল্লাহ্) আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ। [সুরা আম্বিয়া;৩২]-
বিজ্ঞান আমাদের বলছে বায়ুমন্ডল এর ওজন স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীকে সুরক্ষন করে। কোরানে এই ওজন স্তর এর কথা বলছে।

★ সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরণ করে।[সুরা আম্বিয়া;৩৪]-
বিজ্ঞান কিছু বছর আগেও মনে করত সূর্য স্থির,কিন্তু মডার্ন সায়েন্স বলছে সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরণ করে, যা কোরআন প্রায় ১৪০০ বছর আগেই বলেছে।

★ সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবর্তন করে।[সুরা রদ/ রাদ;০২]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত।

★ আল্লাহ্ বায়ু প্রেরন করেন,ফলে তা মেঘমালাকে সঞ্চালিত
করে।[সুরা রুম;৪৮]
-বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত।



★‘ বিগ ব্যাং’
থিওরি আবিষ্কার
হয়
মাত্র চল্লিশ বছর আগে।

সূরা আম্বিয়া ৩০
নং আয়াতে কুরআনে এই
কথা বলা হয়েছে প্রায়
১৪০০ বছর আগে।

★ পৃথিবীতে রাত
এবং দিন বাড়া এবং কমার
রহস্য
মানুষ জেনেছে দুশ
বছর আগে।

সূরা লুকমানের ২৯
নং আয়াতে কুরআন এই
কথা জানিয়ে গেছে প্রায়
দেড় হাজার
বছর আগে !!


★ চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো। [সুরা ফুরকান;৬১]-
বর্ত মান বিজ্ঞান এর সাথে একমত। চাঁদের আলো ধার করা ।




পাহাড় গুলোর জন্য ভুমিকম্প হয় নাঃ

সুরা নাবা (৭৮) ৬,৭ নং আয়াত – আমি কি পৃথিবীকে বিছানা বানিয়ে দিয়নি ,পাহাড় সুমহকে পেরেক রুপে গেড়ে দিয়নি?

সুরা লোকমান ১০ নং আয়াত – আমি পৃথিবীতে পাহাড় সুমহকে স্হাপন করেছি ,যাতে তা পৃথিবীকে স্হির রাখে আর যাতে তোমাদের দোলা না দেয়।

প্রতিটি উদ্ভিদের male & female আছে

সুরা তাহা (২০) ৫৩ নং আয়াত – তারপর বৃষ্টির পানি দিয়ে জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন রকমের উদ্ভিদ বের করে আনি।

সুরা রাদ (১৩) ৩ নং আয়াত – প্রত্যেক ফল-মুল সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।


পানি বিজ্ঞানঃ

★ পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান
জেনেছে বেশি দিন
হয়
নি...

সূরা যুমার ২১
নং আয়াতে কুরআন এই
কথা বলেছে প্রায়
১৪০০
বছর আগে।


★ বিজ্ঞান এই
সেদিন জেনেছে লবণাক্ত
পানি ও
মিষ্টি পানি একসাথে মিশ্রিত
হয় না।

সূরা ফুরকানের ৫৩
নং আয়াতে কুরআন এই
কথা বলেছে প্রায়
১৪০০
বছর আগে।

শরীর ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ

★ ইসলাম
আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত
করেছে;
বিজ্ঞান এখন
বলছে ডান
দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট
সব থেকে ভাল থাকে।


★ ইসলাম মদ
পানকে হারাম
করেছে ,
চিকিৎসা বিজ্ঞান
বলছে মদ পান
লিভারের জন্য ক্ষতিকর।

★ ইসলাম শুকরের
মাংসকে হারাম
করেছে।

বিজ্ঞান
আজ
বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের
জন্য খুবই
ক্ষতিকর।


★ রক্ত পরিসঞ্চালন
এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের
চিকিৎসা বিজ্ঞান
জেনেছে মাত্র
কয়েক বছর আগে।

সূরা মুমিনূনের ২১
নং আয়াতে কুরআন এই
বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে।

পোকা-মাকড়/ কীট-পতংগ বিদ্যাঃ

★ বিজ্ঞান এখন
আমাদের
জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত
দেহ কবর দেয়,
এদের বাজার পদ্ধতি আছে।

কুরআনের
সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮
নং আয়াতে এই
বিষয়ে ধারণা দেয়।


পরমানু বিজ্ঞানঃ



পরমানুর ক্ষুদ্র কনা রয়েছে।[সুরা সাবা;৩]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত । ক্ষুদ্র কনা গুলো হল ইলেকট্রন,প্রোটন ,নিউট্রন।
পবিত্র কোরানে এরকম বহু আয়াত আছে ।
উপরের তথ্যগুলো বিজ্ঞান মাত্র ২০০-৩০০ বছর আগে প্রমান করেছে কিন্তু কোরআনে তা লিখা হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। যেহেতু ১৪০০ বছর আগে কোন মানুষ
এসব তথ্য জানতো না সেহেতু কোন মানুষের পক্ষে এসব লিখা সম্ভব না ।
কোরআন মানব রচিত কোন গ্রন্থ নয় । এই কোরআন আমাদের স্রষ্টার বানী যিনি এই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।তার পরও যারা কোরানকে আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করে না তাদের ক্ষেত্রে আমি কোরআনের এই আয়াতটা বলবোঃ
“তারা অন্ধ তারা বধির,তারা দেখেও দেখে না শুনেও শুনে না”