Sunday, November 29, 2015

ইসলামের বৈজ্ঞানিক নিদর্শনঃ হাসি কান্নার গুরুত্ব ও উপকারীতা -



আল-কোরআন এ আল্লাহর নিদর্শন ও নাস্তিকদের জবাবঃ

  • আপনি কি দেখেন না যে, 
→ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তারা এবং উড়ন্ত পক্ষীকুল তাদের পাখা বিস্তার করতঃ আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই তার যোগ্য ইবাদত এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি জানে। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। 


→ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আপনি কি দেখেন না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন; অতঃপর আপনি দেখেন যে, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। 


→ তিনি আকাশস্থিত শিলাস্তূপ থেকে শিলাবর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন। 

→ তার বিদ্যুৎ ঝলক (বজ্রপাত)দৃষ্টিশক্তিকে যেন বিলীন করে দিতে চায়। 


→ আল্লাহ দিন-রাত্রির পরিবর্তন ঘটান। 

এতে অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্নগণের জন্য চিন্তার উপকরণ (নিদর্শন) রয়েছে।


→ আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক বুকে ভর দিয়ে চলে (স
রীশৃপ), 
কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে (দ্বিপদী)
  এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে (চতুষ্পদী)।

আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু করতে সক্ষম। আমিও সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালনা করেন।’

(নূর ২৪/৪১-৪৬)


  • আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, 
أَلَمْ يَرَوْاْ إِلَى الطَّيْرِ مُسَخَّرَاتٍ فِيْ جَوِّ السَّمَاءِ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلاَّ اللهُ إِنَّ فِيْ ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُوْنَ- 

তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের  অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে।
আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না। নিশ্চয়ই এতে বিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।’

 (নাহল ১৬/৭৯)


কান্নার উপকারীতাঃ

১) সারা দিনের ধুলো-বালি চোখের খুব ক্ষতি করে। চোখের জল সেগুলো চোখের বাহ্যিক তল থেকে ধুয়ে বের করে দেয়।

২) পাশাপাশি আইবল, চোখের পাতাকে মসৃন রাখে।

৩) চোখের মিউকাস মেমব্রেনের ডিহাইড্রেশন রোধ করে। দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে।

৪) চোখের জলে অনেক বেশি মাত্রায় লাইসোজোম উপস্থিত। লাইসোজোম জীবানুনাশক। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই চোখের ৯০ শতাংশ ব্যাকটিরিয়া মেরে ফেলে।

৫) অবসাদ থেকে মুক্তি তো দেয়ই। অবসাদের সঙ্গে দেহে উৎপন্ন টক্সিনও বের হয়ে যায় কাঁদলে।

৬) কাঁদলে ‘ফিল গুড’ ফ্যাক্টর এন্ডরফিনস্‌ তৈরি হয়। মুড তরতাজা রাখতে যার জুরি মেলা ভার।

এ বার যদি কাঁদলে কেউ আপনাকে বলে ‘ডোনট ক্রাই, বি ব্রেভ’ বলে, আর কি শুনবেন তাঁর কথা? না কি উল্টে তাঁকেই বলবেন একটু কেঁদে নিতে!


হাসি -কান্নার গুতুত্বঃ


হাসি এবং কান্না দুটোই মানুষের আবেগতাড়িত বিষয় এবং দুটোই স্নায়ুতন্ত্রের সাথে জড়িত। আমরা যখন অনেক বেশি আনন্দ পাই তখন হাসি অঅর যখন অনক বেশি কষ্ট পাই তখন কাঁদি। তবে হাসি ও কান্নাকে কখনই দমিয়ে রাখা উচিত না। কান্না বা হাসি চাপিয়ে রাখলে শরীর ও মনে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি হাসতে ইচ্ছা করে তবে প্রাণখুলে হাসুন এবং কাঁদতে ইচ্ছা করলে মন ভরে কাঁদুন। খেয়াল করে দেখবেন যারা কান্নাকে দমিয়ে রাখেন তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসি এবং কান্নার সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কিছু উপকারিতা আছে যা আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে।

রক্তচাপ কমাতে ও শরীর ভালো রাখতে হাসি-কান্নাঃ

আমরা সবাই জানি যে হাসি আমাদের টেনশন কমায়, শরীর ভালো রাখে বিশেষ করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে হাসি । বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, হাসির রয়েছে নানারকম শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা। হাসি শরীরে রক্তের প্রবাহ ও অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তের চাপ কমায় ফলে হৃদরোগের আশংকা অনেকটা হ্রাস পায়। আপনি কি জানেন কান্নাও একই কাজ করে! মনোবিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, মানসিক চাপ কমাতে, কর্মদক্ষতা বাড়াতে ও শারীরিক ভাবে ফিট থাকতে হাসির পাশাপাশি কান্নাকাটিরও সমান ভূমিকা রয়েছ। আরো মজার তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা, আমাদের মস্তিষ্কের একই জায়গা থেকে কান্না ও হাসির অনুভূতি আসে। হাসি যেভাবে রক্তচাপ কমিয়ে শরীরকে সুস্থ্ রাখে, কান্নাও তাই করে।

মানসিক চাপ কমাতে হাসুন ও কাঁদুনঃ

মানসিক চাপ ভারসাম্য নষ্ট করে আর কান্না মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে। কান্না মানুষের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে রিলিজ দিয়ে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। আর আপনি যদি প্রচন্ড দুঃখের সময় বা মন খারাপ হলে কান্না চাপিয়ে রাখেন তাহলে তা আপনার মানসিক ভারসাম্যকে বিপর্যস্থ করে এমনকি শরীরের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
আর হাসির কথা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিয়ে সকল মানসিক স্ট্রেস বা উদ্বেগ নিমিষে কমিয়ে দিতে প্রাণখোলা হাসির জুড়ি নেই। দুশ্চিন্তামুক্ত ভালো মন যে কোনো রোগের মহাষৌধ। আর মনকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে হলে বেশি করে হাসুন। প্রাণ মন উজাড় করে হাসুন, উচ্চস্বরে হাসুন। দেখবেন আপনার মন কেমন পল্কার মতো হালকা লাগছে।

ওষুধের পরিবর্তে হাসিঃ

জার্মান লাফটার থেরাপিস্টের প্রধান মিশেল শেফনার জানান, “মস্তিষ্ক সচল রাখতে হাসির অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে কারণ যখন কেউ উচ্চস্বরে হাসে তখন তাঁর মস্তিষ্কে নানা উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় যা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের স্বাভাবিকতা ধরে রাখে।“ শুধু তাই নয়, ডা. রেমন্ড মুদিও অনেকটা একই কথা বলেন। তিনি তাঁর ‘লাফ আফটার লাফ : দি হিলিং পাওয়ার অভ হিউমার’ গ্রন্থে লিখেছেন, “হাসির সাথে শরীরের স্বাস্থ্যগত অবস্থার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যে, হাসির সময় পেশীর টান অনেকটা আলগা হয়ে যায়। তাই দম ফাটানো হাসি পেশীর ব্যথা নিমেষে দূর করে দিতে পারে।“
হাসির নিরাময় ক্ষমতার বিস্মিত সত্যটি উপলব্ধি করে এখন অনেক চিকিৎসকরাই ওষুধের পরিবর্তে হাসতে উৎসাহিত করেন। এরকমই একটি পদ্ধতির কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি তা হচ্ছে লাফটার থেরাপি। এই থেরাপিতে রোগীকে উচ্চস্বরে চিৎকার করে হাসতে হয়, এই উচ্চস্বরে হাসির মাধ্যমেই তাঁর পেশী সক্রিয় হয়, হার্ট রেট বেড়ে যায় এবং ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে।


দুঃখ বেদনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে কাঁদুনঃ

আমাদের মনের আবেগ প্রকাশের একটি প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে কান্না। যখন আমাদের মন দুঃখিত থাকে তখন আমরা বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হই। আস্তে আস্তে এই বিষণ্ণতা হতাশায় পরিবর্তিত হয়, তারপর তা মনের চাপ বাড়িয়ে মাথা ব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। এই দুঃখ বেদনার ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠার জন্য তাই প্রয়োজন কান্নার। এই বিষয়ে আরেকটু পরিষ্কার ধারণা দেয়ার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বায়োকেমিস্ট ডা. উইলিয়াম ফ্রাইয়ের কথা তুলে ধরতে পারি। তিনি বলেন যে, “দুঃখ, বেদনা, মানসিক আঘাত দেহে টক্সিন বা বিষাক্ত অণু সৃষ্টি করে আর কান্না এই বিষাক্ত অণুগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয়। এ কারণেই দুঃখ ভারাক্রান্ত ব্যক্তি ভালভাবে কাঁদতে পারলে নিজেকে অনেক হালকা মনে করে।“
তাই কাঁদার সময়ও মন খুলে কাঁদুন। দরকার হলে হাউমাউ করে বা ফুঁপিয়ে কাঁদুন। অন্যের সামনে কাঁদতে অস্বস্তি হলে বাথরুমে যেয়ে পানির কলটি ছেড়ে দিয়ে বা মিউজিক ছেড়ে দিয়ে কাঁদুন, কিন্তু কাঁদুন। মনের কষ্ট কখনো মনে পুষে রাখবেন না। কান্নার মাধ্যমে আপনি আপনার মনের যতো জমানো কষ্ট, ক্ষোভ, রাগ, হতাশা, ব্যাথা-বেদনা আছে তা বের করে দিন। কান্নার ফলে আপনি আবার সহজ হয়ে নিজের মধ্যে নতুন শক্তি পাবেন আরেকবার এগিয়ে চলার।





Saturday, November 28, 2015

নবীগন ও অলীগন ইন্তেকালের পরও জীবিত থাকেনঃ

সহিহ হাদিস থেকেঃ




1→


হযরত আনাস রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

الأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّون.

‘নবীগণ কবরে জীবিত, নামায আদায় করেন’।
★ মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৩৪২৫; 
★ হায়াতুল আম্বিয়া লিল বাইহাকী, হাদীস ১-৪

যারা এ বর্ণনাকে সহীহ বলেছেন:
১. ইমাম বাইহাকী রাহ. (হায়াতুল আম্বিয়া, পৃ. ৫)
২. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (ফাতহুল বারী  ৬/৬০৫)
৩. হাফেজ ইবনুল মুলাক্কিন রাহ. (আল-বাদরুল মুনীর ৫/২৮৫)
৪. হাফেজ নূরুদ্দীন হাইসামী রাহ. [এর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত] (মাজমাউয যাওয়াইদ, ৮/২১১, হাদীস ১৩৮১২)
৫. আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহ. (ইম্বাউল আযকিয়া বিহায়াতিল আম্বিয়া, আল-হাবী, পৃ. ৫৫৫)
৬. আল্লামা মুনাবী রাহ. (ফায়জুল কাদীর, হাদীস ৩০৮৯)
৭. শাওকানী রাহ. (তুহফাতুয যাকিরীন পৃ. ২৮; নাইলুল আউতার, ৩/২৪৭)
৮. শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীঃ সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ৬২১;  
৯. আলবানীঃ সহীহুল জামিইস সাগীর; 
১০. আলবানীঃ আলজানাইয; 
১১. আলবানীঃ আত-তাওয়াসসুল।


2→


হযরত আউস ইবনে আউস রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

إِنَّ مِن ْأَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ قُبِضَ، وَفِيهِ النَّفْخَةُ، وَفِيهِ الصَّعْقَةُ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ" قَالَ: قَالُوا: يَارَسُولَ اللَّهِ، وَكَيْف َتُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ؟ يَقُولُونَ: بَلِيتَ، فَقَالَ: "إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ".

‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি হল জুমার দিন। এ দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনেই শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে, আর এ দিনেই সকল প্রাণী মৃত্যুবরণ করবে। সুতরাং এ দিনে তোমরা আমার উপর বেশি করে ছালাত ও সালাম পাঠাও। তোমাদের ছালাত আমার কাছে পেশ করা হবে। সাহাবাগণ বললেন, আমাদের ছালাত আপনার কাছে কীভাবে পেশ করা হবে, তখন যে আপনি (মাটির সাথে মিশে) ক্ষয়প্রাপ্ত (নিঃশেষিত) হয়ে যাবেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীগণের দেহ খাওয়াকে হারাম করে দিয়েছেন’। (৯)
অর্থাৎ কবরে নবীগণের দেহ দুনিয়ায় জীবিত মানুষের মতই অক্ষত থাকে। এর সাথে রূহের গভীর সম্পর্কও থাকে। ফলে কবরে থেকেও সালাত ও সালাম পাওয়াতে কোনো অসুবিধা হবে না। 

★ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৪৭; 
★ সহীহ ইবনে খুযাইমা,  ৩/১১৮ হাদীস ১৭৩৩; 
★ মুসতাদরাকে হাকেম, ১/২৭৮, হাদীস ১০২৯; 
★ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬১৬২
হাদীসটিকে যারা সহীহ বলেছেন
১. ইমাম হাকেম নিশাপুরী রাহ. বলেন, হাদীসটি বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১০২৯)
২. ইমাম যাহাবী রাহ. হাকেমের সমর্থন করেছেন। (তালখীসুল মুসতাদরাক লিল ইমাম আয-যাহাবী, আলমুসতাদরাক, হাদীস ১০২৯)
৩. ইমাম নববী রাহ. (আল-আযকার, হাদীস ৩৩২)
৪. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (নাতাইজুল আফকার  ৪/১৮)
৫. হাফেজ ইবনুল কায়্যিম রাহ.। তিনি বলেন, যে এ হাদীসের সনদে গভীর দৃষ্টি দেবে, তার মধ্যে এটি সহীহ হওয়ার বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না। কেননা এর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও প্রসিদ্ধ, ইমামগণ তাঁদের হাদীস গ্রহণ করেছেন।(১০) -জালাউল আফহাম পৃ.৮১-৮৫;  যাদুল মা‘আদ ১/৩৫৪
৬. হাফেজ ইবনে কাসীর রাহ. (তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা আহযাব, ৩/৫১৪)
৭. হাফেজ ইবনে আব্দুল হাদী (আছছারিমুল মুনকী পৃ. ২১০) (১১)
৮. শায়খ শুআইব আরনাউত (এর সনদ সহীহ, মুসনাদে আহমদের টীকা, ২৬/৮৪ হাদীস  ১৬১৬২)
৯. ড. মুছতাফা আজমী (সহীহ ইবনে খুযাইমার টীকা হাদীস  ১৭৩৩)
১০. শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ. (সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ১৫২৭; সহীহু আবি দাউদ, সহীহুত তারগীব, তাখরীজুল মিশকাত ইত্যাদি)
১১. গাইরে মুকাল্লিদ আলেম উবাইদুর রহমান মোবারকপুরী (মিরআতুল মাফাতীহ) (১২)
১২. শাওকানী রাহ. (তুহফাতুয যাকিরীন)
১৩. শায়েখ বিন বায (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১/৯৩)
১৪. শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. হাদীসটি দলিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  (৪/২৯৬, ২৬/১৪৭)


3→


এ হাদীসটি ভিন্ন সনদে হযরত আবুদ-দারদা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাতে রয়েছে- (فنبي الله حي يرزق) : “সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত এবং রিযিক প্রাপ্ত”। -সুনানে ইবনে মাযাহ, হাদীস ১৬৩৭

এ বর্ণনার সকল রাবী নির্ভরযোগ্য।
★ হাফেজ বূছিরী (মিছবাহুয যুজাজায়) 
★ ইমাম নববী (আল-আযকারে),
★ হাফেজ মুন্যিরী (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীবে), 
★ ইবনে হাজার (তাহযীবুত তাহযীবে যায়েদ ইবনে আইমান-এর আলোচনায়), 
★ মুল্লা আলী কারী রাহ. (মিরকাতে) এবং 
★ শাওকানী রাহ. (নাইলুল আউতারে) ও 
★ শামসুল হক আযীমাবাদী (আওনুল মা‘বুদে) এর সনদকে জায়্যিদ তথা উত্তম বলেছেন। 


Note :
বিশেষত হাদীসের মূল অংশটি পূর্বোক্ত আউস ইবনে আউস বর্ণিত সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত। 
আর শেষ অংশটি সূরা বাকারার ১৫৪ নম্বর আয়াত ও সূরা আলে ইমরানের ১৬৯ নম্বর আয়াত দ্বারা সমর্থিত। তাই হাদীসের প্রথম অংশের ন্যায় শেষ অংশটিও সহীহ।

4→



হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيّ َنَائِيًا مِنْهُ أُبْلِغْتُه.

“যে আমার কবরের পাশে আমার উপর সালাত পেশ করে আমি তা শুনি। এবং যে দূরে থেকে আমার উপর দরূদ পড়ে তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়”।

★ কিতাবুস সওয়াবঃ ইমাম আবু হাইয়ান ইবনু আবিশ শায়খ ইছফাহানী, 
★ ফাতহুল বারী ৬/৬০৫, 
★ আল-কাওলুল বাদী পৃ. ১৬০

যারা এ হাদীসকে শক্তিশালী বলেছেন-

১. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (ফাতহুল বারী ৬/৬০৫)
২. হাফেজ সাখাবী রাহ. (আল-কওলুল বাদী পৃ.১৬০)
৩. আল্লামা সুয়ূতি রাহ. (আল-লাআলিল মাছনূআহ ১/২৮৫)
৪. ইবনু র্আরাক্ব আল-কিনানী (তানযীহুশ্ শরীয়াহ, হাদীস ৫৪০)
৫. শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া সম্ভবত এ শক্তিশালী সূত্রটি পাননি। তাই অন্য একটি দুর্বল সূত্র উল্লেখ করে বলেন : হাদীসের এ সূত্রে দুর্বলতা সত্তে¡ও বর্ণনাটির বিষয়বস্তু প্রমাণিত। অন্যান্য হাদীস দ্বারা এর সমর্থন পাওয়া যায়। (মাজমূউল ফাতাওয়া ২৭/১১৬-১১৭, আর-রাদ আলাল আখ্নাঈ, হিদায়াতুর রুওয়াত ফি তাখরীজিল মিশকাত-এর টীকা, আলবানী রাহ. ১/৪২১) 
৬. আল্লামা ইবনু আব্দিল হাদী। তিনিও ইবনে তাইমিয়া রাহ.-এর মত অন্যান্য হাদীস দ্বারা এ হাদীসের বিষয়বস্তু প্রমাণিত সাব্যস্ত করেছেন। 
৭. মাহমূদ সাঈদ মামদূহ (রাফউল মানারাহ লিতাখরীজি আহাদীসিত তাওয়াসসুল ওয়ায্ যিয়ারাহ)



5→


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إِنَّ لِلَّهِ مَلائِكَةً سَيَّاحِين فِي الأَرْض ِيُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلامَ.
“আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত একদল ফেরেশতা রয়েছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ান এবং আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছে দেন”। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯১৪
যারা এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন:
১. ইমাম হাকেম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৫৭৬, ২/৪২১)
২. ইমাম যাহাবী রাহ. হাকেমের সমর্থন করেছেন। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২/৪২১)
৩. হাফেজ ইবনুল কায়্যিম একে সহীহ বলেছেন। (জালাউল আফহাম পৃ.২৪)
৪. শায়খ শুআইব আরনাউত বলেন, হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। (সহীহ ইবনে হিব্বানের টীকা ৩/১৯৫)


6→


 হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

لَاتَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا، وَلَاتَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا، وَصَلُّوا عَلَيَّ، فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُم.

“তোমরা তোমাদের ঘরকে কবর বানিও না। আর আমার কবরে উৎসব করো না (বার্ষিক, মাসিক সাপ্তাহিক কোনো আসরের আয়োজন করো না)।আমার উপর সালাত পাঠাও। কেননা তোমরা যেখানেই থাক তোমাদের সালাত আমার কাছে পৌঁছবে। 
★ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২০৪২; 
★ শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৩৮৬৫
★ হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন, এর সনদ সহীহ। 
(ফাতহুল বারী ৬/৬০৬, আরো দেখুন, মজমুউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ২৬/১৪৭)


7→

হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

مَا مِن أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ، إِلَّا رَدَّ اللَّهُ عَلَيّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَام.

‘(মৃত্যুর পর) যে কেউ আমাকে সালাম করবে, সেই আমাকে এ অবস্থায় (জীবিত) পাবে যে, আল্লাহ তাআলা আমার মধ্যে (এর পূর্বেই) রূহ ফিরিয়ে দিয়েছেন। (অর্থাৎ মৃত্যুর পরই আমার রূহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দিয়ে জীবিত করে দেবেন) যাতে আমি তার সালামের জবাব দেই’। )সুনানে আবু দাউদ হা.২০৪১((১৮)
যারা হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
★ ইমাম নববী ও ইমাম সাখাবী রাহ. বলেন, হাদীসটি সহীহ। 
★ রিয়াযুস ছালিহীন; আল-মাকাছিদুল হাসানাহ) শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী ও বর্ণনাটি তাঁর ‘আস-সহীহায়’ উল্লেখ করেছেন। (সিলসিলাতুস সহীহা, হাদীস ২২২৬)

হাদীসের অর্থঃ

হাদীসের অর্থ হল মৃত্যুর পরই আমার মধ্যে রূহ ফিরিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা আমাকে জীবিত করবেন। আর এ জীবন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। ফলে যে কেউ আমাকে সালাম করলেই জীবিত পাবে। আমি তার সালামের জবাব দেব। কেউ বলতে পারেন যে, হাদীসের বাহ্যিক অর্থ হল- যখনই কেউ আমাকে সালাম করবে তখনই আমার মধ্যে রূহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর এর পূর্বে আমি মৃত ছিলাম। কিন্তু এ অর্থ সঠিক নয়। কারণ, ‘আল্লাহ তাআলা আমার রূহ আমার মধ্যে ফিরিয়ে দেন’ এ কথার অর্থ যদি হয়, ‘এর পূর্বে আমি মৃত ছিলাম’, তাহলে পূর্ববর্তী সকল হাদীসের সাথে এ হাদীস সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। নবী যদি শুধু সালামের উত্তর দেওয়ার জন্য জীবিত হন, তাহলে ‘নবীগণ কবরে জীবিত নামায আদায় করেন’- মর্মে বর্ণিত হাদীসের কী অর্থ বাকী থাকে। অথচ সবগুলোই নবীজীর কথা। তাই এগুলোর এমন অর্থই করতে হবে যাতে পরষ্পরে সাংঘর্ষিক না হয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

→→ হাদীসের উল্লিখিত অর্থটি করেছেন শাস্ত্রের ইমাম আহমদ ইবনে হুসাইন আল-বাইহাকী রাহ. তাঁর ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ গ্রন্থে ও হাফেজ ইবনে হাজার আস্কালানী রাহ. ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে। আল্লামা সুয়ূতী রাহ. আরবী ব্যাকরণ শাস্ত্র ও হাদীসের বর্ণনার আলোকে এ ব্যাখ্যার যৌক্তিকতা ও যথার্থতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন হাদীসের শেষাংশের মূল রূপ হল- (إلا وقد رد الله علي روحي)। আল্লামা ইবনে হাজার হায়তামী রাহ.ও এটিকে হাদীসের যথার্থ অর্থ বলে উল্লেখ করেছেন।  

★ আল-হাবী, সুয়ূতী রহ. পৃ. ৫৫৭, ৫৬১; 
★ ফাতহুল বারী ৬/৬০৬; 
★ আল-ফাতাওয়াল কুবরা, লিল হাইতামী ২/১৩৫ হজ্ব অধ্যায়; 
★ মাকামে হায়াত পৃ.৪৩৫
এ হাদীসের আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য দেখুন- ফাতহুল বারী, আল-কাউলুল বাদী, আল-বাদরুল মুনীর-লিল ইমাম ইবনুল মুলাক্কিন, ইম্বাউল আযকিয়া, সুয়ূতী।




ইমামগণ 
এর 
আকিদা 
থেকেঃ




❑ আরেফ বিল্লাহ্ ওয়ালী আল্লাহ্ হাযরাত সাইয়্যিদ আহমাদ কাবীর আর রিফায়ীঃ 

তৎ যামানার হাদিস ও ফিকাহ্ এর ইমামগনের এক কাফেলা নিয়ে হারামাইনে ক্বিরামে হাজ্জ সম্পাদন করে হাজী সাহেবানদের এক কাফেলা সঙ্গে নিয়ে খালি পায়ে রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের রওযা মুবারাক জিয়ারাতে গিয়ে সলাত ও সালাম পেশ করে রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম সালামের দাস্ত মুবারক চুম্বনের অনুনয় প্রকাশ করেন।
নবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম সালামের জবাব প্রদানপূর্বক দাস্ত মুবারাক বের করে দিলে নবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর সাইয়্যিদ আহমাদ কাবীর আর রিফায়ী রহ. নাবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের দাস্ত মুবারাক চুম্বনের সৌভাগ্য লাভ করেন।

তখন নব্বই হাজারেরও বেশী হাজী-যিয়ারতকারী উপস্থিত ছিলেন। সকলেই সালামের জবাব সমানভাবে শ্রবন করেছিলেন এবং উনাকে তৎকালীন যুগশ্রেষ্ঠ ইমামগন নবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের দাস্ত মুবারাক চুম্বন করতে দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন। বিদায় হাজ্জের ভাষনে যেভাবে সকলে সমানভাবে শ্রবন করেছিলেন তখনও কারো সালামের জবাব শ্রবনে ব্যত্যয় ঘটেনি।
ইহা নাবীজী রসূলে কারিম সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের বিশেষ বারযাকি জীবনের বিশেষ মু'জিযা।
নিম্নোক্ত কিতাবসমূহে উত্তম সনদে উক্ত ঘটনাটি বিস্তারিত ৬টি ভিন্ন সনদে বর্নিত হয়েছে:

★ মুখতাসার আখবার আল খুলাফা; ইমাম ইবনুস সায়ী র. (ওফাত ৬৭৪হি.)
★ আল হাওয়ী লিল ফাতাওয়ী; ইমাম জালালুদ্দিন আসসূয়ূতী র.
★ তারিখে ইবনে কাসীর; হাফিয ইবনু কাসীর (রহঃ)

সর্বপ্রথম ৪৪৫ হিজরীতে মানছ ইবনে মুহাম্মদ আল-কান্দারী নামক এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরে জীবিত থাকার উপর নানারূপ আপত্তি উত্থাপন করে। এবং এর উপর ভিত্তি করেই কিয়ামত পর্যন্ত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালত বাকি থাকাকে অস্বীকার করে।
তখন যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ইমাম আহমদ ইবনে হুসাইন আল-বাইহাকী রাহ. (মৃত্যু ৪৫৮ হি.) তার মত খণ্ডন করে ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ নামে একটি কিতাব রচনা করেন। এতে তিনি নবীদের কবরে জীবিত থাকা বিষয়ক আকীদার দলিল-প্রমাণ তুলে ধরেন।
★ মাকামে হায়াত; পৃ., ৫৪।

❑ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্'র ইমামগনের আকিদাঃ

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্'র আকীদা হল, মৃত্যুর পর সকল নবীদের কবরে পুনরায় বিশেষ জীবন দান করা হয়েছে। 

® ইমাম বাইহাকী রাহ. তাঁর ‘আল ই‘তিকাদ’ গ্রন্থে বলেন-

والأنبياء عليهم الصلاة والسلام بعدما قبضوا ردت إليهم أرواحهم، فهم أحياء عند ربهم كالشهداء.

“সকল নবীর রূহ কবজ করার পর তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা শহীদদের ন্যায় তাদের রবের কাছে জীবিত”।
★ আল ইতিকাদ পৃ.৪১৫ দারুল ফযীলাহ রিয়াদ;
★ আত-তালখীছুল হাবীর ২/২৫৪;
★ আল বাদরুল মুনীর ৫/২৯২

® হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন,

وقد تمسك به من أنكر الحياة في القبر، وأجيب عن أهل السنة المثبتين لذلك بأن المراد نفي الموت اللازم من الذي أثبته عمر بقوله: "وليبعثه الله في الدنيا ليقطع أيدي القائلين بموته" وليس فيه تعرض لما يقع في البرزخ، وأحسن من هذا الجواب أن يقال: إن حياته صلى الله عليه وسلم في القبر لا يعقبها موت بل يستمر حيا، والأنبياء أحياء في قبورهم، ولعل هذا هو الحكمة في تعريف الموتتين حيث قال :لا يذيقك الله الموتتين أي المعروفتين المشهورتين الواقعتين لكل أحد غير الأنبياء. (فتح الباري، باب لو كنت متخذا خليلا لتخذت أبا بكر خليلا)

“যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরে জীবিত থাকাকে অস্বীকার করে তারা হযরত আবু বকর রা.-এর এ বক্তব্য দিয়ে দলিল পেশ করতে চায়-‘আল্লাহ আপনাকে দুইবার মৃত্যু দিবেন না’। আর আহলুস সুন্নাহ- যারা নবীর কবরে জীবিত থাকায় বিশ্বাস রাখেন, এদের পক্ষ থেকে এর জবাব দেয়া হয়েছে যে, হযরত আবু বকর রা.-এর বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল উমর রা.-এর ভুল ধারণার খণ্ডন করা। উমর রা. বলেছিলেন, ‘আল্লাহ তাআলা নবীজীকে আবার দুনিয়াতে জীবিত করবেন ...’। এ কথার মধ্যে বারযাখে কী হবে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। অবশ্য হযরত আবু বকর রা.-এর এ কথার সর্বোত্তম ব্যাখ্যা হল, কবরে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে জীবন পেয়েছেন তারপর আর কোনো মৃত্যু আসবে না। বরং তিনি বরাবরই কবরে জীবিত থাকবেন, আর নবীগণ কবরে জীবিত। ...।”
★ ফাতহুল বারী, আবু বকরের ফযীলত অধ্যায় ৭/৩৩

® শাইখুল ইসলাম ইবনে হাজার এ বক্তব্যে স্পষ্টই বলেছেন, আহলুস-সুন্নাহর বিশ্বাস হল, নবীগণ কবরে জীবিত।


হাফেজ সাখাবী রাহ. বলেন, হায়াতুল আম্বিয়া বিষয়ের উপর পুরো উম্মতের ইজমা রয়েছে। হাফেজ ইবনে হাজার মাক্কী আল-হাইতামী রাহ.ও তাই বলেছেন। 
★ আল-কাওলুল বাদী পৃ. ৩৪৯; 
★ আল-ফাতাওয়াল কুবরা লিল হাইতামী ২/১৩৫, হজ্ব অধ্যায়; 
★ হিদায়াতুল হায়ারান; 
★ মাযাহেরে হক্ব; 
★ আনওয়ারে মাহমূদ।


® শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াঃ

১. 
ইবনে তাইমিয়া বলেন-

فلا تتخذوا القبور مساجد، فإني أنهاكم عن ذلك. فهذه نصوصه الصريحة توجب تحريم اتخاذ قبورهم مساجد، مع أنهم مدفونون فيها، وهم أحياء في قبورهم، ويستحب إتيان قبورهم للسلام عليهم.

“...এ ধরনের হাদীসের সুস্পষ্ট উক্তি দ্বারা নবীদের কবরকে মসজিদ বানানো হারাম সাব্যস্ত হয়। তবে এ কথা সত্য যে, তারা তাতে সমাহিত আছেন এবং তাঁরা তাঁদের কবরে জীবিত। তাদের কবরে সালাম দেওয়ার জন্য উপস্থিত হওয়া মুস্তাহাব ”। 
★ মাজমুউল ফাতাওয়া, ২৭/৫০২

২. 
তিনি বলেন, “নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীগণের দেহকে গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন’। এ হাদীসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিনি নিকটবর্তী ব্যক্তির কাছ থেকে সালাত ও সালাম শুনেন, আর দূরবর্তী ব্যক্তিদের কাছ থেকে তাঁর কাছে সালাত ও সালাম পৌঁছে। 
★ মাজমুউল ফাতাওয়া ২৬/১৪৭,
 ৪/২৯৬; 


★ আর-রাদ আলাল আখনাঈ পৃ. ১৩১; 


★ জামিউ মাসাইলি ইবনে তাইমিয়া, ইশরাফ, বকর আবু যায়েদ ৩/১০৬ ৪/১৯১




৩. 
শায়খ আব্দুল্লাহ বিন ছালেহ বিন আব্দিল আযীয হায়াতুল আম্বিয়া বিষয়ে ইবনে তাইমিয়া-এর আক্বীদার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “নবীগণ কবরে জীবিত। তাদের জীবন শহীদদের জীবনের চেয়ে আরো পরিপূর্ণ। -সূরা বাকারা ১৫৪, সূরা আলে ইমরান ১৬৯
ইবনে তাইমিয়া -এর উপর অপবাদ আরোপকারীদের এ কথা যে, তিনি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’য় বিশ্বাস করেন না- একেবারেই মিথ্যা। বরং তিনি নবীদের কবরে জীবিত থাকার বিষয় সুস্পষ্টভাবে বলেছেন। ...হায়াতুল আম্বিয়ার দলিল হল নবীজীর হাদীস- ‘নবীরা কবরে জীবিত’।... 
★ দা‘আবিল মুনাবীন লিশাইখিল ইসলাম পৃ.২৯৪ 


® ইবনুল কাইয়্যুমঃ

তিনি উদ্ধৃত করেন, “মৃত্যুর পর শহীদগণ তাঁদের রবের কাছে জীবিত এবং রিযিকপ্রাপ্ত ও আনন্দিত। এটি দুনিয়ায় জীবিত মানুষেরর বৈশিষ্ট্য। শহীদদের অবস্থাই যেহেতু এমন তো নবীগণ তো এর আরো বেশি হকদার। পাশাপাশি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সূত্রে প্রমাণিত যে, মাটি নবীদের দেহ খায় না। ... অনুরূপ বর্ণনাগুলোর সারকথা হল, এটা নিশ্চিত যে, নবীগণের মৃত্যুর অর্থ তাঁদেরকে আমাদের থেকে এমনভাবে আড়াল করে নেওয়া হয়েছে যে, আমরা অনুধাবন করতে পারি না, যদিও তারা বিদ্যমান (জীবিত)। যেমন ফেরেশতাগণ জীবিত কিন্তু তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে না।”। 
★ কিতাবুর রূহ পৃ. ৩৬, ৪৪
★ জালাউল আফহাম

® ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রাহ.

ওয়াকী ইবনুল র্জারাহ-এর জীবনীতে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় ইমাম যাহাবী রাহ. বলেন, “সাধারণ মৃতদের দেহ নষ্ট হয়ে যাওয়া, দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া এবং মাটিতে মিশে যাওয়ার মত নবীদের দেহেও তাই ঘটে এমন বিশ্বাস রাখা নিষেধ। বরং এক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত উম্মত থেকে ভিন্ন। তাঁর দেহ পঁচবেও না, মাটিতেও খাবে না এবং শরীরের ঘ্রাণও পরিবর্তন হবে না। বরং তিনি এখনো এবং সব সময়ই মিশক থেকে বেশি সুগন্ধিপূর্ণ। তিনি তাঁর কবরে জীবিত; বারযাখে তাঁর প্রাপ্য জীবনই তিনি পেয়েছেন যা সমস্ত নবীগণের চেয়েও পূর্ণাঙ্গতম। আর নবীদের হায়াত নিঃসন্দেহে শহীদদের হায়াতের চেয়ে পূর্ণাঙ্গতর ও উন্নততর যা কুরআনে স্পষ্ট উক্তিতেই বলা হয়েছে- “শহীদগণ রবের কাছে জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত”। (আলে ইমরান : ১৬৯) বর্তমানে আলমে বরযাখে তাঁদের (নবীদের) জীবন সত্য। কিন্তু তা সবদিক থেকে দুনিয়ার জীবনের মত নয়, আবার জান্নাতের জীবনের মতও নয়। বরং আসহাবে কাহফের জীবনের সাথে তাঁদের জীবনের কিছুটা মিল পাওয়া যায় ”। 
★ (সিয়ারু আলামিন নুবালা ৮/৯৯)


® আল্লামা ইবনে কাসীর রাহ.
ইমাম ইবনে কাসীর রাহ. বলেন,  “মৃতদের শ্রবণ বিষয়ে ইবনে উমর রা.-এর বর্ণনাই উলামাদের নিকট সহীহ। এর অনেক সমর্থক বর্ণনাও রয়েছে। আবার এর সহীহ হওয়ার অনেক দিকও রয়েছে।... পূর্ববর্তী সালাফের সকলেই মৃতদের শুনতে পাওয়ার বিষয়ে একমত। আর এ বিষয়ে সালাফ থেকে মুতাওয়াতির (অসংখ্য সূত্র বিশিষ্ট) বর্ণনা রয়েছে যে, মৃতব্যক্তি কবর যিয়ারতকারীকে চিনতে পারে এবং তাতে আনন্দিত হয়।... ” 
★ সূরা রূম আয়াত : ৫২-এর অধীনে তফসীরে ইবনে কাসীর

® ইবনুল কাইয়্যুমঃ

ইবনুল কায়্যিম বলেন, “আর আপনি কবরবাসীদেরকে শুনাতে পারবেন না” এ আয়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করাও ঠিক নয়। কারণ, উপস্থাপন ভঙ্গি থেকে আয়াতের এ অর্থ বুঝা যায় যে, কাফিরদের অন্তঃকরণ মৃত, আপনি তাদেরকে এমনভাবে শোনাতে পারবেন না যে, তারা এই শ্রবণের দ্বারা উপকৃত হবে। যেমন আপনি কবরবাসীকে এমনভাবে শোনাতে সক্ষম না, যেভাবে শোনালে তারা উপকৃত হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কবরবাসী কিছুই শুনতে পায় না। এটা কী করে হয়, অথচ
 (১) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, মৃতব্যক্তি তাকে কবরস্থকারীদের (প্রস্থানকালে) জুতার আওয়াজ শুনতে পায়।
 (২) এবং এও বলেছেন যে, বদরের নিহত কাফেররা তাঁর কথা ও সম্বোধন শুনেছে। 
 (৩) তাছাড়া তিনি মৃতব্যক্তিদের সালামের ক্ষেত্রে সম্বোধন পদ ব্যবহার করেছেন, যা এমন উপস্থিত ব্যক্তিকেই করা যেতে পারে, যে শুনতে পায়। এবং তিনি কবরে সালাম দেওয়াকে সুন্নত সাব্যস্ত করেছেন।
 (৪) এ কথাও বলেছেন যে, যে মুমিন তাদেরকে সালাম করে, তারা তার সালামের জবাব দেয়।

...প্রকৃতপক্ষে আয়াতের অর্থ হল: “আল্লাহ তাআলা যাদের শোনাতে চান না আপনি তাদের শোনাতে পারবেন না। (আপনার কথা শুনেও ওরা না শুনার মতই কোন উপকার পাবে না) আপনি তো শুধু সতর্ককারী। আপনাকে ভীতি প্রদর্শনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং আপনি সে সম্পর্কেই জিজ্ঞাসিত হবেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা যাদেরকে শোনাতে চান না, তাদের ব্যাপারে আপনাকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।  
★ কিতাবুর রূহ, বাংলা অনুবাদ, এমদাদিয়া লাইব্রেরী ২য় প্রকাশ ২০০১ইং পৃ. ৭২-৭৩; মূল আরবী পৃ. ৪৬




স্বপ্নে দাত দেখলে কি হয়? ইমাম ইবনে সীরীন (রহঃ) এর ব্যাখ্যাঃ

Friday, November 27, 2015

নামাযে পুরুষদের বুকে হাত বাঁধার দলিলের অবস্থাঃ (পর্ব ২)

নামাযে যিরার উপর যিরা রাখাঃ

আরবীতে  হাতের আঙুলের মাথা থেকেই কনুই পর্যন্ত অংশকে ‘যিরা’ বলে। সম্প্রতি কিছু  মানুষ যিরার উপর যিরা রাখাকে সুন্নাহ মনে করেন এবং ডান হাতের পাতা বাম  হাতের পাতা, কব্জি ও যিরার উপর না রেখে ডান হাতের যিরা বাম হাতের যিরার উপর  রাখেন। হাত বাঁধার ক্ষেত্রে এটাও একটা বিভ্রান্তি ও বিচ্ছিন্নতা।


নীচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হল। 
প্রথম হাদীস : সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, ‘লোকদেরকে আদেশ করা হত, পুরুষ যেন তার ডান হাত বাম যিরার উপর রাখে।’
হাদীসটির আরবী পাঠ এই-
كان الناس يؤمرون أن يضع الرجل اليد اليمنى على ذراعه اليسرى في الصلاة. قال أبو حازم : لا أعلمه إلا ينمى ذلك إلى النبي صلى الله عليه وسلم.
-মুয়াত্তা মালিক পৃ. ৫৫ ; সহীহ বুখারী ১/১০৪
এই হাদীসে যিরার উপর যিরা রাখার কথা নেই। বাম যিরার উপর ডান হাত রাখার কথা আছে। 
দ্বিতীয় হাদীস : ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত হাদীসের একটি পাঠ। তাতে আছে, ‘(আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ডান হাত বাম হাতের পাতা, কব্জি ও যিরার উপর রাখলেন।’ 
রেওয়ায়েতটির আরবী পাঠ এই-
ثم وضع يده اليمنى على ظهر كفه اليسرى والرسغ والساعد
-মুসনাদে আহমদ ৩১/১৬০, হাদীস : ১৮৮৭০; সুনানে আবু দাউদ ১/৪৮৩, হাদীস : ৭২৭
এই বর্ণনাতেও বলা হয়নি ডান যিরা রেখেছেন। বলা হয়েছে, ডান হাত রেখেছেন। ।


উল্লেখিত পাঠটি কি ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীসের মূল পাঠ 
ওয়াইল  ইবনে হুজর রা. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে  নামায পড়েছেন এবং যেভাবে তাঁকে নামায পড়তে দেখেছেন তা বর্ণনা করেছেন।  তাঁর এই বিবরণ বেশ কয়েকজন রাবীর সূত্রে পাওয়া যায়। যেমন : ১. আলকামা  ইবনে ওয়াইল ২. আবদুল জাববার ইবনে ওয়াইল। (এরা দু’জন ওয়াইল ইবনে হুজর  রা.-এর পুত্র। আবদুল জাববার ইবনে ওয়াইল তার বড় ভাই আলকামা ইবনে ওয়াইল  রাহ. থেকেই পিতার বিবরণ গ্রহণ করেছেন। দেখুন : সহীহ মুসলিম ফাতহুল মুলহিম  ২/৩৯) ৩. হুজর ইবনুল আম্বাস, ৪. কুলাইব ইবনে শিহাব, প্রমুখ। শেষোক্ত কুলাইব  ইবনে শিহাব রাহ.-এর বর্ণনাই আমাদের আলোচ্য বিষয়। 
কুলাইব ইবনে  শিহাব থেকে বর্ণনা করেছেন তার পুত্র আসিম ইবনে কুলাইব রাহ.। আসিম ইবনে  কুলাইব রাহ. থেকে অনেক রাবী এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। যেমন ঃ
6"
শো’বা ইবনুল হাজ্জাজ 
বিশর ইনুল মুফাদ্দাল
কায়স ইবনুর রাবী
আবদুল ওয়াহিদ ইবনে যিয়াদ 
খালিদ ইবনু আবদিল্লাহ 
আবু ইসহাক
আবুল আহওয়াস
আবদুল্লাহ ইবনে ইদরীস
মুসা ইবনে আবী আয়েশা
আবু আওয়ানা ও 
যাইদা ইবনে কুদামা প্রমুখ। 
শেষোক্ত  রাবী যাইদা ইবনে কুদামা-এর বর্ণনার পাঠ সকলের চেয়ে আলাদা। এ কারণে তার  পাঠকে আসিম ইবনে কুলাইবের বর্ণনার মূল পাঠ সাব্যস্ত করা যুক্তিসঙ্গত নয়। 
এই সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয়য, ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীস থেকে যিরার উপর যিরার নিয়ম গ্রহণ করার অবকাশ নেই। 

যুগে যুগে ইমামগনের মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উদযাপনঃ


বিভিন্ন শতাব্দীর ইমামগনের মিলাদুন্নী (দুরুদ) পালনঃ

০১.
আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন উমর বাহরুক (র:) ও খাজরামী শাফী (র:)-(মৃ:৮৬৯-৯৩০ হি:)

ওনারা পবিত্র মিলাদুন্নবী (দ) সম্পর্কে লিখেন-
এদিনের প্রকৃত অবস্থান হলো,যেহেতু এদিনে রাসূল (দ:) এর জন্ম হয়েছে সেহেতু এদিনে ঈদ উদযাপন করাই হচ্ছে প্রকৃত দাবী।
★ হাদাইকুল আনোয়ার ওয়া মাতালিউল আসরার ফি সিরাতিন নাবিইয়িল মুখতার গ্রন্থের ৫৩-৫৮ পৃ:


০২.
ইমাম ইবনে কাইয়্যুম (মৃ:-৭৫১ হি:)

ইমাম ইবনে কাইয়্যুম তার কিতাবে বলেন যে,
নবী করীম (দ:) ওনার মিলাদ মাহফিলে সুললিত কন্ঠস্বর শ্রবণ করা কিংবা ধর্মীয় বিষয় শ্রবণ করার মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়। কারণ নবী করীম (দ:) ওনার থেকে শ্রুতাকে নূর দেওয়া হয়ে থাকে।
★ মাদারেকুছ ছালিকিন-৪৯৮ পৃ:

০৩.
ইমামুল আল্লামাহ নাসিরুদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ (র:):-

৪র্থ যুগের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমামুল আল্লামাহ নাসিরুদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ (র:) পবিত্র মিলাদ সম্পর্কে নিজ ফতোয়ায় লিখেন,
মহানবী (দ:) ওনা জন্ম রাতে কোন ব্যক্তি কিছু অর্থকরি ব্যয় করলে এবং জনগনকে সমবেত করে তাদেরকে পানাহার করালে বা রাসূল (দ:) ওনার জন্ম সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহ এবং অলোকিক ঘটনা শুনালে তা যদি সব রাসূল (দ:) ওনার জন্মের প্রতি আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করার জন্য হয়ে থাকে তাহলে শরীয়ত মতে তা জায়েজ আর এসব কাজের জন্য সংশ্লীষ্ঠ কর্তাকে ছওয়াব প্রদান করা হয়,যদি তার উদ্দেশ্য ভাল হয়।
★ আদ-দুররুল মুনাজ্জম ফী আমলে ওয়া হুকমে মাওলিদুন নাবীয়্যিল আযম-পৃষ্ঠা-নং-১৯৭-১৯৮

০৪.
ইমাম জামাল উদ্দিন আল কাতানী (র:) :-

শায়খ ইমাম জামাল উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল মালিক আল কাতানী (র:) পবিত্র মিলাদ সম্পর্কে লিখেন,
রাসূল (দ:) এর জন্ম দিনে বা অন্য কোন সময়ে ওনার জন্ম কাহিনী ও ঘটনাবলী আলোচনা করা
সম্মান, বুযুর্গী ও মাহত্ব লাভের জন্য নাযাত লাভের কারণ এবং তার জন্ম দিনে যারা আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করে তাদের পরকালে শাস্তি হালকা ও কম হওয়ার কারণে পরিণত হয়।
★ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ-১ম খন্ড-পৃস্ঠা নং-৩৬৪.

০৫.
ইমামুল আল্লামা জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর (র:):-

ইমামুল আল্লামা জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর (র:) পবিত্র মিলাদ শরীফ সম্পর্কে লিখেন,
শরীয়াতে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠান করা হচ্ছে বিদাতে হাসানা। অনুষ্ঠানকারী লোকদের সমবেত করে অনুষ্টান করতে চাইলে সকলে হুযুর পাক (দ:) ওনার প্রতি দুরুদ পাঠ করতে এবং গরীব মিছকিনদের পানাহার করাতে ইচ্ছা করলে, এ নিয়মে ও এ শর্তে মিলদুন্নবী অনুষ্টান করলে এ জন্য তখন তাকে (আল্লাহ) ছ্ওয়াবও প্রদান করেন।★ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ-১ম খন্ড-পৃস্ঠা নং-৩৬৪.

০৬.
ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (র:) (1198–1252 AH / 1783–1836 AD)

আল্লামা ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (র:) মাওলিদ উন নবী উদযাপনকে তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভের মহান কর্ম বলে অভিহিত করে আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রহঃ) এর মাওলিদ গ্রন্থের ব্যখ্যায় বলেন,

জেনে রেখো,রাসূল (দ:) যে মাসে শুভ আগমণ করেছেন, সে মাসে মীলাদুন্নবী (দ) উপলক্ষে অনুষ্টান করা একটি উত্তম বিদাত (বিদআতে হাসানা)। তিনি আরো বলেন- রাসূল (দ:) ওনার জন্ম কাহিনী ও জীবনী শোনার এবং দুরুদ- সালামের মাহফিল অনুষ্ঠান করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম,
এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
★ আল কাওলুল মুতামাদ ফিল মাযহাবিল হানাফী, আল আদিল্লাতু ফি জাওয়াজিল ইহিফায়ি ওয়াল ইহতেফালু বি মাওলিদি সাইয্যিদাল বাসির (দ:).

Tuesday, November 24, 2015

ডা. জাকির নায়েক কি লা-মাযহাবী?


প্রথমত আমাদের জানতে হবে #মাযহাবী এবং লা-মাযহাবী কাকে বলে ? 
==>যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে কোন স্বীকৃত বিজ্ঞ ব্যক্তিকে অনুসরন না এবং সে নিজেও #কুরআন ও#হাদীস সম্পকে পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞ নয়, তারপরও নিজে নিজে কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনের করে তার উপর আমল করে তাকে #লা-মাযহাবী বলা হয়।

==>যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে কোন স্বীকৃত বিজ্ঞ ব্যক্তিকে অনুসরন করে মাযহাবী বলা হয়।


এখন কথা হল আমাদের দেখতে হবে ডা. #জাকির #নায়েক কি কাউকে অনুসরন করেন নাকি নিজে নিজে কুরআন ও হাদীস দেখে দেখে আমল করেন ??? আসুন দেখি . . .


ডাঃ #জাকির #নায়েক তার “Unity in the Muslim Ummah” (লিঙ্ক দিলাম না কারন নেটে সার্চ দিলেই পাওয়া যায়) শিরোনামের এক লেকচারে #শাইখ #নাসিরুদ্দিন #আলবানী সম্পর্কে বলেছেনঃ 

• Many of my talks are based on his researched Masha Allah.

“অর্থাৎ মাশা আল্লাহ আমার অনেক #লেকচার/কথা তার (শাইখ নাসির উদ্দিন আলবানী) গবেষনার উপর ভিত্তি করে” 

• I am nothing compare to him, I am not even a drop in the ocean compare to Nasiruddin Albani.

“অর্থাৎ আমি তার তুলনায় কিছুই নই, #নাসিরউদ্দিন #আলবানী সাগরতুল্য হলে আমি তার তুলনায় এক ফোটা পানির তুল্যও নই” 

• For Example, I am a lay, what I say in talk, I do my research, but more knowledge in my head or my brain both I haven’t checked up, but yet I classify, for example, if I hear from street man from Shaikh Nasiruddin Albani Masha Allah, who has died recently According to me he is one of great muhaddis of the recent time. What he says, I follow on the face of it, because I check up the scholar masha allah following Quran and Sohih Hadith. 

“উদাহারন স্বরুপ, আমি একজন সাধারন মানুষ, আমি আমার লেকচারে যা বলি সেগুলো নিয়ে আমি গবেষনা করে থাকি, কিন্তু আমার মাথা, ব্রেইনে অনেক জ্ঞান রয়েছে যেগুলো আমি অনুসরন করতে পারি না!!! তবে আমি এর জন্য #স্কলারদের শ্রেনী বিভাগ করেছি, উদাহারন স্বরুপ, যদি #শাইখ #আলবানীর পক্ষ থেকে কোন বিবরন পাই, যিনি কিছু দিন পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন, আমার মতে তিনি বর্তমান সময়ের একজন সেরা #মুহাদ্দিস, “তিনি যা বলেছেন, আমি সেই অনুযায়ী চলি”, কারন আমি অনুসন্ধান করে দেখেছি, মা শা আল্লাহ তিনি #কোরআন ও #সহিহ #হাদিস অনুসরন করে চলেন”। 

• So, if someone give the fothwa from local person from here and Nasiruddin Albani, I believe Nasiruddin Albani if I don’t have time, but I say in the lecture I take up, because I am responsible for that, but for my own knowledge if I have the opinion, I can’t check up every hadith. This difficult for a laymen. 

“এখানকার কোন সাধারন ব্যক্তি যদি কোন #ফতোয়া দেয়, অপরদিকে #শায়খ #নাসিরুদ্দিন #আলবানী যদি কোন #ফতোয়া প্রদান করে, তবে আমি #আলবানীকে বিশ্বাস করব, যদি আমার কাছে যথেষ্ট সময় না থাকে, কিন্তু আমি লেকচারে যা বলি, সেগুলি আমি যাচাই করি, কেননা এর জন্য আমি দায়বদ্ধ, কিন্তু আমার নিজের জ্ঞানের জন্যে যদি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে আমি সব হাদিস যাচাই করে দেখতে পারিনা, কেননা তা একজন সাধারন মানুষের জন্য অনেক কঠিন” 

.........................................................................................................



=====>>>উনি এখানে যে কথাগুলো বলেছেন তা যদি আমরা দেখি

“মাশা আল্লাহ আমার অনেক লেকচার/কথা তার (শাইখ নাসির উদ্দিন আলবানী) গবেষনার উপর ভিত্তি করে। আমি তার তুলনায় কিছুই নই, নাসিরউদ্দিন আলবানী সাগরতুল্য হলে আমি তার তুলনায় এক ফোটা পানির তুল্যও নই। যদি শাইখ আলবানীর পক্ষ থেকে কোন বিবরন পাই, যিনি কিছু দিন পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন, আমার মতে তিনি বর্তমান সময়ের একজন সেরা মুহাদ্দিস, “তিনি যা বলেছেন, আমি সেই অনুযায়ী চলি”, কারন আমি অনুসন্ধান করে দেখেছি, মাশাআল্লাহ তিনি কোরআন ও সহিহ হাদিস অনুসরন করে চলেন।এখানকার কোন সাধারন ব্যক্তি যদি কোন ফতোয়া দেয়, অপরদিকে শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী যদি কোন ফতোয়া প্রদান করে, তবে আমি আলবানীকে বিশ্বাস করব, যদি আমার কাছে যথেষ্ট সময় না থাকে, কিন্তু আমি লেকচারে যা বলি, সেগুলি আমি যাচাই করি, কেননা এর জন্য আমি দায়বদ্ধ, কিন্তু আমার নিজের জ্ঞানের জন্যে যদি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে আমি সব হাদিস যাচাই করে দেখতে পারিনা, কেননা তা একজন সাধারন মানুষের জন্য অনেক কঠিন।”

উপরোক্ত কথা দ্বারা স্পষ্ট বুঝায় যায় যে, ডা. জাকির নায়েক শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেবের অনুসরন করে থাকেন অর্থাত তিনি একজনের মুকাল্লিদ !!!! তারপরও কিভাবে তাকে কিছু ভাই লা-মাযহাবী বলে থাকেন ?!?!?! 

আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রতি রহম করুন। কোন কিছু প্রচারের আগে যাচাই করার তৈফিক দান করুন। আমিন।

...............................................................................................................



=====>>>ডা. জাকির নায়েক যা বলেছেন #সালাফী ও #আহলে হাদীস ভাইদের সম্পকে

সালাফীদের সম্পর্কে ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন,

Sheikh Nasiruddin Albani says we should call ourselve salafi. My question is which Salafi, my counter question Do you know how many Salsfi are there? Are you Kutubi, Sururi, or Madkhali. I can name another Salafi.

“শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী বলেন, আমাদের নিজেদেরকে সালাফী বলা উচিৎ। আমার প্রশ্ন হল, কোন্ সালাফী? আমার উল্টো প্রশ্ন, তুমি কি জানো, সালাফীদের কতগুলো গ্র“প আছে? তুমি কি “কুতুবী, সুরুরী না কি মাদখালী? আমি সালাফীদের আরও অনেক গ্র“পের নাম বলতে পারব।” 

[[http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0]]

“But even in Salafi there are various groups and if you go to U.K. Mashallah! Subhanallah! Allahu Akbar! There are so many groups. In U.K each group fighting against the other, calling the other Salafia kafir, Nauzubillah! . . . Which salafia do you belong to?

“সালাফীদের নিজেদের মধ্যেই অনেক গ্র“প রয়েছে। তুমি যদি যুক্তরাজ্যে যাও, মাশাআল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! আল্লাহু আকবার! সেখানে সালাফীদের অনেক গ্র“প। একদল আরেকদলকে কাফের বলে তাদের সাথে ফাইট করছে, নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং তুমি কোন সালাফী? 

[http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0]

তোমরা যারা ধোঁকায় পড়ে আহলে হাদীস হয়েছো, তাদের সম্পর্কেও ডা. জাকির নায়েক খুব সুন্দর বলেছেন। ইউটিবে গিয়ে নিজ কানে শোনো। 

ডাঃ জাকির নায়েক “ইউনিটি ইন দ্য মুসলিম উম্মাহ” শিরোনামের লেকচারে বলেছেন-

Ahle Hadith, which Ahle Hadith? In Bombay there are two Ahle Hadith, Jamiete Ahle Hadith, and Gurba Ahle Hadith. Which Ahle Hadith do you belong to? One Ahle Hadith is blaming the other Ahle Hadith.

“আহলে হাদীস! কোন আহলে হাদীস? বোম্বেতে আহলে হাদীসদের দু’টি দল রয়েছে, ১.জমিয়তে আহলে হাদীস ২.গুরবা আহলে হাদীস। তুমি কোন আহলে হাদীসের কোন গ্র“পের? এক আহলে হাদীস আরেক আহলে হাদীসকে দোষী সাব্যস্ত করছে” 

তিনি আরও বলেছেন,

In the Ahle Hadith, I went to Kashmir, there are many groups of Ahle Hadith, I went to Kerala, Mujahidin - KNM, Kerala Nadvathul Mujahideen.There, people don’t call themselves Ahle Hadith - Mujahideen. If you go to Saudi Arabia and say: I am Ahle hadith, what is this new Ahle hadith? Very few people of Saudis know who that Ahle Hadith. For them they know the Salafi. But Salafi and Ahle hadith belong to the same, groups or names are different. In some country Ansari, why?

“আহলে হাদীসদের মাঝেও অনেক গ্র“প রয়েছে। আমি কাশ্মীরে গিয়েছি, সেখানে আহলে হাদীসদের অনেক গ্র“প। আমি কেরালায় গিয়েছি, সেখানে তারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বলে না। তারা কেরালা নাদভাটুল মুজাহিদিন (কে.এন.এম) নামে পরিচিত। আপনি যদি সউদি যান সেখানে গিয়ে যদি বলেন, “আমি আহলে হাদীস, তারা বলবে, এ নতুন আহলে হাদীস আবার কারা? অধিকাংশ আরব জানে না যে, আহলে হাদীস কি? তারা সালাফী গ্র“পকে চেনে। যদিও সালাফী ও আহলে হাদীস একই দল, এদের নাম ভিন্ন। আবার দেখা যায়, একই দেশে এদের কোন গ্র“পের নাম আনসারী, এটি কেন? 

[আহলে হাদীস ও সালাফীদের সম্পর্কে ডাঃ জাকির নায়েকের এ আলোচনাটি ইউটিউবে শিরোনামের পাওয়া যাবে- Dr. Zakir Naik talks about salafi_s _ AHL E HADITH

http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0]

..............................................................................................................


=====>>>আহলে হাদীস ও সালাফী ভাইদের মতামত ডা. জাকির নায়েক সম্পকে

আহলে হাদীস ভাইরা ডা. জাকির নায়েকের উপর “হাদীসের নামে মিথ্যাচারের” দাবি তুলেছে . . . 

(যারা আমাকে গালিগালি করার জন্য কোমড় বেধে তৈরি হচ্ছেন তাদের আবারো বলছি এটা আহলে হাদীসের মুখমাত্র “মাসিক আত তাহরিক” পত্রিকার স্কিনশট। কিছু বলতে হলে তাদের গিয়ে বলুন। আমাকে নয়)


ডা. জাকির নায়েক সম্পকে আহলে হাদীস ভাইদের মতামত

ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সৌদী আরবের প্রসিদ্ধ আলেম শাইখ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল-উসাইমিন, শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানীর প্রসিদ্ধ শাগরেদ শাইখ মাশহুর ইবনে হাসান আল সালমান, আরব-কান্ট্রির প্রসিদ্ধ বিশেষজ্ঞ আলেম শাইখ ইয়াহইয়া ইবনে আলী আল-হাজুরী, শাইখ আবু আমর আবদুল কারীম আল-হাজূরী প্রমূখ আরবদেশের শাইখগণের ফাতওয়া দ্বারা আহলে হাদীস ও সালাফীগণের “আসলী আহলে সুন্নাত” কমিটির পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েকের সম্পর্কে ফাতওয়া-রিসালাহ প্রকাশ করা হয়েছে।
উক্ত রিসালাহর নাম : عقل و نقل سے فائق ڈاکٹر ذاکر نائک (আক্বল ও নক্বল ছে ফায়েক্ব ডাক্তার জাকির নায়েক) (অর্থ : বিবেক ও বর্ণিত দলীলের সীমা অতিক্রমকারী ডাক্তার জাকির নায়েক)।

ডাউনলোড করুন- http://www.4shared.com/office/lK5p4QoK/______.html

ইয়েমেনে প্রসিদ্ধ ইয়েমেনের বিখ্যাত সালাফী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন-এর পক্ষ থেকে উক্ত মারকাযের প্রধান মুফতী শাইখ ইয়াহইয়া ইবনে আলী আবু আবদুর রহমান আল-হাজুরী দলীল প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সুদীর্ঘ ফাতওয়া প্রকাশ করেছেন।

http://www.youtube.com/watch?v=YVZNoFH0u20

http://www.youtube.com/watch?v=x_SVg2Au2V8

http://www.youtube.com/watch?v=i69Lud7y5No

এছাড়া উক্ত ফতওয়া উর্দু অনুবাদ ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়েছে।

http://www.deoband.net/uploads/2/1/0/4/2104435/drzakirnaik2.pdf

”ডাক্তার জাকির নায়েক মুলহিদ। মহান আল্লাহর অসীম কুদরতকে তিনি অস্বীকার করেছেন”
বলেছেন, শাইখ সালিহ আল-ফাওযান (https://en.wikipedia.org/wiki/Saleh_Al-Fawzan)

https://www.youtube.com/watch?v=_XFB_ywkxKg

ওয়েবসাইট লিঙ্ক- http://www.bakkah.net/en/shaykh-saalih-al-fowzaan-on-the-claim-that-allaah-cannot-do-all-things.htm

ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে সৌদী আরবের প্রখ্যাত আহলে হাদীস মুবাল্লিগ বিশিষ্ট স্কলার শাইখ মিরাজ রব্বানীর ফাতওয়া

https://www.facebook.com/AskSumon/videos/vb.100000603328604/1097938503569583/?type=3

“মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর ঈমান না আনলেও জান্নাতে যাওয়া যাবে” ডাক্তার জাকির নায়েকের এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফাতওয়া প্রদান করেছেন প্রসিদ্ধ আহলে হাদীস স্কলার সৌদী আরবের জেদ্দার নূর টিভির লেকচারার শাইথ ড. মুরতাজা বিন বখশ এবং ভারতের ডাক্তার জাকির নায়েকের এলাকার প্রখ্যাত আহলে হাদীস লেকচারার ও খতীব শাইখ আবু যাইদ জামীর

https://www.youtube.com/watch?v=_d_Nm-RsfZY

https://www.youtube.com/watch?v=yPQZDkgyL7k

https://www.youtube.com/watch?v=oMsGPXwBoyk

ড. জাকির নায়িক সম্পর্কে সালাফীদের বক্তব্য........

http://www.salafitalk.net/st/viewmessages.cfm?Forum=9&Topic=5611

http://www.salafitalk.net/st/viewmessages.cfm?Forum=9&Topic=2538

আল্লাহ তায়ালা আমাদের যে কোন কিছু জেনে-বুঝে প্রচার করার তৈফিক দান করুন। আমিন।।।


অলি-আউলিয়ার মাজার জিয়ারিত এবং তাদের উছিলা দিয়ে প্রার্থনা করে বিপদ থেকে উদ্ধারঃ


দলিল নং 1

 ইমাম যাহাবী বর্ণনা করেন: একবার সমরকন্দ অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। মানুষজন  যথাসাধ্য চেষ্টা করেন; কেউ কেউ সালাত আল-এস্তেসক্কা (বৃষ্টির জন্যে  নামায-দোয়া) পড়েন, কিন্তু তাও বৃষ্টি নামে নি। এমতাবস্থায় সালেহ নামের এক  প্রসিদ্ধ নেককার ব্যক্তি শহরের কাজী (বিচারক)-এর কাছে উপস্থিত হন এবং বলেন,  আমার মতে আপনার এবং মুসলমান সর্বসাধারণের ইমাম বোখারী (রহ:)-এর মাযার শরীফ  যেয়ারত করা উচিত। তাঁর মাযার শরীফ খারতাংক  এলাকায় অবস্থিত। ওখানে মাযারের কাছে গিয়ে বৃষ্টি চাইলে আল্লাহ হয়তো বৃষ্টি  মঞ্জুর করতেও পারেন। অতঃপর বিচারক ওই পুণ্যবান ব্যক্তির পরামর্শে সায় দেন  এবং মানুষজনকে সাথে নিয়ে ইমাম সাহেব (রহ:)-এর মাযারে যান। সেখানে (মাযারে)  বিচারক সবাইকে সাথে নিয়ে একটি দোয়া পাঠ করেন; এ সময় মানুষেরা কান্নায়  ভেঙ্গে পড়েন এবং ইমাম সাহেব (রহ:)-কে দোয়ার মধ্যে অসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন।  আর অমনি আল্লাহতা’লা মেঘমালা পাঠিয়ে ভারি বর্ষণ অবতীর্ণ করেন। সবাই  খারতাংক এলাকায় ৭ দিন যাবত অবস্থান করেন এবং তাঁদের কেউই সামারকান্দ ফিরে  যেতে চাননি। অথচ এই দুটি স্থানের দূরত্ব মাত্র ৩ মাইল। [ইমাম যাহাবী কৃত  সিয়্যার আল-আ’লম ওয়ান্ নুবালাহ, ১২তম খণ্ড, ৪৬৯ পৃষ্ঠা]

দলিল নং 2

ইমাম ইবনুল হাজ্জ্ব (রহ:) বলেন: সালেহীন তথা পুণ্যবানদের মাযার-রওযা হতে  বরকত আদায় (আশীর্বাদ লাভ) করার লক্ষ্যে যেয়ারত করতে বলা হয়েছে। কেননা,  বুযূর্গদের হায়াতে জিন্দেগীর সময় যে বরকত আদায় করা যেতো, তা তাঁদের বেসালের  পরও লাভ করা যায়। উলেমাবৃন্দ ও মোহাক্কিক্কীন (খোদার নৈকট্যপ্রাপ্তজন) এই  রীতি অনুসরণ করতেন যে তাঁরা আউলিয়াবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারত করে তাঁদের  শাফায়াত (সুপারিশ) কামনা করতেন......কারো কোনো হাজত বা প্রয়োজন থাকলে তার  উচিত আউলিয়া কেরামের মাযার-রওযা যেয়ারত করে তাঁদেরকে অসীলা করা। আর এ কাজে  (বাধা দিতে) এই যুক্তি দেখানো উচিত নয় যে মহানবী (দ:) তিনটি মসজিদ (মসজিদে  হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদে আকসা) ছাড়া অন্য কোথাও সফর করতে নিষেধ  করেছিলেন। মহান ইমাম আবূ হামীদ আল-গাযযালী (রহ:) নিজ ‘এহইয়া’ পুস্তকের  ’আদাব আস্ সফর’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেন যে হজ্জ্ব ও জেহাদের মতো এবাদতগুলোর  ক্ষেত্রে সফর করা বাধ্যতামূলক। অতঃপর তিনি বলেন, ‘এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে  আম্বিয়া (আ:), সাহাবা-এ-কেরাম (রা:), তাবেঈন (রহ:) ও সকল আউলিয়া ও হক্কানী  উলেমাবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর। যাঁর কাছে তাঁর যাহেরী  জীবদ্দশায় সাহায্য চাওয়া জায়েয ছিল, তাঁর কাছে তাঁর বেসালের পরও (যেয়ারত  করে) সাহায্য চাওয়া জায়েয’। [ইমাম ইবনুল হাজ্জ্ব প্রণীত আল-মাদখাল, ১ম  খণ্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা]


দলিল নং 3

ইমাম আবূ আবদিল্লাহ ইবনিল হাজ্জ্ব আল-মালেকী (রহ:) আউলিয়া ও  সালেহীনবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারত সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রচনা  করেন। তাতে তিনি লেখেন: মুতা’লিম (শিক্ষার্থী)-দের উচিত আউলিয়া ও  সালেহীনবৃন্দের সান্নিধ্যে যাওয়া; কেননা তাঁদের দেখা পাওয়াতে অন্তর জীবন  লাভ করে, যেমনিভাবে বৃষ্টি দ্বারা মাটি উর্বর হয়। তাঁদের সন্দর্শন দ্বারা  পাষাণ হৃদয়ও নরম বা বিগলিত হয়। কারণ তাঁরা আল্লাহ পাকেরই বরগাহে সর্বদা  উপস্থিত থাকেন, যে মহাপ্রভু পরম করুণাময়। তিনি কখনােই তাঁদের এবাদত-বন্দেগী  বা নিয়্যতকে প্রত্যাখ্যান করেন না, কিংবা যারা তাঁদের মাহফিলে হাজির হন ও  তাঁদেরকে চিনতে পারেন এবং তাঁদেরকে ভালোবোসেন, তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করেন  না। এটি এ কারণে যে তাঁরা হলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (দ:)-এর পরে  রহমতস্বরূপ, যে রহমত আল্লাহ-ওয়ালাদের জন্যে অবারিত। অতএব, কেউ যদি এই গুণে  গুণান্বিত হন, তাহলে সর্বসাধারণের উচিত ত্বরিত তাঁর কাছ থেকে বরকত আদায়  করা। কেননা, যারা এই আল্লাহ-ওয়ালাদের দেখা পান, তারা এমন রহমত-বরকত,  জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও স্মৃতিশক্তি লাভ করেন যা ব্যাখ্যার অতীত। আপনারা দেখবেন ওই  একই মা’আনী দ্বারা যে কেউ অনেক মানুষকে জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও জযবা (ঐশী ভাব)-এর  ক্ষেত্রে পূর্ণতা লাভ করতে দেখতে পাবেন। যে ব্যক্তি এই রহমত-বরকতকে  শ্রদ্ধা বা সম্মান করেন, তিনি কখনোই তা থেকে দূরে থাকেন না (মানে বঞ্চিত হন  না)। তবে শর্ত হলো এই যে, যাঁর সান্নিধ্য তলব করা হবে, তাঁকে অবশ্যই  সুন্নাতের পায়রুবী করতে হবে এবং সুন্নাহ’কে হেফাযত তথা সমুন্নত রাখতে হবে;  আর তা নিজের কর্মেও প্রতিফলিত করতে হবে। [ইবনুল হাজ্জ্ব রচিত আল-মাদখাল, ২য়  খণ্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা]


দলিল নং 4


[হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী (রহ:)-এর ভাষ্য]
ইমাম গাযযালী (রহ:) বলেন এবং এটি কোনো হাদীস নয়: “কারো যখন কোনো অসুবিধা  (তথা পেরেশানি) হয়, তখন তার উচিত মাযারস্থ আউলিয়াবৃন্দের কাছে সাহায্য  প্রার্থনা করা; এঁরা হলেন সে সকল পুণ্যাত্মা যাঁরা দুনিয়া থেকে বেসাল  হয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ-ই নেই, যে ব্যক্তি তাঁদের মাযার যেয়ারত  করেন, তিনি তাঁদের কাছ থেকে রূহানী মদদ (আধ্যাত্মিক সাহায্য) লাভ করেন এবং  বরকত তথা আশীর্বাদও প্রাপ্ত হন; আর বহুবার আল্লাহর দরবারে তাঁদের অসীলা পেশ  হবার দরুন মসিবত বা অসুবিধা দূর হয়েছে।” [তাফসীরে রূহুল মা’আনী, ৩০তম  খণ্ড, ২৪ পৃষ্ঠা]

জ্ঞাতব্য: ‘এসতেগাসাহ’ তথা আম্বিয়া (আ:) ও  আউলিয়া (রহ:)-এর কাছে সাহায্য প্রার্থনার বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত  জানতে আহলুস্ সুন্নাহ’র ওয়েবসাইটের ‘ফেকাহ’ বিভাগে ‘আম্বিয়া (আ:) ও আউলিয়া  (রহ:)-এর রূহানী মদদ’ শীর্ষক লেখাটি দেখেন।


দলিল নং 5


 ইমাম আবূ  হানিফা (রহ:)-এর মাযারে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে ইমাম শাফেঈ (রহ:) বলেন,  “আমি ইমাম আবু হানিফা (রা:) হতে বরকত আদায় করি এবং তাঁর মাযার শরীফ  প্রতিদিন যেয়ারত করি। আমি যখন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই, তখন-ই দুই রাকআত  নফল নামায পড়ে তাঁর মাযার শরীফ যেয়ারত করি; আর (দাঁড়িয়ে) সমাধানের জন্যে  আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি। ওই স্থান ত্যাগ করার আগেই আমার সমস্যা সমাধান হয়ে  যায়।”

রেফারেন্স 
 
 * খতীব বাগদাদী সহীহ সনদে এই ঘটনা বর্ণনা করেন তাঁর কৃত ‘তারিখে বাগদাদ’ গ্রন্থে (১:১২৩)
  

দলিল নং 6


ইবনে কাইয়্যেম ‘সালাফী’দের গুরু। সে তার শিক্ষক ইবনে তাইমিয়্যার  ধ্যান-ধারণার গোঁড়া সমর্থক, যার দরুন সে তার ইমামের সেরা শিষ্য হিসেবে  পরিচিতি লাভ করে)
 
ইবনে কাইয়্যেম লেখেন:
 
 “প্রথম অধ্যায় -  ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তাঁদের কবর যেয়ারতকারীদেরকে চিনতে পারেন কি-না  এবং তাঁদের সালামের উত্তর দিতে পারেন কি-না?        
 
”হযরত ইবনু  আবদিল বার (রহ:) থেকে বর্ণিত: নবী করীম (দ:) এরশাদ ফরমান, কোনো মুসলমান যখন  তাঁর কোনো পূর্ব-পরিচিত ভাইয়ের কবরের পাশে যান এবং তাঁকে সালাম জানান, তখন  আল্লাহতা’লা ওই সালামের জবাব দেয়ার জন্যে মরহুমের রূহকে কবরে ফিরিয়ে দেন  এবং তিনি সে সালামের জবাব দেন। এর দ্বারা বোঝা গেল যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত  ব্যক্তি যেয়ারতকারীকে চিনতে পারেন এবং তাঁর সালামের জবাবও দিয়ে থাকেন।


দলিল নং 7
 

 হযরত ফযল (রা:) ছিলেন হযরত ইবনে উবায়না (রা:)-এর মামাতো ভাই। তিনি বর্ণনা  করেন, যখন আমার পিতার ইন্তেকাল হলো, তখন আমি তাঁর সম্পর্কে খুবই  ভীত-সন্ত্রস্ত ও চিন্তিত হয়ে পড়লাম। আমি প্রত্যহ তাঁর কবর যেয়ারত করতাম।  ঘটনাক্রমে আমি কিছুদিন তাঁর কবর যেয়ারত করতে যেতে পারিনি। পরে একদিন আমি  তাঁর কবরের কাছে এসে বসলাম এবং ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমের মধ্যে আমি দেখলাম, আমার  পিতার কবরটি যেন হঠাৎ ফেটে গেলো। তিনি কবরের মধ্যে কাফনে আবৃত অবস্থায় বসে  আছেন। তাঁকে দেখতে মৃতদের মতোই মনে হচ্ছিলো। এ দৃশ্য দেখে আমি কাঁদতে  লাগলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, প্রিয় বৎস, তুমি এতোদিন পরে এলে কেন?  আমি বল্লাম, বাবা, আমার আসার খবর কি আপনি জানতে পারেন? তিনি বল্লেন, তুমি  যখন-ই এখানে আসো, তোমার খবর আমি পেয়ে যাই। তোমার যেয়ারত ও দোয়ার বরকতে আমি  শুধু উপকৃত হই না, আমার আশপাশে যাঁরা সমাহিত, তাঁরাও উল্লসিত, আনন্দিত এবং  উপকৃত হন। এ স্বপ্ন দেখার পর আমি সব সময় আমার পিতার কবর যেয়ারত করতে থাকি।”  [ প্রাগুক্ত, ৯-১০ পৃষ্ঠা]


দলিল নং 8

 
ইবনে কাইয়্যেম  আল-জাওযিয়্যা নিজ ‘কিতাবুর রূহ’ পুস্তকে ইবনে আবিদ্ দুনইয়া (রহ:)-এর সূত্রে  সাদাকাহ ইবনে সুলাইমান (রা:)-এর কথা উদ্ধৃত করেন, যিনি বর্ণনা করেন: একবার  তিনি (সাদাকাহ) একটি কুৎসিত চারিত্রিক দোষে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতোমধ্যে  তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেন। পিতার ইন্তেকালের পরে তিনি তাঁর কৃতকর্মের জন্যে  লজ্জিত হন। অতঃপর তিনি তাঁর পিতাকে স্বপ্নে দেখেন। তাঁর পিতা বলেন, প্রিয়  পুত্র, আমি তোমার নেক আমলের কারণে কবরে শান্তিতে ছিলাম। তোমার নেক আমল  আমাদেরকে দেখানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি তুমি যা করেছ, তা আমাকে আমার  ইন্তেকালপ্রাপ্ত সঙ্গিদের কাছে অত্যন্ত শরমিন্দা (লজ্জিত) করেছে। আমাকে আর  তুমি আমার ইন্তেকালপ্রাপ্ত সঙ্গিদের সামনে লজ্জিত করো না। [কিতাবুর রূহ,  বাংলা সংস্করণ, ১১ পৃষ্ঠা, ১৯৯৮]
 

দলিল নং 9

 
ইবনে  তাইমিয়াকে জিজ্ঞেস করা হয় ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানবৃন্দ তাঁদের  যেয়ারতকারীদেরকে চিনতে পারেন কি-না। সে জবাবে বলে: “যেয়ারতকারীদেরকে যে  ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানবৃন্দ চিনতে পারেন, এ ব্যাপারে
কোনো সন্দেহ-ই নেই।”  তার কথার সমর্থনে সে নিম্নের হাদীসটি পেশ করে, “ইন্তেকালপ্রাপ্তদের  সচেতনতার পক্ষে প্রামাণিক দলিল হচ্ছে বোখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত একখানা  হাদীস, যা’তে রাসূলুল্লাহ (দ:) এরশাদ করেন যে কোনো ইন্তেকালপ্রাপ্ত  মুসলমানকে দাফনের পরে ঘরে প্রত্যাবর্তনকারী মানুষের পায়ের জুতোর শব্দ  ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তি শুনতে পান।” [ইবনে তাইমিয়ার ‘মজমুয়া’ আল-ফাতাওয়া’,  ২৪তম খণ্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা]
 
দলিল নং 10
 
ইবনুল জাওযী এ বিষয়ে একখানা বই লেখেন, যেখানে তিনি আউলিয়া কেরাম (রহ:)-এর জীবনীর বিস্তারিত বিবরণ দেন। তিনি লেখেন:
 
হযরত মা’রূফ কারখী (বেসাল: ২০০ হিজরী): ”তাঁর মাযার শরীফ বাগদাদে অবস্থিত;  আর তা থেকে মানুষেরা বরকত আদায় করেন। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ:)-এর সাথী  হাফেয ইবরাহীম আল-হারবী (বেসাল: ২৮৫ হিজরী) বলতেন, হযরত মা’রূফ কারখী  (রহ:)-এর মাযার শরীফ হচ্ছে পরীক্ষিত আরোগ্যস্থল” (২:২১৪)। ইবনে জাওযী আরও  বলেন, “আমরা নিজেরাই ইবরাহীম আল-হারবী (রহ:)-এর মাযার যেয়ারত করে তা থেকে  বরকত আদায় করে থাকি।” [২:৪১০]
 
 হাফেয যাহাবীও হযরত ইবরাহীম  আল-হারবী (রহ:)-এর উপরোক্ত কথা (হযরত মা’রূফ কারখী (রহ:)-এর মাযার শরীফ  হচ্ছে পরীক্ষিত আরোগ্যস্থল) বর্ণনা করেন।  [‘সিয়্যার আ’লম আল-নুবালা’,  ৯:৩৪৩]
 

 ইবনে আল-জাওযী নিজ ‘মুতির আল-গারাম আস্ সাকিন ইলা আশরাফ আল-আমাকিন’ গ্রন্থে লেখেন:
 
 
দলিল নং 11


[হযরত আবূ আউয়ুব আনসারী (রা:)-এর মাযার শরীফ]
 
হযরত আবূ আইয়ুব আনসারী (রহ:) মহান সাহাবীদের একজন। তিনি কনস্টিনটিনোপোল-এর  যুদ্ধে অংশ নেন। শত্রু সীমানায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই অসুখ বেড়ে গেলে  তিনি অসিয়ত (উইল) করেন, “আমার বেসালের পরে তোমরা আমার মরদেহ সাথে নিয়ে  যাবে, আর শত্রুর মোকাবেলা করতে যখন তোমরা সারিবদ্ধ হবে, তখন তোমাদের কদমের  কাছে আমাকে দাফন করবে।”
 
 * ইবনে আব্দিল বারর, ‘আল-এসতেয়াব ফী মা’রিফাত-ইল-আসহাব’ (১:৪০৪-৫)
 
  অতঃপর ইসলামের সৈনিকবৃন্দ তাঁর অসিয়ত অনুসারে তাঁকে দুর্গের দ্বারপ্রান্তে  দাফন করেন এবং শত্রুদের সতর্ক করেন যেন তারা তাঁর মাযারের প্রতি অসম্মান  না করে; তা করলে ইসলামী রাজ্যের কোথাও তাদের উপাসনালয়গওলো নিরাপদ থাকবে না।  ফলে এমন কি শত্রুরাও তাঁর মাযারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য হয়েছিল। আর  মানুষেরাও সত্বর তাঁর মাযার থেকে প্রবাহিত খোদায়ী আশীর্বাদ-ধারা সম্পর্কে  জানতে পেরেছিলেন। তাঁরা মাযারে এসে যা-ই প্রার্থনা করতেন, তা-ই তৎক্ষণাৎ  মঞ্জুর হয়ে যেতো।
 
 ”আর হযরত আবূ আইয়ুব (রা:)-এর মাযার কেল্লার কাছে  অবস্থিত এবং তা সবাই জানেন....যখন মানুষেরা বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা  জানায়, বৃষ্টিপাত আরম্ভ হয়।” 
 
 * ইবনে আব্দিল বারর, প্রাগুক্ত ‘আল-এস্তেয়াব ফী মা’রিফাত-ইল-আসহাব’ (১:৪০৫)
 
 মুজাহিদ বলেন, “দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে মানুষেরা মাযারের ছাদ খুলে দেন, আর বৃষ্টি নামে।”
 

দলিল নং 12

 
  [হাফেয ইবনে হিব্বান (রহ:)] 
 
  ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ:) নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে আল-রেযা (রহ:)-এর  মাযারে তাঁর তাওয়াসসুলের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং বলেন, “তুস্ নগরীতে  অবস্থান করার সময় যখনই আমি কোনো সমস্যা দ্বারা পেরেশানগ্রস্ত হয়েছি,  তৎক্ষণাৎ আমি হযরত আলী ইবনে মূসা রেযা (তাঁর নানা তথা হুযূর পাক ও তাঁর  প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক)-এর মাযার শরীফ যেয়ারত করতাম এবং আল্লাহর  কাছে সমাধান চাইতাম। এতে আমার দোয়া কবুল হতো এবং পেরেশানিও দূর হতো। আমি  এটি-ই করতাম এবং বহুবার এর সুফল পেয়েছি।” [ইবনে হিব্বান প্রণীত ‘কিতাবুস্  সিকাত’, ৮ম খণ্ড, ৪৫৬-৭ পৃষ্ঠা, # ১৪৪১১]

মানব ভ্রুন বিকাশ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বর্ননাঃ

ভ্রুণবিজ্ঞানীগণ ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে এই বিষয়টি আবিষ্কার করেছেন কেবল কয়েক বছর পূর্বে। আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওপর বহু শতাব্দী পূর্বে এমন সূক্ষ্ম ও সুনির্দিষ্ট তথ্য অবতীর্ণ করতে পারেন? 

```আর অবশ্যই আমি (আল্লাহ) মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি। 

→ অতঃপর (ছুম্মা) আমি তাকে শুক্ররূপে (নুতফা) সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি। 
→ তারপর (ছুম্মা) আমি ‘নুতফা’ কে ‘আলাকা’য় (রক্তপিন্ড) পরিণত করি (খালাকনা)। 
→ অতঃপর (ফা) আমি আলাকাকে ‘মুদগা’য় (গোশতপিন্ডে) পরিণত করি। 
→ অতঃপর (ফা) মুদগাকে ‘ইযামে’ (হাড়ে) পরিণত করি। 
→ অতঃপর (ফা) ‘ইযাম’ কে ‘লাহম’ (মাংসপেশী) দ্বারা আবৃত করি।
→  তারপর (ছুম্মা) আমি ‘আনশা’নাহু’ (তাকে গড়ে তুলি) অন্য এক সৃষ্টিরূপে। 

অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত বরকতময়!``` (মুনিনুন, ২৩ : ১২-১৪) 


উল্লেখ্য যে, এই আয়াতে কোরান মাজিদ দু’টি ভিন্ন সংযোজক অব্যয় তথা ‘ফা’ ও ‘ছুম্মা’ ব্যবহার করেছে। অধিকাংশ অনুবাদের ক্ষেত্রে উভয়টির একই অর্থ করা হয়েছে। অথচ পূর্বে যেমনটি উল্লেখিত হয়েছে ‘ফা’ অব্যয়টি অব্যবহিত পরে অর্থ বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। পক্ষান্তরে ‘ছুম্মা’ অব্যয়টি ব্যবহৃত হয় বিলম্বিত পরম্পরা বুঝানোর জন্য। কোরান মাজিদ উপরোক্ত আয়াতে ‘ছুম্মা’ অব্যয়টি কেবল তিনবার ব্যবহার করেছে। যা নির্দেশ করে, ভ্রূণের বিকাশের ক্ষেত্রে তিনটি স্বতন্ত্র পর্যায় রয়েছে। ভ্রুণবিজ্ঞানীগণ ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে এই বিষয়টি আবিষ্কার করেছেন কেবল কয়েক বছর পূর্বে। আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওপর বহু শতাব্দী পূর্বে এমন সূক্ষ্ম ও সুনির্দিষ্ট তথ্য অবতীর্ণ করতে পারেন? কোরান মাজিদ ভ্রুণ বিকাশের স্তরগুলিকে নির্দেশ করার জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করেছে। নিচে তুলে ধরা হল : 

একঃ

‘নুতফা’ : এটি বিকাশের প্রথম ধাপকে নির্দেশ করে এবং এই ধাপটি পুরুষ ও নারীর বীর্য মিলন থেকে মায়ের জরায়ুতে জাইগোট সৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত পুরো বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। এ ধাপে আন্তকোষীয় জাইগোট বিভাজিত হওয়া শুরু করে এবং একটি অধিকতর জটিল রূপ ধারণ করে।

দুইঃ

‘খালাক্বনা বা তাখলিক : এটি ভ্রূণ বিকাশের দ্বিতীয় ধাপ। এটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সৃষ্টির স্তর। যা শুরু হয় তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এবং শেষ হয় গর্ভধারণের অষ্টম সপ্তাহে। এই ধাপে কোষ বিভাজন আরো ত্বরান্বিত হয় এবং মানব অঙ্গসমূহ ও বিভিন্ন তন্ত্রের পার্থক্য পরিষ্কার হয়। তিন. ‘আনশা’না বা নাশআ : এটি ভ্রূণবিকাশের তৃতীয় ও সর্বশেষ স্তর। এই ধাপে দ্রুত কোষ বিভাজন, পৃথকীকরণ ও বৃদ্ধি সাধন একটি সুনির্দিষ্ট মানব আকৃতি গঠন করে, যাকে বলা হয় ভ্রূণ। 

ধাপটি শুরু হয় গর্ভধারণের নবম সপ্তাহ থেকে এবং শিশু ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এসব ধাপের প্রত্যেকটি অঙ্গসংস্থান ও শরীরতাত্ত্বিক বিভিন্ন পরিবর্তনের একটি জটিল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে অতিবাহিত হয়। এই পরিবর্তনগুলি হয় দ্রুত, কিন্তু একটি থেকে অপরটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। কোরান মাজিদ এসব উপধাপকে সুনির্দিষ্ট শব্দে ‘ফা’ সংযোজক অব্যয় সহকারে বর্ণনা দিয়েছে, যা দ্রুত ও তাৎক্ষণিক পরিবর্তন নির্দেশ করে। আগত পৃষ্ঠাগুলি এ কথা পরিষ্কার করে দিবে যে, ভ্রূণবিকাশের এসব উপধাপ বর্ণনার ক্ষেত্রে কোরান মাজিদের শব্দসমূহ অধিক ব্যাপক ও যথোপযুক্ত। 

এভাবে কোরান মাজিদের প্রতিটি পরিভাষাই একথা ঘোষণা করে যে, মানব ভ্রূণবিদ্যা মহানবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি জীবন্ত মুজিঝা এবং স্বয়ং কোরান মাজিদের জন্যেও তা মুজিঝা

চতুর্দশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ আ'লা হযরত আহমদ রেজাখান বেরলভী (রহ) এর লিখা সেই বিখ্যাত নাতে রাসুল (সা):-


আলা হযরতের নিম্নোক্ত নাত শরীফটি বিভিন্ন দেশে মিলাদুন্নবী (সা) এর মাহফিলে প্রসিদ্ধ হিসেবে পাঠ করা হয়:

কাব্যানুবাদঃ “সবছে আওলা ও আলা, হামারা নবী”

১।সবছে আওলা ও আলা, হামারা নবী, সবছে বালা ও আলা, হামারা নবী।। সবার সেরা, রবের পেয়ারা, সে আমাদের নূর নবীজী, ভালোর চেয়ে ভালো, সেরাদের সেরা, আমাদের নূর নবীজী।।

২।আপনে মাওলাকা পেয়ারা, হামারা নবী, দোনো আলমকা দুলহা, হামারা নবী।। আপন প্রভূর প্রিয়ভাজন, আমাদের নূর নবীজী, দুই ভূবনের অতিথি, সে আমাদের নূর নবীজী।।

৩।বজমে আখেরকা শামা, ফেরুজা হুয়া, নুরে অয়াউয়ালকা জলওয়া, হামারা নবী।। সবার শেষে ধরার মাঝে, জ্বললো যে তাঁর নুরের বাতি। সবার আগে যে নুর পয়দা, নবীজী তাঁর প্রতিচ্ছিবি।।

৪।জিসকা শায়া হ্যায়, আরশে খোদা পর জুলুছ, হ্যায় উয়হ সুলতানে, ওয়ালা, হামারা নবী।। খোদার পাক আরশ জুড়ে, যাঁর ছায়া বিরাজে, তেমনি এক মহান রাজন, আমাদের নূর নবীজী।।

৫।বুঝগেয়ী জিসকে আগে সবহি মশয়েলে, শামা উয়হ লেকর আয়া, হামারা নবী।। আগমনে যাঁর নিস্প্রভ, সব দীপ শিখার বাতি, এমনি এক নুরের বাতি, নিয়ে এলেন নুর নবীজী।।

৬।জিনকা তলউকা দো বুন্দ হ্যায় আবে হায়াত, হ্যায় উয়হ জানে মসীহা, হামারা নবী। যাঁর দু’হাতের তালুর মাঝে, আবে হায়াত লুকিয়ে আছে, তেমনি এক প্রাণসঞ্চারী প্রস্রবণ, আমাদের নূর নবীজী।।

৭।আরশ কুরছি কি থি, আয়না বনদিয়া ছোয়ে হক যব, সুদহারা হামারা নবী।। আরশ কুরছির প্রতিচ্ছিবি, আমাদের নূর নবীজী, সত্য যখন লুক্কায়িত, উদ্ধারিলেন মোর নবীজী।

৮।খলক সে আউলিয়া, আউলিয়া সে রাসুল, আউর রাসুলুছে আলা হামারা নবী।। সৃষ্টি থেকে আউলিয়া, আউলিয়া থেকে রাসুল বড় আর রাসুলগণের মাঝে সেরা, আমাদের নূর নবীজী।।

৯।আসমানোহি পর সব নবী রাহ গেয়ে, আরশ আযমপে পৌঁহছা হামারা নবী।। সকল নবী রয়ে গেলেন, আকাশেরি এক কোনে, আরশে গিয়ে মোর নবীজী, দেখা করেন প্রভূর সনে,

১০।হুসন খাতা হ্যায় জিসকে, নিমক কি কসম হ্যায় উয়হ মলিহে দিলারা,হামারা নবী।। সৌন্দর্য সুধা করে কসম, সে মহান প্রতিপালকের, সে প্রেমাস্পদ, মনের মানুষ, আমাদের নূর নবীজী।।

১১।জিকর সব ফিকে জবতক না-মজকুর হো, নমকিন হুসনেওয়ালা, হামারা নবী, সবার কথা ব্যর্থ জানি, যদি না নাও তাঁর পাক নাম খানি, মাধুর্য্যমন্ডিত সৌন্দর্যে ভরা, আমাদের নূর নবীজী।।

১২।জিসকি দো বোন্দ হ্যায় কাওসার ও সাল সাবিল, হ্যায় উয়হ রহমতকা দরিয়া, হামারা নবী।। যার দু’টি দয়ার ফোটা, কাওসার ও সাল সাবিল, সে রহমতের মহাসাগর, আমাদের নূর নবীজী।।

১৩।যেয়ছে ছবকা খোদা এক হ্যায় ওয়ছে হি, ইনকা উনকা তোমহারা, হামারা নবী।। মহান প্রভূ, আল্লাহ মোদের, সবার তরে এক যেমনি, তেমনি ও ভাই, তোমার আমার সর্বজনার নূর নবীজী।।

১৪।করনো বদলি রাসুলোকি হোতি রাহি, চাঁদ বদলিকা নিকলা, হামারা নবী।। একের পর এক, রাসুলগনের আসাযাওয়া ধরণী পরে মোর নবীজী পূর্ণিমার চাঁদ, দীপ্তি ছড়ান সবার মাঝে।।

১৫।কওন দেতা হ্যায় দেনেকো মু চাহিয়ে, দেনেওয়ালা হ্যায় সাচ্ছা হামারা নবী।। কে আছে ভাই এমন দাতা, পাবে তুমি, যা চাহ তা, সত্যিকারের দাতা সে যে, আমাদেরি নূর নবীজী।।

১৬।কেয়া খবর কিতনে তারে খিলে, ছুপ গেয়ে, পর না ডুবে, না ডুবা হামারা নবী।। আকাশেতে কত তারা, ডুবলো যে তার হিসাব কোথা? আমার নবী নক্ষত্র এক, ডুবে না সে, ডুবলে ধরা।।

১৭।মুলকে কাওনাইন মে আম্বিয়া তাজেদার তাজেদারো কা আঁকা হামারা নবী।। সুবিশাল এ জগত মাঝে, নবীগণই মুকুটধারী, মুকুটধারী সর্বজনার শিরোমনি মোর নবীজী।।

১৮।লা মঁকা তক উজলা হ্যায় জিসকো উয়হ হ্যায়, হার মঁকা কা উজালা হামারা নবী।। লা মকানে আলো ছড়ায়, সে আমারি নূর নবীজী, সর্বস্থানে, সবার হৃদে দ্যুতি ছড়ান, মোর নবীজী।

১৯।ছারে আচ্ছো মে আচ্ছা, ছমজিয়ে জিছে, হ্যায় উছ আচ্ছে ছে আচ্ছা হামারা নবী।। ভালো সে যতই ভালো, হোক না গিয়ে, জগতের সব ভালোর মাঝে অনন্য, সে আমার নবী।। ২০।ছারে উঁচুমে উঁচা, ছমজিয়ে জিছে, হ্যায় উছ উঁচোসে উঁচা, হামারা নবী।। জগতের সব উঁচুর মাঝে, এভারেষ্ট যে ঐ বিরাজে, মোর নবীজীর শানটি সদাই, তেমনি সকল উঁচুর ‘পরে।

২১।আম্বিয়াসে করো আরজ কেঁউ মালেকো, কেয়া নবী হ্যায় তোমহারা হামারা নবী।। নবীর কাছে ফেরেশতারা, পেশ করেন না আরজিনামা, বড়ই মহান, উঁচুতে তাঁর শান, আমাদেরি নূর নবীজীর।।

২২।জিছনে টুকড়ে কিয়ে হেঁ ক্কমরকো উয়হ হ্যায়, নুরে ওয়াহাদাত কা টুকড়া হামারা নবী।। চাঁদকে দুই টুকরা করেন, আঙ্গূলের এক ঈশারাতে।। একক সত্তার টুকরা যে এক, আমাদেরি নূর নবীজী।।

২৩।ছব চমক ওয়ালে, উজলুঁমে চমকা কিয়ে, আন্ধে শিশো মে চমকা হামারা নবী।। সকল প্রদীপ আলো বিলায়, আলোকিত ঐ সদনে, আঁধার রাতে পূর্ণ শশী আমাদেরি নূর নবীজী।।


২৪।জিসনে মুরদা দিলোঁকো দি, উমরে আবদ, হ্যায় উয়হ জানে মসীহা হামারা নবী।। মৃতবৎ অন্তরে যিনি, সঞ্চারিলেন জীবন সুধা, তেমনি এক সঞ্জীবণী, প্রসবন সে আমারি নবী।।

২৫।গমজদোঁকো রেজা মুশদা দি’জে কেহ হ্যায়, বে কঁছুকা ছাহারা, হামারা নবী। বিপদাপন্ন আর দুঃখীজনে, সঞ্চারিলেন স্বস্তিবাণী, সাথীহারা নিরাশ্রয়ের সাথী, সে যে আমার নবী।।

আল-কোরআন এর আলোকে রাসুলুল্লাহ (সা) কে আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েবঃ


উক্ত পোস্ট এ যা যা আলোচনা করা হয়েছে : পুরু পোস্ট না পড়লে বিভ্রান্তিতে পতিত হবেন। 


১) আল্লাহর ইলমে গায়েবের আয়াত সমুহ। আল্লাহ স্বত্তাগত ভাবে গায়েব জানেন। রাসুলগন আল্লাহর খাস গায়েব (বা সম্পুর্ন গায়েব জানেন না) 

২) আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা) ও মনোনিত রাসুলগনকে গায়েব জানিয়েছেন। আর এ সংবাদ কখনো ফেরেশতা,কখনো ওহী এবং কখনো আল্লাহ সরাসরি জানিয়েছেন (যেমন: মেরাজ এ)। 

৩) গায়েব সম্পুর্ন জানা এবং নিজে নিজে জানা এটা শুধু প্রভুর শানেই মানায় তাই বলে আল্লাহ যাকে গায়েব জানিয়েছেন তার সেই প্রদত্ত গায়েব তো অস্বীকার করলে আল্লাহ আয়াতকেই অস্বীকার করা হবে তখন কুফর হবে। আর আল্লাহ কতটুকু গায়েব জানিয়েছেন তা আল্লাহ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম) ব্যাতীত কেউ জানে না।


★★★ যেমন : এই ৩ আয়াতে সমগ্র মুলভাব চলে এসেছে : 

তিনিই অদৃশ্যের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না কিন্তু তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত (তাদেরকে ইচ্ছা অনুযায়ী দান করেন) আর তিনি তখন তার সামনে ও তার পিছনে প্রহরী নিযুক্ত করেন। আল-জিন, ৭২:২৬-২৭ 

এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি। (আল-ইমরান ৩:৪৪) 

হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা আপনি পৌঁছে দিন। (মায়েদা ৫:৬৭) 
Note: এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট হয় যে আল্লাহ যতটুকু নির্দেশ করেছেন ততটুকুই প্রচার করা হয়েছে তার মানে এই নয় যে রাসুলুল্লাহ (সা) যতটুকু গায়েব জানতেন পুরুটাই বলে দিয়েছেন ,এর মানে হল শুধু মাত্র আদিষ্ট জ্ঞানগুলোই প্রচার করেছেন। আরো স্পষ্ট বুঝার জন্য একটি হাদিস দিলাম : 


একটি হাদীসে এরশাদ ফরমান, 

“আমি আল্লাহর নামে কসম করছি, নিশ্চয় আমি কিছুই জানি না কেবল আমার প্রভু যা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া।” 
অর্থাৎ, 
" নিশ্চয় আমার প্রভু আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া আমি কিছুই জানি না । " 

হাদিসের ব্যাখ্যা:- 

তাবুকের যুদ্ধের সময় যখন রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর উট হারিয়ে গিয়েছিল। 
তখন তিনি মানুষদের কাছে ওর খোঁজ জানতে চান, যার প্রেক্ষিতে জনৈক মোনাফেক (যায়দ ইবনে আল-লাসিত আল-কায়নুকাঈ) বলেছিল, “এই হলেন মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) যাঁর কাছে ওহী এসেছে আসমান থেকে, অথচ তিনি জানেন না তাঁর উট কোথায়।” 

এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে নূরনবী (দ:) আল্লাহর প্রশংসা করে বলেন, ”অমুক লোক (মোনাফেক) এ কথা বলেছে! 
আপনি বলুন! নিশ্চয় আমি কিছুই জানি না শুধু আমার প্রভু খোদাতা’লা যা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া অর্থাৎ 
নিশ্চয় আমার প্রভু আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া আমি কিছুই জানি না । আর তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে ওই উট অমুক উপত্যকায় একটি গাছের সাথে লাগাম জড়িয়ে গিয়ে আটকে আছে।” মানুষেরা তখনি ওখানে দৌড়ে গিয়ে (ওই অবস্থায়) উটটিকে পায়। """ 

Reference : 
★ এই বর্ণনার সনদ দু’জন সাহাবী হযরত মাহমুদ ইবনে লাবিদ (রা:) ও হযরত উমারা ইবনে হাযেম (রা:) কর্তৃক প্রদত্ত। 

★ ‘আল-মাগাযী’ পুস্তকে ইবনে এসহাক কর্তৃক লিপিবদ্ধ আছে বলে- 
★ ইবনে হিশাম তাঁর ’সীরাহ’ (৫:২০৩) ও 
★ আত-তাবারী তাঁর ‘তারিখ’ (২:১৮৪) গ্রন্থগুলোতে বিবৃত করেছেন। এ ছাড়া- 
★ ইবনে হাযম নিজ ’আল-মুহাল্লা’ (১১:২২২) কেতাবে। 
★ ইবনে হাজর তাঁর ‘ফাতহুল বারী’ (১৩:৩৬৪, ১৯৫৯ সংস্করণ) 
★ ‘আল-ইসাবা’ (২:৬১৯) গ্রন্থগুলোতে, 
★ ইবনে হিব্বান সনদ ছাড়া স্বরচিত ‘আল-সিকাত‘ (২:৯৩) পুস্তকে বর্ণনাটি উদ্ধৃত করেন। 
★ ইবনে কুতায়বা (রা:)-কে উদ্ধৃত করে ‘দালাইল আন্ নবুওয়াহ’ (১৩৭ পৃষ্ঠা) কেতাবে আল-তায়মী এটি বর্ণনা করেন। 

★ ইমাম নাবহানীর উদ্ধৃত অংশটি হযরত উকবা ইবনে আমির (রা:) হতে আবু আল-শায়খ তাঁর ‘আল-আ’যামা’ (৪:১৪৬৮-১৪৬৯ #৯৬৭১৪) পুস্তকে বর্ণনা করেন, যা একটি দীর্ঘতর বর্ণনার অংশ এবং যা’তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নিম্নের কথাগুলোও : “তুমি এখানে আমাকে কী জিজ্ঞেস করতে এসেছ তা তোমার বলার আগেই আমি তোমাকে বলে দিতে পারি।" 



আল্লাহ সত্তাগতভাবে আলিমুল গায়েব আর রাসুল (সা) কে যতটুকু গায়েব দান করা হয়েছে তিনি সেই টুকু গায়েবের আলিম :- 


ل لاَّ أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَآئِنُ اللّهِ وَلا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلاَّ مَا يُوحَى إِلَيَّ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَفَلاَ تَتَفَكَّرُونَ (50 

আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় (নিজের নিজে) অবগতও নই। 
আমি একথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা (কিন্তু আমি বাশার)। 
আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না। 
★Reference : সুরা আনআম ৫০ 


عِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلاَ حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الأَرْضِ وَلاَ رَطْبٍ وَلاَ يَابِسٍ إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ (59 

তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। 
Reference : সুরা আনআম ৫৯ 

★ ৫৯নং আয়াতে কারীমার প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। সূরা আনয়ামের ৫০নং আয়াতে কারীমা আগে সূরা হুদের ৩১নং আয়াতে কারীমা সেখানে রয়েছে, হযরত নূহ (’আলাইহিস সালাম) তাঁর কওমকে বলেছিলেন: “আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন- ভান্ডার রয়েছে এবং আমি গায়েব জানি না; আর আমি এও বলি না যে, আমিতো ফেরেশতা; আমি এটাও বলি না যে, তোমরা যাদেরকে হেয় ভাবছো - আল্লাহ কখনো তাদেরকে কল্যাণ করবেন না। তাদের হৃদয়ে যা রয়েছে - আল্লাহ তা ভালোকরেই জানেন। নইলে, আমি জালেমদেরই অন্তর্ভুক্ত হবো।” 

সূরা হুদের ৪৯ আয়াতে কারীমায় রয়েছে, “ওসব গায়েবের খবর আমি আপনার প্রতি ওহী করেছি - যেগুলো এর আগে আপনি ও আপনার উম্মত জানতেন না। ...”। 

ل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاء اللّهُ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لاَسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ إِنْ أَنَاْ إِلاَّ نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (188 

আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান (তাই হয়)। আর আমি যদি গায়বের কথা ( নিজে নিজে ) জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
★Reference : সুরা আল আরাফ ১৮৮ 


تِلْكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ مَا كُنْتَ تَعْلَمُهَا أَنْتَ وَلا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هَذَا فَاصْبِرْ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِينَ 

(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; যা এর পূর্বে তুমি জানতে না আর না তোমার কওম জানত; সুতরাং তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় শুভ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্যই। 
★ Reference : হুদ ১১:৪৯ 


يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ 

হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা তুমি পৌঁছে দাও। 
★ Reference : মায়েদা ৫:৬৭ 


ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ أَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ وَهُمْ يَمْكُرُونَ 

(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; তুমি তো তাদের নিকট ছিলে না যখন তারা তাদের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল আর তারা ষড়যন্ত্র করছিল। 
★ Reference : ইউসুফ ১২ : ১০২ 

মারইয়াম (আ) এর ঘটনা আল্লাহ তাঁর ওহীর মাধ্যমে রসূলকে জানিয়েছেন : 

ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ 

(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল, তাদের মধ্যে কে মারইয়ামের দায়িত্ব নেবে? আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা বিতর্ক করছিল। 
★ Reference : আল-ইমরান ৩:৪৪