আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম
দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব
শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা
হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার
মূর্শীদ কেবলা দয়াল
মোখলেছ সাই এর সরণে...
(তোমরা আমার
কবরকে ঈদে পরিণত
করো না এর সঠিক ব্যাখ্যা)
আমরা আজ চরম ফ্যাতনার যুগে বসবাস করছি
মুসলিম উম্মার আলেম
উলামা থেকে শুরু
করে সাধারণ মুসলিমসহ অনেকেই এই ফ্যাতনা ফ্যাসাদের জড়িয়ে যাচ্ছে দিন দিন মানুষ
সত্য থেকে দুড়ে
সড়ে যাচ্ছে যার ফলে ইসলামের সত্যর
বাণী গুলো যুগে
যুগে ডেকে পড়ছে
কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার এই সত্য উতঘাটনের জন্য কাউকে না কাউকে
বেচে নিয়ে থাকেন
ঠিক তেমনি আল্লাহ একজনকে বেচে নিয়েছেন যার নাম ইতিহাসের পাতায় পাতায় বিদ্যমান শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী (র:).আজকে আমি তারই
রচিত কিতাব থেকে
দলিল দিব উপরের
হাদীসটির...
হাদীসটি:-তোমরা আমার কবরকে
ঈদে পরিণত করো
না :-এই হাদীসটির ব্যখ্যায় মুহাদ্দিস হাফিয বিশারদ মুনযিরি (র:)বলেছেন যে,এ হাদীসের উদ্দেশ্য হচ্ছে,অধিকভাবে যিয়ারত করার জন্য
উতসাহিত করা.কেননা
হাদীসের অর্থ হচ্ছে,তোমরা আমার কবরকে
ঈদের মতো বছরে
শুধু ২ একবার
যিয়ারত করে ক্ষান্ত হয়ো না বরং যত বেশী সম্ভব
যিয়ারত করো.যেমন
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে,তোমরা তোমাদের ঘড়কে কবর বানিয়ো না এই হাদীসটর অর্থ হচ্ছে,
তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে ইবাদতবিহীন অবস্থায় থেকো
না.যেমন,মুরদাগণ কবরের মধ্যে ইবাদতবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকে.বরং ঘড়ের মধ্যে
সর্বদা নামায বন্দেগিতে মশগুল থাকবে.উপরোক্ত হাদীসের আরেকটি ব্যখ্যা হচ্ছে,তোমরা আমার
কবর যিয়ারতের জন্য ঈদের মতো কোন
সময় নির্ধারিত করো না.এইভাবে যে ঈদের মতো বছরে
হয়তো ২ একবার
যিয়ারত করলে ব্যাস,
বরং মনে রাখবে
বছরের সবসময়ই যিয়ারতের সময় অথবা এই হাদীসের মধ্যে কবরকে
ঈদের সাথে এই উদ্দেশ্যেই তুলনা হয়েছে
যে,ঈদের সময় তোমরা যে রকম আনন্দ উল্লাসে মেতে
উঠো যিয়ারতের সময় তদ্রুপ উতসবে মেতে
উঠো না বরং দুরুদ ও সালামের মধ্যেই যিয়ারতকে সীমাব্ধ রাখো.সম্মানিত পাঠকগণ এই হলো উপরোক্ত হাদীসটির ব্যখ্যা এই হাদীস দ্বারা অনেকই রাসূল (দ:)ওনার রওযা যিয়ারত করতে বাধা প্রদান করেন আশাকরি এই হাদীস দ্বারা বাধা
প্রদান মুখ্য উদ্দেশ্য নয় বরং বছরে
দু বার সীমাবদ্ধতা যেন নায় হয় এবং আনন্দ উল্লাস যেন না হয় সেদিকে ইংগিত করা হয়েছে.তাই সকলের
কাছে আবেদন যে কোন হাদীস দেখেই
ফতোয়া দেওয়া শুরু
করবেন না কারণ
হাদীসের ব্যখ্যা ছাড়া
হাদীস ব্যখ্যা করা মানে নিজের পায়ে
নিজেই কোরাল মারা
তাই আবার ও বলছি সাবধান হউন.আল্লাহ আমিন.প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা
শরীফ।
No comments:
Post a Comment