Friday, March 20, 2015

[আমি (রাসুল সা), আবু বকর, ওমর একই মাটি হতে সৃষ্টি] এর বাস্তবতা কতটুকু?

আমি (রাসুল), আবু বকর, ওমর একই মাটি হতে সৃষ্টি) এর বাস্তবতা কতটুকু?

লেখক: Masum Billah Sunny

সার সংক্ষেপ : সর্বমোট ৪টি হাদিস উল্লেখ্য করলাম।

Part 1 :

১) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসহুদ (রা) এর মাটি সম্পর্কিত হাদিসটি মুহাদ্দিসগন গরীব, দ্বয়ীফ বলেছেন। যদিও এর অন্যান্য গ্রহনযোগ্য সুত্র রয়েছে।

Part 2 :

উক্ত হাদিসটি ৩ টি সহিহ হাদিস রয়েছে।

২) জাবের (রা) এর নুর সম্পর্কিত রেওয়াতটি অনেক শক্তিশালী। অনেকের মতে হাসান ও সহিহ। এর সত্যতা যাচাই।

৩) ""আমার জন্মের সময় শ্যাম দেশের প্রাসাদ সমুহ আলোকিত হয়ে গিয়েছিল"" এই হাদিসটির সত্যতা যাচাই।

৪) ""আদম (আ) সৃষ্টির ১৪ হাজার বছর পুর্বে আমি নুর হিসেবে আমার প্রভুর সামনে বিদ্যমান ছিলাম"" হাদিসটির সত্যতা যাচাই।



                               Part 1 :-

                          HADITH NO 1 :-



মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেছেন—

ﻣَﺎﻣِﻦْ ﻣَﻮْﻟُﻮْﺩٍ ﺍِﻟَّﺎ ﻭَﻓِﯽْ ﺳُﺮَّﺗِﻪ ﻣِﻦﺗﺮﺑﺘﻪ ﺍﻟﺘﯽ ﺧﻠﻖ
ﻣﻨﻬﺎﺣﺘﯽ ﻳﺪﻓﻦ ﻓﻴﻬﺎ ﻭﺍﻧﺎ ﻭﺍﺑﻮﺑﮑﺮ ﻭﻋﻤﺮ ﺧﻠﻘﻨﺎ ﻣﻦ
ﺗﺮﺑﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻭﻓﻴﻬﺎ ﻧﺪﻓﻦ۔ ﺭﻭﺍﮦ ﺍﻟﺨﻄﯿﺐ ﺍﻟﺒﻐﺪﺍﺩﯼؒ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩؓ ﻓﯽ ﮐﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤُﺘّﻔَﻖ ﻭَﺍﻟْﻤُﻔْﺘَﺮﻕ .

অনুবাদ, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক নবজাতক শিশুর নাভীতে ঐ মাটির কিছু অংশ নিহিত থাকে যা থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এমনকি সে মাটিতেই তাঁকে দাফন করা হবে। আমি (হুজুর সাঃ), আবু বকর ও উমর একই মাটি হতে সৃষ্টি, আর তাতেই আমরা দাফন হবো।”

তথ্যসুত্র :


★কিতাবুল মুত্তাফাক ওয়ল মুফতারাক, খতীব আল-বাগদাদী রহঃ (মৃত ৪৬৩ হিঃ)।
★ আল্লামা খতিব আল বাগদাদী (আলাইহির রাহমাহ) রচিত তারিখে বাগদাদ (২/৩১৩) ।
★ আল্লামা ইবনে যওজী (আলাইহির রাহমাহ) আল-মাওদ্বু’য়াত (১/২৪৪)।
★ মুফতি শফী (রহ) রচিত , মা’আরিফুল কুরআন-৬/১১৮।
★ মাওলানা আহমদ রেজাখান (রহ) রচিত, আসসানিয়্যাতুল আনীকা ফী ফাত্বওয়ায়ে আফ্রিকা – ৮৯


উক্ত হাদিসটি কতটুকু সহিহ? ওহাবী সালাফীরা সহিহকে যেমন জাল বানাতে পারে জাল জ্বয়ীফকেও সহিহ বলে প্রচার করতে পারে অথচ তারাই বলে তারা নাকি সহিহ হাদিস ছাড়া দ্বয়ীফ বা জাল হাদিস মানে না।
আসুন দেখি উক্ত হাদিস এর reference নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু মুহাদ্দিসগন এই হাদিসের গ্রহনযোগ্যতা সম্পর্কে কি বলেছেন দেখি :-


★★★ উক্ত হাদিসের commendation :-


(1.1) খতিব আল-বাগদাদী রহঃ (ওফাত ৪৬৩ হিঃ) উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে বলেছেন,

""এই হাদিসটি গরীব। যা কোন বিধান বা আহকামের জন্য গ্রহনযোগ্য নয়, উক্ত হাদিসটি আমলগত নয় আকিদাগত কারনে তা গ্রহনযোগ্য হবে না । """

Reference :
★ আল্লামা খতিব আল বাগদাদী (রহ) : তারিখে বাগদাদ (৩/৫৪২ পৃ: হাদিস ১০৬২), (৩/১৫৫ পৃ: হাদিস ১১১৪), (১৫/৩২ পৃ: হাদিস ৬৯৫০)
★ খতিবে বাগদাদী (রহ) ওনার কিতাবুল মুত্তাফাক ওয়ল মুফতারাক।
★ আসসানিয়্যাতুল আনীকা ফী ফাত্বওয়ায়ে আফ্রিকা – ৮৯]

(1.2) খতিব আল বাগদাদী (রহ) আরো বলেন,

হাদিসটি বর্ননার দিক দিয়ে গরীব, ইমাম সুফিয়ান সাওরী (রহ) তিনি শায়বানী (রহ) হতে বর্ননা ব্যতীত অন্য কোন বর্ননাকারীর দ্বারা বর্নিত বা অস্তিত্ব আছে বলে আমার জানা নেই।

Reference :
★ খতিব আল বাগদাদী (রহ): তারিখে বাগদাদ ৩/৩১৩-৩১৪ পৃ: হাদিস ৭৯৭

Note: হাদিসটির সনদ একটাই যা খতিব আল বাগদাদী (রহ) বর্ননা করেছেন। আজ থেকে প্রায় ৯৭৩ বছর আগে এখন যদি আপরা এখনকার আলিমদের ওনার চেয়ে বড় মুহাদ্দিস মনে করেন তাহলে কি বলার নেই।

(2.1) বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে যাওজী (রহ) [৫০৮-৫৯৭ হি: যিনি জরহ ওয়াত তাদীলের ইমাম, সালাফী, ওহাবীদের নিকটও গ্রহনযোগ্য ইমাম] তিনি বলেন,

হাদিসটি জাল (মওজু), বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

(2.2) তিনি কারন হিসেবে ৩ জন রাবী কেই দোষী সাব্যস্ত করে আরো বলেন :

উক্ত হাদিসে মুহাম্মদ মারুজী, আহমদ বিন সাইফ আখমীমি অভিযুক্ত বা দোষী এবং আবুল আল ইয়াস'আ অপরিচিত।

Reference :
★ আল-মাওদ্বু’য়াত (১/৩২৮), দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ,বইরুত,লেবানন।
★ আসসানিয়্যাতুল আনীকা ফী ফাত্বওয়ায়ে আফ্রিকা – ৮৯]

(3.1) হাদিসের ৩য় রাবী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী (রহ) [৬৭৩-৭৪৮ হি:] বলেন,

আবুল ইয়াস'আ সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। আর হাদিসের সনদে এজতেরাব (এলোমেলো /বিশৃঙ্খলা) রয়েছে।

Reference :
★ ইমাম যাহাবী (রহ) : মিযানুল ইতিদাল : ৪/৫৮৯ পৃ: রাভী নং ১০৭৪৮

(3.2) ইমাম যাহাবী (রহ) আরো বলেন,

আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ননাকারী মিথ্যাবাদী এক রাবী যার নাম হল - ''মুসা বিন শাহল বিন হারুন আর রাযী'' তিনি ইমাম সুফীয়ান সাওরী (রহ) হতে তার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা হাদিস বর্ননা করতেন। তারপর তিনি উক্ত জাল হাদিসটি উদাহরন স্বরুপ উল্লেখ করেন।

reference :
★ ইমাম যাহাবী : মিযানুল ই'তিদাল ৪/১৮৯ পৃ: রাবী নং ৯৩৬৬

(4) ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ) [২৭০-৩৫৪ হি:] বলেন,

তার সকল বর্ননা বিশ্বস্ত রাবীর বিপরীত।

reference :
★ ইমাম ইবনে হিব্বান : আল মাজরুহীন : ৮/১৮১ পৃ: হাদিস ১২০
★ ইবনে যাওজী : দ্বয়ীফাহ ওয়াল মাতরুকুন : ১/৯৬ : ক্রমিক নং ২৯০
★ ইমাম যাহাবী : মিযানুল ইতিদাল : ১/১৭৬ পৃ: রাভী নং ৭৭১৩
★ ইমাম যাহাবী : তাহযিবুত তাহযিব : ১/২১২ পৃ: রাবী নং ৩৯৭

(5) সালাফী, আহলে হাদিসদের ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী বলেছে,

হাদিসটি জাল বা বাতিল।
reference:
★ আলবানী : ১১/৩৮৮ পৃ: হাদিস ৫২৪০

(6) ইমাম আবু হাতিম (রহ) [১৯৫-২৭৭ হি: যিনি ৩ লক্ষ হাদিসের হাফিজ ছিলেন] তিনি বলেন,

তিনি মজহুল অপরিচিত রাবী।

Reference :
★ ইমাম আবু হাতেম : জররাহ ওয়া তা'আদিল ২/৩৩৩ পৃ: ক্রমিক ১২৬৪
★মিযযী : তাহযীবুল কামাল ২/৩৫৯ পৃ: ক্রমিক ৩২২
★ ইবনে যাওজী : দ্বয়ীফাহ ওয়াল মাতরুকুন : ১/৯৬ : ক্রমিক নং ২৯০
★ ইমাম যাহাবী : মিযানুল ইতিদাল : ১/১৭৬ পৃ: রাভী নং ৭৭১৩
★ ইমাম যাহাবী : তাহযিবুত তাহযিব : ১/২১২ পৃ: রাবী নং ৩৯৭




(7) ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী (রহ) [৮৪৯-৯১১ হি:] তিনি বলেন,

হাদিসটি অত্যন্ত দুর্বল বা দ্বয়ীফ (যা খতিব আল বাগদাদীর মতের সাথে মিলে গরীবের পর্যায়ভুক্ত প্রায় কারন তিনি শুধু দুর্বল বলেন নি অত্যন্ত দুর্বল বলেছেন)।

reference :
★ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী : আল লা আলিল মাসনু ১/৩০৯-৩১০
★ আল্লামা জালালুদ্দিন আস-সুয়ূতী (আলাইহির রাহমাহ) রচিত নূরুচ্ছদূর ফী শরহিল কবূর, পরিচ্ছেদ নং ১৪।

(8) কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী (রহ) [ওফাত ১২২৫ হি:] তিনি,

তিনি খতিব আল বাগদাদী (রহ) এর মতঅনুযায়ী হাদিসটিকে গরীব বলে সাব্যস্ত করেছেন।

reference :
★ তাফসীরে মাজহারী ৬/৭৩, প্রণেতা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী

(9) আল্লামা ইবনুল ইরাক (রহ),
(10) ইমাম আদি (রহ),
(11) আহলে হাদিস শাওকানী তারা সবাই ইবনে যাওজীর সাথে মিল রেখে বলেন,

হাদিসটি জাল, বানোয়াট।

Reference :
★ ইবনু আ’দী (আলাইহির রাহমাহ) রচিত “আল-কামিল” (৭/১৫০)

(12) আ'লা হযরত আহমদ রেজাখান বেরলভী (রহ) [চতুর্দশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ] তার ফতোয়ায়ে আফ্রিকায়,

খতিব আল বাগদাদী (রহ) এর মতামত অনুসারে গরীব এবং ইবনে জাওযী (রহ) এর মতে জাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Reference :
★ আসসানিয়্যাতুল আনীকা ফী ফাত্বওয়ায়ে আফ্রিকা – ৮৯]

(13) স্বয়ং ওহাবী তফসীর মা'আরিফুল কুরআন এর প্রনেতা মুফতি শফী] বলেন,

উক্ত হাদিসটি জাল, ভিত্তিহীন, বানোয়াট রেওয়াত হিসেবে এর উপর নির্ভর করে রাসুলুল্লাহ (সা) এর দেহ মোবারক মাটির বলা কতটুকু ভিত্তিহীন তা বলার উপেক্ষা রাখে না।

Reference :
★ মা'আরিফুল কুরআন [সওদী আরব ছাপা ৮৫৬ নং পৃ: অথবা ৬ খন্ড:১১৮ পৃ:

হাদিসটি গরীব অথবা জাল তাই এর level:


★ সহিহ হাদিস যেকোন আইন অনুসারে গ্রহনীয়। এর বহু পর্যায় আছে।
★ দ্বয়ীয় সহিহর বিপরীতে অগ্রহনযোগ্য তাছাড়া বরকত হাসিলের জন্য আমল করা যায়। এরও পর্যায় রয়েছে।
★ আর গরীব তো দ্বয়ীফের সামনেই মোকাবিলা করতে পারে না


 ★★★ উপরোক্ত হাদিসের বিপরীতে নুর সম্পর্কিত সাদৃশ্যপুর্ন হাদিস সমুহ :


Hadith no 1 : প্রথম সুত্র

® ইমাম আবু নুইম ইস্পাহানী (রহ) [৩৩৬-৪৩০ হি:] সংকলন করেছেন,

হযরত আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্নিত,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমাকে তার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, আবু বকর (রা) কে আমার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, উমর (রা) কে আবু বকরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমার সমস্ত উম্মতকে উমরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর উমর হল জান্নাতবাসীদের প্রদীপস্বরুপ।

Reference :
★ ইমাম আবু নুইম ইস্পাহানী : তার "আমলিয়্যাহ" কিতাবে

সুত্র সম্পর্কে commandation:

★ ইমাম যাহাবী : মিযানুল ই'তিদাল : ১/১৯০ পৃ: রাবী নং ৮০৯ এ তিনি উক্ত হাদিসের একজন রাবী ""আহমদ ইবনে ইউসুফ আল-মানযীবী""সম্পর্কে বলেছেন, তার ব্যাপারে আমি পরিচিত নই"।

★ ইবনে হাজর আসকালানী : লিসানুল মিযান ১/৩৬২পৃ: তিনিও ইমাম যাহাবীর কথামত বলেন, তার ব্যাপারে আমি পরিচিত নই।

Note: ১ জন রাবী অপরিচিত তাই হাদিস দুর্বল বা দ্বয়ীফ কিন্তু কেউ জাল বলেন নি।

Hadith no 2: দ্বিতীয় সুত্র :

® ইমাম ছালাভী (রহ) [ওফাত ৪২৭] তার "তফসীরে ছালাভীতে " হাদিসটির সনদসহ বর্ননা করেছেন:

আমাকে অর্থাৎ ইমাম ছালাভী (রহ) কে সংবাদ দিয়েছেন
|
আবু উসমান (রহ)
|
তিনি তাবেয়ী হযরত সাবিত (রহ) হতে,
|
তিনি হযরত আনাস (রা) হতে বলেন,
|
আর তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) হতে যে,

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমাকে তার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, আবু বকর (রা) কে আমার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, উমর (রা) ও আয়েশা (রা) কে আবু বকরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত মুমিনদেরকে উমরের নুর থেকে আর সমস্ত মু'মিন নারীগনকে হযরত আয়েশা (রা) এর নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন।

Reference :
★ ইমাম ছালাভী : তফসীরে ছালাভী : ৭/১১১ পৃ: সুরা নুর : আয়াত ৩৯
★ইমাম কুরতুবী : তফসীরে কুরতুবী : ১২/২৮৬ পৃ: সুরা নুর : ৩৯ নং আয়াত
★ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী : আল-লাআতিল মাসনু : ১/১৫০ পৃ: ও ১/৩২০ পৃ:
★ ইমাম দায়লামী : আল-মুসনাদিল ফেরদাউস : ১/১৭১ পৃ: হাদিস ৬৪০
★ ইবনুল ইরাক : তানযীহুশ-শরীয়্যাহ : ১/৩৫১ পৃ:

Hadith no 3 : তৃতীয় সুত্র :

® ইমাম দায়লামী (রহ) [ওফাত ৫০৯ হি] তিনি অনুরুপ আরেক সনদ বর্ননা করেছেন,

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এর সুত্রে বর্নিত,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমাকে তার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, আবু বকর (রা) কে আমার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, উমর (র) কে আবু বকরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন। নবী রাসুলগন ব্যতীত সকলেই (মুমিনগন) উমরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন।

Reference :
★ ইমাম দায়লামী : আল-মুসনাদিল ফেরদাউস : ১/১৭১ পৃ: হাদিস ৬৪০

Note: উপরোক্ত হাদিসটির বিভিন্ন সনদ এসেছে কয়েকজন সাহাবী থেকে যার কারনে দুর্বল সনদ ছাড়াও আরো সনদ রয়েছে। তাই সামগ্রিকভাবে হাদিসটি হাসান বা গ্রহনযোগ্য।




                                    Part 2 :-



যদি অধিক আগ্রহ আর ধইর্য থাকে এই ৪টা পোষ্ট অবশ্যই ঘুরে আসুন :

জাবির (রা) বর্নিত হাদিসে নুর (Hadith-E-Noor) কি জাল?

http://goo.gl/Myx0dg

অনুরুপ Lecture টি নিচে অন্য সাইট থেকে দিলাম কিন্তু এখানে ছবি বাদ দিয়ে প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে হাদিসটির Chain Transmission add করেছি :-

http://goo.gl/plWl53


রাসুলুল্লাহ (দুরুদ) নুরে মুজাচ্ছাম-

http://goo.gl/cHOXA1




রাসুলুল্লাহ (সা) বেমিসাল মাখলুক (সৃষ্টি)-

http://goo.gl/Nhcgbj


                     
                                HADITH NO  1 :-


হাদিসটি নিম্নরোপ :-

حضرت جابر بن عبد اﷲ رضی اﷲ عنہما سے مروی ہے فرمایا کہ میں نے بارگاہِ رسالت مآب صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم میں عرض کیا : یا رسول اﷲ! میرے ماں باپ آپ پر قربان! مجھے بتائیں کہ اﷲ تعالیٰ نے سب سے پہلے کس چیز کو پیدا کیا؟ حضور نبی اکرم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم نے فرمایا : اے جابر! بے شک اﷲ تعالیٰ نے تمام مخلوق (کو پیدا کرنے) سے پہلے تیرے نبی کا نور اپنے نور (کے فیض ) سے پیدا فرمایا، یہ نور اللہ تعالیٰ کی مشیت سے جہاں اس نے چاہا سیر کرتا رہا۔ اس وقت نہ لوح تھی نہ قلم، نہ جنت تھی نہ دوزخ، نہ (کوئی) فرشتہ تھا نہ آسمان تھا نہ زمین، نہ سورج تھا نہ چاند، نہ جن تھے اور نہ انسان، جب اﷲ تعالیٰ نے ارادہ فرمایا کہ مخلوق کو پیدا کرے تو اس نے اس نور کو چار حصوں میں تقسیم کر دیا۔ پہلے حصہ سے قلم بنایا، دوسرے حصہ سے لوح اور تیسرے حصہ سے عرش بنایا۔ پھر چوتھے حصہ کو (مزید) چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے عرش اٹھانے والے فرشتے بنائے اور دوسرے حصہ سے کرسی اور تیسرے حصہ سے باقی فرشتے پیدا کئے۔ پھر چوتھے حصہ کو مزید چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے آسمان بنائے، دوسرے حصہ سے زمین اور تیسرے حصہ سے جنت اور دوزخ بنائی۔ ۔ ۔ یہ طویل حدیث ہے۔

অর্থ : হযরত জাবির (রা:) আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم !!
আমার পিতা-মাতা আপনার কদম মোবারক এ কোরবানি হোক,
আপনি বলে দিন যে আল্লাহ্‌ পাক সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেছেন?
রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বললেন”

হে জাবের, নিশ্চই আল্লাহ্‌ তা’য়ালা সর্ব প্রথম স্বীয় (নিজ) নূর হতে তোমার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন !!”

তারপর সেই নূর আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায় ভ্রমণ রত ছিল। কেননা ঐ সময়
লাওহ-কলম , জান্নাত – জাহান্নাম
ফেরেশতা , আসমান- জমিন কিছুই ছিল না ।
তারপর আল্লাহ্‌ মাখলক সৃষ্টি করার ইচ্ছা করলেন..
তখন এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন..
প্রথম ভাগ দিয়ে কলম;
দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ;
তৃতীয় ভাগ দিয়ে আরশ এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে
বাকি সবকিছু সৃষ্টি করলেন….।



হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম



জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু



মুহাম্মাদ বিন মুনকাদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি



মা’মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি



আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।

Note : হযরত জাবের (রা) থেকে উক্ত হাদিসের সনদখানা ইমাম বুখারীর দাতা এবং শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (রহ) ওনার “জান্নাতুল খুলদ” কিতাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। উক্ত হাদিস খানা শাব্দিক পরিবর্তন সহ “”উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) ” থেকেও বর্নিত আছে। নিচে সেটাও ছবি আকারে দেয়া হয়েছে।

উপরোক্ত হাদিসটি অসংখ্য কিতাবে দলিল হিসেবে বর্নিত হয়েছে :
References
►Musannaf Abdur Razaq, al-Juz al-Mafqud min al-Juz al-Awwal min al-Musannaf Abdur Razaq, Page No. 99, Hadith Number 18

►Qastalani in Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 71,
►Zurqani in Sharah Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 89-91,

►Ajluni in Kashf al-Khafa (وقال : رواه عبد الرزاق بسنده عن جابر بن عبد اﷲ رضي اﷲ عنهما) Volume 001, Page No. 311, Hadith Number 827,
Imam ‘Ajluni nain farmaya:
“Yeh Abdur Razzaq ki rawyat hay jisy unhoun nain apni Sanad say rawayat kiya hay.”

ইমাম আজলুনী (রহ) বলেন, ” এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি নিজ সনদে তা বর্ননা করেছেন ”

►Halabi in his Sirah Volume 001, Page No. 50,

►Ashraf Ali Thanvi in Nashar ut-Tib Volume 001, Page No. 13

From : ‘Iydarusi
Book : Tarekh An Nur as Saafir
Volume : 1
Page : 8

Imam ‘Iydarusi nain farmaya:
“Yeh Abdur Razzaq ki rawyat hay jisy unhoun nain apni Sanad say rawayat kiya hay.”

ইমাম ইয়দারুসি (রহ) বলেন,” এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি স্বয়ং নিজ সনদে বর্ননা করেছেন ”

From : Muhaddith ‘Abdur Haq Dihlavi
Book : Madarij al-Nubuwwa

He declared this Hadeeth Sound and Authentic

মুহাদ্দিসে আব্দুল হক দেহলভী (রহ) বলেন, ” এই হাদিস বিশুদ্ধ এবং সহিহ ”

[Madarij al Nabuwah, Volume No.2, Page No. 2 (Persian edition), Volume No.2, Page # 13 (Urdu Edition), Published by Shabbir Brothers, Urdu, Bazaar Lahore.]

From : Ahmad al-Shami Son of Ibn e `Abidin
Book : commentary on Ibn Hajar al-Haytami’s poem al-Ni`mat al-kubra `ala al-`alamin

From : Nabhani
Book : Jawahir Al Bihar
Volume : 3
Page : 354

এই হাদিসটি আরো বিভিন্ন কিতাবে বর্নিত আছে:-

♦দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
♦যুরকানী ১/৪৬
♦রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
♦মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
♦ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
♦আন-নিআমাতুল কুবরা ২ পৃ
♦হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
♦দাইলামী শরীফ ২/১৯১
♦মাকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং
♦মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
♦ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
♦নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
♦আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
♦আফদ্বালুল ক্বোরা
♦তারীখুল খমীস ১/২০
♦নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
♦দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
♦কাশফুল খফা ১/৩১১
♦তারিখ আননূর ১/৮
♦আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
♦আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
♦তাওয়ারীখে মুহম্মদ
♦আনফাসে রহীমিয়া
♦মা’ য়ারিফে মুহম্মদী
♦মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
♦আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
♦শিহাবুছ ছাকিব ৫০
♦মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
♦রেসালায়ে নূর ২ পৃ
♦হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
♦দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩

****************************



মুসান্নাফ কিতাবে এই হাদিস আছে এবং ছিল তার প্রমান :-

★★★ হাদিসের মান ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই:-

★ ★ ইমাম বায়হাকী [Born : 384 AH/994 CE
Died : 458 AH/1066 CE]

তিনি উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয় – ” ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয় যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”

দলীল-
√ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।

★ এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম, আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে বর্ননা করেন–

ان الله تعالي خلق قبل الاشياء نور نبيك

“….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার “নূর” মুবারক সৃষ্টি করেন।”

দলীল-
√ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩ পৃষ্ঠা।

উক্ত হাদিস সম্পর্কে সমর্থনকারী Islamic Scholars দের বিবৃতি দ্বারা উপরোক্ত সনদ এবং হাদিসের মান নির্নয় করি :-

★ শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (রহ) [পিরে পিরানী,মিরে মিরানী, গাউসে সামাদানী, মাহবুবে সুবহানী, গাউসুল আযম দস্তগীর (রহ), ওফাত ৫৬১ হিজরি]

তিনি তার বিখ্যাত [Sirr al-asrar fi ma yahtaju ilayh al-abrar (p. 12-14 of the Lahore edition)] কিতাবে বলেন, আমি (রাসুল) আল্লাহর (নুর) থেকে সৃষ্টি আর আমার (নুর) থেকে সমস্ত বিশ্বাসীগন (ও সমস্ত কিছু) সৃষ্টি।
তিনি আরো বলেন, রাসুল (সা) এর নুর থেকে আল্লাহর আরশ সৃষ্টি এবং এমন আরো কিছু (যা হাদিসে প্রথম) সৃষ্টি যেমন কলম, বুদ্ধিমত্তা [The Secret of Secrets (Cambridge: Islamic Texts Society, 1994)]

★ ইবনে আল-হাজ্ব আল-আবদারী ( ইমাম মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ, ওফাত ৭৩৬ হি) তিনি তার [ al-Madkhal (2:34 of the Dar al-kitab al-`arabi in Beirut)] কিতাবে বর্ননা করেছেন [al-Khatib Abu al-Rabi` Muhammad ibn al-Layth’s book Shifa’ al-sudur] কিতাব থেকে যেখানে বলা হয়েছে : ” সর্বপ্রথম আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর মুবারক সৃষ্টি করেছেন এবং উক্ত নুর এসে আল্লাহর সামনে সিজদায় রত ছিল। আল্লাহ পাক একে ৪ ভাগ করলেন ১ম ভাগ দিয়ে আরশ, ২য় ভাগ দিয়ে কলম & from the third the Tablet এবং অত:পর সেই ৪ ভাগকে পুনরায় ভাগ (Subdivision) করলেন আর তা দিয়ে বাকি সমস্তকিছু সৃষ্টি করলেন।

★ইমাম আব্দুল করিম যিলি (জন্ম ৭৬৬ হি.) ওনার [Namus al-a`zam wa al-qamus al-aqdam fi ma`rifat qadar al-bani] কিতাবে দলিলস্বরুপ (evidence হিসেবে) বর্ননা করেছেন।

★ ইমাম নাবহানী (ইউসুফ বিন ইসমাইল) একে দলিলস্বরুপ (evidence হিসেবে) বর্ননা করেন,
তার [al-Anwar al-muhammadiyya (p. 13)] ও তার [Jawahir al-bihar (p. 1125 or 4:220 of the Baba edition in Cairo)] এবং তার [Hujjat Allah `ala al-`alamin (p. 28)]

★ ইমাম নিশাবুরি (নিজামউদ্দিন ইবনে হাসান, ওফাত ৭২৮ হি:) দলিলস্বরুপ (evidence হিসেবে) গ্রহন করেছেন, ”
[সুরা জুমার (৩৯.১২) ‘ আমাকে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আমি প্রথম মুসলিম হই।’] এই আয়াতের তফসীরে [Ghara’ib al-Qur’an (8:66 of the Baba edition in Cairo).]

★ ইমাম ইউসুফ আল-সাইয়্যিদ হাসিম (রিফাই) বলেন যে এটা ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) বর্ননা করেছেন এবং এটা দলিল স্বরুপ।
Adillat ahl al-sunna wa al-jama`a al-musamma al-radd al-muhkam al-mani` (p. 22)


★ মুহাদ্দীস আব্দুল হক দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদিসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।
From : Muhaddith ‘Abdur Haq Dihlavi
Book : Madarij al-Nubuwwa

★ ইমাম কুস্তালানী (রহ) (আহম্মদ ইবনে মুহাম্মদ, ওফাত ৯২৩ হি) বলেন, ” এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি নিজ সনদে হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ননা করেছেন ”
From : Qustalani
Book : Mawahib Al Laduniyah
Volume : 1
Page : 71

★ ইমাম কুস্তালানী তিনি তার বিখ্যাত [al-Mawahib al-laduniyya (1:55 of the edition accompanied by Zarqani’s commentary)] কিতাবে দলিল হিসেবে বর্ননা করেছেন।

★ ইমাম যুরকানি (রহ) তার (শরহে মাওয়াহিব 1:56 of the Matba`a al-`amira edition in Cairo) কিতাবে এই হাদিসটি বর্ননা করেছেন এবং এটা ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর থেকে বর্ননা বলে তার বিখ্যাত ” মুসান্নাফ ” কিতাবে রয়েছে বলে উল্ল্যেখ করেছেন।

★★★ ★ইমাম সুয়ুতী (রহ) এর শত শত ফতোয়া যেখানে ওহাবীরা ছেড়ে দেয় সেখানে ওনার ১টা উক্তিকে নিয়ে ওহাবীরা আদা-জল খেয়ে লেগেছে :-

★ ★★ ইযলুনি (১২ শতাব্দীতে) তার ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) “[Kashf ul Khafa” vol 1 p 311], and in [“Arba’in” n°19], এবং তিনি শেষে ১টা বইয়ে বলেন যে তিনি এর “”ইসনদ”” পাননি এবং তিনি একে ইমাম কুস্তালানী (রহ) এর (সমর্থন অনুযায়ী) অনুসরন করেছেন।

★★ ইমাম সুয়ুতী (রহ) তাখরিজ হাদিস (শরহে মাওয়াকিফ) এ বলেন, আমি এই শব্দটুকু খুজে পাইনি।

★ আল-ঘুমারি (ওহাবী নেতা) বলেন, ইমাম সুয়ুতী (রহ) তার “”খাসাইস”” কিতাবে এই হাদিসটি তারপরও ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর থেকে বর্ননা বলে (সমর্থন দিয়ে) লিখেছেন।

★ উল্লেখ্য যে,
**“আল্লামা সুয়ুতী (রহ:) এর [জন্ম ৮৪৯ হিজরী আর ওফাত ৯১১ হিজরী]
** অপর দিকে আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে আহমদ কুস্তালানি রহঃ এর [জন্ম ৮৫১ হিজরী আর ওফাত ৯২৩ হিজরী] ।

★ মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে ইমাম কুস্তালানী (রহ) সম্পর্কে ওহাবীরা বলে ইমাম সুয়ুতী নাকি ইমাম কুস্তালানীর অনেক আগের তাই সুয়ুতী (রহ) না করেছেন তাকেই মানব। তাহলে আমার উত্তর ৩ টা :-

১) ইমাম কুস্তালানী (রহ) ইমাম সুয়ুতী ২ বছরের ছোট তিনি ইমাম সুয়ুতীর যামানার জগতবিখ্যাত মুহাদ্দিস, কোন দিক থেকে ইমাম সুয়ুতী (রহ) যেমন কম না ইমাম কুস্তালানী (রহ)ও কম নয়। তিনি স্বয়ং একে আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর বর্ননা বলে দলিল হিসেবে গ্রহন করেছেন আর ইমাম সুয়ুতী একে খুজে পান নি বলেছেন তাই এখানে অন্য কোন খুরা অজুহাত দেখানোর সুযোগ নেই।

২) ইমাম সুয়ুতী খুজে পান নি এর মানে এই নয় তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুরের প্রতি তার আকিদা ছিল না তিনি নিজে সেই হাদিসকে খুজে না পাওয়ার পরও তার বিখ্যাত “”খাসাইসুল কুবরা”” কিতাবে আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর বর্ননা বলে ধরে নিয়েছেন তাছাড়া তিনি আরো অনেক নুর সম্পর্কিত হাদিস বর্ননা করেছেন যার কিছু এই পোস্টেও দেয়া হয়েছে।

৩) তাদের কথামত যদি সব কথা বাদও দেই তাহলে বলুন যদি এই হাদিস নাই থাকত তাহলে ইমাম বায়হাকী (রহ)
Born : 384 AH/994 CE
Died: 458 AH/1066 CE
বর্তমানে [১৪৩৬ হিজরি] তাহলে এই জগতবিখ্যাত মুহাদ্দিস আজ থেকে প্রায় ১০০০ বছর আগে এই হাদিসকে দলিলস্বরুপ তার “”দালাইলুন-নবুওয়াত”” কিতাবে আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর সনদ হিসেবে কিভাবে লিখে গেল? যার “সুনানে বায়হাকী” সহিহ হাদিসের কিতাবগুলোর মধ্যে অন্যতম।

★ Diyarbakri (Husayn ibn Muhammad d. 966): He begins his 1,000-page history entitled Tarikh al-khamis fi ahwal anfasi nafis with the words: “Praise be to Allah Who created the Light of His Prophet before everything else,” which is enough to disprove al-Ghumari’s exaggerated claim that “anyone who reads it will be convinced that the hadith is a lie.” Then Diyarbakri cites the hadith as evidence (1:19 of the Mu’assasat Sha`ban edition in Beirut).

★ ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী [ওফাত ৯৭৪ হি] :

তিনি তার বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব [Fatawa hadithiyya (p. 247 of the Baba edition in Cairo)] তে বলেছেন যে এই হাদিসটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) বর্ননা করেছেন এবং তিনি তার রচিত কবিতায় মধ্যেও এটা বলেছেন।
ইবনে হাজর হায়তামী তার বিখ্যাত গ্রন্থ [Al-Ni`mat al-kubra `ala al-`alamin (p. 3)]

★ মোল্লা আলি কারী (রহ) [ওফাত 1014 হিজরি]
তিনি বলেন,

ومنه قوله اول ما خلق اللّه نورى وفى رواية روحى ومعناهما واحد فان الارواح نورانية اى اول ما خلق اللّه من الارواح روحى

প্রথম বস্তু যা আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন তা হল আমার নুর এবং অন্য বর্ননায় এসেছে যে “রুহ” এবং এই দুইটার অর্থ একই কারন “রুহ” হল নুরানী। এই হাদিসের অর্থ এটাও যে আল্লাহ সমস্ত “রুহের” সৃষ্টির পুর্বে আমার “রুহ” পাক সৃষ্টি করেছিলেন। [Mirqaat alMafateeh]

★ আলি ইবনে বুরহান উদ্দিন হালাবী [ওফাত, ১০৪৪ হিজরি] তিনি বিখ্যাত [As- Sirah Al-Halabi (1:31 of the Maktaba Islamiyya edition in Beirut)] কিতাবে দলিল হিসেবে বর্ননা করে বলেন, এই হাদিস টি এটাই প্রমান করে যে সমস্ত সৃষ্টির মুল হল রাসুলুল্লাহ (সা) কে সৃষ্টি এবং আল্লাহ ভাল জানেন।”

★ Fasi (Muhammad ibn Ahmad d. 1052) cites it as evidence in Matali` al-masarrat (p. 210, 221 of the Matba`a al-taziyya edition) and says: “These narrations indicate his primacy (awwaliyya) and priority over all other creations, and also the fact that he is their cause (sabab).”

★ ইসলাইল হাক্কী [বিখ্যাত মুফাসসির, ওফাত ১১৩৭] তিনি তার বিখ্যাত তফসীর “”রুহুল বয়ান”” বলেন, আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর মুবারক সৃষ্টি করেছেন এবং ওনার (অস্তিত্বের) কারনেই সমস্ত কিছুর (অস্তিত্ব) সৃষ্টি। ইমাম ইউসুফ নাবহানী (রহ) তার [Jawahir al-bihar (p. 1125)] কিতাবে এই হাদিসটি দলিল স্বরুপ বর্ননা করেছেন।

★ ইমাম আজলুনী (রহ) বলেন, ” এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি নিজ সনদে তা বর্ননা করেছেন “From : ‘Ajluni (Isma`il ibn Muhammad d. 1162)
Book : Kashaf Al Khifa
Volume : 1
Page : 311
Hadith number : 827

★ ইমাম ইয়দারুসি (রহ) বলেন,” এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি স্বয়ং নিজ সনদে বর্ননা করেছেন ”
From : ‘Iydarusi
Book : Tarekh An Nur as Saafir
Volume : 1
Page : 8

★ ইমাম আহমদ আবেদিন শামী (রহ) [(1198–1252 AH ]
হানাফী মাযহাবের বিশ্ববিখ্যাত শ্রেষ্ঠ ফতোয়া “”ফতোয়ায়ে শামী”র প্রনেতা তিনি একে দলিলস্বরুপ গ্রহন করেছেন,”

★ মালিকি আল-হাসানী (মুহাম্মদ ইবনে আলাভী) তিনি মোল্লা আলি কারি (রহ) এর মিলাদ সম্পর্কিত বইয়ের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “” [Hashiyat al-Mawrid al-rawi fi al-mawlid al-nabawi (p. 40)] বলেন :

** “নুর সম্পর্কিত জাবির (রা) এর হাদিসটির সনদ (Chain) কোন রকম আপত্তি ব্যতিরেকে সহীহ (Sound) কিন্তু বিভিন্ন Scholars এর বিষেশত্ব অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বর্ননা করেছেন।

**”ইমাম বায়হাকীও এটা সামান্য পরিবর্তন সহকারে বর্ননা করেছেন।” তারপর তিনি বলেন বিভিন্ন বর্ননা রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর সম্পর্কিত বর্ননাকে প্রতিষ্ঠা করেছে।

★ ইমাম আব্দুল গনী নাবলুসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি [ বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ] উক্ত হাদীস শরীফকে সরাসরি “”সহীহ”” বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন –

قد خلق كل شيي من نوره صلي الله عليه و سلم كما ورد به الحديث الصحيح

অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে ‘সহীহ’ হাদীস শরীফ বর্নিত রয়েছে।”

দলীল-
√ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।

★ইমাম আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি [ ইমামুল মুফাসরিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ]
উক্ত হাদীস শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি উনার কিতাবে লিখেন –

ولذا كان نوره صلي الله عليه و سلم اول المخلوقات ففي الخبر اول ما خلق الله تعالي نور نبيك ياجابر

অর্থ : সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন- হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।”

দলীল-
√ রুহুল মায়ানী ১৭ তম খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠা।

★ ইমাম মুহম্মদ মাহদ ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফকে “”সহীহ “” বলে নিজের কিতাব মুবারকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বর্ননা করেন –

اول ما خلق الله نوره ومن نوري خلق كل شءي

অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু সৃষ্টি করেন।”

দলীল-
√ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।

★ মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি [বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন] উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে এর গ্রহনযোগ্যতা সম্পর্কে বলেন –

وامانوره صلي الله عليه و سلم فهو في غاياة من الظهور شرقا و غربا واول ما خلق الله نوره وسماه في كتابه نورا

অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন ‘নূর’।”

দলীল-
√ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।


★ বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা আবুল হাসান বিন আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন —

قال علي رضي الله عنه كان الله ولا شيء معه فاول ما خلق نور حبيبه قبل ان يخلق الماء والعرش والكرسي واللوح والقلم والجنة وانار والحجاب

অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতঃপর তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত, জাহান্নাম ও পর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।”

দলীল-
√ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।

★★★ ওহাবী নেতারা যারা যারা এই হাদিসে নুরকে দলিল হিসেবে গ্রহন করেছেন :-

★ আশরাফ আলী থানভী (ওহাবী নেতা) :
তিনি তার বিখ্যাত কিতাব [Nashr al-tib (in Urdu, p. 6 and 215 of the Lahore edition) ] এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে “”দলিল (evidence) হিসেবে “” বর্ননা করেছেন এবং তিনি এর উপর বিশ্বাস রাখেন [Relies upon it]

★ ইসমাইল দেহলভী (ওহাবীনেতা মৃত্যু ১২৪৬ হি) তার [Yek rawzah (p. 11 of the Maltan edition)] কিতাবে বলেন : “[জাবির (রা) এর হাদিসে নুর দ্বারা] আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার (রাসুলুল্লাহ সা. এর) নুর মোবারক সৃষ্টি করেছেন।”

★ উমর ইবনে আহমদ [ওফাত ১২৯৯ হি] তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ [Sharh qasidat al-burda (p. 73 of the Karachi edition) ] এর মধ্যে দলিল হিসেবে বর্ননা করেছেন।

★ ওহাবীদের নেতা রশিদ আহমদ গাংগুহী তার [ Fatawa rashidiyya (p. 157 of the Karachi edition) ] বলেন, সহীহ হাদিস সংকলনে এই হাদিসটি পাওয়া যায় নি কিন্তু
“” মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ) একে শুধু বর্ননাই করেন নি বরং একে বিশুদ্ধ এবং সহীহ হিসেবে বলেছেন।”” (উপরে ওনার ভাষ্য দেয়া আছে)।

★ ওহাবীনেতা আব্দুল হাই লাখনভী (মৃত্যু ১৩০৪)
এটা বর্ননা করেছে তার [ al-Athar al-marfu`a fi al-akhbar al-mawdu`a (p. 33-34 of the Lahore edition) ] এবং বলেন : “মুহাম্মদ (সা) এর নুর সম্পর্কিত হাদিসটি (al-nur al-muhammadi)
প্রাথমিকভাবে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (রহ) এর বর্নিত হাদিসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যা যথার্থভাবে সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর উপরে (রাসুলুল্লাহ সা. এর নুরকে) নির্দিষ্টভাবে অগ্রাধিকার দেয়।

★ ইশান ইলাহি জহির (ওহাবী নেতা) , তার কিতাব [Hadiyyat al-mahdi (p. 56 of the Sialkut edition)] এ বলেছেন, আল্লাহ তার সৃষ্টির সুচনা করেছিলেন নুরে মুহাম্মাদী সা. (al-nur al-muhammadi) দ্বারা তারপর তিনি পানির উপর আরশ সৃষ্টি করেন। মুহাম্মাদ (সা) এর নুর সমস্ত সৃষ্টির প্রাথমিক উপাদান যার থেকে হাদিসে (এটাও) এসেছে যে প্রথম সৃষ্ট বস্তু হল কলম।




★ Imam Ibn Hajr al-Haythami (rah) narrates in his Fatawa al Hadithiyyah:

Rasul (durud) said: “O Jabir, the first thing Allah created was the light of your Prophet from His light.

Reference

►Narrated by Imam Ibn Hajr al Haytami in Fatawa al Hadithiyyah Page No. 289

★★★ এখন এই হাদিসের রাবীগনের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই:-

১. হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
>>জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়্যাল্লাহু আনহু
>>মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
>>মা’মার বিন রাশীদ
>>আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি

এবার দেখা যাক রাবীগনের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্য :-

(ক) হাদিসটির রাবী ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (রহ) :-

★ ইমাম আবু যারদাহ (রহ) বলেন,”

Imam ‘Abdur Razzaq un ulama main say hain jin ki Hadeeth mu’tabar (‘itibaar k qabil) hay.
From : Ibn e hajr ‘Asqalani
Book : Tahdheeb At Tahdeeb
Volume : 6
Page : 311

★ আহমাদ ইবন সালীহ (রঃ) বলেন, “আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাকের থেকে আর কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) বলেন, না”।
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ২/৩৩১]

★ ইবনে হাজর আসকালানী (রহ) আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (রহ) এর বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে ওনার কিতাবে কি লিপিবদ্ধ করেছেন দেখি:-

জরহ ওয়াত তাদিলের ইমাম ইয়াহিয়া বিন মঈন বলেন,”

★ Agr Imam ‘Abdur Razaq Murtad bhi ho jaen (Ma’az ALLAH) to hum us say hadeeth layna tark na karain gay (Yani phir bhi hadeeth lain gy)

From : Ibn e hajr ‘Asqalani
Book : Tahdheeb At Tahdeeb
Volume : 6
Page : 314

From : Ibn e Hajr ‘Asqalani
Book : Mizan Al ‘Itidal
Volume : 2
Page : 612

★ Imam Ibn e Hajr ‘Asqalani nain inko Thiqah aur Hafiz Likha hay.

From : Ibn e hajr
Book : Taqreeb at Tahdheeb
Page : 354
Rawi Number : 4064

★ Imam Abu Zar’dah farmaty hain:
Imam ‘Abdur Razzaq un ulama main say hain jin ki Hadeeth mu’tabar (‘itibaar k qabil) hay.

From : Ibn e hajr ‘Asqalani
Book : Tahdheeb At Tahdeeb
Volume : 6
Page : 311

(গ) হাদীসটির একটি রাবী হলেন মা’মার বিন রাশীদ।

উনার সম্পর্কে
★ আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে মা’মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর আসকলানী (রঃ) উনাকে দক্ষ মুখস্তবীদ, নির্ভরযোগ্য বলেন।
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫]
মা’মার বিন রাশীদ সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং
মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০

★ Imam Ibn e Hajr ‘Asqalni nain farmaya k Ma’mar bin Rashid thiqah thabat faazal hain.

From : Ibn e Hajr
Book : Taqreeb At Tahdheeb
Volume : 2
Page : 202
publish from dar Al Kutub AL i’lmiyyah Beirut Lebanon in 1995

(ঘ) হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার।

ইমাম হুমায়দি বলেন, মুকদার একজন হাফিজ
ইমাম জারাহ তাদীল ইবন মা’ঈন বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য
[আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ভলি ০৯/১১০৪৮]
মুকদার থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম শারীফে ২২টি।

(ঙ) আর জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।

সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস বর্ণিত আছে।




                               HADITH NO 2 :




রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বলেন :-

” আমি তোমাদের আমার পূর্বের কিছু
কথা জানাবো! তা হলো-
আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের
দোয়া আর হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ওনার জাতিকে দেয়া সুসংবাদ ও আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল.. ”

Reference :-

Book: Miskatul Masabih
page: 513

Book: Kanjul Ummal
Part: 11
Page: 173

From: Ibne Hibban
Book: Shahih ibne hibban
Volume: 9
Page: 106

From: Ibn al-Jawzi
Book: al-Wafa’
Page: 91,
chapter: 21 of Bidayat nabiyyina sallallahu `alayhi wa sallam

From: Imam Haythami
Book: Majma` al-zawa’id (8:221/409)

From: Al Haakim,
Book: Al mustadrak,
Volume :002,
Page No. 615-616/ 705/724
References of Hadith number 4233
or V:3 page: 27

Imam Hakim after narrating it said:

هذا حديث صحيح الإسناد شاهد للحديث الأول

Translation: This Hadith has a Sahih chain and is also a witness over the first hadith (which he mentioned in the chapter)

Reference

►Mustadrak ala Sahihayn, Volume 2, Page No. 600, Hadith No. 4175

From: Imam Ahamad
Book: Musnade Ahamad
volume: 4
page: 127
Hadith: 16701

From : Ibn e Sa’d
Book : Tabqaat Al Kubra
Volume : 1
Page : 150

From : Bayhaqi
Book : Dalaeel un Nubuwwah
Volume : 1
Page : 83
again 1:110 & 2:8

From : Ibn e ‘Asakir
Book : Tareekh Madeenat Damishq
Volume/page : 1:170 and 3:393

From : Qurtabi
Book : Jami’ Al Ahkaam Al quran
Volume : 2
Page : 131

From : Tabari
Book : jami’ Al Bayan
Volume : 1
Page : 556

From : Ibn e Katheer
Book : Tafseer Al Quran Al Azeem
Volume : 4
Page : 360-361

From : Samarqani
Book : Tafseer
Volume : 3
Page : 421

From : Tabarai
Book : Tareekh Al Umam wal Mulook
Volume : 1
Page : 458

From : Ibn e Ishaaq
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 28

From : Ibn e Hisham
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 302

Book: Al-Bidaya wan Nehaya
Volume : 2
page: 321

Book: Musnade Afzar
Hadith: 2365

Book: Tafsire Dor’re Monsor
volume : 1
page: 334

Book: Maoware dul
zamman
volume:1
pagepage:512

From : Halabi
Book : Seerat Al Halabiyyah
Volume : 1
Page : 77




                            HADITH NO 3 (A) :-




★ Hadith (A) তাবলিগ জামাতের নেতা আশরাফ আলী থানভী
তার বিখ্যাত কিতাব “নুশর আত ত্বীব” এ বর্ননা করেছেন যে —
Asraf Ali Thanwi has mentioned a Hadith in his book نشر الطیب فی ذکر النبی الحبیب صلی اللہ علیہ وسلم that—-

—– Hazrat Ali bin Al-Hussain (Zainul Abdeen) narrated from ”””his father Hazrat Hussain (رضی اللہ عنہ) ”””’and he narrated from ”””his father (Hazrat Aliرضی اللہ عنہ)”””’ that the Prophet (صلی اللہ علیہ وسلم) said:

হযরত আলি বিন আল-হোসাইন [ ইমাম জয়নুল আবেদিন (রা) ] ওনার পিতা ইমাম হোসাইন (রা) থেকে তিনি ওনার পিতা হযরত আলি (রা) থেকে বর্ননা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,

—– :“I was a ””’noor (light)””” in front of my Lord some fourteen thousand years before the birth of Hazrat Adam (علیہ السلام).”

আমি আমার প্রভুর সামনে আদম (আ) সৃষ্টিরও প্রায় ১৪ হাজার বছর পুর্বে একটা নুর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম।

—- There are some more traditions which prove that the noor of the Prophet (صلی اللہ علیہ وسلم) was created in the earliest time, some traditions say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth, sky and even before all creatures.

এমন অনেক ধরনের বর্ননা প্রমান করে যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর সর্বপ্রথমে (earliest)
সৃষ্টি হয়েছিল, কিছু কিছু বর্ননা (মানে হাদিস) বলে যে লাওহ-কলম, পৃথিবী- আকাশ এমনকি সবকিছুর পুর্বে রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর সৃষ্টি হয়েছিল।

উনার বিখ্যাত কিতাব “Nashr ut Teeb fi Dhikr il Nabbiyal Habeeb” এ হাদিস লিখেছেন। স্ক্যান কপিসহ দেখুনঃ

http://­salafiaqeedah.blogspo­t.com/2012/05/­deobandi-fabrication-­in-nashr-ut-teeb.htm­l

তাছাড়া এই উত্তর দেওবন্দের আন্তর্জাতিক website এর ফতোয়া দেখুন :-

Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him’s nur the first thing to be created? Also, was it created before Adam alayhis salam’s? Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa: 903/876=D)

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক – ->>> http://darulifta-deoband.org/showuserview.do?function=answerView&all=en&id=3126


                                 HADITH NO 3 (B)


Hadith (B)  :

حدثنا الحسن قثنا أحمد بن المقدام العجلي قثنا الفضيل بن عياض قثنا ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن زاذان عن سلمان قال سمعت حبيبي رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كنت انا وعلي نورا بين يدي الله عز وجل قبل ان يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله آدم قسم ذلك النور جزءين فجزء أنا وجزء علي عليه السلام

Salman (ra) narrates that he heard the beloved Prophet (صلى الله عليه وسلم) say: I was a Nur in front of Allah, some 14000 years before creation of Adam (as).

Reference

★ Imam Ahmed bin Hanbal in Fadhail as Sahaba, Volume No. 2,Page No. 663, Hadith No 1130

★ Al Muhibb al Tabari narrates this tradition on the authority of Salman from the Prophet (pbuh&hp) in al Riyad al Nadirah, ii, 163:

★ Ahmad ibn Hanbal in al Fada’il;

★ Sibt ibn al Jawzi in Tadhkirat Al­khawass, 46;

★ Abu Hatim Muhammad ibn Idris al Razi in Zayn al Fata fi tafsir Surat Hal ata, MS.;

★ This tradition has also been narrated by also Ibn Mardawayh, Ibn Abd al Barr, al Khatib al Baghdadi, Ibn al Maghazili, al-Asimi, Shiruyah al Daylami and others from Imam Ali , Salman , Abu Dharr , Anas ibn Malik , Jabir ibn Abd Allah and other Companions.

উক্ত হাদিসটি অনেক সুত্রে বর্নিত হয়েছে :-

the hadis is transmitted by many genres of narrators including –

i) Sahaabah (Companions of the Holy Prophet s.a.w.a.)
ii) Taabe’een (Generation after companions who did not see the Holy Prophet s.a.w.a.)
iii) Huffaaz (Memorizers of the Holy Quran)
iv) Ulama (Scholars)

The following is a category-wise list of transmitters:

i) Companions:
Among the revered companions who narrated the tradition:

1. Ameerul Momineen Ali b. Abi Taalib (a.s)

Following scholars have recorded the tradition from him:

• Saalehaani
• Kala’ai
• Muhammad b. Jafar
• Wasabi
• Waa’iz Hirvi
• Muhammad Sadr Aalim

2. Imam Husain b. Ali (a.s)

Following scholars have chronicled the tradition from him:

• Aasimi
• Khaarazmi
• Matarzi
• Shahabuddin Ahmad

3. Salman Muhammadi (r.a)

Following scholars have documented this tradition from him:

• Ahmad b. Hanbal. (Sibt-e-Jauzi has narrated this tradition in his book from Ahmad b. Hanbal.)
• Abdullah Ibn Ahmad
• Ibne Maghazili
• Sheruyeh Daylami
• Natanzi
• Shahardar Daylami
• Khateebe Khaarazmi
• Ibn Asir
• Hamwini
• Taalibi
• Hamadani
• Ganji Shaafe’ee
• Tabari
• Wasabi
• Hirvi

4. Abu Zarr Ghaffari (r.a.)

Ibne Maghaazili has narrated from him.

5. Jaabir b. Abdillah al-Ansaari (r.a.)

Ibne Maghaazili has narrated from him.

6. Abdullah b. Abbas (r.a.)

Following scholars have narrated this tradition from him:

• Ibn Habeeb Baghdadi
• Natanzi
• Ganji Shaafe’ee
• Hamwini
• Zarandi
• Shahabuddin Ahmad
• Jamaal Muhaddis

7. Abu Hurairah

Hamwini has narrated from him.

8. Anas b. Maalik

Aasimi has narrated from him.

i) The Taabe’een who narrated Hadees-e-Nur:
• Imam Ali b. Husain b. Abi Taalib (a.s)
• Zadaan Abu Umar Kandi exp 82 AH
• Abu Usman Nahdi
• Saalim b. Abu Ja’ad Ashja’ee exp. 98 or 100 AH
• Abu Zubair Muhammad b. Muslim b. Tadarrrus Asadi Makki exp 126 AH
• Ikramah b. Abdullah Burairi exp 180 AH
• Abdul Rahman b. Yaqub Johni Madani
• Abu Ubaidah Hameed b. Abi Hameed Taweel Basri

ii) Among the memorizers of the Holy Quran who narrated Hadees-e-Nur are:
• Ahmad b. Hanbal Shaybaani exp 241 AH
• Abu Haatim Muhammad b. Idris exp 277 A.H
• Abdullah b. Ahmad b. Hanbal exp 290 AH
• Ibn Mordowayh Abu Bar Ahmad b. Moosa Isfahaani exp 410 AH
• Abu Naeem Ahmad Ibn Abdullah Isfahaani exp 430 AH
• Ibn Abdul Barr Yusuf Ibn Abdullah Numairi Qurtubbi exp 463 AH
• Khateeb-e-Baghdadi
• Daylami
• Khaaarazmi
• Ganji Shaafe’ee
• Tabari
• Hamwini

Sibt ibne Jauzi’s reply to those who consider the hadis as weak
Sibt ibne Jauzi who is considered a high principled narrator by many Sunni scholars like Khaarazmi, Zahabi, Muhammad b. Ali Dawoodi – the teacher of Suyooti, Ibn Khallekaan among others, has documented Hadis-e-Nur in his book Tazkerah al-Khawaas (p. 22) strongly refuting the arguments of the skeptics who deem it as weak.



No comments:

Post a Comment