Sunday, May 24, 2015

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এবং রাসুলুল্লাহ (সা) হাজির ও নাজির প্রসংগ :-

বাতিল ওহাবীদের ভুল ধারনা রয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) কে হাজির নাজির বললে শিরিক হবে। কেন? কারন তারা আল্লাহকে হাজির নাজির বলে সম্বোধন করে। আসুন উক্ত শব্দটির বিশ্লেষণ করি ।


📖 আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান।
📖 রাসুলুল্লাহ (সা) হাজির নাজির।



                   📖 আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান 📖




★ আমাদের আকিদা হল ""আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান"" (মানে হল সর্ব জায়গায় সব সময় প্রভুর অস্তিস্ত্ব রয়েছে)। (তিনি স্থান, কাল, আকার, আকৃতি সব কিছুর উর্ব্ধে)
এই শব্দের কেন ব্যবহার?
কারন আপনে কি বলতে পারবেন যে আল্লাহ অতীতে ছিল না?
আসুন একটু বিস্তারিত দেখে নেই :




আল্লাহ বলেছেন :-


★ “জেনে রাখো, সবকিছুকেই আল্লাহতালা পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।” [সুরা ৪১ সুরা হা-মীম আস্ সাজদাহ্: আয়াত ৫৪]

★ তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তিনি তোমাদের সঙ্গেই আছেন, তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা দেখেন।” [সুরা ৫৭ হাদীদ: আয়াত ৪]।

★  “আপনি কি অনুধাবন করেননি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা জানেন; তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থজন হিসাবে তিনি উপস্থিত থাকেন না এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে ষষ্ঠজন হিসাবে তিনি উপস্থিত থাকেন না; তারা এরচেয়ে কম বা বেশী হোক; তারা যেখানে থাকুক না কেন আল্লাহ তাদের সঙ্গেই আছেন। তারা যা করে; তিনি তাদেরকে কিয়ামতের দিন তা জানিয়ে দিবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত।” [সুরা ৫৮ সুরা মুজাদালাহ্ : আয়াত ৭]।

★ “আমি তোমাদের গলার শাহী ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।" [সুরা ৫০ কাফ: আয়াত ১৬]।

★ আল্লাহ কোথায় আছেন এ সম্পর্কে বিভিন্ন আয়াতে বিভিন্ন ভাবে বলা হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন :


At- Thaha : 5
also Al-A'raf : 54
An'Nur : 16
Al-Mu'minun : 91
Al-Isro' : 43
Al-Ikhlas : 4
Yunus ; 3
Ar-Ra'du ; 2
Al-Furqon : 59
As-Sajdah : 4



                    📖 "আল্লাহ আরশে অধিষ্ঠ আছেন" এর ব্যাখ্যা 📖



উপরোক্ত কথাটির প্রকৃত অর্থ ও ব্যাখ্যা নির্ভরযোগ্য দলিল দিয়ে দিতে চাই :-


★ Imam ‘Ali ibn Abi Taalib (’alayhis salaam) is recorded to have said
,
كان- الله- ولا مكان، وهو الان على ما- عليه- كان
,
“Allah was without place, and He is now as He was [then]. ”


★ Imam Zaynul-’Aabidin ’Ali ibn Al-Husayn ibn ‘Ali ibn Abi Taalib (radhiya Allahu ‘Anhu) stated ,

أنت الله الذي لا يحويك مكان
,
“You are Allah , who does not occupy place!”
,
[It-haaf As-Saadat Al-Muttaqin 2/24 ]


★ ইমাম আবু হানিফা রহ. থেকে বর্ণিত,
আমি বললাম: আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আল্লাহ কোথায়?
ইমাম আবু হানিফা রহ. উত্তর দিলেন: প্রশ্নকারীকে বলা হবে, সব কিছু সৃষ্টির পূর্বে যখন কোন স্থান ছিল না, তখন আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তখনও ছিলেন যখন 'কোথায়' কথাটির অস্তিত্ব ছিল না, যখন কোন সৃষ্টি ছিল না, এমনকি যখন কিছুই ছিল না তখনও আল্লাহ ছিলেন। আর তিনিই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
[আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২৫]

★ ইমাম আবু হানিফা রহ. থেকে বর্ণিত,
"আমরা বিশ্বাস করি, আরশের প্রতি মুখাপেক্ষিতা, স্থিতি ও অবস্থান ব্যতীত আল্লাহ তায়ালা আরশের উপর ইস্তাওয়া করেছেন। তিনি আরশ ও আরশ ছাড়া অন্য সকল কিছুর সংরক্ষক। এগুলোর প্রতি তিনি বিন্দুমাত্র মুখাপেক্ষী নন। তিনি যদি আরশ বা অন্য কিছুর প্রতি মুখাপেক্ষী হতেন, অন্যান্য মাখলুকের মতো তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম হতেন না। আল্লাহ তায়ালা যদি বসা ও অবস্থানের মুখাপেক্ষী হতেন, তাহলে আরশে সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ কোথায় ছিলেন? নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আরশের উপর অবস্থান ও বসার ধারণা থেকে বহু উর্ধ্বে।
[আল-ওসিয়্যা, পৃ. ২]


★ al-Hafidh Imam Abu Bakr al-Bayhaqi said: "

Some of our companions used as evidence to deny a place for Allah, the saying of the Prophet:"O Allah You are adh-Dhahir so there is nothing above You, O Allah, You are al-Batin so there is nothing beneath You". So if there is nothing above Him and nothing below him is that He is not in aplace."



★ The Maliki Qadhi Ibn Rushd the Elder (d. 520), said:

ليس- الله- في مكان، فقد كان قبل أن يخلق المكان

Allah ta’alaa is not in a space, for He was before ’space’was created.” [Quoted by Ibn Al-Haaj in Al-Madkhal]

★ He also stated,

فلا يقال أين ولا كيف ولا متى لأنه خالق الزمان والمكان

, It is not to be asked ‘Where’, ‘How’, or ‘When’ for He created The time as well as space.” [Ibid 3/181]

★ He also stated ,

وإضافته- أي العرش- إلى الله تعالى إنما هو بمعنى التشريف له كما يقال: بيت الله وحرمه، لا أنه محل له وموضع لاستقراره
,
And the ascription of the ‘Arsh (throne) to Allah ta’alaais with the meaning of honouring Him, just as it is said ‘The House of Allah and Its Sanctity”. It is not because it is His place or the abode for which he sits (istiqraar).”
[Al-Madkhal 2:149, Also Ibn Hajr in his Fat-hul Baari]




★ Imam An-Nasafi (701 or 710 AH) states in his Tafsir
,
إنه تعالى كان ولا مكان فهو على ما كان قبل خلق المكان، لم يتغير عما كان.
,
“Verily He, the exalted, was without place , and He is as He was before creating (the entity of) ‘place’, not changing as He was [Tafsīr An-Nisfi Surah Taha Volume 2]


★ The Shaykh Abul abbas shihad ud din Ahmad ibn Muhammad Al-Qastalānī Al-Masrī (d. 933 AH) said in his Sharh (gloss) of Sahīh Al-Bukhārī
,,
ذات الله منزه عن المكان والجهة

“Allah ’s essence is free from space (makān) and direction (jihah [Irshād As-Sārī 15/451]


★ Imam Ibn Hajr al Asqalani (rah) says:

When we say: "Allah is above the Throne" (Allah `ala al-`arsh), it does not mean that He is touching it or that He is located on it or bounded by a certain side of the Throne"Its meaning is He elevatedHimself (irtafa`a)" [b/] and others of them said: "Its meaning is sovereignty (al-mulk) and power (al-qudra)."
[ Ibn Hajar, Fath al-Bari (1959 ed. 13:409)]




★ Abi Mansur Al-Baghdadi also quotes Imam ‘Ali (radhiyaAllahu ‘anhu) as saying,

إن الله تعالى خلق العرش إظهارًا لقدرته لا مكانا لذاته
,“Verily Allah , the exalted, created the throne to manifest His power, not as a place for his essence.”





                     📖' ইস্তাওয়া' শব্দের অর্থঃ📖



★ বিখ্যাত মুফাসসির, ভাষাবিদ ও আরবী ব্যাকরণবিদ আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনুল মুবারক [মৃত: ২৩৭ হি:] তার " গারিবুল কুরআন ও তাফসীরুহু" -তে লিখেছেন,

" সূরা ত্ব-হা এর পাঁচ নং আয়াত: দয়াময় আল্লাহ তায়ালা আরশের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। "ইস্তেওয়া শব্দের অর্থ হলো, ইস্তাওলা তথা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা"

[গারিবুল কুরআন ও তাফসীরুহু, পৃষ্ঠা.২৪৩, আলামুল কুতুব]

*** এখন বলুন আপনে কি বলতে পারবেন যে আল্লাহ এখানে হাজির হয়েছেন? যদি বলেন হাজির হয়েছেন তাহলে কি প্রশ্ন হবে না যে তিনি কি এই মাত্র হাজির হয়েছেন? আগে এখানে ছিলেন না? নাউযুবিল্লাহ

আরেকটা উদাহরন দিয়ে সোজা করে বলি :
এক শিক্ষক তার বিচক্ষন ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন,
বল আল্লাহ কোথায় আছেন?
ছাত্র জবাব দিল আগে আমার ১টি প্রশ্নের উত্তর দিন যে,
আল্লাহ কোথায় নেই?

কি বুঝলেন?আশা করি বুঝতে পেরেছেন।




                               📖 রাসুলুল্লাহ (সা) হাজির নাজির 📖



★ রাসুলুল্লাহ (সা) হাজির (উপস্থিত) নাজির (দেখেন)। মানে হল আল্লাহর ইচ্ছায় যেকোন জায়গায় উপস্থিতও হতে পারেন এবং আমাদের কাজ সমুহের সাক্ষীও হয়ে থাকেন। এর কিছু শর্ত জেনে নেই। যেমন :

১) একই সময়ে সমস্ত দুনিয়া একই সংগে পরিভ্রমন করার ক্ষমতা।
২) এক স্থানে থেকে সমস্ত পৃথিবী দেখার ক্ষমতা।

আসুন উপরোক্ত শর্ত হাদিস থেকে বুঝে নেই :

★ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্ণিত আছেঃ-

اِنَّ اللهَ رَفَعَ لِىْ الدُّنْيَا فَاَنَا اَنْظُرُ اِلَيْهَا وَاِلى مَهُوَ كَائِنٌ فِيْهَا اِلى يَوْمِ الْقِيَمَةِ كَاَنَّمَا اَنْظُرُ اِلَى كَفِّىْ هذَا

অর্থাৎঃ আল্লাহ তা’আলা আমার সামনে সারা দুনিয়াকে তুলে ধরেছেন। তখন আমি এ দুনিয়াকে এবং এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা’কিছু হবে এমন ভাবে দেখতে পেয়েছি, যেভাবে আমি আমার নিজ হাতকে দেখতে পাচ্ছি।

সুত্র : শহরে মাওয়াহেবে লদুনিয়ায়’: আল্লামা যুরকানী (রহতুল্লাহে আলাইহে) প্রনীত


★ আল-কোরআনে বলা হয়েছে : রাসুলুল্লাহ (সা) কে সাক্ষীরুপে প্রেরন করা হয়েছে।

*** সাক্ষী তো এই ব্যাক্তিকেই করা হয় যিনি কিনা উপস্থিত ছিলেন কিংবা ঘটনানলি পর্যবক্ষেন করেছেন তাই না? যে নাকি কিছুই দেখে নি উপস্থিতও ছিল না সে কোন দিন কোন সাক্ষী হতে পারে না। এই বাক্যটুকু উপরের ২টা শর্তের সাথে মিলিয়ে নিন।



                               📒 প্রমান সাপেক্ষে আলোচনা 📒



                             📖 আল-কোরআন ও তফসীর থেকে :-


★ আল কুরআনে আল্লাহ বলেন,
‘‘ইন্না আরসালনাকা বিল হাক্‌কি বাশিরাও ওয়া 'নাজিরাও' ওয়াইমমিন উম্মুতিন ইলা খালা ফি’হা 'নাযির'।"
আমি তোমাকে (রাসূল) সত্যসহ প্রেরণ করেছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে, এমন কোন সম্প্রদায় নেই, যার নিকট সতর্ককারী প্রেরীত হয়নি- (সূরা: ফাতির, আয়াত- ২৫)

Note: নাযির অর্থ সতর্ককারীও হয়।

★ সেদিন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে এক একজন সাক্ষী উত্থিত করব আর এদের সকলের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষ্যীরুপে আনয়ন করব।
সুরা নাহল ৮৯

★ “তবে কেমন হবে যখন আমি (আল্লাহ) প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো, এবং হে মাহবুব, আপনাকে তাদের সবার ব্যাপারে সাক্ষী ও পর্যবেক্ষণকারী স্বরূপ উপস্থিত করবো?” (৪:৪১)

*** মহানবী (দ:) যা জানেন না বা দেখেন নি সে সম্পর্কে তো তাঁকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে বলা হবে না। তিনি এগুলো দেখবেন বলেই ওনাকে সাক্ষী স্বরুপ বলা হয়েছে।

★ “এবং জেনে রেখো, তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসূল (দ:) রয়েছেন” (৪৯:৭)।

★ “অতঃপর তোমাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল(দ:)।”[৯:৯৪]

★ এবং “আপনি বলুন: আমল করে যাও; অতঃপর তোমাদের আমল প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (দ:) এবং মো’মেন মুসলমানবৃন্দ” (৯:১০৫)।

হাদিস দিয়ে উক্ত সাক্ষী শব্দটি বুঝিয়ে দিচ্ছি :


★ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের সমস্ত কোটি কোটি মুমিন-মুসলমানের আমলের উপর দেখে দেখে সাক্ষী থাকবেমবেন :-

 হযরত আবুযর গিফারী (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে,

عُر ضَتْ عَلَىَّ اَعْمَالُ اُمَّتِىْ حَسَنُهَا وَسَيِّئُهَا فَوَجَدْت فِىْ مَحَاسِنِ اَعْمَالِها الْاَذَى يُمَاطُ عَنِ الطَّرِيْقِ

(আমার সামনে আমার উম্মতের ভালমন্দ সমূহ পেশ করা হয়েছে। আমি তাদের নেক আমল সমূহের মধ্যে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সমূহ অপসারনের মত পূণ্য কাজও লক্ষ্য করেছি।

সুত্র : মিশকাত শরীফ : ‘মাসাজিদ’ অধ্যায়


★ নবাব সিদ্দিক হাসান খাঁ ভূপালী (ওহাবী) বলেন,"

তাশাহুদে আসসালামু আলাইকা বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ জন্যই সম্বোধন করা হয় যে, তিনি জগতের কনায় কনায় বিদ্যমান। নামাযীর সত্বার মাঝে হাযির ও বিরাজমান।

[নওয়াব সিদ্দিক আলী ভূপালী তার রচিত : মিসকুল খেতাম (হাজির নাজির অত্র অধ্যায়ের ৩য় পরিচ্ছেদ)]

Note : সাক্ষী সেই যে নাকি উপস্থিত অথবা তার সম্মুখে সব আমল দেখানো হচ্ছে। তাহলে এর চেয়ে বড় প্রমান আর কি হতে পারে?


                               📖 হাদিসের আলোকে :-



নিচে যা যা প্রমান করা হল এক নজরে সংক্ষেপে :

১) রাসুলুল্লাহ (সা) এর দুরদৃষ্টি কেমন আর কত দুর?
২) তার কাছে দুরুদ, সালাম, সমস্ত আমল সমুহ পেশও করা হয়। এই ভাবে দেখে দেখে তিনি আমাদের সমস্ত কাজগুলোর সাক্ষী হয়ে থাকেন।
৩) পৃথিবী সৃষ্টির পুর্বে আদম (আ) সৃষ্টির পুর্বেও তার অস্তিত্ব ছিল। তিনি অতীতের সমস্ত নবী ও উম্মতকে দেখেছেন।
৪) তিনি এমন নবী যিনি আল্লাহর প্রদত্ত ক্ষমতায় অতীত, বর্তমান , ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অঢেল সব হাদিস বর্ননা করে গেছেন। সুতরাং উম্মতের হালত সম্পর্কে আর আমল সম্পর্কে এখনো তিনি সাক্ষী আছেন, কিয়ামত পর্যন্ত যত কোটি কোটি উম্মত আসবেন তাদের আমল সম্পর্কেও সাক্ষী থাকবেন।


নিচের হাদিস গুলো পড়লে বুঝবেন :


★ (সংক্ষিপ্ত করার জন্য ৩/৪ টা হাদিস [আমি মাসুম বিল্লাহ সানি] একত্র করে দিলাম)

রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বলেন,""

আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর (৩ বার বলেছেন)।
আমার ওফাত ও তোমাদের জন্য কল্যাণকর (৩ বার বলেছেন)।



অতঃপর লোকজন নিরব হয়ে গেল! হযরত ওমর (রাঃ) বললেন,
"আমার পিতা মাতা আপনার উপর কোরবানী হউক (তাজিমার্থে)"।
তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন এটা কিভাবে সম্ভব ?

রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বলেন,"
আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর কারন --

""আমি তোমাদের সাথে কথা বলি এবং তোমরা আমার সাথে কথা বল ।""

""আমার উপর (দয়াময় রব আসমান থেকে) ওহী নাযিল করেন ।আমি তোমাদেরকে বলে (সতর্ক করে) দেই তোমাদের জন্য কোনটা জায়েজ (উচিত) আর কোনটা নাজায়েজ অনুচিত ।""

"আর আমার ওফাত ও তোমাদের জন্য কল্যাণকর কারণ প্রতি বৃহস্পতিবার এ তোমাদের কর্ম গুলো আমার নিকট ওপস্থিত করা হবে ।তোমাদের কোন ভাল কাজ দেখলে তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমাদের প্রশংসা করব আর (এর জন্য প্রভুর) কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব !"

"তোমাদের কোন পাপ দেখলে তার জন্য আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা করব ।""


References :

★ From: Bazzar
Book: Al Musnad
Volume: 5
Page: 308
Hadith number: 1925

★ From: Shashi
Book: Al Musnad
Volume: 2
Page: 253
Hadith number: 826

★ From: Abu Hatim
Book: al-Jarh wa ’l-Ta ‘ dil ,
Volume : 6/64

★ From : ibn Hajar Asqalani
Book: Taqrib wa ’l-Tahdhib
Volume : 1/478

★ From : Imam Abu Dawud

★ From: Imam Ahmad b. Hanbal

★ ibn Ma‘in,

★ From : Imam al-Nasa’i
Book: As-sunan

★ From : Shaykh Shu‘ayb al-Arna’ut
Book: Tahrir al-Taqrib ,
Volume : 2/379
Hadith : 4160

★From : al-Mughni ,
Volume : 1/571
Hadith : 3793

★ Book : Tarikh al-Dawri,
Volume : 2/370

★ Book : al-Burqani,
page .317

★ From : ibn Hibban,
Book : Kitab al-Majruhin ,
Volume : 2/160.

★ Book : Kitab al-Hajj
Page : (#179).

★ From : ibn Hajar al-‘Asqalani’
Book : Matalib al -‘ Aliyah ,
Volume : 4/22.

★ From : al-Suyuti
Book : Manahil al-Safa fi Takhrij Ahadith al-Shifa’
page .31 (#8)

★ Book : Tahdhib of that book
From : Shaykh ‘Abd Allah al-Talidi,
Page. 458-459 (# 694)

★ From : al-Munawi,
Book : Fayd al-Qadir
Volume : 3/401

★ From : an Haml al-Asfar
Volume : 4/148

★ From : Mahmud Mamduh
Book : Raf ‘ al-Minarah ‘ an Takhrij Ahadith al-Ziyarah ,
Page.156-159

★ From : Abd al-Hadi
Book : al-Sarim al-Munki , p.217

★ From : al-Albani
Page : 37
Book : Silsilah Ahadith al-Da ‘ ifah
Hadith : (#979).

★ From: Juhdami
Book: Fadl As Salah ‘Alan NABI PEACE BE UPON HIM
Volume: 1
Page: 38-39
Hadith number: 25-26

★ From: Ibn e Sa’d
Book: Tabqaat
Volume: 2
Page: 194

★ From: Daylami
Book: Musnad Al Firdoos
Volume: 1
Page: 183
Hadith number: 686

★ From: Haithami
Book: Majma’ Az Zawaid
Volume: 9
Page: 24
Hadith : 91

★ From: Zahabi
Book: Sayyir Al A’laam An Nubala
Volume: 17
Page: 106

★ From: Mizzi
Book: Tahdheeb al Kamal
Volume: 14
Page: 558

★ From: Hafiz Ibn e Katheer
Book: Tafseer Al Quran Al Azeem
Volume: 3
Page: 516

★ From: Zurqani
Book: Sharah Al Mawahib
Volume: 7
Page: 373

★ From: Al Haarith in Al Musnad (Zawaid Al haithami)
Book: Alamat An Nubuwwah
Chapter : Hayatihi wa Wafatihi
Volume: 2
Page: 884
Hadith number : 953

★ From: Ibn e sa'd
Book: Tabqaat Al Kubra
Vol+Page : 2 /194 & 5/500

★ From: Ibn e Jawzi
Book: Al Wafa bi Ahwaal Al Mustafa PEACE BE UPON HIM
Page: 862
Hadith number : 1564

★ From: Hindi
Book: kanzul A'mal
Volume: 11
Page: 407
Hadith number : 31904

★ From: Subki
Book: Shifa As Siqaam
Page: 34

★ From: Imam Jalal ud Din Suyuti
Book: Khasais Al Kubra
Volume: 2
Page: 491

★ From: Mulla Ali Qari
Book: sharah Shifa
Volume: 36

★ From: Khifaji
Book: Naseem ur Riyadh Sharah shifa Qadi Ayyad
Volume: 1
Page: 173

★ From: Fayrooz Abadi
Book: As Salat wal Bashar fis Salat ala Khair il Bashar
Page: 104-105

★ From: Al- Irāqī
Book: Tarh al-Tathrib fi Sharh
Volume : 3:297

★ From : al-Mundhiri
Book : Targheeb waal-Tarheeb
Volume: 3:343

★ From: Daylami
Book: Musnad Al Firdos
Volume: 2
Page: 137
Hadith number: 2701

★ From: Qadi Ayyad
Book: As Shifa
Page: 19

★ From: Hakeem Tirmidhi
Book: Nawadir Al Usul
Volume: 4
Page: 176

★ From: Zahabi
Book: Mizan Al Itidal
Volume: 2
Page: 439

★ From: Ibn e 'Adi
Book: Al Kaamil
Volume: 3
Page: 76

★ From: Ibn e Hajr 'Asqalani
Book: Lisan Al Mizan
Volume: 2
Page: 395
ID: 1620

★ From: 'Ajluni
Book: Kashaf Al Khifa
Volume: 1
Page: 1178

★ From: Imam Jalal ud Din suyuti
Book: Al Hawi Lil Fatawa
Volume: 2
Page: 3

★ From: Sakhawi
Book: Al Qaul Al Badi' Fee salat 'Ala Al Habeeb Ash Shafee'
Page: 160

★ From: Nabhani
Book: Hujjat ALLAH 'alal Alameen fee Mu’jazat Al Mursaleen PEACE BE UPON HIM
Page: 713




                            📖   রাসুলুল্লাহ (সা) যে কতকিছুর প্রত্যক্ষদর্শী বা সাক্ষী অর্থাৎ
                          কতকিছু দেখেছেন জেনেছেন তা একমাত্র আল্লাহই জানেন :



★ হযরত ছওবান (রাদিয়াআল্লাহু তাআলা আনহু) থেকে বর্ণনা করা হয়েছেঃ-

اِنَّ اللهَ زَوى لِىَ الْاَرْضَ فَرَءَيْتُ مَشَارِقَ الْاَرْضِ وَمَغَارِبَهَا

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আমার সম্মুখে গোটা পৃথিবীকে এমনভাবে সঙ্কুচিত করেছেন, যে আমি পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত ও পশ্চিমপ্রান্ত সমূহ স্বচক্ষে অবলোকন করেছি।

সুত্র :  ১) মিশকাত শরীফের ‘ফযায়েলে সায়্যিদুল মুরসালীন’ শীর্ষক অধ্যায়
২) ‘মুসলিম শরীফ

Note : তাহলে কি তিনি আমাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন না? এটা হাজির নাজিরের শর্ত হল না?


★ হযরত আবদুর রহমান ইবন আয়েশা (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছেঃ-
আমি আল্লাহ তা’আলাকে সুন্দরতম আকৃতিতে দেখেছি। তিনি স্বীয় কুদরতের হাতখানা আমার বুকের উপর রাখলেন, যার শীতলতা আমি স্বীয় অন্তঃস্থলে অনুভব করেছি। ফলে, আসমান যমীনের সমস্ত বস্তু সম্পর্কে অবগত হয়েছি।

সুত্র :  মিশকাত শরীফ : ‘মাসাজিদ’ অধ্যায়


***** তিনি অতীত দেখেছেন :-

★ ইমাম বুখারী (রহ) বর্ননা করেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) অতীতের সমস্ত নবীগন (আ) কে এবং ওনাদের উম্মতগনকে দেখেছেন।

সুত্র : সহিহ বুখারী : অধ্যায় "মানাকিব"
(আরো অসংখ্য হাদিস আছে বড় হয়ে যাবে বলে দিলাম না)

***** তিনি বর্তমান,  ভবিষ্যৎ দেখে বর্ননা করেছেন :


★ মিশকাত শরীফের মাসাজিদ অধ্যয়ে তিরমিযী শরীফের  বর্ণিত আছেঃ

فَتَجَلَّى لِىْ كُلُّ شَيْئٍ وَعَرَفْتُ

 প্রত্যেক কিছু আমার কাছে উন্মুক্ত হয়েছে এবং আমি এগুলো চিনতে পেরেছি।

সুত্র : ১) মিশকাত শরীফ : মাসাজিদ অধ্যয়
২)  তিরমিযী শরীফের

★ হযরত হুযাইফা (রাদিয়াআল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিত হয়েছেঃ

مَاتَرَكَ شَيْأً يَكُوْنُ فِىْ مَقَامِه اِلَى يَوْمِ الْقِيمَةِ اِلَّا حَدَّثَ بِه حَفِظَهُ مَنْ حَفِطَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيْهُ

অর্থাৎ হুযুর আলাইহিস সালাম সে জায়গায় কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে, সব কিছুর খবর দিয়েছেন, কোন কিছুই বাদ দেননি। যাদের পক্ষে সম্ভব, তারা সব স্মরন রেখেছেন, আর অনেকে ভুলেও গেছেন।

সুত্র :  ১) মিশকাত শরীফের اَلْفِتنٌ  অধ্যায়
২) বুখারী ও
৩) মুসলিম


★ হযরত হুযাইফা (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছেঃ-

হুযুর আলাইহিস সালাম পৃথিবীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য কোন ফিতনা পরিচালনাকারীর কথা বাদ দেননি যাদের সংখ্যা তিনশত কিংবা ততোধিক হবে এমন কি তাদের নাম তাদের বাপের নাম ও গোত্রের নামসহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন।

সুত্র :  মিশকাত শরীফ : অধ্যায় ‘ফিতনা’ : ২য় পরিচ্ছদ

★ হযরত আবুযর গিফারী (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছেঃ-

لَقدْ تَرَكْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ وَما يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ اِلَّا ذَكَرَلَنَا مِنْهُ عِلْمًا

হুযুর আলাইহিস সালাম আমাদেরকে এমনভাবে (বিস্তারিত) অবহিত করেছেন যে, একটা পাখীর পালক নড়ার কথা পর্যন্ত তার বর্ণনা থেকে বাদ পড়েনি।

সুত্র : মুসনাদে আহমদ।


★ রাসুল (দঃ) একই সংগে ৩ স্থানে হাজির ! সুবহানআল্লাহ!

হযরত আবু ইবনে উবাইয়া ( রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) হতে বর্ণিত।

একদিন হযরত বিলাল ( রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) যোহর নামাজের আগে মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। পরিষ্কার করতে করতে একসময় তিনি নীচে লুটে পরে গড়াগড়ি শুরু করে দিলেন। সাহাবাগণ ( রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) এমন অবস্থা দেখে রাসূল ( সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) এর কাছে এটা বলতে গেলেন। রসূল ( সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) বললেন, "তোমরা বিলালকে গিয়ে বল আমি ডাকছি।(১ম স্থান)

" হযরত বিলাল ( রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) কে ডেকে আনা হলে রসূল ( সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) ওনার মাথায় হাত বুলিয়ে আযান দিতে যেতে বললেন। বিলাল (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বের হয়ে মসজিদের দিকে যাচ্ছেন। এমন সময় সাহাবাগণ বললেন, "রসূল ( সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) আপনাকে কিছু বললেন না কেন?" হযরত বিলাল ( রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বললেন, "তোমাদের যখন আমাকে ডেকে আনতে পাঠানো হল তার আগেই রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম) আমার সামনে উপস্থিত ছিলেন।(২য় স্থান)

আমার কাছে তিনি জানতে চাইলেন, 'বিলাল তুমি নীচে এমন গড়াগড়ি করছ কেন?' আমি উত্তর দিলাম 'ইয়া রসূলাল্লাহ' আমি যখন মসজিদ পরিষ্কার করতে ঝাড়ু হাতে নিলাম তখন দেখলাম হাজার হাজার ফেরেশতা আপনার পেছনে নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে আছে। (৩য় স্থান)

তাদের গায়ে এই ঝাড়ু লাগুক তা আমি চাইনি। তাই ময়লাগুলো নিজ শরীরে গড়াগড়ি দিয়ে তুলছিলাম।' অতঃপর তাই আমাকে রসূল (দঃ) আর কিছু বলেননি।"

(ইবনে মাজা শরীফ, খন্ড ২, হাদিস নং ৪৩৫৬,
মসনদে আনাস বিন মালেক, খন্ড ৩, প্রিষ্ঠা ৪২১)



★ একসাথে ২/৩ জায়গায় হাজির-নাজির:-

ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আমি আশুরার দিন দুপুরে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি রাসূল সা. অত্যন্ত শোকাহত, তার চুলগুলো উসকো খুসকো। এমতাবস্থায় একটি রক্তভরা শিশি নিয়ে তিনি উপস্থিত। আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূল্লাল্লাহ! এই রক্ত কিসের? নবীজী সা. বললেন, এইমাত্র হুসাইন এবং তার সাথীদের রক্ত কারবালার মাটিতে পড়েছে, আমি উঠিয়ে নিয়ে এসেছি। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, এরপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি তারিখটা স্মরণ রাখলাম। পরে জানতে পারলাম যে,
যেই সময় হযরত ইমাম হুসাইন (রা) কারবালায় শাহাদত বরণ করেছেন,
ঠিক সেই সময় রাসুলুল্লাহ (সা) ইমাম হোসাইন (রা) এর রক্তের শিশি হাতে নিয়ে আমার সামনে এসেছিলেন (১ম)।
(মুসনাদ আহমাদ বিন হাম্বাল, হাদিস নং ২১৬৫। হাদিটির সনদ সাহীহ)

উম্মে সালামা (রা) থেকেও অনুরূপ একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে (ওনাকেও সেই খবর দিয়েছিলেন) (২য়)। ২৪ দিন পরে মদীনাতে কারবালার নৃশংস ঘটনার খবর এসে পৌঁছলে তাঁদের দুজনের স্বপ্ন সত্য প্রমানিত হয়।

★ হযরত উম্মে সালমা রঃ স্বপ্ন যোগে রাসূলে পাক দঃ কে ধুলা মিশ্রিত অবস্হায় দেখতে পেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলে প্রিয় নবী দঃ প্রতি উত্তরে বলেন ﺷﻬﺪﺕ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍﻧﻔﺎ সবেমাত্র আমি আমার প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইনের শাহাদাত প্রত্যক্ষ করেছি। তিরমীজি , বায়হাকী , মেশকাত শরীফ পৃঃ ৫৭০, ৫৭২

[বি: দা: যেহেতু শয়তান রাসুলে পাকের আকৃতি ধারন করতে পারেনা আর স্বপ্নে কেউ রাসুল (সা) কে দেখলে সে সত্যিই তাঁকে দেখল। রাসুল (সা) আশুরার দিন স্বশরীরে কারবালার ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি হাজের ও নাজের। এটা ওনার ওফাতের পর তাই স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলে তিনি রওজা মোবারকেও ছিলেন (৩য়) । আর সেই সকল সত্য খবরাদি তিনি দিয়ে গেছেন স্বপ্নে কারন এটাই স্বাভাবিক ওনার বিসাল হয়ে গেছে বলেই তিনি রহস্যময় ভাবে স্বপ্নে দিয়েছেন। এর দ্বারা হায়াতুন্নবী (সা) ও হাজির-নাজির ২টাই প্রমান করে।]


★ হাদিসে এসেছে :-

ﻭ ﺍﻥ ﻣﻮﺍﻋﺪﻛﻢ ﺍﻟﻀﻮﺽ ﻭ ﺍﻧﻲ ﻻﻧﻈﺮ ﺍﻟﻴﻪ ﻭ ﺍﻧﺎ ﻓﻲ ﻣﻘﺎﻣﻲ

নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে আমার পরবর্তী স্বাক্ষাত হবে হাওযে কাওসারে । নিশ্চয়ই আমি এ স্থান হতে হাওযে কাওসার প্রতিনিয়ত অবলোকন করছি । আলহাদিস, সহীহ বোখারী ২য় খন্ড , পৃঃ ২৭৯

Note: যিনি জায়গায় বসে দুনিয়াতে থেকে হাউজে কাওসার দেখতে পারেন সেই নবী (সা) এর দুরদৃষ্টি কতটুকু হতে পারে এক বার ভেবে দেখুন। তিনি কি তাহলে উম্মতের হালত আর অবস্থার সাক্ষী নয়?
রাসুলুল্লাহ (সা) এর ক্ষেত্রে সাক্ষী মানেই হাজির নাজির বুঝানো হয়। কারন সাক্ষী সেই হয় যে নাকি এক জায়গায় বসে সমস্ত ঘটনাবলি দেখে দেখে সাক্ষী হয় অথবা ঘটনাস্থলে স্বশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষী হন।




                                      📖 হাদিস শাস্ত্রের ইমামগনের (মুহাদ্দিসগনের) আকিদা :-



★ শাইখ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ) বলেন-


উলামায়ে উম্মতের মধ্যে বিভিন্ন মতাদর্শ ও বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, হুযুর আলাইহিস সালাম প্রকৃত জীবনেই (কোনরূপ রূপক ও ব্যবহারিক অর্থে যে জীবন, তা নয়) স্থায়ীভাবি বিরাজমান ও বহাল তবীয়তে আছেন । তিনি উম্মতের বিশিষ্ট কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জ্ঞাত ও সেগুলোর প্রত্যক্ষদর্শী রূপে বিদ্যমান তথা হাযির-নাযির। তিনি হকীকত অন্বেষনকারী ও মহান দরবারে নবুয়াতির শরণাপন্নদের ফয়েযদাতা ও মুরুব্বীরূপে বিদ্যমান আছেন।
সুত্র : আবদুল হক মুহাদ্দিছ দেহলবী (রহঃ) : কিতাব : سلوك اقرب السبل بالتوجه الى سيد الرسل


★ প্রাচ্যের বুখারী খ্যাত শেখ আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী রহঃ বর্ণনা করেছেন :-
ﺍﮔﺮ ﺑﻌﺪ ﺍﺯﺍﻥ ﮔﻮﯾﻨﺪ ﮐﮧ ﺣﻖ ﭘﻌﺎﻟﯽ ﺟﺴﺪ ﺷﺮﯾﻒ ﺭﺍﺣﺎﻟﺘﮯ ﻭﻗﺪﺭ ﺗﮯ ﺑﺨﺸﯿﺪﮦ ﺍﺳﺖ ﮐﮧ ﺩﺭ ﮬﺮ ﻣﮑﺎﻧﮯ ﮐﮧ ﺧﻮﺍﮬﺪ ﺗﺸﺮﯾﻒ ﺑﺨﺸﺪ ﺧﻮﺍﮦ ﺑﺜﺎﻝ ﺑﻤﺜﺎﻟﮯ ﺧﻮﮦ ﺑﻌﯿﻨﯿﮧ ﺧﻮﺍﮦ ﺑﺮ ﺍﺳﻤﺎﻥ ﺧﻮﺍﮦ ﺑﺮ ﺯﻣﯿﻦ ﺧﻮﺍﮦ ﺩﺭ ﻗﺒﺮ ﯾﺎ ﻏﯿﺮﻭﻋﮯ ﺻﻮﺭﺗﮯ ﺩﺍﺭﺩﺑﺎ ﺟﻮ ﺩﺛﺒﻮﺕ ﻧﺴﺒﺖ ﺧﺎﺹ ﺑﻘﺒﺮ ﺩﺭﮬﻤﮧ ﺣﺎﻝ

যদি বলা হয় যে আল্লাহ তাআলা হুযুর দঃ এর পবিত্র শরীরে এমন এক অবস্হার সৃষ্টি করেছেন ও এমন এক শক্তি দান করেছেন যে তিনি কোন শরীর ধারণ করে অনায়াসে গমন করতে পারেন , কবরের মধ্যে হোক বা আসমানের উপর হোক , এ ধরণের কথা সঠিক ও বাস্তবসম্মত । তবে সর্বাবস্হায় কবরের সাথে সম্পর্ক বজায় থাকে । মাদারেজুন নবুয়ত খন্ড ২ পৃঃ ৪৫০

★ ঈমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুতী রহঃ বলেন :

ﺍﻟﻨﻈﺮ ﻓﻲ ﺍﻋﻤﺎﻝ ﺍﻣﺘﻪ ﻭﺍﻻﺳﺘﻐﻔﺎﺭ ﻟﻬﻢ ﻣﻦ ﺍﺳﻴﺌﺎﺕ ﻭﻟﺪﻋﺎﺀ ﺑﻜﺸﻒ ﺍﻟﺒﻼﺀ ﻋﻨﻬﻢ ﻭﻟﺘﺮﺩﺩ ﻓﻲ ﺍﻗﻄﺎﺭ ﺍﻻﺭﺽ ﻭﺍﻟﺒﺮﻛﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﻭ ﺣﻀﻮﺭ ﺟﻨﺎﺯﺓ ﻣﻦ ﺻﺎﻟﺤﻲ ﺍﻣﺘﻪ ﻓﺎﻥ ﻫﺬﻩ ﺍﻻﻣﻮﺭ ﻣﻦ ﺍﺷﻐﺎﻟﻪ ﻛﻤﺎﻭﺭﺩﺕ ﺑﺬﺍﻟﻚ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﺍﻻﺛﺎﺭ

উম্মতের বিবিধ কর্ম , তাদের পাপরাশির ক্ষমা প্রার্থনা করা ,তাদেরকে বালা মুসিবত থেকে রক্ষা করার জন্য দোআ করা ,পৃথিবীর একপ্রান্ত হদে অন্য প্রান্তে আনাগোনা করা ও বরকত দান করা এবং নিজ উম্মতের কোন ধেক বান্দাহর ওফাত হলে তার জানাযাতে অংশগ্রহণ করা এগুলো হচ্ছে রাসূল দঃ এর সখের কাজ ।কোন কোন হাদিস থেকেও এসব কথার সমর্থন পাওয়া যায় । ইনতেবাহুল আযকিয়া ফি হায়াতিল আউলিয়া ,পৃষ্ঠা ৭



★ ইমাম ইবনুল হাজ্জ ও ইমাম কুসতালানী (রহ) বর্ণনায় লিখেছেনঃ

وَقَدْ قَالَ عُلَمَاءُ نَالَا فَرْقَ بَيْنَ مَوْتِه وَحَيو تِه عَلَيْهِ السَّلَامُ فِىْ مُشَاهِدَ تِه لِاُمَّتِهِ وَمَعرِ فَتِه بِاَحْوَ الِهِمْ وَنِيَّا تِهِمْ وَعَزَائِمِهِمْ وَخَوَاطِرِ هِمْ وَذلِكَ جَلِىٌّ عِنْدَهُ لَاخَفَاءَبِه

আমাদের সু-বিখ্যাত উলামায়ে কিরাম বলেন যে, হুযুর আলাইহিস সালামের জীবন ও ওফাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা ইত্যাদি জানেন। এগুলো তার কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট কোনরূপ অস্পষ্টতা ও দুর্বোধ্যতার অবকাশ নেই এখানে।

সুত্র :

★ ইমাম ইবনুল হাজ্জ مدخل গ্রন্থে
★ ইমাম কুসতালানী (রঃ) مواهب  (মাওয়াহিব)  গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৩৮৭ পৃষ্ঠায় ২য় পরিচ্ছেদে زيارة قبره شريف শীর্ষক বর্ণনা

★ মোল্লা আলী কারী (রহঃ) বলেনঃ-

وَقَالَ الْغَزَ الِىْ سَلِّمْ عَلَيْهِ اِذَا دَخَلْتَ فِى الْمَسْجِدِ
فَاِنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَحْضُرُ فِى الْمَسَجِدِ

ইমাম গাযযালী (রহঃ) বলেছেন, আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন, তখন হুযুর আলাইহিস সালামকে সশ্রদ্ধ সালাম দিবেন। কারণ তিনি মসজিদসমূহে বিদ্যমান আছেন।

সুত্র : মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ মিরকাতে মোল্লা আলী কারী (রহঃ)

★ ইয়াম কাযী আরায (রহঃ) উল্লেখ করেন :-

আম্বিয়ায়ে কিরাম (আলাইহিস সালাম) শারীরিক ও বাহ্যিক দিক থেকে মানবীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন তবে, আভ্যন্তরীণ ও রূহানী শক্তির দিক থেকে ফিরিশতাদের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এ কারণেই তাঁরা পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তসমূহ দেখতে পান, আসমানের চিড়চিড় আওয়াজ শোনেন এবং হযরত জিব্রাইল (আলাইহিস সালাম) তাদের নিকট অবতরণের ইচ্ছা পোষণ করতেই তার সুঘ্রাণ পেয়ে যান।

সুত্র : ইয়াম কাযী আরায (রহঃ) : শিফা শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ নসীমুর রিয়ায এর ৩য় খণ্ড




No comments:

Post a Comment