৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে হযরত উমার রা. এর খেলাফত আমলে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রা এর নেতৃত্বে মুসলমানরা কুদস জয় করে। ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ক্রুসেড যুদ্ধে ক্রুসেডারদের হাতে কুদসের পতন ঘটে। এর মধ্য দিয়ে কুদসে মুসলমানদের ৪৬২ বছরের শাসনের বিলুপ্তি ঘটে। তার পর দীর্ঘ ৮২ বছর এটি খ্রিষ্টানদের দখলে থাকে। ১১৮৭ খ্রিষ্টাব্দে হিত্তিনের যুদ্ধে সালাহুদ্দিন আইয়ুবী ক্রুসেডারদের সম্মিলিত শক্তিকে পরাজিত করে কুদসকে শত্রুমুক্ত করেন। ১৯৪৮ সালে বিশ্বমোড়লদের চক্রান্তের ফসল স্বরূপ মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইল নামক জারজ রাষ্ট্রটির জন্ম হলে পশ্চিম কুদস মুসলমানদের হাতছাড়া হয়। কিন্তু পূর্ব কুদসে অবস্থিত হওয়ার কারণে আল-আকসা তখন আপাতত রক্ষা পায়। ১৯৬৭ এর জুন মাসে মাত্র ৬ দিনের যুদ্ধে মিসর, সিরিয়া, জর্ডান এবং ইরাকের মতো চারটি আরব রাষ্ট্রের প্রতিরোধ বুহ্য ধ্বংস করে দিয়ে ইসরাইল পূর্বকুদস, পশ্চিমতীর, গাজা এবং গোলান মালভূমি দখল করে নেয়। দীর্ঘ ৭৮০ বছর পর পবিত্র আকসা থেকে আবারও হেলালী নিশান খসে পড়ে। উমার এবং আইয়ুবীর আমানত আবারও মুসলমানদের হাতছাড়া হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আল-আকসা কেঁদে চলেছে এবং আরেকজন আইয়ুবীর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
২
ইনশা আল্লাহ আল আকসা একদিন মুক্ত হবে। নিশ্চয়ই হবে। ইতিহাসের অমোঘ বিধানও তা-ই বলে। কিন্তু দুশ্চিন্তার জায়গাও অনেক। আশেপাশে যখন চোখ মেলে তাকাই তখন সেখানে কোন আলোই দেখতে পাইনা। ১৯২০ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ফরাসী জেনারেল Henri Gouraud দামেস্ক দখল করে সালাহুদ্দীনের কবরে লাথি মেরে বলেছিল- “সালাহুদ্দীন, দেখো আমরা ফিরে এসেছি। ২য় আর কোন সালাহুদ্দীন জন্ম নিতে পারবে না।” ১০০ বছর পর্যন্ত পশ্চিমারা জেনারেল হেনরির কথাকে সত্য প্রমাণ করে দেখিয়েছে। তাদের চ্যালাঞ্জকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আমাদের আর কতোদিন লাগবে? আদৌ পারবো কি?
৩
হিত্তীন আর কুদস বিজয়ের কথা উঠলে আমাদের চোখে সালাহুদ্দীনের চেহারা ভেসে উঠে। কিন্তু ইতিহাসবিদরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে- কুদস বিজয়ের ক্ষেত্রে সালাহুদ্দীনের যতোটুকু অবদান ঠিক ততোটুকু অবদান সেই ৬০ হাজার যোদ্ধাদের যারা নিজেদেরকে সালাহুদ্দীনের সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য হওয়ার মতো যোগ্য করে গড়ে তুলেছিলেন। ওইসব মায়েদের অবদান যারা তাদের শিশুদেরকে আরব্য-রজনীর রূপকথার গল্পের পরিবর্তে খালিদ-মুসান্নার বীরত্বের কাহিনী শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন। ওইসব শিশু-কিশোরদের মধ্য থেকেই সালাহুদ্দীন উঠে এসেছিলেন, ঘোড়সওারী, তেগচালনা, তিরান্দাজী, নেযাবাজীই ছিল যাদের বিনোদনের মাধ্যম। তারপরও আল্লাহ তায়ালা ৮৮ বছর ধরে তাদের পরীক্ষা নিয়েছিলেন। তারপর তাদেরকে কাঙ্খিত বিজয় দান করেছিলেন।
কিন্তু আজকের মায়েরা তাদের সন্তানের চেহারায় বিলগেটস আর এঞ্জেলিনা জোলির ছবি দেখে। আজকের কিশোররা মেসি-রোনালদো আর রিয়াল-বার্সায় বুঁদ হয়ে আছে। ব্রাজিল-আর্জেন্
টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে আমরা বৈদ্যুতিক তারে জীবন দিতে পারি। এখন যদি আল্লহ দয়া করে সালাহুদ্দীনকে কবর থেকে উঠিয়ে আমাদের মাঝে ফিরিয়েও দেন তখনও আমাদের উত্তর হবে বনী ইসরাইলের মতো- “আপনি এবং আপনার খোদা দুইজনে মিলে লড়াই করেন গিয়ে। আমাদের আমোদফুর্তিতে ডিস্টার্ব করবেন না প্লীজ।” তাই সালাহুদ্দীনের জন্য অপেক্ষা নয়, তার সৈনিক হতে পারার মতো নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলাই হচ্ছে আজকের আল-আকসার দাবী।
৪
১৯৬৯ সালে এক অস্ট্রেলীয় ইহুদী নাগরিক আল আকসা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন বেশ বড় আকার ধারণ করেছিলো। যার ফলে মসজিদের পূর্বপাশটা পুরোপুরি পুড়ে যায়। ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডামায়ার ওইদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন- “ওই দিন সারা রাত আমার ঘুম হয় নি। আমার কেবলই মনে হচ্ছিলো আজকে ইসরাইলের শেষ দিন। এখনি আরবরা চতুর্দিক থেকে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু যখন সকাল হল এবং আমার কোন আশংকাই বাস্তব হলো না তখন আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে, এখন থেকে ইসরাইল নিরাপদ। আরবরা এখন ঘুমন্ত জাতি। আমরা তাদের এই ঘুম আর ভাঙতে দেব না”।
গত ১৪ই জুলাই ঘটনা শুরু হওয়ার পর লাগাতার ৬ দিন আকসায় আযান, নামায সব বন্ধ ছিল। প্রথম ৩ দিন কোন ফিলিস্তিনিকেই আকসায় ঢুকতে দেয়া হয় নি। সেখানে ইসরাইলী সেনা এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদলের প্রতিনিয়ত আনাগোনা ছিল। তারা সেখানে তিন দিন ধরে কী করেছে তা কেউ জানে না। আল-আকসার ওয়াকফ সম্পত্তি এবং কুদসের মুসলমানদের সব ডেমোগ্রাফিক ডকুমেন্ট সেখানে রক্ষিত থাকে। সেগুলো এখনও সংরক্ষিত আছে কি না সে ব্যাপারে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
৬৯ সালের ঘটনাটির পর এটিই হচ্ছে মসজিদে আকসায় ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা। কাতার, তুরস্ক, জর্ডান ছাড়া আর কোন রাষ্ট্র এই ঘটনার নিন্দা জানায় নি। যারা সন্ত্রাসের দোহায় দিয়ে একটি মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাদের মুখ দিয়ে আকসার জন্য একটি বাক্যও বের হয় নি। মুসলমানদেরকে তাদের সন্ত্রাসী মনে হয়। হামাসকে তাদের সন্ত্রাসী মনে হয়। কিন্তু ইসরাইলী বর্বরতাকে তাদের বৈধ আধিকার চর্চা মনে করে। গত জুমার দিনটি ছিল আকসার জন্য জীবন দেয়ার দিন। গোটা কুদস এবং তার আসে পাশের শহরগুলোতে ওইদিন জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় নি। সবাইকে আকসায় এসে জুমা পড়তে বলা হয়েছে। জুমার আগে ও পরে পুরা আকসা প্রাঙ্গণ যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে। তিনজন ফিলিস্তিনি ভাই শাহাদাত বরণ করেন। তুরস্কসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ওই সময় ফিলিস্তিনীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে মিছিল সমাবেশ করা হয়। ঠিক ওইদিন মসজিদুল হারামে শায়খ শুরাইম জুমার খুতবা দেন। ২০ মিনিটের খুতবায় তিনি প্রচ্ছন্নভাবে কাতারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে গেছেন এবং উম্মাহর ঐক্যের মাঝে ফাটল ধরাচ্ছে বলে কাতারের ব্যাপারে মানুষদেরকে সতর্ক করেছেন। একদম শেষে দোয়ার অংশে এসে আকসার জন্য দুটি দোয়া বাক্য ব্যায় করলেন। আরেক সৌদি সালাফী শায়খ ফতওয়া দিয়েছেন- এখন ফিলিস্তিনীদের আল আকসার দাবী ছেড়ে দেয়া দরকার। কারণ, সেটি এখন ইহুদীদের দখলে। আর ইহুদীরা হচ্ছে এখন শক্তিশালী। তাই তাদের সাথে সংঘাতে জড়ানো “হেকমতের খেলাফ” হবে। ইসলামে বিজয়ী শক্তির আনুগত্য করার বিধান আছে, যাকে আরবিতে ( ﺇﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﺍﻟﻤﺘﻐﻠﺐ ) বলা হয়।” এসব **মারানীর হেকমতগুলো শুধু সৌদিদের মাথায় কীভাবে আসে তা-ই এখন এক বিশাল গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ না করুন কাল যদি হারামাইনও আল আকসার পরিণতি বরণ করে তখনও তারা ঠিক কোন একটি হেকমত বের করে নিবে। যারা আকসার ব্যাপারে নির্লিপ্ত আছে, আল্লাহর কসম, তারা হারামাইনের ব্যাপারেও নির্লিপ্ত থাকবে।
আকসার ঘটনার পরে ফিলিস্তিনের টিভি চ্যানাল “আল- আকসা”র একজন সাংবাদিক ৩০ জন সৌদি আলেমের সাথে যোগাযোগ করে চলমান ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করেন। তাদের মধ্যে একজনও সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয় নি। তারা আল্লাহর চেয়ে তাদের শাসকদেরকে বেশী ভয় করে। তাদের আনুগত্য করাকে বেশী প্রাধান্য দেয়। গতকাল ইসরাইলী পত্রিকা “মাআরিফ” লিখেছে- “ইসরাইল হচ্ছে সৌদি আরবের গোপন প্রেমিকা। এখন আর গোপন অভিসার নয়, প্রকাশ্যেই মৈত্রী করতে চায়”। ওইদিন ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখছিলাম। ফিলিস্তিনের আল খলীল শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক ইহুদী ফিলিস্তিনিদেরকে চরমভাবে গালি দিচ্ছে আর বলছে- তোদের মাথা থেকে ফিলিস্তিনের ভুত এখনও নামে নি? দেখ, মিসর, জর্ডান। সৌদি আরব সব আমাদের পক্ষে এখন। জাহান্নামে যাক তোদের ফিলিস্তিন।”
একটি ঘটনা বলে শেষ করছি-
১০৯৯ সালের পরের কোন এক সময়। তখন কুদস খ্রিষ্টান ক্রুসেডারদের দখলে। বাগদাদ শহরে একজন কাঠমিস্ত্রি থাকতো। লোকটি একদিন খুব সুন্দর একটি মিম্বার বানালেন। চারিদিক থেকে লোকেরা দলে দলে এসে মুগ্ধ হয়ে মিম্বারটি দেখছে। ক্রেতারা বেশ চড়া মুল্য দিয়ে হলেও মিম্বারটি কিনতে চায়। কিন্তু বুড়োর এক কথা- তিনি এটি বিক্রি করবেন না। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো- তা হলে আপনি এতো কষ্ট করে এটি বানালেন কেন? তখন মিস্ত্রি উত্তর দিলেন- এটি বানিয়েছি মসজিদে আকসায় লাগানোর জন্য। লোকেরা তার কথা শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। আকসা এখনও খ্রিষ্টানদের দখলে আর এই বুড়ো বাগদাদে বসে তার জন্য মিম্বার বানাচ্ছে। কেউ কেউ তাকে পাগলও ঠাওরাল। তখন বৃদ্ধ কাঠমিস্ত্রি বললেন- এটিই তো আমার পেশা। আমি তো আর যোদ্ধা নই। তার উপর আবার বৃদ্ধ। তো আমার যা সাধ্যে আছে তা-ই মসজিদে আকসার জন্য ব্যায় করছি। আমার কাজ মিম্বারটি বানানো। সেটি আকসায় বসানোর লোক আল্লাহ ঠিক করে দেবেন। ওইদিন একটি শিশুও তার বাবার হাত ধরে ওই কাঠমিস্ত্রির মিম্বারটি দেখতে গিয়েছিল। ঠিক একদিন ওই শিশুটির হাতে কুদস বিজয় হয়, এবং তিনি মিম্বারটি সংগ্রহ করে নিজ হাতে তা মসজিদে আকসায় লাগিয়ে দেন। শিশুটির নাম ছিল সালাহুদ্দীন!
যার যা আছে তা-ই ফিলিস্তীনের জন্য ব্যায় করুন। যেভাবে পারেন। যেখানে পারেন। কোন প্রচেষ্টাকেই খাটো করে দেখবেন না। বাগদাদের কাঠমিস্ত্রি যদি একটি শিশুর মনে কুদস বিজয়ের নেশা ধরিয়ে দিতে পারে আপনার আমার প্রচেষ্টার মাধ্যমেও ইনশা আল্লাহ অনেক কিছু হবে। তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন।
আল্লাহ, ‘মুক্ত আকসাকে’ দেখার আগে তুমি এই দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নিওনা।
বি:দ্রঃ ‘কুদস’ বলুন, ‘জেরুজালেম’ নয়।
Monday, July 31, 2017
মসজিদ আল-আকসা ♥ এ যেন এক দীর্ঘ ইতিহাস, রক্ত আর কান্নায় লিখিত ইতিকথাঃ
Tuesday, July 25, 2017
গুরুত্বপুর্ণ ও ফজিলতপুর্ণ কিছু তসবিহঃ
★ রাসুল (স) বলেছেন যে ব্যক্তি দৈনিক একশত বার
বলে "সুবহানআল্লাহ হি ওয়াবিহামদিহি"তা
হলে তার পাপ সমুহ মুছে ফেলা হয় যদিও তা
সাগরের ফেনা রাশির মত হয়। (বুখারি)
★ রাসুল (স) বলেন, যে ব্যক্তি "লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারিকালাহু লাহুল
মুলকু ওয়ালাহুল হামদ ওয়াহুয়া আলা কুল্লি
শাইইন ক্বাদির" প্রতিদিন ১০ বার করে পাঠ
করবে তাহলে এটি তার জন্য এমন হবে যে
সে ইসমাইলের সন্তানদের চারজন কে
দাসত্ব থেকে মুক্ত করল। (বুখারি)
★ রাসুল (স) বলেছেন,দুটি বাক্য এমন আছে যা
জবানে সহজ মিজানের পাল্লায় ভারি
এবং তা দয়াময় আল্লাহর নিকটে অতি
প্রিয়, তা হচ্ছে "সুবহানাল্লাহি
ওয়াবিহামদি, সুবহানাল্লাহিল আযিম "।
(বুখারি ও মুসলিম)
★ রাসুল (স) বলেন,
"সুবহানআল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,
আল্লাহু আকবার এই চারটি বাক্য সুর্য যার
উপর উদিত হয় তাদের সবকিছুর চেয়ে
এগুলো বলা প্রিয় আমার কাছে। (মুসলিম)
★ রাসুল (স) বললেন,এই তোমাদের কেউ
একহাজার সাওয়াব প্রতিদিন কে অর্জন
করতে সক্ষম?
সাহাবারা বলল কেউ কি এটা পারে?
রাসুল (স) বললেন,যে ব্যক্তি ১০০ বার
"সুবহানআল্লাহ" বলবে তার জন্য এক হাজার
নেকি লেখা হবে অথবা
এক হাজার পাপ মোচন করা হবে। (মুসলিম)
রাসুল (স) বলেন,যে ব্যক্তি
বলবে,"সুবহানআল্লাহিল আযিম
ওয়াবিহামদিহি "তার জন্য জান্নাতে একটি
গাছ রোপন করা হবে। (তিরমিযি)
★ রাসুল (স) একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস
(রা) কে বললেন আমি কি তোমাকে
জান্নাতের একটি রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে
অবহিত করবনা? তা হচ্ছে
"লা হাওলা
ওয়া লা কুওয়াতা।" (বুখারি)
★ এ ছাড়াও আয়াতুল কুরসি পাঠ করতে
পারেন নামাজ এর পর তাহলে আপনার আর
জান্নাতের
মধ্যে অন্তরাল শুধু মরন অর্থাৎ মরলেই
জান্নাতি।
★ সকাল সন্ধায় তিনবার করে ইখলাছ ফালাক
নাস পড়তে পারেন।
★ রাতে আয়াতুল কুরসি
পাঠ করে নিন তাহলে একজন ফেরেশতা
আপনার রক্ষক হিসেবে কাজ করবে। শয়তান
তখন ক্ষতি
করতে পারবেনা আপনার। এ ছাড়াও কোন
জায়গা বা স্থান বা বাড়িতে গিয়ে ভয়
লাগলে বলুন-
" আউজু বি কালিমাতিল্লাহিত
তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাকা "
বললে আপনি ওই স্থান যতক্ষন পর্যন্ত ত্যাগ করবেন
না ততক্ষন শয়তান/জিন আপনার ক্ষতি করতে
পারবেনা।
★ কোন অস্বস্তিকর স্বপ্ন বা
ভয়ের স্বপ্ন দেখলে-
" আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম "
বলুন ও বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করুন এবং
পাশ পরিবর্ত্ন করে ঘুমান।
Tuesday, July 18, 2017
Friday, July 14, 2017
Thursday, July 13, 2017
জুমার ফজীলত ও জুমার পূর্বে ৩বার সুরা কদর পাঠ করলে ওইদিন সমস্ত সালাত সম্পন্নকারীর সমান নেকীঃ
সুন্নী আকিদা VS তাবলিগী (ওহাবী), পীস টিভির দাঈ (সালাফী/আহলে হাদিস) ফির্কাঃ ভ্রান্ত আকিদা সমুহের দাঁতভাঙা জবাবঃ
সুরা ফাতিহা মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মহা ঔষধঃ
1.
”সুরা ফাতিহা মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মহা ঔষধ।” (তাফসিরে কাশ শাফ)
2.
"সূরা ফাতিহা হলো সকল রোগের প্রতিষেধক (কুরতুবী)
3.
হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত,
রাতে ঘুমানোর সময় সূরা "ফাতিহা" এবং সূরা "ইখলাস" পাঠ করলে মৃত্যু ব্যতীত অন্য সকল বিপদ থেকে নিরাপদ ও নির্ভয় থাকা যায়। #সুবাহানাল্লাহ
রেফারেন্সঃ তাফসীরে মাযহারী (বাংলা) : ৩০ পৃঃ
বিস্তৃতভাবে এখানে সকল আলোচনা পাবেনঃ
তাবিজ - ঝাড়ফুক জায়েজ ও নাজায়েজ সম্পর্কে শরীয়তের হুকুম :
http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/06/blog-post_4.html?m=1
Wednesday, July 12, 2017
ইসলামিক ব্লগের apps ডাউনলোড করুনঃ
বিভিন্ন ইসলামিক ব্লগের এপ্স ডাউনলোড করুন (Download many blog apps) : আলহামদুলিল্লাহ সুখবর অবশেষে -
1. Sunni-Encyclopedia &
2. Masumbillahsunny.wordpess
3. Dr-Miaji ব্লগগুলোর Apps তৈরি হল। এতে যা যা পাচ্ছেনঃ
১) হাজার হাজার পোস্ট অতি সহজে Mobile & PC version এ ভিজিটের সুবিধা।
২) হাজার হাজার ইসলামিক বাংলা PDF BOOK ইচ্ছানুযায়ী এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। (প্রতিটি app মাত্র 250 kb করে)
https://tinyurl.com/y93lc2mq
https://tinyurl.com/y98jyh9x
https://tinyurl.com/y7vh3jf3
রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বেমিসাল মাখলুক (সৃষ্টি)
ENGLISH VERSION:
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রহঃ) এর স্মরনীয় ঘটনাঃ
তিনি বলেন প্রেমিক ঐ ব্যাক্তি, যার নিজের বলতে কোন কিছুই নাই। যে সবর্দা আল্লাহ পাক উনার জিকিরে মশগুল থেকে তাঁর হক সমূহ আদায় করে। সে দেখতে পায়, তার অন্তর ঐশী প্রেমের আলোয় উদ্ভাসিত। তার একমাত্র রসদ আল্লাহর মহব্বত। স্বয়ং আল্লাহপাক যার জন্য অদৃশ্য জগত থেকে আত্নপ্রকাশ করেন। সে কথা বললে একমাত্র আল্লাহতায়ালার সঙ্গেই কথা বলে। সে সবর্দা আল্লাহর সঙ্গেই থাকে।
ওনার মতে এই জগতের মোহ হইতে আপন প্রবৃত্তিকে প্রভাবমুক্ত রাখা, চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন, প্রবৃত্তির প্রবঞ্চনা ও প্রতারণা হইতে মোহ আত্মাকে পুত-পবিত্র রাখা তথা আত্মিক উৎকর্ষ সাথন, অন্তরের কুটিলতা পরিহার করিয়া সদা সৎ চিন্তায় বিভোর থাকিয়া জীবন মরন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিতে উৎসর্গ করিয়া দেওয়াই প্রকৃত সূফী সাধকের ব্রত।
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি একদা এক পতিতাকে এক রাতের জন্য বাদী হিসাবে তাহার বাড়িতে এনে তাকে নির্ধারিত দীনার পরিশোধ করিয়া বলিলেন যে, অজু করিয়া আস বাদীটি অজু করিয়া আসিলে হযরত জুনায়েদ বাগদাদীরহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁহাকে নিয়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করিলেন এবং আল্লাহর কাছে এই বলিয়া দোয়া করিলেন যে, হে আল্লাহ আমি তোমার বান্দীকে জায়নামাজ পর্যন্ত আনিয়াছি এখন তুমিই তাকে হেদায়েত করার মালিক। অতঃপর তিনি হেদায়েতপ্রাপ্ত হইয়াছিলেন। হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি২৯৭ মতান্তরে ২৯৮ হিজরির রজব মাসে এই পর্দাক করেন রেন। (সংকলিত)
না জেনে না বুঝে যারা ইমামে আজম (রহঃ) এর সমালোচনা করে তাদের জন্য এই ঘটনাটি শিক্ষনীয়ঃ
ইমাম আবু হানীফা (রাহ) কে যারা সমালোচনার চোখে দেখে, হানাফী মাযহাবের যারা সমালোচনা করে, তারা সেটা নাজেনে, না বুঝেই করে থাকে। অথবা ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে করে থাকে। ইতোপূর্বে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে।
তেমনি এক ঘটনা ঘটেছিল ইমাম আবু হানীফা (রাহ) এর সমসাময়িক আরেকজন বিখ্যাত ইমাম, ইমাম আওযা’ঈ (রাহ) এর সাথে।
ঘটনাটি উল্লেখ করছি।
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ বিন মুবারক (রাহ) বলেন,
আমি ইমাম আওযা’ঈ (রাহ) এর সাথে দেখা করতে শাম দেশে যাই, শাম দেশের বৈরুত নগরীতে তাঁর সাথে আমার দেখা হয়।
তিনি আমাকে দেখে বললেন-
يا خراساني من هذا المبتدع الذي خرج بالكوفة يكنى أبا حنيفة؟
হে খুরাসানী, কুফা নগরীর এ বেদআতী কে, যাকে আবু হানীফা বলা হয়?
ইবনুল মুবারক (রাহ) বলেন,
আমি তাঁর কথার কোন উত্তর না দিয়ে বাড়ী ফিরে এসে আবু হানীফা (রাহ) এর কিতাব নিয়ে বসি এবং তিন দিন ধরে তাঁর কিতাব থেকে বিভিন্ন মাসআলা লিপিবদ্ধ করি।
তৃতীয় দিন আবার আমি ইমাম আওযা’ঈ (রাহ) এর নিকট যাই। ইমাম আওযা’ঈ (রাহ) মসজিদের আযান দিতেন এবং নিজেই ইমামতি করতেন।
তিনি আমাকে দেখে বললেন,
তোমার হাতে এটি কী কিতাব?
আমি তাঁর হাতে কিতাবটি তুলে দিলাম। তিনি ঐসকল মাস’আলাগুলো দেখতে লাগলেন যা মাস’আলাগুলোর ক্ষেত্রে আমি লিখেছিলামঃ قال النّعمان অর্থাৎ নু’মান বলেছেন।
(এখানে ইবনুল মুবারক আবু হানীফা না লিখে উনার নাম নুমান লিখেছিলেন।)
ইমাম আওযা’ঈ (রাহ) আযানের সময় হয়ে যাওয়ায় আযান দিতে গেলেন এবং তারপর আবার তা দেখতে থাকেন। এমন সময় নামাজের সময় হয়ে গেলে কিতাবটি জামার পকেটে রেখে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে আমার নিকট এসে বললেন,
“হে খুরাসানী, এ নুমান বিন সাবিত কে?”
আমি উত্তরে বললাম,
তিনি ইরাকের এক শায়েখ, যার সাথে আমার দেখা হয়েছিল।
(এখানে তিনি আবু হানীফা নামটি উল্লেখ করলেন না।)
ইমাম আওযা’ঈ (রাহ) তখন বললেন,
هذا نبيل من المشايخ، اذهب فاستكثر منه.
ইনি তো একজন শ্রেষ্ঠ শায়েখ। তাঁর নিকট তুমি যাও এবং তাঁর থেকে অধিক ইলিম অর্জন কর।
আমি তখন বললাম,
هذا أَبُو حنيفة الذي نهيت عنه.
উনিই হচ্ছেন সেই আবু হানীফা যার ব্যাপারে আপনি নিষেধ করেছিলেন!!
ইবনুল মুবারক (রাহ) বলেন,
পরবর্তীতে ইমাম আওযা’ঈ এর সাথে মক্কা শরীফে ইমাম আবু হানীফা (রাহ) এর সাক্ষাত হয়েছিল।তখন তাদের উভয়ের মধ্যে ঐ মাস’লাগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। ইমাম আবু হানীফা (রাহ) তাকে মাস’আলাগুলোর ব্যাখ্যা ভালভাবে বুঝিয়ে দিলেন।
ইবনুল মুবারক বলেন,
ইমাম আবু হানীফার নিকট থেকে সরে আসার পর আমি ইমাম আওযা’ঈ (রাহ)কে জিজ্ঞেস করলাম, ইমাম আবু হানীফা (রাহ)কে কেমন দেখলেন?
তিনি জবাব দিলেন,
استغفر الله- لقد كنت في غلط ظاهر- الزم الرجل فانه بخلاف ما بلغني عنه-
আমার ভুল ধারণার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সত্যিই আমি বড় ভুলের মধ্যে ছিলাম। তুমি তাঁর সঙ্গ কখনো ত্যাগ করবে না। মূলত তাঁর সম্পর্কে আমাকে যা জানানো হয়েছে, তা বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত।
রেফারেন্সঃ
১/আসারুল হাদীসঃ১২৪
২/ তারীখু বাগদাদঃ১৩/৩৩৮
৩/তারীখু দিমাশকঃ৩২/৩৯৯
______________________________
ইমাম আওযা’ঈ এর নিকট যে বা যারা ইমাম আবু হানীফা (রাহ) এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছিল, এদের উত্তরসূরী, এদের গোস্টি আজো আছে। আমাদেরকে নানাভাবে তাঁর বিরুদ্ধে, হানাফী মাযহাবের বিরুদ্ধে মনকে বিষিয়ে তোলার জন্য দিনরাত কাজ করে চলেছে। এদেরকে চিনে রাখুন।
এরা ধোঁকাবাজ।
এরা ষড়যন্ত্রকারী।
এরা সত্য গোপনকারী।
এদের বিরুদ্ধে নিজে সচেতন হোন। এবং সচেতনতা গড়ে তুলুন।
Saturday, July 8, 2017
Who was the Father of ibrahim? ইব্রাহীম (আ) এর পিতা কে ছিলেন?
The Prophet Ibrahim (may Allah’s peace and blessings descend upon our Prophet Muhammad and upon him and both their families) was the son of Terah. This is mentioned in Genesis 11:26-27, and Genesis 11:31.
Ibn Abbas- radi Allahu anh– are agreed that the name of Ibrahim’s father is Tareh, and that the People of the Book, the Jews and the Christians.
Ibrahim (as) was the son of Tarakh. When Tarakh was 75 years of age, Ibrahim (as) was born to him.
Sunni reference: al-Bidaya wan Nahaya, by Ibn Katheer, v 1 p 139
Friday, July 7, 2017
আল-কোরআন থেকে ۞ শানে রিসালাত ۞
আল্লাহ পাক ঘোষণা দেন: “আর (হে হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ! আমি আপনার স্মরণকে সমুন্নত করেছি।”
(সূরা ইনশিরাহ, ৯৪:৪)
ব্যাখ্যাঃ
আল্লাহ তার হাবিব (সা:) এর নাম -----
---কালেমা
---আল-কুরআন
---আযান
---খুতবা
---নামাজ
---৭ আসমানের স্তরে স্তরে
---সিদ্রাতুল মুন্তাহার পাতায় পাতায়
---জান্নাতের প্রত্তেক দরজায়
---সকল ফেরেশ্তাদের চুখের মনিতে ওনার নাম মুবারাক অংকিত রেখেছেন।
---এমনকি স্বয়ং খোদা তায়ালা রাসুলের উপর দুরুদ পড়েন (আহযাব ৫৬)
---যেখানে আল্লাহর নাম নেয়া হয় সেখানে রাসুলের মুহাব্বতে ওনার নাম স্মরণ করা হয়।
এভাবে তিনি তার হাবিবের স্বরণকে সমুন্নত করেছেন।
রাসূল সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরুপ। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)
মুমিনদের জন্য আল্লাহর পরম অনুগ্রহ রাসূলকে পাওয়া।
(সূরা ইমরান, আয়াত: ১৬৪)
আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উৎসব কর এবং এর মধ্যে রয়েছে অশেষ কল্যান।
(সূরা ইউনুছ, আয়াত: ৫৮)
রাসূলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া ।
(সূরা নিসা, আয়াত: ৮০)
নবী মুমিনদের প্রাণের চেয়েও নিকটতম ও প্রিয়তম।
(সুরা আহযাব, আয়াতঃ ৬)
"তোমরা পরস্পর নিজেদের যেভাবে সম্বোধন কর আল্লাহর মহান রাছুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সেভাবে সম্বোধন করবে না।"
(সূরা নূর, আয়াতঃ ৬৩)
__________________
Sura Hozrat : 1-5
"01
মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
02
মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।
إِنَّ الَّذِينَ يَغُضُّونَ أَصْوَاتَهُمْ عِندَ رَسُولِ اللَّهِ أُوْلَئِكَ الَّذِينَ امْتَحَنَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ لِلتَّقْوَى لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ عَظِيمٌ
03
যারা আল্লাহর রসূলের সামনে নিজেদের কন্ঠস্বর নীচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে শিষ্টাচারের জন্যে শোধিত করেছেন। তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِن وَرَاء الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ
04
যারা প্রাচীরের আড়াল থেকে আপনাকে উচুস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংশই অবুঝ।
وَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حَتَّى تَخْرُجَ إِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
05
যদি তারা আপনার বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত সবর করত, তবে তা-ই তাদের জন্যে মঙ্গলজনক হত। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
___________________ (সুরা হুজরাত ১-৫)
"নিশচই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মানিত নূর (রাসুল) ও কিতাব (কোরআন) এসেছে।
(সুরা মায়েদা আয়াতঃ ১৫।)
তফসীরঃ
আল্লাহতায়ালা ছাড়া কোন পরম অস্ত্বিত্ত্ব, মূল সত্য ও প্রকৃত শক্তি নেই, সে পরম সত্য শক্তি ও মহাসত্ত্বার রেছালাত, সর্বময় মূল প্রতিনিধিত্ব, সম্পর্ক, নূর ও রহমতের ধারক বাহক সংযোগ মহান রাসুল। আল্লাহতায়ালার মহান পবিত্র সত্ত্বা তাঁর রাসুল ব্যতীত সবার জ্ঞান, চিন্তা ও কল্পনার উর্ধেব, আল্লাহতায়ালার নূর বলতে প্রিয়নবীকেই বুঝায়। সর্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহতায়ালা নূররূপে প্রিয়নবীকে তৈরি করেছেন, নিজ নূরে নূরানী করেছেন, সে নূর থেকেই সব অস্তিত্ত্ব ও জীবন দিয়েছেন, সে নূর থেকে সবাইকে আলোকিত করেছেন।
এ জন্য এবং আরো অনেক কারনে প্রিয়নবীই জীবনের উৎস ও মূল।
(তফসিরে রূহুল মায়ানী ১ম খণ্ড ২১৭ পৃষ্ঠা, ২য় খণ্ড ৯৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে রূহুল বায়ান)
"হে ঈমানদারগণ! ‘রাইনা’ বলো না বরং ‘উন্যুরনা’ বলো এবং মনোযোগ সহকারে কথা শোনো। এই কাফেররা তো যন্ত্রণাদায়ক আযাব লাভের উপযুক্ত।“[সূরা বাকারাহ ১০৩ – ১০৪]"
তফসীরঃ
ইহুদিরা কখনো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মজলিসে এলে অভিবাদন, সম্ভাষণ ও কথাবার্তার মধ্য দিয়ে সম্ভাব্য সকল পদ্ধতিতে নিজেদের মনের ঝাল মিটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতো। দ্ব্যর্থবোধক শব্দ বলা, উচ্চস্বরে কিছু বলা এবং অনুচ্চস্বরে অন্য কিছু বলা, বাহ্যিক ভদ্রতা ও আদব-কায়দা মেনে চলে পর্দান্তরালে রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা ও অপমান করার কোন কসরতই বাকি রাখতো না। পরবর্তী পর্যায়ে কুরআনে এর বহু দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে মুসলমানদেরকে একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ শব্দটি বহু অর্থবোধক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আলোচনার সময় ইহুদিদের যখন একথা বলার প্রয়োজন হতো যে, থামুন বা ‘কথাটি আমাদের একটু বুঝে নিতে দিন’ বা তখন তারা ‘রাইনা’ বলতো। এ শব্দটির বাহ্যিক অর্থ ছিল, ‘আমাদের একটু সুযোগ দিন’ বা ‘আমাদের কথা শুনুন।’ কিন্তু এর আরো কয়েকটি সম্ভাব্য অর্থও ছিল। যেমন হিব্রু ভাষায় অনুরূপ যে শব্দটি ছিল তার অর্থ ছিলঃ ‘শোন, তুই বধির হয়ে যা।’ আরবী ভাষায়ও এর একটি অর্থ ছিল, ‘মূর্খ ও নির্বোধ’। আলোচনার মাঝখানে এমন সময় শব্দটি প্রয়োগ করা হতো যখন এর অর্থ দাঁড়তো, তোমরা আমাদের কথা শুনলে আমরাও তোমাদের কথা শুনবো। আবার মুখটাকে একটু বড় করে ‘রা-ঈয়ানাও (আরবী) বলার চেষ্টা করা হতো। এর অর্থ দাঁড়াতো ‘ওহে, আমাদের রাখাল!’ তাই মুসলমানদের হুকুম দেয়া হয়েছে, তোমরা এ শব্দটি ব্যবহার না করে বরং ‘উন্যুরনা’ বলো। এর অর্থ হয়, ‘আমাদের দিকে দেখুন ’ ‘আমাদের প্রতি দৃষ্টি দিন’ অথবা ‘আমাদের একটু বুঝতে দিন।’ এরপর আবার বলা হয়েছে, ‘মনোযোগ সহকারে কথা শোনো। ’অর্থাৎ ইহুদিদের একথা বার বার বলার প্রয়োজন হয়। কারণ তারা নবীর কথার প্রতি আগ্রহী হয় না এবং তাঁর কথা বলার মাঝখানে তারা নিজেদের চিন্তাজালে বার বার জড়িয়ে পড়তে থাকে। কিন্তু তোমাদের তো মনোযোগ সহকারে নবীর কথা শুনতে হবে। কাজেই এ ধরনের ব্যবহার করার প্রয়োজনই তোমাদের দেখা দেবে না।
বিভিন্ন ইসলামিক বইয়ের Apps ডাউনলোড করুনঃ
এপ্স তৈরি করেছেনঃ (ডাঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজি)
Apps Developer : (Dr Abdul Baten Miaji)
Download all apps from here :
https://play.google.com/store/apps/dev?id=5204491413792621474
নূরনবী ﷺ (Noor Nobi) নতুন এপ
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.drmiaji.noornobi
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.drmiaji.anowaremadina
নামাযের আহকাম (নামাজ শিক্ষা)
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.drmiaji.learningquran
মাসায়েলে কুরবানি (Rules for Qurbani)