Saturday, October 31, 2015
Friday, October 30, 2015
মিলাদুন্নবী (সা) সম্পর্কে ৪০ টি বই ডাউনলোড লিংক :
মিলাদুন্নবী (সা) সম্পর্কে ৪০ টি বই ডাউনলোড লিংক :
ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন এবং মিলাদ-ক্বিয়ামের দলীল সম্বলিত বই/নিবন্ধ/রচনাবলী
--------------------------------------------------------------------------------------
শরীয়তের দৃষ্টিতে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন এবং মীলাদ ও ক্বিয়াম শরীফের দলীলসমূহ জানতে নিম্নোক্ত কিতাব এবং নিবন্ধসমগ্র ডাউনলোড করে সংগ্রহে রাখুন। ধন্যবাদ।
১। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের দলীল
মূলঃ আল্লামা সাইয়্যেদ ইউসুফ হাশেম রেফায়ী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/fz7r019dl4zrc6d/Ahle+Sunnah+Wal+Jamaat-er+Dalil.pdf
২। আহলে সুন্নাহর দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্ননবী (দঃ)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/3ut0ay6lj9y19xv/Ahlus+Sunnahr+Dristi-te+Eid-e+Miladunnabi.pdf
৩। আকায়েদে আরবায়াহ
মূলঃ মুফতী মোহাম্মদ আলী আকবর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/c3y1uk8xra2os98/Akayed-e+Arbayah.pdf
৪। আল-কুরআন ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন আল্কাদেরী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/344i4co5tq0eacq/Al-Quran+o+Sahih+Hadith-er+Aloke+Eid+Miladunnabi+%28saws%29.pdf
৫। আন্-নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদে সাইয়্যিদে উলদে আযম
মূলঃ আল্লামা ইবনে হাজার হাইছামী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/7b4ycsxb1rf42v0/An+nimatul+Qubra+Alal+%27Alam+Fi+Mawlid-e+Uld-e+Azam.pdf#39;Alam_Fi_Mawlid-e_Uld-e_Azam.pdf
৬। বিশ্বনবীর জন্ম ইতিহাস ও মীলাদ শরীফের হুকুম
মূলঃ হাফেয মুহাম্মদ আবদুল হক এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা কারামত আলী নিযামী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/xq4pq7ye0uedcp1/Bishyo+nabir+jonmo+iteehas+o+milad+sharif-er+hukum.pdf
৭। ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) কি কেন ও ফযীলত
মূলঃ হযরত সৈয়দ শাহ্ মোহাম্মদ জুনায়েদ ওসমানী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/45mslqaf2fsheqq/Eid-e+Miladunnabi+%28SAWS%29+ki+keno+o+fazilat.pdf
৮। কুরআন হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (দঃ) ও জুলুস
প্রকাশনঃ বাংলাদেশ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত ফাউন্ডেশন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/e0snt8nle3tqse0/Eid-e+Miladunnabi+%28Saws%29+published+by+Bangladesh+Ahle+Sunnah+Wal+Jammat+Foundation.pdf
৯। ঈদে মীলাদুন্নবী বা মৌলুদে খায়রুল বারিয়াহ্
মূলঃ মাওলানা খাজা মোহাম্মদ ছাইফুদ্দিন নক্শেবন্দী মুজাদ্দেদী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/t4iqeeaushdicee/Eid-e+Miladunnabi+ba+Mawlud-e+Khairul+Bariyah.pdf
১০। ঈদে মীলাদুন্নবী ও মীলাদ মাহফিল
মূলঃ মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাফওয়ান নোমানী এবং সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাঈমুল ইহসান বারাকাতী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/54v47sx4i2284a1/Eid-e+Miladunnabi+o+Milad+Mahfil.pdf
১১। ঈদে মীলাদুন্নবীই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ
মূলঃ মুফতী মোহাম্মদ আলী আকবর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/z0cdeoinrcjgb13/Eid-e+Miladunnabi-e+hocche+sorbo-shresthho+Eid.pdf
১২। ফাসায়েলে হাফতে মাসায়ালা
মূলঃ হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/lr2ckwrpnc8jnyg/Fasayel-e+Haft-e+Masalaa.pdf
১৩। ফয়সালা ২০০৯
প্রকাশনঃ আহলা দরবার শরীফ, চট্টগ্রাম
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/r77c3v59vi6x6g3/Faysala+%282009%29+-+Published+from+Ahla+Darbar+Sharif.pdf
১৪। হাকীকতে মীলাদে মুস্তফা (সঃ)
প্রকাশনঃ মুহাম্মদী কুতুবখানা
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/wtc5wv3n1pwgsi6/Haqiqat-e+Milad-e+Mustafa+%28SAWS%29.pdf
১৫। হাকীকতে মীলাদ
মূলঃ আল্লামা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল করিম সিরাজনগরী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/zjz5m17t828u43k/Haqiqat-e+Milad.pdf
১৬। হাকীকতে মুহাম্মদী ও মীলাদে আহাম্মদী
মূলঃ মাওলানা মোহাম্মাদ বেশারাতুল্লাহ (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/63xowrt41v0qp9n/Haqiqat-e+Muhammadi+o+Milad-e+Ahmadi.pdf
১৭। হুসনুল মাকাসীদ ফী আমালিল মাওলিদ ও ...
মূলঃ ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুতী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা ছালিক আহমদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/vo1tz1he46vi1ao/Husnul+Maqasid+Fi+Amalil+Mawlid+o+Immaul+Ajkiya+bi+Hayatul+Ambiya.pdf
১৮। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
প্রকাশনঃ জাতীয় ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন কমিটি, বাংলাদেশ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/dusaaqthpyhbwj6/Islami+Shariat-er+Dristite+Eid-E+Miladunnabi+%28SAWS%29+Udjaapon.pdf
১৯। জা'আল হক্ক (২য় খন্ড)
মূলঃ মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/z9uuz6hbyxx0xuk/Ja%27al+Haq+%28Part+2%29.pdf#39;al_Haq_(Part_2).pdf
২০। কিশোরগঞ্জে মীলাদ-ক্বিয়ামের বাহাস
মূলঃ হযরত আল্লামা মোহাম্মদ রুহুল আমিন (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/sw5c8cqgbporuqm/Kishorganj-e+Milad-Qiyam-er+Bahas.pdf
২১। মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ আল্লামা সৈয়দ আহমদ সাঈদ কাযেমী (রঃ)
অনুবাদঃ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/lnrx6xcbisg267c/Milaadunnabi+%28SAWS%29.pdf
২২। দারুল ফতোয়া অস্ট্রেলিয়াঃ মীলাদুন্নবী (দঃ)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/h4uyhhhm6t2ra77/Milad+Bishoyok+Australian+Fatwa.pdf
২৩। মীলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপনের বৈধতা
মূলঃ ডঃ ঈসা আল-মানী আল-হুমায়রী (আরব আমিরাত)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/wzwhjylw84q4jxf/Milad+Bishoyok+Dubai+Fatwa.pdf
২৪। মীলাদ-ক্বিয়ামের বিধান
মূলঃ আল্লামা হাফেয মোহাম্মদ আবদুল জলিল (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/qc66v5ytzddn6ub/Milad+o+Qiyam-er+Bidhaan.pdf
২৫। মীলাদে মুস্তফা (সঃ)
মূলঃ মুহাম্মদ আজিজুল হ আল-কাদেরী
অনুবাদঃ উপাধ্যাক্ষ্য মুহাম্মদ আবদুল অদুদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/rwdgjq16xk160jt/Milad-e+Mustafa+%28SAWS%29.pdf
২৬। মীলাদে সুয়ুতী ও মীলাদ ক্বিয়ামের দলীল
অনুবাদঃ মাওলান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/1s4h4af1hzp2a73/Milad-i-Suyuti+%26+Milad-Qiaum+er+Dolil.pdf
২৭। মীলাদ-ক্বিয়াম ও দেওবন্দী আলেমগণ
প্রকাশনঃ মাকতাবাতুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/7su4vnd2obxl2t6/Milad-Qiyam+o+Deobandi+Alem-gon.pdf
২৮। মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ ড. তাহের আল কাদ্রী
অনুবাদঃ অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল হাই
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/sctnzcx32aroh4g/Miladunnabi+%28Saws%29.pdf
২৯। মীলাদুন্নবী (সঃ) সকল ঈদের সেরা
মূলঃ প্রফে. ড. মোহাম্মদ মাসউদ আহ্মদ (যুক্তরাজ্য)
অনুবাদঃ নিজামউদ্দীন মাহমুদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/fs74gfsl5fu7hx5/Miladunnabi+Sokol+Eid-er+Shera+%28Translated+from+UK%29.pdf
৩০। নূরনবী (সঃ)
মূলঃ আল্লামা হাফেয মোহাম্মদ আবদুল জলিল (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/wdgx4sx5cwd92vb/Nurnabi+%28SAWS%29.pdf
৩১। ঐক্যের ডাক
মূলঃ আল্লামা কাজী মু'তাসিম বিল্লাহ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/r0p9tqgs7e9cm8i/Oikyer+Daak.pdf
৩২। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সঃ) সংকলন
মূলঃ শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নক্শেবন্দী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/5mcana1r7uzvdnw/Pobitro_Miladunnabi_(saws)_sonkolon.pdf
৩৩। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে ঈদে মওলুদ শরীফের মাহফিল ও ক্বিয়াম
মূলঃ আল্লামা সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ ইবনে সাইয়্যিদ আলাভী আল-মালাকী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম হাতিয়ুভী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/52o09mklz07mga5/Pobitro+Quran+o+Hadith-er+Aloke+Mawlud+Sharif-er+Mahfil+o+Qiyam.pdf
৩৪। কুরআন হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
প্রকাশনঃ আল হাশেমীয়া সোসাইটি
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/r9l0d5z561u6yfd/Quran+Hadith-er+Aloke+Eid-e+Miladunnabi+%28saws%29.pdf
৩৫। কুরআন হাদীসের আলোকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) (স্মরণিকা ২০১২ ইং)
প্রকাশনঃ বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/mkm668o2kcb9hkg/Quran+Hadith-er+Aloke+Pobitro+Eid-e+Miladunnabi+%28SAWS%29.pdf
৩৬। শরীয়তের আলোকে জশনে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ প্রফে. ড. আল্লামা তাহের আল কাদেরী
অনুবাদঃ মাওলানা মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/1qhdl9g9cvkkysu/Shariat-er+Aloke+Jashne+Miladunnabi+%28SAWS%29.pdf
৩৭। সিরাজাম মুনীরা ও মীলাদ নামা
মূলঃ সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাঈমুল ইহসান বারাকাতী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/6bpobh6mnb6mbhj/Sirajam+Munira+o+Milad+Namaa.pdf
৩৮। সকল যুগের সেরা ঈদ ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ আল্লাম মুফতী কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/7gfjami40mk4j5v/Sokol+Juger+Shera+Eid+Eid-e+Miladunnabi+%28SAWS%29.pdf
৩৯। তকী ওসমানীর মীলাদ বিরোধী ফতোয়ার রদ
মূলঃ ড. জি. এফ. হাদ্দাদ দামেশ্কী
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/3ss6bdk6whdbcbk/Taqi+Usmani-r+Milad+Birodhi+Fatwar+Radd.pdf
৪০। মীলাদুন্নবী বনাম সীরাতুন্নবী
মূলঃ কে. জি. এম. বিন আনোয়ার
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/download/d4g4ribcu5dcc0m/Miladunnabi+bonam+Siratunnabi+%28SAWS%29.pdf
Thursday, October 29, 2015
হে রাসুল (সা) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনা :-
উক্ত হাদিসটিকে জাল বানানোর অপচেষ্টা করছে ওহাবীরা কারন ওহাবী-সালাফীদের সাথে বিভিন্ন আকিদার বিপরীত বলে। এই পোস্টের মাধ্যমে যেসব জবাব দেয়া হল :
১) ড জাকির নায়েকের ওসীলা হারাম ফতোয়ার জবাব
২) তারেক জানোয়ারের ফতোয়ার জবাব : আল্লাহ ও মুহাম্মাদ (সা) এর নাম পাশাপাশি রাখা শিরিক
৩) কালিমা তাইয়্যেবাহ তে "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বিদাত" এর জবাব
৪) যদি রাসুল (সা)না হতেন, তাহলে কিছুই সৃষ্টি করা হতো না।
হাদিস ১ :
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্নিত,
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদ-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম আঃ থেকে যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন,
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ সাঃ এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়- মুহাম্মদ (সা) কে (তুমি কিভাবে জানলে তুমি তো তাকে কখনো দেখ নি)? তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভ্যন্তরে রুহ প্রবেশের পর মাথা তুলে আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, মুহাম্মদ সাঃ এর চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই
যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।
Reference :-
★ ইমাম বায়হাকী রহঃ : দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ : ৫/৪৮৯ পৃ
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ মুসতাদরাকে হাকেম : ২/৪৮৬ পৃ : হাদিস : ৪২২৮
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ আল মাদখাল : ১/১৫৪
★ তাবরানী : আল মুজামুল আওসাত : ৬/৩১৩ : হাদীস নং-৬৫০২
★ তাবরানী : আল মুজামুস সগীর : ২/১৮২ : হাদীস নং-৯৯২,
★ তাবরানী : মুজমায়ে কবীর’
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২২৭
★ ইমাম আজলুনী : কাশফুল কাফা : ১/৪৬ ও ২/২১৪
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ আল্লামা সুবকী রহঃ শেফাউস সিকাম
★ ইবনে আসাকির : নিজ ‘তারিখে দিমাশক’: ৭/৪৩৭ পৃ
★ ইবনুল জাওজী : আল ওয়াফা বি আহওয়ালিল মোস্তফা : ৩৩
★ ইবনুল জাওজী : বয়ানুল মীলাদুন্নবী (সা) : ১৫৮
★ ইবনে কাসীর : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ১/১৮ পৃ
★ ইবনে হাজর হায়সামী : মাযমাউজ যাওয়ায়েদ : ৮/২৫৩
★ শিহাবউদ্দীন খাফাজী : ‘নাসীম আর-রিয়াদ’
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১২ : হাদিস ১২
★ ইমাম সুয়ুতী : আদ দুররে মানসুর : ১/১৪২
★ আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ : ১/ ৮২ ও ২/৫২৫
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৭২
★ ইমাম হালাবী : সীরাতে হালাবিয়্যাহ : ১/৩৫৫
★ মুহাদ্দিসে শাহ আব্দুল আজিজ দেহলভী : তফসীরে আজিযী : ১/১৮৩
★ ইমাম নাবহানী : শাওয়াহিদুল হক : ১৩৭
★ ইমাম নাবহানী : আনোয়ার-ই-মোহাম্মাদীয়া : ৯-১০
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪
★ ইমাম নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৩১ পৃ ও ৭৯৫ পৃ
(মাকতুবাত এ তাওফিক হিয়্যাহ, কাহেরা,মিশর)
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩৭
★ আশরাফ আলী থানবী : নুশরাত্বীব : ২৮
★ ফাযায়েলে আমাল, ৪৯৭, উর্দু এডিশন
১) ইমাম হাকিম বলেছেন হাদিসটি সহীহ।
আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫
২) ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান।শিফাউস সিকাম, পেইজ-১২০
৩) ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ। দাফউ শুবহাহঃ ১/৭২
৪) ইমাম কস্তল্লানী বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ।মাওয়াহিবুল লাদুনিয়াহঃ১/১৬৫
৫) ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ। ওয়াফাউল ওয়াফাঃ২/৪১৯
৬) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ।আল খাসাইসঃ১/৮
৭) ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন।মাজমাউল ফাতাওয়াঃ২/১৫৯
‘যদি মুহাম্মাদ না হতেন, তবে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’-এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন,
এ হাদীসটি পূর্বের কথাকে কথাকে শক্তিশালী করেছে।
রেফারেন্সঃ
মাজমু উল ফাতাওয়া- ২/১৫৯
৮) বাতিল
এটা দ্বারা নির্দ্বিধায় দলীল প্রদান করা যাবে।
রেফারেন্সঃ
আস সীরাতুন নাবাওইয়্যাহ- ১/১৯৫
৯) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী বলেন, একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।রেফারেন্সঃ
আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫
হাদিস ২ :
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন, ওহে ঈসা! মহানবী (দ:)-এর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো।
রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না, বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”
Reference :
★ ইমাম হাকিম নিশাপুরী : আল মোসতাদরেক’ : ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২
★ ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা
★ ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫
★ শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০
★ ইবনে হাজর রচিত ‘আফদালুল কোরা
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০
★ ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া : ১/২৯ পৃ
★ ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০
★ ইবনে কাসীর : মুজিজাতুন্নবী (সা) : ১/৪৪১
★ ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪
★ ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬
★ ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০
★ আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১
★ ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭
★ কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫
★ ইবনে শামী সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩
হাদিসের মান পর্যালোচনা :
★ ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান।
আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২
হাদিস ৩ :
হযরত সালমান ফারিসী (রা:)-কে, যিনি বলেন: “হযূর পূর নূর (দ:)-এর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী, ‘(হে রাসূল) আপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আমি সৃষ্টি করি নি। আমি বিশ্বজগত ও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে। আমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না, যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”
Reference :
★ ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৩/৫১৭
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৮২
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২৮৯
★ কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ২/১০৫
হাদিস ৪ :
তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,
(বিশাল বর্ননার পর)....
যদি তিনি [রাসুল (সা)] না হতেন তাহলে আমি না তোমাকে [আদম (আ)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান, জমীন সৃষ্টি করতাম।
Reference :
★ ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩১
★ ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২
হাদিস ৫ : এই হাদিসের ২টা সনদ সহকারে উল্লেখ্য করলাম :
১ম সনদ :
হযরত ইমাম হাকিম নিসাপুরী
↓
হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
↓
হারূন বিন আব্বাস হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
↓
জানদাল বিল ওয়াকিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
হযরত আমর বিন আউস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,
২য় সনদ :
ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , তিনি
↓
হযরত ক্বাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি,
↓
সাঈদ বিন মুসাঈয়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি
↓
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত,
মুহাদ্দিসে কেরাম থেকে :
১
ইমাম সাইফুদ্দীন আবূ জা’ফর বিন উমর আল-হুমাইরী আল-হানাফী নিজ ‘আদ-দুররূল তানযীম ফী মওলিদিন্ নাবিই-ইল করীম’ শীর্ষক কেতাবে বলেন: আল্লাহতা’লা যখন হযরত বাবা আদম (আ:)-কে সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাঁর মনে এই ভাবের উদয় করেন যার দরুণ তিনি মহান প্রভুকে প্রশ্ন করেন, ”এয়া আল্লাহ! আপনি আমার কুনিয়া (বংশ-পরম্পরার নাম) কেন ’আবূ মোহাম্মদ’ (মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পিতা) করেছেন?” আল্লাহ উত্তরে বলেন, “ওহে আদম! তোমার মাথা তোলো।” তিনি শির উঠিয়ে আরশে মহানবী (দ:)-এর নূর (জ্যোতি) দেখতে পান। হযরত আদম (আ:) জিজ্ঞেস করেন, “এয়া আল্লাহ! এই নূর কোন্ মহান সত্তার?” আল্লাহতা’লা জবাবে বলেন, “তোমার বংশেই এই মহান নবী (দ:)-এর জন্ম। আসমানে তাঁর নাম আহমদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এবং জমিনে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)। আমি তাঁকে সৃষ্টি না করলে তোমাকে বা আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করতাম না।”
২
সাইয়্যেদ আবূল হুসাইন হামদূনী শাযিলী তাঁর ‘কাসিদায়ে দা’লিয়া’তে লেখেন: “প্রিয়নবী (দ:) হলেন সারা বিশ্বজগতের মধ্যমণি এবং সকল সৃষ্টির কারণ (অসিলা)। তিনি না হলে কিছুই অস্তিত্ব পেতো না।”
৩
ইমাম শরফউদ্দীন আবূ মোহাম্মদ বুসিরী তাঁর কৃত ‘কাসিদা-এ-বুরদা’ কাব্য-পুস্তকে লেখেন: “রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে দুনিয়া অস্তিত্বশীল হতো না।”
৪
ইমাম বুসিরী (রহ:)-এর কাব্যের ব্যাখ্যামূলক পুস্তকে ইমাম শায়খ ইবরাহীম বাইজুরী লেখেন: “হুযূর করীম (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে বিশ্বজগত-ই অস্তিত্বশীল হতো না। হযরত আদম (আ:)-কে আল্লাহ বলেন, ‘মহানবী (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে আমি তোমোকে সৃষ্টি করতাম না। হযরত আদম (আ:) হলেন মনুষ্যজাতির আদি পিতা, আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই মানুষের জন্যে সৃষ্ট। তাই হযরত আদম (আ:)-কে যেহেতু রাসূলে খোদা (দ:)-এর অস্তিত্বের কারণে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেহেতু সমগ্র জগতই মহানবী (দ:)-এর কারণে সৃষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়। অতএব, সকল অস্তিত্বশীল সত্তার সৃষ্টির কারণ হলেন বিশ্বনবী (দ:)।”
৫
কাসিদা-এ-বুরদা কাব্য সম্পর্কে আল্লামা খালেদ আযহারী মন্তব্য করেন: “রাসূলে পাক (দ:)-এর কারণেই দুনিয়া অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব পেয়েছে।”
৬
মোল্লা আলী কারী লেখেন: ”রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর আশীর্বাদ ও মহত্ত্ব ছাড়া সমগ্র এই বিশ্বজগত অস্তিত্ব পেতো না এবং আল্লাহ ছাড়া কিছুই অস্তিত্বশীল থাকতো না।”
৭
ইমাম শেহাবউদ্দীন ইবনে হাজর আসকালানী বলেন, “এই সকল বর্ণনা ব্যক্ত করে যে মহানবী (দ:)-কে সৃষ্টি করা না হলে আল্লাহতা’লা আসমান-জমিন, বেহেশ্ত-দোযখ, চন্দ্র-সূর্য কিছুই সৃষ্টি করতেন না।”
৮
আল্লামা আবূল আয়াশ আবদুল আলী লাখনৌভী নিজ ‘ফাওয়াতিহ আর-রাহমূত শরহে মোসাল্লাম আস্ সুবূত’ পুস্তকে লেখেন: “রাসূলে খোদা (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে সৃষ্টিকুল আল্লাহর রহমত-বরকত (আশীর্বাদ)-ধন্য হতো না।”
১) ড জাকির নায়েকের ওসীলা হারাম ফতোয়ার জবাব
২) তারেক জানোয়ারের ফতোয়ার জবাব : আল্লাহ ও মুহাম্মাদ (সা) এর নাম পাশাপাশি রাখা শিরিক
৩) কালিমা তাইয়্যেবাহ তে "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বিদাত" এর জবাব
৪) যদি রাসুল (সা)না হতেন, তাহলে কিছুই সৃষ্টি করা হতো না।
হাদিস ১ :
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্নিত,
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদ-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম আঃ থেকে যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন,
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ সাঃ এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়- মুহাম্মদ (সা) কে (তুমি কিভাবে জানলে তুমি তো তাকে কখনো দেখ নি)? তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভ্যন্তরে রুহ প্রবেশের পর মাথা তুলে আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, মুহাম্মদ সাঃ এর চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই
যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।
Reference :-
★ ইমাম বায়হাকী রহঃ : দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ : ৫/৪৮৯ পৃ
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ মুসতাদরাকে হাকেম : ২/৪৮৬ পৃ : হাদিস : ৪২২৮
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ আল মাদখাল : ১/১৫৪
★ তাবরানী : আল মুজামুল আওসাত : ৬/৩১৩ : হাদীস নং-৬৫০২
★ তাবরানী : আল মুজামুস সগীর : ২/১৮২ : হাদীস নং-৯৯২,
★ তাবরানী : মুজমায়ে কবীর’
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২২৭
★ ইমাম আজলুনী : কাশফুল কাফা : ১/৪৬ ও ২/২১৪
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ আল্লামা সুবকী রহঃ শেফাউস সিকাম
★ ইবনে আসাকির : নিজ ‘তারিখে দিমাশক’: ৭/৪৩৭ পৃ
★ ইবনুল জাওজী : আল ওয়াফা বি আহওয়ালিল মোস্তফা : ৩৩
★ ইবনুল জাওজী : বয়ানুল মীলাদুন্নবী (সা) : ১৫৮
★ ইবনে কাসীর : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ১/১৮ পৃ
★ ইবনে হাজর হায়সামী : মাযমাউজ যাওয়ায়েদ : ৮/২৫৩
★ শিহাবউদ্দীন খাফাজী : ‘নাসীম আর-রিয়াদ’
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১২ : হাদিস ১২
★ ইমাম সুয়ুতী : আদ দুররে মানসুর : ১/১৪২
★ আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ : ১/ ৮২ ও ২/৫২৫
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৭২
★ ইমাম হালাবী : সীরাতে হালাবিয়্যাহ : ১/৩৫৫
★ মুহাদ্দিসে শাহ আব্দুল আজিজ দেহলভী : তফসীরে আজিযী : ১/১৮৩
★ ইমাম নাবহানী : শাওয়াহিদুল হক : ১৩৭
★ ইমাম নাবহানী : আনোয়ার-ই-মোহাম্মাদীয়া : ৯-১০
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪
★ ইমাম নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৩১ পৃ ও ৭৯৫ পৃ
(মাকতুবাত এ তাওফিক হিয়্যাহ, কাহেরা,মিশর)
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩৭
★ আশরাফ আলী থানবী : নুশরাত্বীব : ২৮
★ ফাযায়েলে আমাল, ৪৯৭, উর্দু এডিশন
হাদিসের মান পর্যালোচনা :
যে সকল মুহাদ্দিসগন এ হাদিস সহিহ বলেছেনঃ
১) ইমাম হাকিম বলেছেন হাদিসটি সহীহ।
আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫
২) ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান।শিফাউস সিকাম, পেইজ-১২০
৩) ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ। দাফউ শুবহাহঃ ১/৭২
৪) ইমাম কস্তল্লানী বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ।মাওয়াহিবুল লাদুনিয়াহঃ১/১৬৫
৫) ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ। ওয়াফাউল ওয়াফাঃ২/৪১৯
৬) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ।আল খাসাইসঃ১/৮
৭) ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন।মাজমাউল ফাতাওয়াঃ২/১৫৯
‘যদি মুহাম্মাদ না হতেন, তবে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’-এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন,
এ হাদীসটি পূর্বের কথাকে কথাকে শক্তিশালী করেছে।
রেফারেন্সঃ
মাজমু উল ফাতাওয়া- ২/১৫৯
৮) বাতিল
দের
জবাবে ইমাম
ইবনু কাসীর পরিস্কার বলেছেন, এই হাদীসটি বানোয়াট নয়।
রেফারেন্সঃ
আস সীরাতুন নাবাওইয়্যাহ- ১/১৯৫
৯) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী বলেন, একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।রেফারেন্সঃ
আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫
হাদিস ২ :
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন, ওহে ঈসা! মহানবী (দ:)-এর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো।
রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না, বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”
Reference :
★ ইমাম হাকিম নিশাপুরী : আল মোসতাদরেক’ : ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২
★ ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা
★ ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫
★ শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০
★ ইবনে হাজর রচিত ‘আফদালুল কোরা
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০
★ ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া : ১/২৯ পৃ
★ ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০
★ ইবনে কাসীর : মুজিজাতুন্নবী (সা) : ১/৪৪১
★ ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪
★ ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬
★ ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০
★ আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১
★ ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭
★ কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫
★ ইবনে শামী সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩
হাদিসের মান পর্যালোচনা :
★ ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান।
আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২
হাদিস ৩ :
হযরত সালমান ফারিসী (রা:)-কে, যিনি বলেন: “হযূর পূর নূর (দ:)-এর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী, ‘(হে রাসূল) আপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আমি সৃষ্টি করি নি। আমি বিশ্বজগত ও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে। আমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না, যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”
Reference :
★ ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৩/৫১৭
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৮২
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২৮৯
★ কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ২/১০৫
হাদিস ৪ :
তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,
(বিশাল বর্ননার পর)....
যদি তিনি [রাসুল (সা)] না হতেন তাহলে আমি না তোমাকে [আদম (আ)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান, জমীন সৃষ্টি করতাম।
Reference :
★ ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩১
★ ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২
হাদিস ৫ : এই হাদিসের ২টা সনদ সহকারে উল্লেখ্য করলাম :
হযরত ইমাম হাকিম নিসাপুরী
↓
হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
↓
হারূন বিন আব্বাস হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
↓
জানদাল বিল ওয়াকিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
হযরত আমর বিন আউস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,
২য় সনদ :
ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , তিনি
↓
হযরত ক্বাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি,
↓
সাঈদ বিন মুসাঈয়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি
↓
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত,
-حدثنا علي بن حمشاد العدل املاء هرون بن العباس الهاشمي ثنا جندل بن
والق ثنا عمرو بن أوس الانصاريحدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن سعيد بن
المسيب عن ابن عباس رضي الله عنه قال اوحي الله الي عيسي عليه السلام يا
عيسي امن بمحمد صلي الله عليه و سلم وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به
فلو لامحمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت ادم عليه السلام ولولا محمد صلي
الله عليه و سلم ما خلقت الجنة و النار ولقد خلقت العرش علي الماء فضطرب
فكتبت عليه “لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم فسكن. هذا
حديث صحيح الاسناد
” মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করলেন।
হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ! আপনি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে উনাকে যারা পেতে
চায় তাঁদের নির্দেশ করুন, তাঁরা যেন উনার প্রতি ঈমান আনে।
যদি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
না হতেন হতেন তবে আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করতাম না, যদি মুহম্মদ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি না হতেন তবে জান্নাত এবং জাহান্নাম
সৃষ্টি করতাম না।
আর যখন আমি পানির উরর আরশ সৃষ্টি করলাম তখন তা টলমল করছিলো, যখনই আরশের
মধ্যেلا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم লিখে দেই
তৎক্ষণাৎ আরশ স্থির হয়ে যায়।”
এই হাদীস শরীফের সনদ সহীহ।
Reference :
★ মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকীম নিশাপুরী (রহ),
কিতাব : তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারী সাইয়্যিদুল
মুরসালীন ওয়া খাতামুন নাব্যিয়িন মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল
মুত্তালিব মুছতাফা ছলাওয়াতুল্লাহিআলাইহি ওয়া আলিহীত ত্বহীরিন
খন্ড : ৪র্থ খন্ড ১৫৮৩ পৃষ্ঠা
★ মুখতাছারুল মুসতাদরাক ২য় খন্ড ১০৬৭ পৃষ্ঠা
মুহাদ্দিসে কেরাম থেকে :
১
ইমাম সাইফুদ্দীন আবূ জা’ফর বিন উমর আল-হুমাইরী আল-হানাফী নিজ ‘আদ-দুররূল তানযীম ফী মওলিদিন্ নাবিই-ইল করীম’ শীর্ষক কেতাবে বলেন: আল্লাহতা’লা যখন হযরত বাবা আদম (আ:)-কে সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাঁর মনে এই ভাবের উদয় করেন যার দরুণ তিনি মহান প্রভুকে প্রশ্ন করেন, ”এয়া আল্লাহ! আপনি আমার কুনিয়া (বংশ-পরম্পরার নাম) কেন ’আবূ মোহাম্মদ’ (মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পিতা) করেছেন?” আল্লাহ উত্তরে বলেন, “ওহে আদম! তোমার মাথা তোলো।” তিনি শির উঠিয়ে আরশে মহানবী (দ:)-এর নূর (জ্যোতি) দেখতে পান। হযরত আদম (আ:) জিজ্ঞেস করেন, “এয়া আল্লাহ! এই নূর কোন্ মহান সত্তার?” আল্লাহতা’লা জবাবে বলেন, “তোমার বংশেই এই মহান নবী (দ:)-এর জন্ম। আসমানে তাঁর নাম আহমদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এবং জমিনে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)। আমি তাঁকে সৃষ্টি না করলে তোমাকে বা আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করতাম না।”
২
সাইয়্যেদ আবূল হুসাইন হামদূনী শাযিলী তাঁর ‘কাসিদায়ে দা’লিয়া’তে লেখেন: “প্রিয়নবী (দ:) হলেন সারা বিশ্বজগতের মধ্যমণি এবং সকল সৃষ্টির কারণ (অসিলা)। তিনি না হলে কিছুই অস্তিত্ব পেতো না।”
৩
ইমাম শরফউদ্দীন আবূ মোহাম্মদ বুসিরী তাঁর কৃত ‘কাসিদা-এ-বুরদা’ কাব্য-পুস্তকে লেখেন: “রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে দুনিয়া অস্তিত্বশীল হতো না।”
৪
ইমাম বুসিরী (রহ:)-এর কাব্যের ব্যাখ্যামূলক পুস্তকে ইমাম শায়খ ইবরাহীম বাইজুরী লেখেন: “হুযূর করীম (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে বিশ্বজগত-ই অস্তিত্বশীল হতো না। হযরত আদম (আ:)-কে আল্লাহ বলেন, ‘মহানবী (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে আমি তোমোকে সৃষ্টি করতাম না। হযরত আদম (আ:) হলেন মনুষ্যজাতির আদি পিতা, আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই মানুষের জন্যে সৃষ্ট। তাই হযরত আদম (আ:)-কে যেহেতু রাসূলে খোদা (দ:)-এর অস্তিত্বের কারণে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেহেতু সমগ্র জগতই মহানবী (দ:)-এর কারণে সৃষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়। অতএব, সকল অস্তিত্বশীল সত্তার সৃষ্টির কারণ হলেন বিশ্বনবী (দ:)।”
৫
কাসিদা-এ-বুরদা কাব্য সম্পর্কে আল্লামা খালেদ আযহারী মন্তব্য করেন: “রাসূলে পাক (দ:)-এর কারণেই দুনিয়া অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব পেয়েছে।”
৬
মোল্লা আলী কারী লেখেন: ”রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর আশীর্বাদ ও মহত্ত্ব ছাড়া সমগ্র এই বিশ্বজগত অস্তিত্ব পেতো না এবং আল্লাহ ছাড়া কিছুই অস্তিত্বশীল থাকতো না।”
৭
ইমাম শেহাবউদ্দীন ইবনে হাজর আসকালানী বলেন, “এই সকল বর্ণনা ব্যক্ত করে যে মহানবী (দ:)-কে সৃষ্টি করা না হলে আল্লাহতা’লা আসমান-জমিন, বেহেশ্ত-দোযখ, চন্দ্র-সূর্য কিছুই সৃষ্টি করতেন না।”
৮
আল্লামা আবূল আয়াশ আবদুল আলী লাখনৌভী নিজ ‘ফাওয়াতিহ আর-রাহমূত শরহে মোসাল্লাম আস্ সুবূত’ পুস্তকে লেখেন: “রাসূলে খোদা (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে সৃষ্টিকুল আল্লাহর রহমত-বরকত (আশীর্বাদ)-ধন্য হতো না।”
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উসীলায় হযরত আদম (আঃ) এর ক্ষমা প্রার্থনা, আরশে কালেমা ও রাসুল (সাঃ) কে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতেন না - সংক্রান্ত হাদিসের পর্যালোচনাঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উসীলায় হযরত আদম (আঃ) এর ক্ষমা প্রার্থনা, আরশে কালেমা ও রাসুল (সাঃ) কে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতেন না - সংক্রান্ত হাদিসের পর্যালোচনাঃ
হাফিজ ইবনে কাসীর (রহঃ) আল-বিদায়া ওয়ান নেহায়াঃ
সুত্র ১ : উমর (রাঃ) হতে→
উল্লেখ্য যে,
★ ইমাম হাকিম (রহঃ) মুস্তাদরাকে হাকিম এ বর্নিত সনদ সহিহ বলেছেন।
★ ইমাম বায়হাকী হযরত আব্দুর রহমান ইবনে জায়েদ ইবনে আসলাম (রহঃ) এর সুত্রে একক ভাবে বর্ননা করেন (ইবনে কাসীর যে হাদিসটিকে দুর্বল বলতে চেয়েছেন তা ইমাম হাকিম এর সহিহ সনদকে বলেন নি বরং ওনার মতে উক্ত রাভী দুর্বল এটা ঐ হাদিসের কথাই বলা হয়েছে যা Same হাদিস অন্য এক দুর্বল রাবীর সুত্রে ইমাম বায়হাকী বর্ননা করেছেন , মোল্লা আলী কারি (রহ) এর আল-মওলিদুর রাভীতে বর্নিত আছে তার প্রমান নিচে কিতাবের ছবিতেই পাবেন)
হাফিজুল হাদিস ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ) খাসায়েসুল কুবরা তেঃ
সুত্র ১ : উমর (রাঃ) হতেঃ তিনি একে গ্রহণ করেছেন।
হাদিস শাস্ত্রের আইন অনুযায়ী যখন কোন মুহাদ্দিস কোন হাদিস বর্ননা করেন যদি
কিছু না বলেন তবে বুঝতে হবে তিনি এই হাদিসকে গ্রহণ করেছেন।
Note: হাদিসটি জাল হলে তিনি এমন একটা বিখ্যাত কিতাবে বর্ননা করতেন না করলেও স্পষ্ট সতর্ক করে দিতেন।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস মোল্লা আলী কারি (রাঃ) এটি দলিলস্বরুপ বর্ননা করেছেনঃ
সুত্র ১ : হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সুত্রেঃ
এখানে আরো কিছু সুত্রের রেফারেন্স তিনি দিয়েছেনঃ
সুত্র ২ : হযরত আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম (রাঃ) সুত্রে →
বায়হাকীঃ দালাইলুন নবুওয়াত → ইমাম হাকিম নিশাপুরীঃ আল মুস্তাদরাকঃ
হাদিসটি সহীহ → ইমাম তাবারানী (রহঃ)
সুত্র ৩ : হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) সুত্র→ ইমাম ইবনে আসাকির (রহঃ) বর্ননা করেছেন।
বিখ্যাত ইমাম মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) এটি গ্রহণ করেছেনঃ
Note: হাদিসটি জাল হলে তিনি ওনার কিতাবে বর্ননা করতেন না আর হ্যা করলেও স্পষ্ট জাল বলে সতর্ক করে দিতেন।
শায়খুল ইসলাম ডঃ তাহেরুল ইসলাম কাদেরী তিনি ২টি সুত্র বর্ননা করেছেনঃ
সুত্র ১ : হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সুত্রেঃ
সুত্র ৪ : ইবনে তাইমিয়্যাহ এর ২টি কিতাব থেকে হযরত মায়সারা (রাঃ) এর সুত্রে বর্ননা করেনঃ
Wednesday, October 28, 2015
মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) না হলে আল্লাহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না- এই হাদিসের ব্যাপারে ইবনে তাইমিয়্যার বিস্তারিত বক্তব্যঃ
[“Were It Not For You, I Would Not Have Created Creation.” ]
لولاك لولاك ما خلقت الأفلاك
Ibn Taymiyya on
"If not for Muhammad I would not have created you [Adam]"
Ibn Taymiyya said in his book "al-qaida al-jaleela fit- tawwasali wal-waseela", with commentary of Dr. Rabi'a bin Hadi 'Umayr al-Mudkhali, professor in the Islamic University of Madinah al-Munawwara, on page 166, para 493:
"...and like that is the hadith that is narrated by 'Abd ar-Rahman ibn Zayd ibn Aslam from his father from his grandfather from 'Umar ibn al-Khattaab (ra), marfu'an and mawqufan 'alayh, that when Adam (as) has committed the sin, he said, 'O Lord! I ask you for the sake of Muhammad [bi haqqi Muhammad] to forgive me.' He subhanahu wa ta'ala said, 'How did you know Muhammad?' He said, 'because when you created me with Your Hands and blew into me from Your Spirit, I raised my head and I saw on the legs of Your Throne written, 'laa ilaha ill-Allah Muhammadu Rasulullah' so I knew You would not put next to your name except the one who is the most beloved to You.' He said, 'you have said the truth, O Adam, and if it were not for Muhammad, I would not have created you.'" [law laa Muhammadan maa khalaqtuk].
And Ibn Taymiyya continues:
"And this hadith is narrated by al-Haakim in his Mustadrak, from the hadith of 'Abdillah bin Muslim al-FiHree, from Isma'il bin Salama. And Haakim said, 'and it is the first hadith I have mentioned from 'Abdur-Rahman in this book. And Haakim says that it is sahih. And it is related by Shaykh Abu Bakr al-Aajuri, in the book 'ash-Shari'ah' mawqufan on 'Umar from hadith 'Abdillah bin Isma'il bin Abi Maryam mawqufan from 'Abdur Rahman bin Zayd bin Aslam."
And we see here that Ibn Taymiyya is here presenting a hadith that was verified and certified by al-Haakim as authentic [sahih] and that is the hadith which related from Allah that "If not for Muhammad I would not have created you [O Adam]". And this opposes the many objections to such hadith like the similar hadith of Jaabir which is related about Allah that he said, "law laak maa khalaqtul khalq" - "If not for you [O Muhammad] I would not have created any of the Creation."
Ibn Taymiyya now goes into a lengthy discussion of the authenticity of the hadith which he just stated was authentic according to al-Haakim.
|→
Ibn Taymiyyah’s writings about venerating the Prophet tend to be eclipsed by his more controversial thoughts and responsum. His exploration of the law laaka theme, therefore, helps to shed light on another aspect of his character often ignored or overlooked by his admirers and detractors alike. In the eleventh volume of his Compendium of Legal Responses Ibn Taymiyyah, (Majma‘ Fataawaa (Riyadh: Daar al-‘alam al-Kutub, 1991), 11:96-98) he writes:
The superiority of our Prophet over the Angels was demonstrated on the Night of the Ascension (laylat al-mi‘raaj) when he arrived at a level where he could hear the ‘scratching of the pens’. He was now at a station higher than that of the Angels. Allah, Exalted is He, displays some of His tremendous power and amazing wisdom through righteous human beings, vis-a-via the Prophets and Saints, in ways which He does not do so through even the Angels. For He assembled in the former qualities that are dispersed throughout the other types of creation. So Allah created man’s body of the earth, but his spirit was created from the Highest Assembly (al-malaa’ al-a‘laa).
This is why it is said: ‘Man is a microcosm, but contains the macrocosm’. Now Muhammad, peace be upon him, is the master of humanity, the best of creation and the noblest of them in Allah’s sight. This is why it has been said that, ‘Allah created the universe because of him’. Or ‘Were it not for him, He would not have created the Throne, the Pedestal, the heaven, earth, sun or moon’. But this is not a hadith of the Prophet, peace be upon him: neither authentic nor weak. It was not related by any of those versed in the Hadith discipline on the authority of the Prophet, peace be upon him. Nor is it known to have come from any of the Companions. In fact, it is not known who actually uttered it. It is possible, though, to explain it from a correct perspective, such as by Allah’s saying: He has subjected to you whatever is in the heavens and the earth. 45:13 And by His words: He subjected the ships to you that they may run upon the sea at His command, and He subjected the rivers to you. He subjected to you the sun and the moon, constant in their courses, and subjected to you the night and the day. And gave you of all you ask Him; and if you count the favours of Allah, you shall never number them. 14:32-34.
"There are other passages similar to these, all of which clarify that Allah created creation for humanity’s sake: even though it is known that Allah, in doing so, had in mind an immense wisdom besides this and far greater than this. Here, though, He explains to humanity the benefits creation contains for them, and how they are immersed in Divine favours. Thus when it is said, ‘He did such and such [for this or that reason]’ it does not exclude the possibility of there being other wisdoms for the act. Similarly, the statement' :Were it not for so and so, such and such would not have been created’, does not negate the possibility of their being another higher wisdom behind the act. Instead it implies that since the most pious of humanity is Muhammad, creating him was a desirable end of deep-seated wisdom more so than for creating anyone else, and that the completion of creation and the crown of its very perfection only occurred with Muhammad, peace be upon him ... Now since man is the the seal of creation; the last of creation and its microcosm, then the best of them will also be the best of all creation in the absolute sense. Since Muhammad is the essence of humanity, the axis of creation and the distributor of the collective, he is, as it were, the ultimate purpose behind creation. So an objection cannot be raised against the saying, ‘For him all was created’, or ‘Were it not for him creation would not have been created’. Thus, if these or similar words are explained according to what the Book or Sunnah indicate, they should be accepted.”
(মুয়াবিয়া (রা:)প্রতি মাওলা আলী (রা:)শ্রদ্ধা ভক্তি)
সম্মানীত প্রিয় পাঠকগণ
রাসূল (দ:)ওনার ওহী লিখক আমীরে মুয়াবিয়া (রা:)কে সমালোচনা গালা গাল থেকে
শুরু করে মুনাফিক পর্যন্ত ফতোয়া দেওয়া
হচ্ছে অতচ রাসূল
(দ:)নিজেই ওনার
পবিত্র জবানীতে আমীরে
মূয়াবিয়া (রা:)কে জান্নাতী ঘোষণা করেছেন এবং ওনার উপরে
জাহান্নামের আযাব যেন না হয় সেই দোয়া ও করেছেন এবং ওনি যেন ঠিকমত শাসণ কাজ পরিচালিত করতে পারেন
তার জন্য ও রাসূল (দ:)নিজেই
দোয়া করেছেন নিম্নের এই কোরানের আয়াত
ও হাদীসগুলি তার প্রমাণ বহন করে
হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র ফজিলতঃ-(কোরান
শরীফ ও হাদীস
হতে)
১)সুরা হাদিদ ,আয়াত
নং ১০- ‘লা ইয়াস্ তাবী মিন কুম.....তামালুনা খাবীর’ অর্থঃ-তোমাদের মধ্যে সমান
নয় ওই সকল লোকেরা(সাহাবীগণ)যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ব্যয় ও জেহাদ
করেছে এবং তাঁরা
মযাদায় ওই সকল লোকেদের(সাহাবী)চেয়ে
উত্তম যারা বিজয়ের পর ব্যয় ও জেহাদ করেছে এবং তাদের সবার সাথে
আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন।
এই আয়াতটি হযরত মুয়াবিয়া সহ ওই সকল সাহাবীদের শানে নাযিল হয়েছে
যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ও পরে ইসলামের পথে ব্যয়
ও জেহাদ করেছেন এবং এরা সকলেই
হলেন জান্নাতি।(হযরত মুয়াবিয়া হুনাইনের যুদ্ধে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়
হে ওয়া সাল্লামের সহিত অংশ গ্রহন
করেছিলেন)
২) সুরা তাওবা,আয়াত
নং ১১৭,’লাক্বাদ তা’বাল্লাহু আলান নবীই ই----র উফুর রহিম’ অর্থঃ
আল্লাহর রহমত সমুহ
ধাবিত হল নবীর
এবং মুহাজির ও আনসারের প্রতি যারা
সংকট কালে হুজুর
পাকের সংগে ছিল।
হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু
হলেন ওই মহান
সাহাবী যিনি ‘গযওয়া
এ তাবুক’ নামক
যুদ্ধের সংকট কালে
হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলেন।
(আরোও অনেক
কয়েকটি আয়াত যা হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র শানে
নাযিল হয়েছে,সংক্ষেপের কারনে এখানে শুধু
দুটি দেওয়া হল।)
হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র ফজিলতঃ-(হাদিস
হতে)
৩)বোখারী শরীফ ২য় খন্ড,হাদিস নং২৯২৪
হযরত উম্মে হারাম বিনতে
মুলহান রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন ‘আমি হুযুর
পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি
أول
جيش من أمتي يغزون البحر قد أوجبوا অর্থঃ-আমার
উম্মতের যে প্রথম
সৈন্য দলটি নৌ অভিযানে অংশ নেবে,তারা নিজেদের জন্য
জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছে।(the first army of my ummah nation
that will invade the sea,all the sins of its solders will be forgiven)
মুহাদ্দিস গণ বলেন এই হাদিসটি হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র শানে
বর্ণিত হয়েছে কারন
তিনিই হলেন সর্বপ্রথম সেই সাহাবী যার নেত্বত্বে সর্বপ্রথম সৈন্যদল নৌ অভিযানে অংশ গ্রহন
করেছিলেন এবং এরা সকলেই হলেন জান্নাতী যার সু সংবাদ
হযুর পুর্বেই দিয়ে
ছিলেন।(সংক্ষেপের কারণে শুধু একটি হাদিস
বোখারী শ রীফ হতে বর্ণিত হল)
৪)তিরমিযী শরীফ ২য় খন্ড ২২৪ পৃঃ,
হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হযরত মুয়াবিয়ার জন্য দোওয়া ক রেছিলেন
اللهم اجعله هادياً مهدياً واهد به হে আল্লাহ মুয়াবিয়া(রাদিয়াল্লাহু আনহু)কে হাদি(হেদায়াতকারী)ও মাহদী(হেদায়াত প্রাপ্ত)বানিয়ে দাও এবং তার মাধ্যমে মানুষ কে হেদায়াত প্রদান কর।“O Allah!Make him a guide,guided(to right path ),and guide
(others)through him”
৫)ইমাম আহমদ ‘ফাদায়েলু সাহাবা’ একটি
হাদিসের মধ্যে উল্ল্যেখ করেছেন হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম বলেন اللهم علم معاوية الكتاب والحساب وقه العذاب হে আল্লাহ মুয়াবিয়াকে কেতাব(কোরান)ও হেসাবের জ্ঞান দান করো এবং তাকে আযাব
থেকে রক্ষা করো।“O Allah !Teach Muaviya the book(holy
Quran)and math,and protect him from punishment”
৬)মুসান্নাফ ইবনে আব্দির রাযযাক হাদিস নং ২০৮৫,আল বেদায়া৮ম খন্ড১৩৫পৃঃ,আল ইসাবাহ ৩য় খন্ড ৪১৩ পৃঃ
হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র জ্ঞান,প্রজ্ঞা এবং তাকওয়া ও ধার্মিক তা সর্ম্পকে সাহাবী’য়ে রসুল
সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু’র মন্তব্য হল ‘শাসন ক্ষমতার জন্য মুয়াবিয়ার চেয়ে উপযুক্ত কেউ আমার
নজরে পড়েনি।
৭)তারিখুল ইসলাম গ্রন্থ আল্লামা হাফেয যাহবী
একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন হযুর পাক হযরত মুয়াবিয়ার জন্য দোওয়া করেছিলেন ‘হে আল্লাহ মুয়াবিয়ার সিনাকে জ্ঞান দারা পুর্ণ
করে দাও’।
এ সকল ছাড়াও যে সকল হাদিস গ্রন্থে হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র শান বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে
মুসলিমশরীফ,মিশকাতশরীফ,আলবেদায়া,ইবনেখালদুন,আলবেদায়া অ নেহায়া প্রভূতি অন্যতম।
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ
:
প্রিয় পাঠকগণ বর্তমানে যারা আহলে বাইতের প্রতি
অতি ভক্তি দেখিয়ে রাসূল (দ:)ওনার
প্রিয় সাহাবাগণদের সমালোচনা করে তাদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক
এবং যে সকল পীর নামের ভন্ডদের দরবারে সাহাবীদের সমালোচনা করতে
শেখায় তাদের উপর ও আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক। যে সকল
পীর বা তাদের অনুসারীগণ আহলে বাইতের প্রতি অতি ভক্তি দেখায় বিশেষ করে মাওলা আলী (রা:)প্রতি
সেই মাওলা আলী (রা:)একটি ভাষণ পেশ করলাম ইবনে কাসির রচিত ইসলামী ইতিহাসের হাদীস শাস্ত্রের
এক বিখ্যাত গ্রন্থ বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত আলবেদায়া অ নেহায়ার মধ্যে মাওলী
আলী (রা:) এবং আমীরে মূযাবিয়া (রা:)দুজনের পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কেমন ছিলো তা দেখুন
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু পরস্পরের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা ছিল। একদিন হযরত আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু দরবারে উপস্থিত সবাইকে বললেন, যে ব্যক্তি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র প্রশংসায় যথাযোগ্য কবিতা আবৃত্তি করবে, আমি
তাকে প্রতিটি কবিতার বিনিময়ে হাজার দিনার দান করব। উপস্থিত কবিগণ হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু’র শানে কবিতা আবৃত্তি করে প্রচুর পুরষ্কার লাভ
করলেন। কিন্তু হযরত আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু প্রতিটি কবিতা
ও ছন্দ শ্রবণ করার পর বলতেন- علیّ افضل منہ (আলীয়্যুন আফদ্বালু
মিনহু) অর্থাৎ, “আলী এর চেয়েও অনেক উত্তম”। অতঃপর উক্ত মজলিসে
আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু’র প্রশংসায় এমন একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন, যা
হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র নিকট পছন্দ হল, ফলে ঐ কবিতার বিনিময়ে উক্ত কবিকে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সাত হাজার দিনার পুরষ্কার প্রদান করলেন।হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সিফ্ফীনের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু সম্পর্কে ইরশাদ করেন-
ایھا الناس لا تکرہ امارۃ معاویۃ فانکم لوفقد تموہ رایتم الرؤس تنذر عن لواھلھا کانّما الحنظل-
অর্থাৎ, “হে লোক সকল! তোমরা আমীরে মুয়াবিয়ার শাসন এবং নেতৃত্বকে অপছন্দ করোনা”। যদি তোমরা তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দাও, তবে তোমরা দেখবে ধড় থেকে মাথা এমন
ভাবে কেটে পড়েছে, যেভাবে হান্জল (এক প্রকারের তিক্ত ফল) গাছ থেকে পতিত হয়।[আল-বিদায়া:
৮ম খন্ড,২৫২ পৃঃ ]
প্রিয় পাঠকগণ এটা মাওলা আলী (রা:)নিজ বাণী যা এই গ্রন্থে বর্ণিত এখন আপনারাই
বিচার করেন যারা মাওলা আলী (রা:)কে অস্বীকার করে এবং আমার রাসূল (দ:)ওনার হাদীসকে অস্বীকার
করে তারা কি করে ইসলাম ধর্মে দিক্ষীত এবং তারা কি করে পীরালী বা মুরীদী করে বেড়ায় এই
সকল দরবার এবং পীররা নিজেরাই পথভ্রষ্ঠ এবং তাদের মুরীদগণ ও পথভ্রষ্ঠ।তাই আসূণ আমরা
কোরান সূন্নাহ মাধ্যমে বিচার করে আহলে বাইতকে ভালবাসি এবং সাহাবাগণদের ভালবাসি....আল্লাহ
আমিন...প্রচারে...মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ।
Subscribe to:
Posts (Atom)