আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম
দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব
শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা
হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার
মূর্শীদ কেবলা দয়াল
মোখলেছ সাই এর সরণে...
(রাসূল (সা:)ওনার বিদায়ী ভাষনের হাদীসটি কে মুছে
ফেলার যড়যন্ত্রের জবাব)
রাসূল (দ:)ওনার বিদায়ী ভাষণের দিনটি নামধারী মুসলমানদের অন্তর থেকে
দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে.মাত্র সামান্য কিছু প্রকৃত মুসলমানদের মধ্যেই তা শুধু
বিদ্যমান রয়েছে.কিন্তু একটি মহল সৌদী
এবং বৃটিশ ডলারের কাছে নিজের ঈমানকে বিক্রিত করে প্রাণ
প্রিয় রাসূল (দ:)ওনার এই দিনের
প্রকৃত ভাষণটাকে বিকৃত করে মানুষকে ধোকা
দিচ্ছে. কারণ তারা
চায় আহলে বাইত
কে বা নবীর
বংশধরকে এ দুনিয়া থেকে নিশ্চিন্ন করে দিবে কিন্তু আল্লাহ পাক নিজেই পাক কোরানে সূরা কাওসারে বলে দিয়েছেন হে আমার রাসূল আপনাকে এমনি আওলাদ বা বংশ দান করলাম
যা কেয়ামত পযর্ন্ত আপনার বংশধারা টিকে
থাকবে..কেউ থাকে
নিশ্চিন্ন করতে পারবেনা বরং তারাই পথভ্রষ্ট যারা আমার এই বংশের পিছনে লেগে
থাকবে এবং খারাপ
উদ্দেশ্যে করবে..সুবাহানাল্লাহ..এবার
আসূণ মুল আলোচনায় আশা যাক আজকাল
একটি দল রাসূল
(সা:)ওনার এই হাদীসটি কে বিক্রিত করে কোরান ও আহলে বাইতের এর পরিবর্তে কোরান ও সূণ্নাহ বলে চালিয়ে দিচ্ছে যা নিতান্তই জাহান্নামীদের কাজ..আসূন
দেখী রাসূল (দ:)তার বিদায়ী ভাষণে
কি বলেছেন সেটা
প্রমান করব কোরান এ হাদীসের আলোকে.মূল প্রসঙ্গ- আরবী
১০ম হিজরির ১৮ই জিলহাজ্ব এই দিন রাসূল (দ:)ওনার
শেষ ভাষনের দিন.
আল্লাহ রাছুল (দ:)ওনার উপর সূরা
মায়িদার ৬৭ নং আয়াত নাজিল করেন.৫:৬৭#“হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি
যা অবতীর্ণ হয়েছে.
আর যদি আপনি
এরূপ না করেন,
তবে আপনি তাঁর
পয়গাম কিছুই পৌছালেন না. আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে
রক্ষা করবেন.নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না.”
এই আয়াত নাযিল
হওয়ার পর রাছুল
(দ:). সকলকে ডেকে এক জায়গায় একত্রিত করেন এবং তিঁনি
তাদের সামনে সমস্ত
জাতির উদ্দেশ্য ভাষন দিলেন...এই বলে
: আমি তোমাদের নিকট
২টি গুরুত্বপূর্ণ বস্তু রাখিয়া যাইতেছি। তাহার
প্রথমটি হইল আল্লাহর কিতাব। ইহাতে রহিয়াছে হেদায়েত এবং নূর;
সুতরাং তোমরা ইহাকে
মজবুত ভাবে ধরিয়া
রাখিবে। তারপর বলিলেন, আর দ্বিতীয় বস্তু
হইল আমার আহলে
বাইত অর্থাৎ পরিবারবর্গ। আহলে বাইতের ব্যপারে তোমাদিগকে আল্লাহর কথা স্মরণ করাইয়া দিতেছি- কথাটি তিনবার বলিলেন।’ -মুসলিম শরীফ
হাদিস নং- ৬০০৯.
: হযরত যায়েদ ইবনে
আরকাম (রাঃ) বর্ণিত।তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা ও মদীনার মাঝখানে খোম নামক তালাবের নিকট
দাঁড়িয়ে আমাদের মাঝে
ভাষণ দিলেন। প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন। তারপর
নানারূপ ওয়াজ ও নসীহত করলেন। অতঃপর
বললেন, হে লোকগণ
সাবধান! নিশ্চয় আমি একজন মানুষই। শীঘ্রই আমার নিকট আল্লাহর দূত আযরাঈল আগমন
করবে। তখন আমি আমার প্রভুর ডাকে
সাড়া দিব। আমি তোমাদের মধ্যে দুটি
মূল্যবান সম্পদ রেখে
যাচ্ছি। একটি হল আল্লাহর কিতাব। এর মধ্যে রয়েছে হেদায়াত ও আলো। অতএব
তোমরা আল্লাহর কিতাবকে মজবুতভাবে আকড়ে ধর। আর দ্বিতীয়টি হল আমার আহলে বাইত। আমি তোমাদেরকে আমার আহলে বাইত সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ হতে বিশেষভাবে বলছি। (মিশকাত-১১তম খন্ড হাদিস
নং-৫৮৮০,৫৮৯২,৫৮৯৬)
এ হাদিসটি বুখারী,মুসলিম,তিরমিযী,মুসনাদে আহমদ সহ আহলে
সুন্নাহ্র বহু গ্রন্থে বিদ্যমান এবং বর্ণনাকারী সাহাবীর সংখ্যা ১১০ জনেরও অধিক। সুতরাং এটি একটি মুতাওয়াতির হাদিস.মুতাওয়াতির হাদীস তখনই বলা হয় যখন এই হাদীসটি অষংখ্য সহীহ গ্রন্থ সহ অনেক সাহাবায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত হয়.কিন্তু আফসোস আমার রাসূল (দ:)ওনার এই ভাষণটিকে আজকাল নামধারী কতিপয়
মুসলমান বিক্রিত করে সাধারণ মানুষদেরকে আহলে বাইতের পরিবর্তে সূন্নাহ বলে চালিয়ে দিচ্ছে যা নিতান্তর একজন দাজ্জালের কাজ.তারা নিজেও
জাহান্নামী এবং তাদের
অনুসারীরা ও দিন দিন জাহান্নামের দিকে পতিত হচ্ছে.আল্লাহ যেন আমাদের এই ধরনের দাজ্জাল থেকে
মুক্ত রাখে ..আমিন..প্রচারে.মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ
No comments:
Post a Comment