সম্মানীত প্রিয় পাঠকগণ
রাসূল (দ:)ওনার ওহী লিখক আমীরে মুয়াবিয়া (রা:)কে সমালোচনা গালা গাল থেকে
শুরু করে মুনাফিক পর্যন্ত ফতোয়া দেওয়া
হচ্ছে অতচ রাসূল
(দ:)নিজেই ওনার
পবিত্র জবানীতে আমীরে
মূয়াবিয়া (রা:)কে জান্নাতী ঘোষণা করেছেন এবং ওনার উপরে
জাহান্নামের আযাব যেন না হয় সেই দোয়া ও করেছেন এবং ওনি যেন ঠিকমত শাসণ কাজ পরিচালিত করতে পারেন
তার জন্য ও রাসূল (দ:)নিজেই
দোয়া করেছেন নিম্নের এই কোরানের আয়াত
ও হাদীসগুলি তার প্রমাণ বহন করে
হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র ফজিলতঃ-(কোরান
শরীফ ও হাদীস
হতে)
১)সুরা হাদিদ ,আয়াত
নং ১০- ‘লা ইয়াস্ তাবী মিন কুম.....তামালুনা খাবীর’ অর্থঃ-তোমাদের মধ্যে সমান
নয় ওই সকল লোকেরা(সাহাবীগণ)যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ব্যয় ও জেহাদ
করেছে এবং তাঁরা
মযাদায় ওই সকল লোকেদের(সাহাবী)চেয়ে
উত্তম যারা বিজয়ের পর ব্যয় ও জেহাদ করেছে এবং তাদের সবার সাথে
আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন।
এই আয়াতটি হযরত মুয়াবিয়া সহ ওই সকল সাহাবীদের শানে নাযিল হয়েছে
যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ও পরে ইসলামের পথে ব্যয়
ও জেহাদ করেছেন এবং এরা সকলেই
হলেন জান্নাতি।(হযরত মুয়াবিয়া হুনাইনের যুদ্ধে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়
হে ওয়া সাল্লামের সহিত অংশ গ্রহন
করেছিলেন)
২) সুরা তাওবা,আয়াত
নং ১১৭,’লাক্বাদ তা’বাল্লাহু আলান নবীই ই----র উফুর রহিম’ অর্থঃ
আল্লাহর রহমত সমুহ
ধাবিত হল নবীর
এবং মুহাজির ও আনসারের প্রতি যারা
সংকট কালে হুজুর
পাকের সংগে ছিল।
হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু
হলেন ওই মহান
সাহাবী যিনি ‘গযওয়া
এ তাবুক’ নামক
যুদ্ধের সংকট কালে
হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলেন।
(আরোও অনেক
কয়েকটি আয়াত যা হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র শানে
নাযিল হয়েছে,সংক্ষেপের কারনে এখানে শুধু
দুটি দেওয়া হল।)
হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র ফজিলতঃ-(হাদিস
হতে)
৩)বোখারী শরীফ ২য় খন্ড,হাদিস নং২৯২৪
হযরত উম্মে হারাম বিনতে
মুলহান রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন ‘আমি হুযুর
পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি
أول
جيش من أمتي يغزون البحر قد أوجبوا অর্থঃ-আমার
উম্মতের যে প্রথম
সৈন্য দলটি নৌ অভিযানে অংশ নেবে,তারা নিজেদের জন্য
জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছে।(the first army of my ummah nation
that will invade the sea,all the sins of its solders will be forgiven)
মুহাদ্দিস গণ বলেন এই হাদিসটি হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র শানে
বর্ণিত হয়েছে কারন
তিনিই হলেন সর্বপ্রথম সেই সাহাবী যার নেত্বত্বে সর্বপ্রথম সৈন্যদল নৌ অভিযানে অংশ গ্রহন
করেছিলেন এবং এরা সকলেই হলেন জান্নাতী যার সু সংবাদ
হযুর পুর্বেই দিয়ে
ছিলেন।(সংক্ষেপের কারণে শুধু একটি হাদিস
বোখারী শ রীফ হতে বর্ণিত হল)
৪)তিরমিযী শরীফ ২য় খন্ড ২২৪ পৃঃ,
হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম হযরত মুয়াবিয়ার জন্য দোওয়া ক রেছিলেন
اللهم اجعله هادياً مهدياً واهد به হে আল্লাহ মুয়াবিয়া(রাদিয়াল্লাহু আনহু)কে হাদি(হেদায়াতকারী)ও মাহদী(হেদায়াত প্রাপ্ত)বানিয়ে দাও এবং তার মাধ্যমে মানুষ কে হেদায়াত প্রদান কর।“O Allah!Make him a guide,guided(to right path ),and guide
(others)through him”
৫)ইমাম আহমদ ‘ফাদায়েলু সাহাবা’ একটি
হাদিসের মধ্যে উল্ল্যেখ করেছেন হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম বলেন اللهم علم معاوية الكتاب والحساب وقه العذاب হে আল্লাহ মুয়াবিয়াকে কেতাব(কোরান)ও হেসাবের জ্ঞান দান করো এবং তাকে আযাব
থেকে রক্ষা করো।“O Allah !Teach Muaviya the book(holy
Quran)and math,and protect him from punishment”
৬)মুসান্নাফ ইবনে আব্দির রাযযাক হাদিস নং ২০৮৫,আল বেদায়া৮ম খন্ড১৩৫পৃঃ,আল ইসাবাহ ৩য় খন্ড ৪১৩ পৃঃ
হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র জ্ঞান,প্রজ্ঞা এবং তাকওয়া ও ধার্মিক তা সর্ম্পকে সাহাবী’য়ে রসুল
সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু’র মন্তব্য হল ‘শাসন ক্ষমতার জন্য মুয়াবিয়ার চেয়ে উপযুক্ত কেউ আমার
নজরে পড়েনি।
৭)তারিখুল ইসলাম গ্রন্থ আল্লামা হাফেয যাহবী
একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন হযুর পাক হযরত মুয়াবিয়ার জন্য দোওয়া করেছিলেন ‘হে আল্লাহ মুয়াবিয়ার সিনাকে জ্ঞান দারা পুর্ণ
করে দাও’।
এ সকল ছাড়াও যে সকল হাদিস গ্রন্থে হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু’র শান বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে
মুসলিমশরীফ,মিশকাতশরীফ,আলবেদায়া,ইবনেখালদুন,আলবেদায়া অ নেহায়া প্রভূতি অন্যতম।
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ
:
প্রিয় পাঠকগণ বর্তমানে যারা আহলে বাইতের প্রতি
অতি ভক্তি দেখিয়ে রাসূল (দ:)ওনার
প্রিয় সাহাবাগণদের সমালোচনা করে তাদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক
এবং যে সকল পীর নামের ভন্ডদের দরবারে সাহাবীদের সমালোচনা করতে
শেখায় তাদের উপর ও আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক। যে সকল
পীর বা তাদের অনুসারীগণ আহলে বাইতের প্রতি অতি ভক্তি দেখায় বিশেষ করে মাওলা আলী (রা:)প্রতি
সেই মাওলা আলী (রা:)একটি ভাষণ পেশ করলাম ইবনে কাসির রচিত ইসলামী ইতিহাসের হাদীস শাস্ত্রের
এক বিখ্যাত গ্রন্থ বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত আলবেদায়া অ নেহায়ার মধ্যে মাওলী
আলী (রা:) এবং আমীরে মূযাবিয়া (রা:)দুজনের পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কেমন ছিলো তা দেখুন
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এবং আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু পরস্পরের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা ছিল। একদিন হযরত আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু দরবারে উপস্থিত সবাইকে বললেন, যে ব্যক্তি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র প্রশংসায় যথাযোগ্য কবিতা আবৃত্তি করবে, আমি
তাকে প্রতিটি কবিতার বিনিময়ে হাজার দিনার দান করব। উপস্থিত কবিগণ হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু’র শানে কবিতা আবৃত্তি করে প্রচুর পুরষ্কার লাভ
করলেন। কিন্তু হযরত আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু প্রতিটি কবিতা
ও ছন্দ শ্রবণ করার পর বলতেন- علیّ افضل منہ (আলীয়্যুন আফদ্বালু
মিনহু) অর্থাৎ, “আলী এর চেয়েও অনেক উত্তম”। অতঃপর উক্ত মজলিসে
আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু’র প্রশংসায় এমন একটি কবিতা আবৃত্তি করলেন, যা
হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র নিকট পছন্দ হল, ফলে ঐ কবিতার বিনিময়ে উক্ত কবিকে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সাত হাজার দিনার পুরষ্কার প্রদান করলেন।হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সিফ্ফীনের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু সম্পর্কে ইরশাদ করেন-
ایھا الناس لا تکرہ امارۃ معاویۃ فانکم لوفقد تموہ رایتم الرؤس تنذر عن لواھلھا کانّما الحنظل-
অর্থাৎ, “হে লোক সকল! তোমরা আমীরে মুয়াবিয়ার শাসন এবং নেতৃত্বকে অপছন্দ করোনা”। যদি তোমরা তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দাও, তবে তোমরা দেখবে ধড় থেকে মাথা এমন
ভাবে কেটে পড়েছে, যেভাবে হান্জল (এক প্রকারের তিক্ত ফল) গাছ থেকে পতিত হয়।[আল-বিদায়া:
৮ম খন্ড,২৫২ পৃঃ ]
প্রিয় পাঠকগণ এটা মাওলা আলী (রা:)নিজ বাণী যা এই গ্রন্থে বর্ণিত এখন আপনারাই
বিচার করেন যারা মাওলা আলী (রা:)কে অস্বীকার করে এবং আমার রাসূল (দ:)ওনার হাদীসকে অস্বীকার
করে তারা কি করে ইসলাম ধর্মে দিক্ষীত এবং তারা কি করে পীরালী বা মুরীদী করে বেড়ায় এই
সকল দরবার এবং পীররা নিজেরাই পথভ্রষ্ঠ এবং তাদের মুরীদগণ ও পথভ্রষ্ঠ।তাই আসূণ আমরা
কোরান সূন্নাহ মাধ্যমে বিচার করে আহলে বাইতকে ভালবাসি এবং সাহাবাগণদের ভালবাসি....আল্লাহ
আমিন...প্রচারে...মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ।
কোন জারজ চারা মাবিয়া কে কেহ সাহাবী বলবে না,,, নবিজী (সাঃ) বলেছেন যে আলী কে গালি দিবে সে মোনাফেক, ঘেউঘেউ মাবিয়া খুৎবার মধ্যে গালিদিতো,,, মাবিয়ার দালাল তোদের হাশর যেন মাবিয়ার সঙ্গে হয়।
ReplyDeleteরাইট দাদা ভাই
Delete