আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম
দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব
শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা
হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার
মূর্শীদ কেবলা দয়াল
মোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ আল্লাহর নিজ এক মুষ্টি নূর হইতে রাসূল (দ:)সর্ব প্রথম সৃষ্টি)
সম্মানিত পাঠকগণ অসংথ্য সহীহ
হাদীস এবং কুরানুল কারীমে রাসূল (দ:)কে নূরের সৃষ্টি বলে সম্বোধন করা হয়েছে এবং আমার
রাসূল যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি তা ও বর্ননা করা আছে.আল্লামা ইবনে কাসীর
(র:)ওনার নিজ রচিত আল বিদায়া ওয়ান নেহা গ্রন্থে রাসূল (দ:)ওনার
নূর বাবা আদম
(আ:)থেকে কিভাবে মা আমিনার গর্ভে
এসে পৌছলো তা অতি সূন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন যা আমি অনেক আগেই পোষ্ট করেছি.আজকে আপনাদের সামনে একটি হাদীস
পেশ করবো এই হাদীসটিতে আল্লাহর পাক তার ১ মুষ্টি নূর হইতে তারই
প্রিয়তম আহাম্মদ মোস্তফা মুহাম্মাদ মোস্তফা (দ:)কে সৃষ্টি করেছেন সর্ব কিছু সৃষ্টির আগে যার আগে আর কোন কিছুই
সৃষ্টি করেননি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন..হাদীসটি নিম্নরুপ....
# ইবন আব্বাস (রা:)বলেছেন,আল্লাহ তাআলা
যখন মাখলুখাত সৃষ্টি করিতে ইচ্ছা করিলেন,তখন পৃথিবীকে নিম্নে স্থাপন ও আসমানসমুহের উচ্চে স্থাপন ইচ্ছা
করলেন,তিনি নিজ নূর হতে এক মুষ্টি নূর গ্রহণ
করলেন,অনন্তর তিনি
ঐ মুষ্টি নূরকে
বললেন,তুমি আমার
হাবীব মুহাম্মদ হয়ে যাও.অত:পর সে নূর-ই-মুহাম্মদ (দ:)আদম সৃষ্টির ৫০০ বছর পূর্বে আরশ তাওয়াফ করেছিল.তাওয়াফ কালে
তা বলেছিল সমুদয়
প্রসংশা আল্লাহর জন্য.তখন আল্লাহ তাআলা
বলেন এ হেতু
আমি তোমার নামকরণ করলাম-মুহাম্মাদ.সূত্র-নুযহাতুল মাজালিস.
ঐ নূর মোবারক সিজাদায় পতিত হতে থাকল.ঐ সিজদাসমুহে রব উঠতে থাকল সমুদয়
প্রসংশা আল্লাহর জন্য.এরুপ তিনি হলেন,আহমাদ-আদি প্রশংসাকারী,সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশংসাকারী.তিনি হলেন প্রশংসাকারী আর আল্লাহ হলেন -মাহমুদ প্রশংসিত.আল্লাহর তরফ হইতে ইরশাদ করা হলো,আমি হলাম
তোমার দ্বারা প্রশংসিত আর তুমি হলে আমার দ্বারা প্রশংসিত.হে নূর.আমি তোমাকে করলাম প্রশংসিত.তোমার শিরোপা হলো
মুহাম্মদ তুমি চির প্রশংসিত তুমি সর্ব
শ্রেষ্ঠ প্রশংসিত, তুমি প্রশংসিত হলে আমার
দ্বারা,প্রশংসিত হবে জ্বিন ও ফেরশতা দ্বারা এবং প্রশংসিত হবে মাখূলাকাত দ্বারা-সুবাহানাল্লাহ..কতই না প্রেম ভালবাসা তার প্রিয় হাবীবের জন্য
আর কতই না নিখুত সূন্দর করে সৃষ্টি করেছেন তার প্রিয়তম হাবীবকে যার প্রশংসা করবে সমস্ত
সৃষ্টি...তাই আমি অতি নগন্য পাপী
বান্দা সেই প্রিয়তমের স্মরনে খানিকটুকু শান গাইলাম যা আমার
দয়াল মোখলেছ সাই গেয়েছেন..কুন্তু কাঞ্জন মাখফি রুপে ছিলেন
একা গোপনে..তোমার সূরুত দেখার জন্য
সাধ হইল তার মনেতে..তাই প্রেমের খেলা খেলতে প্রভু
সৃজিয়াছে তোমারে..কেমনে
চিনিব তোমারে দয়াল
নবীজী..কেমনে চিনিব
তোমারে...মীম অক্ষরে পর্দা করে আসিয়াছ সংসারে..কেমনে চিনিব
তোমারে দয়াল নবীজী
কেমনে চিনিব তোমারে..আমার দয়াল মোখলেছ সাই এই শান গাইতেন আর কাদিতেন জানিনা আমার দয়ালের দেখা পারো কিনা...তাই সম্মানীত পাঠকগণ সবাই নিজ নিজ মুর্শীদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি রেখে সেই প্রিয়তম হাবীবের গুন গান করুন...আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার
তৌফিক দান করুক..আমিন...প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ।
শিরিক
ReplyDeleteশিরিক
ReplyDelete