Sunday, October 25, 2015

শিয়ারাই হুসাইন (রা:)হত্যাকারী

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
সম্মানীত পাঠকগণ
আজ আপনাদের সামনে প্রকাশ করব বর্তমান শিয়াদের মাতম নামের মায়া কান্নার নাটক এবং তারাই যে ইমাম হুসাইন (রা:)হত্যাকারী তা তাদেরই রচিত তাদেরই প্রকাশনী কিতাব থেকে দলিল ভিত্তিক আলোচনা করে প্রমান করে দিব এদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ইমাম হুসাইন (রা:)নির্মমভাবে নিষ্ঠুরভাবে শহীদ হয়েছেনএই ইতিহাস নিয়ে সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজ আজ অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে কোন মায়া কান্না যারা নিজেরাই হত্যা করে আবার নিজেরাই মাতম করে এটা কি মাতম নাকি মাতম নামে নাটক করে আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসা ইমাম হুসাইন (রা:)কে হত্যা করে আবার তারই প্রতি হায় হুসেইন হুসেইন বলে হুসাইন (রা:)প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে ইতিহাসে এক ঘৃণ্য নিকৃষ্ট ঘটনাআমি প্রমান করে দিব বর্তমানে যারা সাধারণ মুসলিমদের সামনে মাতম করে নিজের শরীরকে ক্ষত বিক্ষত করে ইমাম হুসাইন (রা:)কে ডেকে এনে বিশ্বাসঘাতকতা করে হত্যা করে আবার ইমাম হুসাইনের প্রতি শোক প্রকাশ করে আহলে বাইতের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ তাদের হাকীকত তাদের আসল রহস্য তাদের রচিত গ্রন্থ থেকে প্রমান করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ........
হযরত হুসাইন (রা:)যখন কুফায় আসলেন কুফার সন্নিকটে কারবালার ময়দানে কতিপয় ঘৃণ্য নিকৃষ্ট জাহান্নামের কীট এবং ইতিহাসের নিষ্ঠুর ব্যক্তির যড়যন্ত্রের কারণে তাদের নিষ্ঠুর আক্রমণের কারণে জান্নাতের সরদার নবীর প্রাণ প্রিয় দৌহিদ্র ইমাম হুসাইন (রা:)কে শহীদ হতে হয়েছিল
হযরত হুসাইন (রা:)যখন কুফায় আসলেন কুফার সন্নিকটে কারবালার ময়দানে কতিপয় ঘৃণ্য নিকৃষ্ট জাহান্নামের কীট এবং ইতিহাসের নিষ্ঠুর ব্যক্তির যড়যন্ত্রের কারণে তাদের নিষ্ঠুর আক্রমণের কারণে জান্নাতের সরদার নবীর প্রাণ প্রিয় দৌহিদ্র ইমাম হুসাইন (রা:)কে শহীদ হতে হয়েছিল
কিন্তু সম্মানীত পাঠকগণ আপনাদের কাছে কিছু প্রশ্ন.......
.হুসাইন (রা:)কে এই ভয়াভহ ঘৃন্যতম স্থানে,নিকৃষ্টতম স্থানে মর্মান্তিক স্থানে কারা ডেকে এনেছিলেন,কি উদ্দেশ্যে ডেকে এনেছিলেন,ডেকে আনার পর তারা কোখায় পালিয়ে গিয়েছিলো কাদের হাতে ইমাম হুসাইন (রা:)শহীদ হয়েছেন...? এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্মানীত পাঠকগণ
প্রিয় পাঠকগণ উক্ত প্রশ্নের জবাব শিয়াদের লিখিত কিতাব (শোকার্থের দীর্ঘশ্বাস)এটি খন্ডে সমাপ্ত কারবালার ইতিহাস ভিত্তিক বই যেটি ইতিহাস নির্ভর একটি বই,লেখক-শায়খ আব্বাস উম্মী,পাঠকগণ আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই বইটি কারা বের করেছেন শুনে আশ্চর্জ হবেন লেখক-শায়খ আব্বাস উম্মী একজন কটোর শিয়া আর এটা কোন সূন্নীদের বের করা বই নয় এটা শিয়ারাই তাদের নিজস্ব লেখক প্রকাশনী এবং ইরান চালিত ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় থেকে বের হয়েছেমোটকথা এটি শিয়ারাই বের করেছে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেইযেহেতু এটি কারবালার ইতিহাস রচিত বই এবং শিয়ারা নিজেরাই বের করেছে সেহেতু এটি একটি সত্যিকার ইতিহাস বলে ধরে নেওযা যায় এখন আসূণ আমরা চলে যাই কারবালার ইতিহাস সম্পর্কে এই বইয়ে তাদের বক্তব্য (শিয়াদের) টা কি...? এই বইয়ের প্রথম খন্ডে ৬১ পৃ: শিয়ারা লিখেছেন..ইমামের শিয়ারা (অনুসারীরা)সোলায়মান বিন সূরাব খোযাইনের বাড়িতে জড়ো হলো এবং মুযাবিয়া (রা:)মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করতে লাগল এবং আল্লাহর প্রসংশা করতে লাগলসোলায়মিন উঠে দাড়ালেন এবং বললেন মুয়াবিয়ার মৃত্য হয়েছে ইমাম হুসাইন ইয়াযীদের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে অস্বীকার করেছেন মক্কায় চলে গিয়েছেনতোমরা তার তার বাবার শিয়া(অনুসারী)তাই যদি তোমরা তাকে সাহায্য করতে চাও এবং তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাও তাকে (হুসাইনকে)চিঠি লিখ বিষয় তাকে জানাও কিন্তু তোমরা যদি ভয় পাও যে ঢিলেমি করবে এবং পিছু হটবে তাহলে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকাত করোনা এবং তাকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়োনাপ্রত্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে শপথ করলো যে তারা তাকে সাহায্য করবে এবং তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তার (হুসাইনের)আদেশে এবং তাদের জীবনকে এগিয়ে দিবে কুরবান করতেযখন সোলায়মান তা শুনলেন তখন তাদের আহবান জানালেন ইমাম হুসাইন কে চিঠি লিখার জন্য এবং তারা (শিয়ারা) লিখলোএই হলো শোকার্থের দীর্ঘশ্বাস বইয়ের বক্তব্য.....
পাঠকগণ এই বক্তব্য থেকে কি বুঝা যায় যে শিয়ারাই নিজেরাই সবাই দলবদ্ধ হয়ে শপথ নিয়ে বলল আমারাতো শিয়া তোমরা হযরত হুসাইনকে চিঠি লিখ তোমরা তার জন্য জীকন কুরবান করবে তোমরা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না এরপর তারা চিঠি লিখলো হুসাইন (রা:)কাছেসম্মানীত পাঠকগণ আমাদের কাছে দিবা লোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেলো যে কুফার শিয়ারা হুসাইন (রা:)সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেনা.
তারা হুসাইনের জন্য তাদেরে জীবন বিলিয়ে দিবে এই মর্মে এই আশ্বাস দিয়ে তারা হুসাইন (রা:)কাছে চিঠি পাঠালোপাঠকগন বুঝে নিন চিঠি পাঠালো শিয়ারাই আবার আশ্বাস দিয়েছে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে না

সম্মানীত পাঠকগণ এবার চলুন আমরা হুসাইন (রা:)নিজ বক্ত্যবে শুনি তারা (শিয়ারা)কি তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলো কি না...?
শোকার্থের দীর্ঘশ্বাস এই বইয়ের ১ম খন্ডের ১৯৯ পৃ:হুসাইন (রা:)সেই সকল কুফা বাসীদের প্রতি সম্বোধন  করে বলতেছেন..হে জনতা কুফাবাসী তোমরা যেন ধবংস হও দুর্ধশাগ্রস্ত হও তোমরা উতসাহের সাথে আমাদের আমন্ত্রন জানিয়েছিলে তোমাদের সাহায্য করার জন্য আমরা দীর্ঘ অগ্রসর হয়েছি কিন্তু তোমরা এখন তরবারীগুলি লুকিয়ে রেখেছ যা আমরা তোমাদের দিয়েছি আমাদের জন্য আগুন জালিয়েছ যা তোমাদের এবং আমাদের শত্রুদের জন্য জালিয়েছিলাম তোমরা তোমাদের শত্রুদের পক্ষ নিয়েছ এবং তাদের সাথে থেকে তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সাথে যুদ্ধ করতে অগ্রসর হয়েছএই হলো হুসাইন (রা:)বক্তব্য যা শিয়াদের কিতাব শোকার্থের দীর্ঘশ্বাসে লিপিবদ্ধসম্মানীত পাঠকগণ আমরা এই বইয়ের ৬১ নং পৃষ্ঠায় দেখেছি যে শিয়ারাই হুসাইন (রা:)কে আশ্বাস দীর্ঘ প্রয়াস দিয়ে আম্নত্রন জানিয়ে ছিলো কুফা আসতে

সম্মানীত পাঠকগণ এবার চলুন আমরা এই বইয়ের ২য় খন্ডে ২০ নং পৃ: হযরত যয়নাব বীনতে আলি(রা:)কি বলেছেন উক্ত আমন্ত্রন প্রদানকারী কুফার শিয়াদের প্রসঙ্গে.....
হে কুফাবাসীরা হে অহংকারী ব্যক্তিরা হে প্রতারক ব্যক্তিরা হে পেছনে পলায়নকারী ব্যক্তিরা মুনে রাখো তোমাদের কান্না যেন কখনো না থামে এবং তোমাদের বিলাপ যেন কখনো শেষ না হয় নিশ্চয় তোমাদের উদাহরণ হচ্ছে সেই নারীর মত যে তার সূতার পেছ নিজেই খুলে ফেলে তা পেছানোর পর তোমরা তোমাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছো প্রতারণার মাধ্যমে এবং তোমাদের মধ্যে লোক দেখানো আত্নগরীমা সীমা অতিক্রম করে অসততা ছাড়া আর কিছু বাকী নেইসম্মানীত পাঠকগণ এই হলো সেই সকল কুফার শিয়াদের  প্রতি যয়নাব বিনত আলী (রা:)বক্তব্যআমরা উক্ত গ্রন্থের ৬১ নং পৃষ্ঠায় দেখেছিলাম তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবেনা বলে ইমাম হুসাইন (রা:)কে চিঠি লিখেছিলো অতচ এখন তারাই বিশ্বাসঘতকতা করে ইমাম হুসাইন (রা:)সহ ৭২ জন কে নির্মম ভাবে হত্যা কন্ড করেছে যা সারা বিশ্বে মুসলিম জাহানের জন্য এক হৃদয়বিদারক করুন কাহিনী
সম্মানীত পাঠকগণ এখন আমরা দেখবো উক্ত বইয়ের ২য় খন্ডে ইমাম হুসাইন (রা:)ছেলে ইমাম যয়নাল আবেদীন (রা:)বলেতেছেন....
হে জনতা আমি আল্লাহর নামে বলছি তোমরা কি জান না যে তোমরা আমার পিতাকে একটি চিঠি লিখেছিলে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তোমারা থাকে ধোকা দিয়েছো অঙ্গীকারের মাধ্যমে তোমরা থাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং তার কাছে আনুগত্যের শপথ করে এর পরিবর্তে তোমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছোতোমরা যেন তার মাধ্যমে ধবংস হও তোমরা যাকে জন্ম দিয়েছ এবং তোমাদের আদর্শ যেন অধর্য্য হয়ে যায় তোমরা কিভাবে রাসূল (:)ওনার সামনে দাড়াবে যকণ তিনি বলেবন তোমরা আমার সন্তানকে হত্যা করেছ তোমরা আমার দলভুক্ত নওসম্মানীত পাঠকগণ তারা ১ম খন্ডের ৬১ পৃ: আশ্বাস দিয়েছিলো তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না আর তারাই হত্যা করল
প্রিয় পাঠকগণ লিখনি অনেক বড় হয় যাবে বিদায় আমি অধম আর বক্তব্য পেশ করালাম না এখানে তিন জনের বক্তব্য প্রদান করলাম থেকে দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে যায় যে যারা আজ হুসাইনি ভালবাসার নামে আহলে বাইতের ভালবাসার নামে রাস্তা ব্লক করে হায় হুসাইন হায় হুসাইন করে মাতম করে নিজেদের শরীরে আঘাত করে বেড়ায় তারাই প্রাণপ্রিয় রাসূল (:) জান্নাতের সর্দার হযরতে ইমাম হুসাইন (রা:)হাত্যাকারী তাদের বিশ্বাস ঘাতকতার কারণে ইমাম হুসাইন সহ ৭২ জনকে নির্মম ভাবে শহীদ হয়েছিলো কারবালার ময়দানেআর সেই শোকে তোমরা শিয়ারা এখন মাতম নামে নাটকে বিশ্ব বাসীকে বুঝাচ্ছ যে তোমরাই হুসাইনি প্রেমিক বাহ কি নিদারুন ভালবাসা যা দেখলেই সাধারণ মানুষ কাদতে কাদতে দিশেহারা হয়ে যায়আর কত কাল এই রকম ভন্ডামী করবে তাই আমি সমগ্র মুসিলম বাসীকে আবেদন জানাচ্ছি যাদের কারণে নিষ্পাপ ইমাম হুসাইন সহ ৭২ জনকে শহীদ হয়েছে তাদের মাতম নামের এই ড্রামাকে বন্ধ করার চেস্টা করুন...আল্লাহ আমিন...প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ.
আমি অধম যার মাধ্যমে এটা লিখেছি তার বিসয় সম্পর্কে একটি ভিডিও লেকচারের লিংক দিলাম আরো ভালভাবে বুঝতে পারবের এবং অন্যজনকে সটিক ইতিহান জানাতে পোষ্টটি দ্রুত শেয়ার করুন

No comments:

Post a Comment