★★★ ওহাবী নেতারা যারা যারা এই হাদিসে নুরকে দলিল হিসেবে গ্রহন করেছেন :-
★ ASRAF ALI THANVI [আশরাফ আলী থানভী (ওহাবী নেতা) ] :
(i) আশরাফ আলী থানভী তার কিতাবে লিখেছেনঃ
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে যাবির (রাঃ)! মহান আল্লাহ পাক সবকিছু সৃষ্টির করার পূর্বে তার স্বীয় নুর হতে আমার নূর মোবারাক সৃষ্টি করেছেন।
(নাসরুত্তিব ৫)
(ii) আশরাফ আলী থানভী আরও লিখেছেনঃ
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার ১৪ হাজার বছর পূর্বে আমি আমার রবের নিকট নূর হিসেবে ছিলাম।
(নাসরুত্তিব ৬)
নুশরাত্বীব কিতাবে নুর সম্পর্কিত সমস্ত হাদিস গুলো এক সাথে দেখতে চাইলে এই লিংকে যান :-
Click here :
তিনি তার বিখ্যাত কিতাব [Nashr al-tib
(in Urdu, p. 6 and 215 of the Lahore edition) ] এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক
(রহ) নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে ""দলিল (evidence) হিসেবে "" বর্ননা করেছেন
এবং তিনি এর উপর বিশ্বাস রাখেন [Relies upon it]
↓
(iii) আশরাফ আলী থানভী তার কিতাবে লিখেছেনঃ
একথা প্রসিদ্ধ যে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন ছায়া ছিলনা। কেননা তাঁর শরীর মোবারাক ছিল
আপাদমস্তক নূর, তথা নূরে মোজাস্সাম।
(শুকুরুন নিয়ামাহ ৩৯)
(iv) আশরাফ আলী থানভী আরও লিখেছেনঃ
হুজূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম নিজেই নূর এবং কোরআন শরীফ নামক নূরেরও তিনি অধিকারী। তাহলে
উভয় নূর মিলে কেন নূরুন নূর হবেন না ?
(সালসুজ সুদুর ৮৩)
(i) রশীদ আহমেদ গাংগুহী লিখেছেনঃ
একারণে মহান আল্লাহ পাক তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে এরশাদ করেন- তোমাদের নিকট আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে এসেছে একখানা নূর। উক্ত আয়াতে বর্ণিত নূর হচ্ছেন হুজূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
(এমদাদুস সুলুক ৮৫)
↓
(ii) রশিদ আহমেদ গাংগুহী আরও লিখেছেনঃ
একথা মুতাওয়াতির বর্ণণা থেকে প্রমাণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারাকের কোন ছায়া ছিলনা। কারন নূর ছাড়া বাকি সকল কিছুর ছায়া রয়েছে।
(এমদাদুস সুলুক ৮৬)
↓
(iii) রশিদ আহমদ গাংগুহী কে প্রশ্ন করা হয় এভাবে,
সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করা হয়েছে তা হল আমার নুর এবং আপনাকে সৃষ্টি না করলে আসমান ও জমীন কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। এ মর্মে বর্নিত হাদিস গুলো বিশুদ্ধ নাকি জাল? যায়েদ এগুলো জাল বলেছে। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি তার [ Fatawa rashidiyya (p. 157 of the Karachi edition) ] এ বলেন,
সিহাহ সিত্তার (৬ টি কিতাবের) সংকলনে এই হাদিসটি নেই কিন্তু
"" মুহাদ্দিসে আব্দুল হক দেহলভী (রহ) সর্বপ্রথম রাসুল (দুরুদ) এর নুর মোবারক সৃষ্টি করা হয়েছে"
উক্ত হাদিসটি বর্ননা করে বলেছেন এর ভিত্তি আছে ।"
কিতাবের ছবি : -
↓
↓
_________________________________________________
★ ইসমাইল দেহলভী (ওহাবীনেতা মৃত্যু ১২৪৬ হি) তার [Yek rawzah (p. 11 of the
Maltan edition)] কিতাবে বলেন : "[জাবির (রা) এর হাদিসে নুর দ্বারা]
আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার (রাসুলুল্লাহ সা. এর) নুর মোবারক সৃষ্টি করেছেন।"
★ উমর ইবনে আহমদ [ওফাত ১২৯৯ হি] তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ [Sharh qasidat
al-burda (p. 73 of the Karachi edition) ] এর মধ্যে দলিল হিসেবে বর্ননা
করেছেন।
★ ওহাবীনেতা আব্দুল হাই লাখনভী (মৃত্যু ১৩০৪) :
(i) আব্দুল হাই লাখনভী তার [ al-Athar al-marfu`a fi al-akhbar al-mawdu`a (p. 33-34 of the Lahore edition) ] বলেন :
"মুহাম্মদ (সা) এর নুর সম্পর্কিত হাদিসটি (al-nur al-muhammadi)
প্রাথমিকভাবে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (রহ) এর বর্নিত হাদিসের
মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যা যথার্থভাবে সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর উপরে (রাসুলুল্লাহ
সা. এর নুরকে) নির্দিষ্টভাবে অগ্রাধিকার দেয়।
(ii) আব্দুল হাই লাখনাভী লিখেছেনঃ
হুজূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শরীর মোবারাকের কোন ছায়া ছিল না, কারণ তিনি ছিলেন নূর।
(তালিকুল আযিব লি হাল্লি হাসিয়াতুল যালালি মানতিকিত তাহাযিল)
★ ইশান ইলাহি জহির (ওহাবী নেতা) , তার কিতাব [Hadiyyat al-mahdi (p. 56 of
the Sialkut edition)] এ বলেছেন, আল্লাহ তার সৃষ্টির সুচনা করেছিলেন নুরে
মুহাম্মাদী সা. (al-nur al-muhammadi) দ্বারা তারপর তিনি পানির উপর আরশ
সৃষ্টি করেন। মুহাম্মাদ (সা) এর নুর সমস্ত সৃষ্টির প্রাথমিক উপাদান যার
থেকে হাদিসে (এটাও) এসেছে যে প্রথম সৃষ্ট বস্তু হল কলম।
★ হোসাইন আহমেদ মাদানী লিখেছেনঃ
সমস্ত কায়নাত নূরে মোহাম্মাদ থেকে সৃষ্ট। যদি আপনি না হতেন তাহলে আমি
আসমান-যমীন সৃষ্টি করতাম না। আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারাক সৃষ্টি
করেছেন এই সমস্ত হাদীস সমূহের এটাই অর্থ।
(সিহাবুস সাকিব ৫০)
★ বাংলাদেশের দেওবন্দী আজিজুল হক বুখারী শরীফের অনুবাদে সিরাত সংখ্যা ৫/৩ এ লিখেছেঃ
সমস্ত সৃষ্টির পূর্বে নবীজীর নূর মোবারাক সৃষ্টি হয়েছে।
★ ইউসুফ লুদায়ান্নাবী লিখেছেনঃ হুজুর
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারাক সবকিছুর পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছে।
(আপকা মাসায়েল অর উনকা হাল ৩/৮৩)
No comments:
Post a Comment