Blog Archive

Tuesday, October 27, 2015

(বিতর নামাযে দুয়া কুনুতের পর ২ হাত তোলা সূন্নাতে সাহাবা)



জরুরী ভিত্তিক পোষ্ট
দ্রুত শেয়ার করে রক্ষা করুন
আহলে হাদীসের এই ফ্যাতনা থেকে.....!
(বিতর নামাযে দুয়া কুনুতের পর হাত তোলা সূন্নাতে সাহাবা)
সম্মানীত পাঠকগণ আজ আমরা ফ্যাতনার যুগে বসবাস করছি কারণ আমাদের পূর্ববর্তী ইমামগণ যে ভাবে আমাদের নামায শিক্ষা থেকে শুরু করে যাবতীয় ইসলাম ধর্মের নিয়ম কানুন শিখিয়েছেন সেগুলি এখনকার আহলে হাদীস দলটির কাছে বেশীরভাগ আমলগুলোই বেদাতে পরিণত হয়েছে যেমন : ফরজ নামাযের পর দুআ করা বেদাত,তারাবী নামায ২০ রাকাত বেদাত,বিতর নামায রাকাত বেদাত,নামাযে একবার রফইয়াদিন করা বেদাত ইত্যাদি ইত্যাদি,বর্তমানে তারা ফ্যাতনা হিসেবে নতুন বেদাত বের করেছে আর সেটা হলো বিতর নামাযে রাকাতের পর দুয়া কুনুত পরে আমরা যে হাত তুলে তাকবীর দেই এটা নাকি বেদাতআসলে এই আমলটি কি বেদাত তা পর্যালোচনা করব হাদীসের ভিত্তিতে এই প্রসঙ্গে এত হাদীস বর্ণনা করা আছে যে তা যদি আমি লিখি ২০ থেকে ৩০ পৃ: আমাকে লিখতে হবে তাই আমি খুব সংক্ষেপে লিখার চেষ্ট করব...হাদীসটি নিম্নরুপ.....

# আসওয়াদ (:)হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা:)থেকে বর্ণনা করেন যে,তিনি বিতরের শেষ রাকাতে রুকুর আগে দুআ কুনুত পড়তেন তারপর দু হাত তুলতেনইমাম বুখারী (:)তার জুযউ রাফইল ইয়াদান শীর্ষক পূস্তিকায় ২৮ পৃ: এটি বর্ণনা করেন এবং বলেন এটি সহীহ

# আবু উসমান (:)থেকে বর্ণিত যে,হযরত উমর (রা:)কুনুতে তার দু হাত উত্তোলন করতেন এটিও ইমাম বূখারী তার জুযউ রাফইল ইয়াদান শীর্ষক পূস্তিকায় এটি বর্ণনা করেন এবং বলেন এটিকে সহীহ সাবাস্ত্য করেছেন তার থেকেই বিশুদ্ধ সূত্রে বর্নিত আছে যে,তিনি বলেন উমর (রা:)লোকদের ইমামত করতেনতিনি রুকুর পূর্বে আমাদের নিয়ে কুনুত পড়তেনতিনি তার দু হাত এত উচু করতেন যে,তার হাতের করভাগ দেখা যেত এবং তার বাহুদয় বের হয়ে যেত এটিও ইমাম বুখারী তার উক্ত পুস্তিকায় বর্ণনা করেছেন
এই ২টি হাদীস ছাড়া আরো অনেক হাদীস বর্ণনা করা আছে যা যুক্ত করেনি পোষ্ট বড় হওয়ার কারণে
উপরের ২টি হাদীস দ্বারা দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেল যে বিতরের নামাযে দুয়া কুনুতের পর হাত তুলা যায়েয
:-হাত তুলা প্রসঙ্গ :-কুনুতে হাত তুলা প্রসঙ্গ বেদাত এর একটি হাদীস পাওয়া যায় যেটি ইবনে উমার (রা:)থেকে বণিত এখন প্রশ্ন যিনি নিজেই হাত তুলেছেন আবার নিজেই এটাকে বেদাত বলেছেন এটা কি করে হয় আসূণ দেখি ইবনে উমার (রা:)কেন বা কি কারণে হাত তুলাকে বেদাত বলে অ্যাখ্যয়িত করেছেন হাদীসটি নিম্নরুপ:..
# হযরত ইবনে উমার (রা:) বলেছেন যে,তোমরা কি ভেবে দেখছ সালাতে হাত তুলার ব্যপারটি,আল্লাহর কসম এটি বেদাত রাসূল (:)এর বেশী উচু করতেন না এই বলে তিনি  হাত তুললেনউক্ত হাদীসটি হাসান পর্যায়ের
: হাদীসটির ব্যখ্যা:- এর অর্থ এই নয় যে কুনুতের জন্য আদৌ হাত তুলা বেদাতকেননা এর পরে তিনি বলেছেন রাসূল (:) কখনও এর বেশী হাত তুলেন নি এই বলে নিজেই স্বীয় হাত কাধ বরাবর তুলে দেখিয়েছেনযা প্রমাণ করে কুনুতের পর এক পর্যায়ে হাত তুলা সূন্নাততাই আমি অধম উক্ত হাদীস গ্রন্থের এবং এই হাদীসগুলির পর্যালোচনা থেকে প্রমান করলাম যে বিতরের নামাযে কুনুতের পর হাত তোলা রাসূল (:)ওনার নিজ এবং সাহাবীগণের আমলযেটি সূন্নতী আমল হিসেব গ্রহণযোগ্যকিন্তু আফসোস আমার আহলে হাদীস ভাইদের প্রতি যারা রাসূল (:)ওনার এই আমলকে বেদাত বলে ফতোয়া দিচ্ছে এবং সাধারণ মুসলিম ভাইদের মধ্যে ফ্যতনা ছড়াচ্ছেতাই আমি সকল পাঠকদের বলব এই পোষ্টি খুব দ্রুত শেয়ার করে সকল ভাইদের আহলে হাদীস নামক ফ্যাতনা থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করুন..আল্লাহ আমিন...প্রচারে..মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment