জুমার নামাজ সম্পর্কে ড়াঃ জকির নায়েকের বিভ্রান্ত
জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ, যে প্রাপ্ত বয়স্ক।
( নাসায়ী হাঃ১৩৭১)
লোকেরা জুমার নামাজ তরক করা হতে বিরত থাকুক….
(মুসলিম হাঃ১৯৫৭, নাসায়ী হাঃ১৬৭১)
রসুল (সঃ) দুই ঈদে ও জুমায় সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা এবং হাল আতাকা হাদীসুল গশিয়াহ পড়তেন।
আর যখন ঈদ ও জুমা একই দিনে হত তখনও তিনি ঈদ ও জুমায় উভয় সূরাহ দু’টি পড়তেন। (মুসলিম হাঃ১৪৫৮)
এ হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে জানা গেল জুমার দিনে ঈদ হলে রসুল (সঃ) ঈদ ও জুমা উভয় নামাজ আদায় করতেন। অনুরূপ এই মর্মে আরও কইয়েকটি হাদীস আছেঃ বুখারী ৫খঃ ২১১৬ পৃঃ, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২খঃ ৩৭৬পৃঃ, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাঃ৫৭২৯
ড়াঃ জাকির নায়েকের উক্তি
“জুমার দিনে আগে ঈদের নামাজ আদায় করলে পরে জুমার নামাজ আদায় না করা ঐচ্ছিক ব্যাপার”
(ডাঃ জাকির নায়েকর লেকচার সমগ্র ভলিয়ম ৫ পৃঃ ৪৭৬)
অন্যত্রে বলেন “...যহেতু ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে , তাই জুমা আর আদায় না করলেও চলবে।”
তিনি একটি হাদীস দলিল দিয়েছেন “রসুল (সঃ) এরশাদ করেনঃ- আমরা এক সাথে দুইটি ঈদ অতিবাহিত করছি। একটি ঈদুল ফিতর আর জুমার ঈদ । অতপর রসুল (সঃ) নামজ শেষে বলেনঃ যারা জুমার নামাজ আদায় করেনি তারা ইচ্ছা করলে আর আদায় করার দরকার নেই।
( আবু দাউদ হাঃ ১০৬৮ ডাঃ জাকির নায়েকর লেকচার সমগ্র ভলিয়ম ৫ পৃঃ৪৭৪ )
ডাঃ জাকির নায়েকর দলিলের জাবাবঃ- প্রথমত তিনি যেই হাদীস বর্ণনা করেছেন এখানে তিনি যতারূপ বর্ণনা করতে পারেননি। তিনি বলেছেন “যারা জুমার নামাজ আদায় করেনি …” প্রশ্ন হল তখনও জুমার ওয়াক্ত হতে আনেক সময় বাকী জুমার নামাজ আদায় করবে কিভাবে??? মূলত হাদীস নং ১০৭০ অর্থ “রসুল (সঃ) ঈদের নামাজ আদায় করেছেন অতঃপর বলেছেন , যারা জুমার নামাজ পড়ার ইচ্ছা করে , সে যেন পড়ে” অনেকে এই হাদীসকে জইফ বলেছেন। ২য় এই হাদীস ছাড়া আরও কয়েকটি হাদীস আছে , সেগুলোকেও মুহাদ্দিসিনরা জইফ বলেছেন। ৩য় আল্লামা ইবনে আব্দুল বার (রহঃ) বলেন এই হাদীস সমুহ বর্ণিত জুমা তরকের ব্যাপরে আবকাশ দ্বারা তারাই উদ্দেশ্য যাদের উপর জুমা ফরজ নয়। অন্য জায়গায় তিনি লিখেন, যেহেতু এই হাদীসগুলো আওয়ালী আধিবাসীদের তাবীলের সম্ভনা রাখে তাই এর দ্বারা জুমা রহিত হওয়ার কথা বলা জায়েজ হবেনা । ইমাম ত্বহাবী (রহঃ) বলেন এই হাদীস দ্বারা আওয়ালি আধিবাসীদের বুজানো হয়েছে। ৪র্থ এক সময় জুমা ও ঈদ একই দিনে হয়। তখন রসুল (সঃ) বলেন “আওয়ালী অধিবাসীদের মধ্যে যারা বসে থাকার ইচ্ছা করে তারা বসে থাকুক। এতে কনো আসুবিদা নাই। (সুনানে বাইহাকী ৩খঃ, ১৮৬পৃঃ) অনুরূপ ওসমান (রাঃ) এর বর্ণনা “আওয়ালী অধিবাসীদের মধ্যে যারা জুমার জন্য অপেক্ষা করা পছন্দ করে , তারা যন অপেক্ষা করে। আর যারা ফিরে যেতে ইচ্ছা করে আমি তাদেরকে ইজাজত দিলাম। (বুখারী ৫খঃ ২১১৬ পৃঃ,) ওসমান (রাঃ) খুৎবাই উক্ত কথা ঈদের জামাতে উপস্থিত সকল সাহাবার (রাঃ) এর সামনে বলেন। কিন্তু কেও আপত্তি করে নাই। এতে সাহবা (রাঃ) এর ইজমা প্রমানিত হয়। অনুরূপ এই মর্মে আরও কয়েকটি হাদীস আছেঃ বুখারী ৫খঃ ২১১৬ পৃঃ, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২খঃ ৩৭৬পৃঃ, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাঃ৫৭২৯ । সুতরাং সহী হাদীস ও ইজমার কারণে জইফ হাহীস দিয়ে জুমা পড়া নাপড়া ঐচ্ছিক বলা যাবেনা।
আওয়ালী অধিবাসীদের বর্ণনাঃ – “আওয়াল” এমন এক জায়গা যা মদীনা থেকে কয়েক মাইল দূরে । সেখান থেকে মসজিদে নব্বীতে আসতে প্রায় দুই ঘন্টআ লাগত, আবার ফিরে যেতে দুই ঘন্টা লাগত । তাই তাদের উপর (জুমা ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত আছে) জুমার নামাজ ফরজ ছিলনা । যদের ইচ্ছা হত তারা খষ্ট করে আসত । কিন্তু তারা ঈদের নামাজে আদায় করার জন্য আসত ।
No comments:
Post a Comment