ইয়াজিদ ইবনে মোয়াবিয়া সম্পকে মহানবী(দ:): ভবিষ্যত বাণী
------------------------------------------------
হযরত আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “দ্বীন ইসলাম, ইসলামী শাসন ব্যবস্থা তথা খিলাফত সত্য ও ন্যায়ের উপর অবিচল থাকবে। সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি তা বিনষ্ট করে দিবে, ক্ষতিগ্রস্ত করে দিবে, সে হচ্ছে বনী উমাইয়ার এক নিকৃষ্ট ব্যক্তি। তার নাম হচ্ছে ইয়াযীদ ।
তথ্যসুত্র:----------------------
(মুসনাদে আবূ ইয়ালা, বাইহাক্কী, আবূ নাঈম, আল ফিতান লিনাঈম ইবনে হাম্মাদ, তারীখে দিমাশক্ব আল কাবীর, তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী ১৬৬ নং পৃষ্ঠা, খছাইছুল কুবরা লিস সুয়ূতী ২য় জিলদ ২৩৬ পৃষ্ঠা, আস সওয়াইকুল মুহরিক্বাহ ২য় জিলদ ৬৩৩ পৃষ্ঠা, দায়লামী শরীফ ৫ম জিলদ ৯২ পৃষ্ঠা হাদীছ শরীফ নং ৭৫৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০ম জিলদ ৮৯ পৃষ্ঠা ইত্যাদি)
হযরত আবু উবায়দাহ বিন জারাহ(রাঃ) থেকে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন – “মুসলিম উম্মাহ এর যাবতীয় কাজ কারবারে ততক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়পরায়ণতা পরিলক্ষিত হবে যখন বনি উম্যায়াহ গোত্রের এক জন এসে দ্বীনের মধ্যে ফাটল ধরাবে। তার নাম হবে ইয়াজিদ”
হাদীসটির বর্ণনাকারীর সকলেই সৎ এবং নির্ভরযোগ্য।
# আরেক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম সাহাবুদ্দীন আহমেদ বিন হাজর হায়তামী(রঃ) তাঁর আস-সাবাক আল-মুহরিকা গ্রন্থের ১৩২ পৃঃ একই হাদীস উল্লেখ করেছেন।
হযরত আবু দারদা(রাঃ) বলেছেন, “আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন – আমার সুন্নাহকে পরিবর্তনকারী প্রথম ব্যক্তি হবে বনি উম্যায়াহ গোত্রের ইয়াজিদ”।
# হাফিজ ইবন কাথীর(রঃ) একই হাদীস উল্লেখ করেছেন তাঁর সুবিখ্যাত আল-বিদ্যায়াহ আন-নিহ্যায়াহ গ্রন্থের ভলি. ৬, পেজ ২৫৬ তে হযরত আবুযার ঘিফারী(রাঃ) থেকে। এই বর্ণনায় ‘যার নাম ইয়াজিদ হবে’ এই কথাটি অনুপস্থিত।
# হাদীসটি এই গ্রন্থেও বর্ণীত আছে
মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা- ভলি. ৮, পেজ ৩৪১, হাদীস নং ১৪৫; দালাইল উন নবুয়্যাত লিল বায়হাকী আবওয়াব ঘাজওয়া তাবুক- হাদীস নং ২৮০২; মাতালিব আল-আলিয়্যাহ- হাদীস নং ৪৫৮৪।
# আমর বিন ইয়াহিয়া সায়ে’দ বিন আমর বিন সায়ে’দ তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) এর সাথে মসজিদে নববীতে বসেছিলাম এবং মারওয়ান আমাদের সাথে ছিলেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেছিলেনঃ “আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, কুরাইশ বংশের কিছু যুবকদের দ্বারা আমার উম্মত ধ্বংস প্রাপ্ত হবে”। মারওয়ান বলেন, আল্লাহ এই ধরণের যুবকদের অভিশাপ দেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি বলতে পারি অমুক, অমুকের পুত্র অমুক, তমুকের পুত্র তমুক যদি আমি চাই। হযরত আমর বিন ইয়াহিয়া বলেন, আমি আমার দাদার সাথে বনী মারওয়ানে গিয়েছিলাম যখন তারা সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছিল এবং এক জন যুবককে দেখতে পেলাম। আমার দাদা বললেন তারাও তাদের একজন হবে। আমরা বললাম তা আপনি ভাল বলতে পারবেন।
[সহীহ বুখারী ভলি. ২, কিতাবুল ফিতনা]
# হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) সূত্রে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা কর ৭০ দশক হতে এবং এক যুবকের রাজত্বকাল হতে।
[মুসনাদ ইমাম আহমদ, হাদীস নং ৩৮০০]
# সহীহ বুখারী শারীফের ব্যাখ্যাকারী এবং ফাতহুল বারীর লেখক হাফিজ আহমদ বিন হাজর আসকলানী(রঃ) মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা সূত্রে বর্ণনা করে লিখেন, মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বার হাদীসে বলা আছে, হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বাজারে যাওয়ার সময় প্রার্থনা করত ‘ও আল্লাহ, আমাকে ৬০ A.H. এবং যুবকের রাজত্বকাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখ না’
হাফিজ ইবন হাজর আসকলানী(রঃ) এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, এই হাদীসে ৬০A.H. এ এক জন শাসকের কথা বলা হয়েছে। হাদীস অনুসারে তাই ঘটে। ইয়াজিদ বিন মুয়্যাবিয়্যা এই বছরেই শাসনে বসেন ৬৪A.H. পর্যন্ত এবং এই সময়ে মারা যান।
# সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাকারী ইমাম বদরুদ্দীন আইনি(রঃ) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ‘প্রথম বালক যে শাসন করবে’ এই কথা দ্বারা ইয়াজিদকে বুঝানো হয়েছে।
[উমদাত উল কাদরী ভলি. ১৬, পেজ ৩৩৩]
------------------------------------------------
হযরত আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “দ্বীন ইসলাম, ইসলামী শাসন ব্যবস্থা তথা খিলাফত সত্য ও ন্যায়ের উপর অবিচল থাকবে। সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি তা বিনষ্ট করে দিবে, ক্ষতিগ্রস্ত করে দিবে, সে হচ্ছে বনী উমাইয়ার এক নিকৃষ্ট ব্যক্তি। তার নাম হচ্ছে ইয়াযীদ ।
তথ্যসুত্র:----------------------
(মুসনাদে আবূ ইয়ালা, বাইহাক্কী, আবূ নাঈম, আল ফিতান লিনাঈম ইবনে হাম্মাদ, তারীখে দিমাশক্ব আল কাবীর, তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী ১৬৬ নং পৃষ্ঠা, খছাইছুল কুবরা লিস সুয়ূতী ২য় জিলদ ২৩৬ পৃষ্ঠা, আস সওয়াইকুল মুহরিক্বাহ ২য় জিলদ ৬৩৩ পৃষ্ঠা, দায়লামী শরীফ ৫ম জিলদ ৯২ পৃষ্ঠা হাদীছ শরীফ নং ৭৫৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০ম জিলদ ৮৯ পৃষ্ঠা ইত্যাদি)
ইয়াজিদ ইবনে মোয়াবিয়া সম্পকে মহানবী(দ:): ভবিষ্যত বাণী
------------------------------------------------
হযরত আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “দ্বীন ইসলাম, ইসলামী শাসন ব্যবস্থা তথা খিলাফত সত্য ও ন্যায়ের উপর অবিচল থাকবে। সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি তা বিনষ্ট করে দিবে, ক্ষতিগ্রস্ত করে দিবে, সে হচ্ছে বনী উমাইয়ার এক নিকৃষ্ট ব্যক্তি। তার নাম হচ্ছে ইয়াযীদ ।
তথ্যসুত্র:----------------------
(মুসনাদে আবূ ইয়ালা, বাইহাক্কী, আবূ নাঈম, আল ফিতান লিনাঈম ইবনে হাম্মাদ, তারীখে দিমাশক্ব আল কাবীর, তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী ১৬৬ নং পৃষ্ঠা, খছাইছুল কুবরা লিস সুয়ূতী ২য় জিলদ ২৩৬ পৃষ্ঠা, আস সওয়াইকুল মুহরিক্বাহ ২য় জিলদ ৬৩৩ পৃষ্ঠা, দায়লামী শরীফ ৫ম জিলদ ৯২ পৃষ্ঠা হাদীছ শরীফ নং ৭৫৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০ম জিলদ ৮৯ পৃষ্ঠা ইত্যাদি)
# তৃতীয় শতাব্দীর এক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম আবু ইয়া’আল(রঃ) তাঁর মুসনাদ(ভলি. ২, পেজ ৭১) সহীহ চেইনে উল্লেখ করেনঃ------------------------------------------------
হযরত আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “দ্বীন ইসলাম, ইসলামী শাসন ব্যবস্থা তথা খিলাফত সত্য ও ন্যায়ের উপর অবিচল থাকবে। সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি তা বিনষ্ট করে দিবে, ক্ষতিগ্রস্ত করে দিবে, সে হচ্ছে বনী উমাইয়ার এক নিকৃষ্ট ব্যক্তি। তার নাম হচ্ছে ইয়াযীদ ।
তথ্যসুত্র:----------------------
(মুসনাদে আবূ ইয়ালা, বাইহাক্কী, আবূ নাঈম, আল ফিতান লিনাঈম ইবনে হাম্মাদ, তারীখে দিমাশক্ব আল কাবীর, তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী ১৬৬ নং পৃষ্ঠা, খছাইছুল কুবরা লিস সুয়ূতী ২য় জিলদ ২৩৬ পৃষ্ঠা, আস সওয়াইকুল মুহরিক্বাহ ২য় জিলদ ৬৩৩ পৃষ্ঠা, দায়লামী শরীফ ৫ম জিলদ ৯২ পৃষ্ঠা হাদীছ শরীফ নং ৭৫৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০ম জিলদ ৮৯ পৃষ্ঠা ইত্যাদি)
হযরত আবু উবায়দাহ বিন জারাহ(রাঃ) থেকে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন – “মুসলিম উম্মাহ এর যাবতীয় কাজ কারবারে ততক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়পরায়ণতা পরিলক্ষিত হবে যখন বনি উম্যায়াহ গোত্রের এক জন এসে দ্বীনের মধ্যে ফাটল ধরাবে। তার নাম হবে ইয়াজিদ”
হাদীসটির বর্ণনাকারীর সকলেই সৎ এবং নির্ভরযোগ্য।
# আরেক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম সাহাবুদ্দীন আহমেদ বিন হাজর হায়তামী(রঃ) তাঁর আস-সাবাক আল-মুহরিকা গ্রন্থের ১৩২ পৃঃ একই হাদীস উল্লেখ করেছেন।
হযরত আবু দারদা(রাঃ) বলেছেন, “আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন – আমার সুন্নাহকে পরিবর্তনকারী প্রথম ব্যক্তি হবে বনি উম্যায়াহ গোত্রের ইয়াজিদ”।
# হাফিজ ইবন কাথীর(রঃ) একই হাদীস উল্লেখ করেছেন তাঁর সুবিখ্যাত আল-বিদ্যায়াহ আন-নিহ্যায়াহ গ্রন্থের ভলি. ৬, পেজ ২৫৬ তে হযরত আবুযার ঘিফারী(রাঃ) থেকে। এই বর্ণনায় ‘যার নাম ইয়াজিদ হবে’ এই কথাটি অনুপস্থিত।
# হাদীসটি এই গ্রন্থেও বর্ণীত আছে
মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা- ভলি. ৮, পেজ ৩৪১, হাদীস নং ১৪৫; দালাইল উন নবুয়্যাত লিল বায়হাকী আবওয়াব ঘাজওয়া তাবুক- হাদীস নং ২৮০২; মাতালিব আল-আলিয়্যাহ- হাদীস নং ৪৫৮৪।
# আমর বিন ইয়াহিয়া সায়ে’দ বিন আমর বিন সায়ে’দ তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) এর সাথে মসজিদে নববীতে বসেছিলাম এবং মারওয়ান আমাদের সাথে ছিলেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেছিলেনঃ “আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, কুরাইশ বংশের কিছু যুবকদের দ্বারা আমার উম্মত ধ্বংস প্রাপ্ত হবে”। মারওয়ান বলেন, আল্লাহ এই ধরণের যুবকদের অভিশাপ দেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি বলতে পারি অমুক, অমুকের পুত্র অমুক, তমুকের পুত্র তমুক যদি আমি চাই। হযরত আমর বিন ইয়াহিয়া বলেন, আমি আমার দাদার সাথে বনী মারওয়ানে গিয়েছিলাম যখন তারা সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছিল এবং এক জন যুবককে দেখতে পেলাম। আমার দাদা বললেন তারাও তাদের একজন হবে। আমরা বললাম তা আপনি ভাল বলতে পারবেন।
[সহীহ বুখারী ভলি. ২, কিতাবুল ফিতনা]
# হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) সূত্রে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা কর ৭০ দশক হতে এবং এক যুবকের রাজত্বকাল হতে।
[মুসনাদ ইমাম আহমদ, হাদীস নং ৩৮০০]
# সহীহ বুখারী শারীফের ব্যাখ্যাকারী এবং ফাতহুল বারীর লেখক হাফিজ আহমদ বিন হাজর আসকলানী(রঃ) মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা সূত্রে বর্ণনা করে লিখেন, মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বার হাদীসে বলা আছে, হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বাজারে যাওয়ার সময় প্রার্থনা করত ‘ও আল্লাহ, আমাকে ৬০ A.H. এবং যুবকের রাজত্বকাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখ না’
হাফিজ ইবন হাজর আসকলানী(রঃ) এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, এই হাদীসে ৬০A.H. এ এক জন শাসকের কথা বলা হয়েছে। হাদীস অনুসারে তাই ঘটে। ইয়াজিদ বিন মুয়্যাবিয়্যা এই বছরেই শাসনে বসেন ৬৪A.H. পর্যন্ত এবং এই সময়ে মারা যান।
# সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাকারী ইমাম বদরুদ্দীন আইনি(রঃ) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ‘প্রথম বালক যে শাসন করবে’ এই কথা দ্বারা ইয়াজিদকে বুঝানো হয়েছে।
[উমদাত উল কাদরী ভলি. ১৬, পেজ ৩৩৩]
No comments:
Post a Comment