Saturday, September 12, 2015

(প্রসঙ্গ রাসূল (সা:) ওফাতের সময় কাগজে কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন ওমর ফারুক (রা:) নাকি তাতে বাধা দিয়েছেন এটা শিয়াদের যুক্তি সেটার জবাব দিচ্ছি হাদীস ভিত্তিক)



আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ রাসূল (সা:) ওফাতের সময় কাগজে কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন ওমর ফারুক (রা:) নাকি তাতে বাধা দিয়েছেন এটা শিয়াদের যুক্তি সেটার জবাব দিচ্ছি হাদীস ভিত্তিক)
প্রথমে বলতে চায় শিয়ারা যে কত জঘন্য তা আপনারা টের পাবেন তারা ইসলামের খলীফার মধ্যে খলীফা কে মানে না বরং তাদের শানে নানান ঘুযব আর বেয়াদবী এমনকি গালা গালি পর্যন্ত করে থাকেন..তারা কথায় কথায় মাওলা আলী (রা:)কে দার করান অতচ হাদীসে আছে যে আমার আহলে বায়াত নিয়ে অতিরঞ্জিত করবে সে পথভ্রষ্ঠ..আমার লেখার উদ্দেশ্য হলো খেলাফত সম্পর্কে রাসূল (সা:)হাদীস বর্ণনা করে গিয়েছেন কে কবে কতদিন খেলাফত চালাবে তো ওনার উপরে মাতাব্বরী কেন করে শিয়ারা জানেন কি মূল কথা হলো তারা নবী করীম (সা:)কে নবী মানতে পারেনা যদি নবী করীম (সা:)নবী মানত তাহলে আবু বক্কর (রা:)এবং ওমর ফারুক (রা:)সাথে বেয়াদবী করত না তাদের অনেক কু কর্ম আছে যা লিখে আমি আমার লেখনী নষ্ট করতে চায়না মূল কথায় আসি তারা বুখারী শরীফের ইসলামিক ফা:এর ১ম খন্ডের ১১৫ নং হাদীস দিয়ে প্রমান করতে চায় ওমর ফারুক (রা:)নাকি একটি দোষ করেছেন সেই দোষ শিয়াদের চোখে পড়েছে অন্য কারো চোখে সেটা পড়েনি এই গর্ধবের বাচ্চাদের নাকি অনেক বুদ্ধি দেখেন হাদীস কি বলছে রাসূল (সা:) ওসুখের প্রচন্ড যন্ত্রনায় ঠিকমত কথা বলতে পারছিলেন না রাসূল (সা:)ওনার খুব কষ্ট হচ্ছিল কথা বলতে সেই সময় রাসূল (সা:)খুব কষ্টে বললেন আমার কাছে কাগজ কলম নিয়ে আসো আমি কিছু লিখে দিতে চাই তখন উমর ফারুক (রা:)বললেন ইয়া আল্লাহ রাসূল আপনার অনেক কষ্ট হচ্ছে আপনি যদি এখন লিখতে চান তাহলে আপনার আরো কষ্ট হবে এই অবস্থায় রাসূল (সা:) কে ওমর ফারুক (রা:)আর কষ্ট দিতে চাননি এটাই কি তার অপরাধ পাঠকগন কথাটি খেয়াল করেন রাসূল (সা:)ওমর ফারুক (রা:)কত ভালবাসতেন এখানে তার পরিচয় ফুটে উঠেছে সেই মহব্বতের কারণে রাসূল (সা:)ওনার যেন আর কষ্ট না হয় সে জন্য উনি কিছু আনেন নি..এটা রাসুল (সা:)ওনার প্রতি মহব্বেতর দরুন পরিচয় কিন্তু শিয়া রাফেযীরা তারা উমর (রা:) সেই মহব্বতের সুযোগ টাকে হিংসার প্রতি টেনে নিয়ে তার শানে কটুক্তি করে সাধারন মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে...সম্মানিত পাঠকগণ আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যাকে রাসূল (সা:)এত ভালবাসতেন এবং সেই সাহাবী রাসূল (সা:)ওনার সাথে মদীনায় জান্নাতে শুয়ে আছেন ওনি কি করে আমার রাসূলের সাথে বেয়াদবী করতে পারেন আর সেই বেয়াদব (নাউযুবিল্লাহ) সাহাবী কে কি করে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন যিনি সর্বদিক দিয়ে পবিত্র সমস্ত নবীগণের নবী যিনি সৃষ্ঠি না হলে এই দুনিয়ায় সৃষ্ঠি হোতনা তিনি কি করে তাকে নিয়ে আছেন মদীনায় একটু জবাব দিবেন... এবার আসি সেই প্রসঙ্গে রাসূল (সা:)কেন এক টুকরা কাগজ আর একটি কলম চেয়েছিলেন কিছু লিখে দিতে আমার গা সিউরে উঠছে আর চোখের পানিতে আমার চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে যারা প্রাণ প্রিয় সাহবীদের শানে কটুক্তি করে মন চায় তাদের জীব গুলি চিড়ে কুকুর কে দিয়ে দেই যাতে সে আর কোন দিন তার সেই অপবিত্র মুখ দিয়ে তাদের নাম না নিতে পারে....রাসুল (সা:)কি লিকে দিতে চাইলেন তা আমি আপনাদের সামনে হাদীস পেশ করেছি এবং এখানে কিছু অংশ লিখতেছি মেশকাত শরীফ থেকে ১১ টি খন্ড একত্রে যেটি সেটি থেকে হাদীস নং ৫৬৪২...আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:)যখন ওফাতের রোগ সয্যায় তখন মা আয়েশ (রা:)কে বললেন একটি কাগজ কলম নিয়ে আসো আমি খেলাফত সম্পর্কে কিছু লিখে যেতে চাই আমার ভয় হচ্ছে যাতে অন্য কেউ খেলাফতের দাবী করে বসে যে আমি খেলাফতের হক দার অতচ সে হকদার নয়...আল্লাহ ঈমানদার লোকেরা আবু বক্কর ছাড়া অন্য কারো খেলাফত মেনে নিবে না এই হাদীসটি মুসলিম শরীফে বর্নিক আছে এখন আপনারাই বলুন রাসূল (সা:)কাগজে কি লিখে দিতে চাইলেন তা আশাকরি আপনাদের সামনে প্রকাশ হলো এই ব্যাপার গুলি আমি অনেকদিন ধরে ফেসবুকে দেখতেছি কিন্তু প্রমানের অভাবে লিখা হচ্ছিলনা তাই আজ সময় এসেছে প্রমান করার হাদীস দিয়েই প্রমান করে দিলাম যে আবু বক্কর (রা:) এবং ওমর ফারুক (রা:)কে যারা দোষারোপ করে এবং তাদের শানে বেয়াদবী করে তারা শিয়া ছাড়া কেউ না আমি মনে করি এক দিক দিয়ে তাদের থেকে ওহাবীরা একটু ভাল কারণ তারা অন্তত পক্ষে খলীফাদের শানে বেয়াদবী করে না ...পরিশেয়ে আমি অধম টুকুই বলতে চাই বর্তমান যুগ ফ্যাতনার যুগ এখন এই ফ্যাতনার যুগে একজনে একটি কথা বলে ফেলল বা লিখলো বা ফোতয়া দিল তা হুট করেই মেনে নিবেন না কারন বর্তমানে প্রতি কদমে কদমে ফ্যাতনা ছড়াচ্ছে সুতরাং বুঝে শুনে পা ফেলবেন আর আমি যা লিখছি তা আপনাদের সামনে হাদীস দিলাম সেই অনুসারে বিচার করে আমাকে যাচাই করুন--আল্লাহ-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment