Saturday, September 12, 2015

(প্রসঙ্গ সূরা আল ইমরানের ১০৪ নং আয়াতের ভিত্তিতে তাবলীগ করা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়)

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ সূরা আল ইমরানের ১০৪ নং আয়াতের ভিত্তিতে তাবলীগ করা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়)
রাসূল (সা:)অনেক আগেই একটি ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছেন এই দলটির সম্পর্কে আসূণ দেখি আমার প্রিয় নবী (সা:)কি বলেছেন-সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন.আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতর হতে একটি দল বের হবে.এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ.এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত.তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের.তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না.তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত সুন্দর.তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ নগন্য মনে করবে.তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে.তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না.তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না.এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না.
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ.দ্বীন হতে বহির্ভূত.তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না.তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না-দলীল-ফতহুল বারী ১২ তম খন্ড ৩৫০ পৃষ্ঠা.মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা.এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানা বাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হাদীস মৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা " রহমানী পয়গাম" এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭ নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে.সম্মানত পাঠকগণ আশাকরি এই হাদীসের ভিত্তিতে এই দলটির আগমন তাদের আমীরগন কেমন হবেন তা খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে এখন আমি সূরা আল ইমরানের ১০৪ নয় আয়াতটির তাফসীর এর ব্যখ্যা লিখছি তাফসীরে মাযহারী তাফসীরে ইবনে কাসির তাফসীরে তাবারী এবং তাফসীরে কানযুল ঈমান এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি শুধু আমার মত করে লিখলাম ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন-সূরা আল ইমরানে বলা আছে-তোমাদের মধ্যে এমন এক দল হউক যাহারা কল্যানের দিকে আহবান করিবে এবং সতকার্য়ের নির্দেশ দিবে অসতকার্য়ের নিষেধ করিবে ইহারাই সফলকাম-ইহার মুল তাফসীর বা মর্ম হলো-সত কাজের আদেশ দেওয়া এবং অসত কাজে নিষেধ দেওয়া হলো ফরযে কেফায়া.ফরযে কেফায়া হলো যেই কাজটি সকল মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যাক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কিন্তু সবাই না করে কিছু সংখ্যাক লোক সেই কাজটি করলে সবার পক্ষ থেকে সেটি আদায়া হয়ে যায়.কেননা কাজ সকলের উপর ফরজ নয় কারণ আদেশ নিষেধ জারি করার জন্য এলমে শরীয়তের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের উপর যাচাই বাচাই যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন আর সবাই এই যোগ্যতার অধিকারী নয়.যদি এই আয়াত সকল মুসলিমদের উদ্দেশ্য বিবৃতী হয়েছে কিন্তু এই আয়াতের মাঝখানে-তোমাদের মধ্যে একটি দল-একথা বলে নির্দিষ্ট এলমে শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম জানে ওয়ালা লোকদেরকে বুঝানো হয়েচে যেমন তাফসীরে ইবনে কাসিরে ইস: ফা:এর ২য় খন্ডে ৫৬৬ পৃ:বলা আছে এই আয়াতটি মুলত ফকীহগণ-মুজতাহিদ বা আলেম সমাজ জাতীয় শ্রেণীর লোকদের জন্য প্রযোজ্য হয়েছে যেমন-আমাদের ভারতবর্ষে হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (:)এবং আমাদের বাংলাদেশে ৩৬০ আওলিয়ার প্রধান হযরত শাহজালাল (:)এবং আরো অনেকেই.মুলত ওনারাই আমাদের দেশে এসে ইসলামের শরীয়তের হুকুম আহকাম সহ খানকার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে ইসলাম প্রচার করে গিয়েচেন. কিন্তু আফেসাস বর্তমান যামানার যারা তাবলীগ করেন তাদের অধিকাংশ লোককেই দেখি মুর্খ যারা জীবনে কোরান হাদীস খুলেচে কিনা আমার সন্দেহ আছে আবার তাদের দেখা যায় মাস দুয়েক গেলে পড়ে তারা আবার সেই দলের আমির শায়খ হয়ে যায় এটাই কি তাবলীগ. আর এটা কি কোরান হাদীস পরিপন্থী নয় যারা ইসলামের লেবাশ পড়ে সকল কর্ম কান্ড করে যাচ্ছে তাদের কি অবস্থা হবে আল্লাহ পাক ভাল জানেন.সম্মানিত পাঠকগণ আশাকরি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন তাবলীগ কাদের জন্য প্রযোয্য আর কাদের জন্য প্রযোয্য না গাট্টি নিয়ে স্ত্রী সন্তান সন্তানাদির খোজ খবর না নিয়ে মসজিদে মসজিদে মাসের পর মাস দৌড়ানোর নাম তাবলীগ নয়.আসূল আমরা সবাই আমাদ্রর প্রাণ প্রিয় রাসূল (সা:) ওনার তাবলীগ কি ছিল কিভাবে আমরা সেই তাবলীগের মাধ্যমে ইসলাম পেলাম ভারতবর্ষে কাদের কারণে আমার আজ মুসলিম বলে পরিচয় দেয় এবং কাদের কারণে আজ আমরা মুসলিম হিসেবে জন্ম গ্রহণ করি আসূন আমরা তাদের তাবলীগকে অনুসরণ করে আল্লাহ রাসূলকে পাওয়ার আশাকরি-আল্লাহ আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূ্ন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment