Sunday, September 20, 2015

কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ক্বালবী যিকিরের গুরুত্ব



আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ক্বালবী যিকিরের গুরুত্ব)
আমরা সকলেই জানি সবাই আমরা মানুষ তারপরে ও কেন আমাদের কে মানুষ হতে বলা হয়েছে এর মানে কি তাহলে আমরা কি এখন মানুষ হতে পারিনি...কোরান হাদীস এবং ইজমা কিয়াসের আলোকে দেখা যায় আসলে আমরা নামধারী মানুষ সত্যিকারে আমরা এখনো মানুষ হতে পারিনি.তাই আল্লাহ সুবাহানু তাআলা আমাদেরকে সঠিক মানূষ করার জন্য যুগে যুগে নবী রাসূল থেকে শুরু করে বহু ওলী আওলিয়াদের পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহকে ডাকার জন্য সাথে সাথে অনেক নিয়ম কানুন বা পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন যাতে করে আমরা সদা সর্বদায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে স্মরন করতে পারি.তেমনি একটি কর্ম পদ্ধতি নিয়ে আমি অধম আপনাদের সামনে কোরান হাদীস ইজমা কিয়াসের আলোকে আলোচনা করব.আর সেই পদ্ধতিটির বা কর্মের নাম হলো যিকির.....মুলত অন্তর পরিশুদ্ধ করা এবং হুজুরী ক্বালব জারী করার একমাত্র উপায় হচ্ছে আপন ক্বালবে সদা সর্বদা শ্বাস প্রস্বাসের সহিত যিকির যারি করা.আর সেই ক্বালবের স্থান হলো আপনার বাম স্তনের আঙ্গুল নিচে.যদি ক্বালবে আল্লাহর যিকির বা হুজারী ক্বালব অর্জন করা যায় তাহলেই কেবল নামাম রোযা সহ সকল ইবাদত শুদ্ধ এখলাছের সহিত আদায় করা সম্ভব হবে আর এজন্যই সকলের ক্বালবে যিকির যারী করাকে ফরজ বলেছেন.পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এরশাদ করেন-(সাবধান আল্লাহপাক এর যিকির দ্বারাই ক্বালব বা অন্তর পরিশুদ্ধ হয়)উক্ত আয়াত শরীফের ব্যখ্যায় হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে-(সরদারে আলম রাসূল (সা:)বলেন প্রত্যেক জিনিস পরিস্কার করার যন্ত্র রয়েছে আর ক্বালব পরিস্কার করার যন্ত্র হলো আল্লাহ পাক এর যিকির যারী করা আপন ক্বালবের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত-সূত্র-বায়হাকী-মেশকাত-মেরকাত-লুময়াত-প্রমুখ গ্রন্থ).সেই পরিপ্রেক্ষীতে ইমাম-মুজতাহিদগণ ওলি আওলিয়াগণ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ইজতিহাদ করে যিকির কে দু ভাগে ভাগ করেছেন ()যাহেরী বা মৌখিক যিকির ()বাতেনী বা ক্বালবী যিকির যা মুখে না করে শুধু অন্তরে বা ক্বালবের মাধ্যমে করতে হয়.
যাহেরী বা মৌখিক যিকির-এই যিকির গুলো হচ্ছে কোরান তেলাওয়াত,দোয়া দুরুদ,ওয়াজ নছীহত, ইত্যাদি.আল্লাহর যিকির জন্যই করতে হয় যাতে করে শয়তানের ওয়াসা ওয়াসা থেকে নিজেকে যত দুরে রাখা যায় ততই ভাল.উক্ত যিকির গুলি যে কোন স্থানেই করা যায় যে কোন সময় তবে এই জাহেরী বা মৌখিক যিকির করে নিজের নফস কে শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে বেচে থাকা কস্মিন কালেও সম্ভব না তাই অবশ্যই ক্বালবী যিকির করতে হবে তার কারণ ক্বালবী যিকির সার্বক্ষনিক করতে হয় কোন সময় নির্ধারণ নয়.
প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণিত আছে-সকাল সন্ধা স্বীয় অন্তরে সবিনয়ে,সভয়ে,অনুচ্চ আওয়াজে তোমার রবের যিকির কর.আর ব্যপারে তুমি গাফেলদের অর্ন্তভুক্ত হয়ো না-সূরা আরাফ-২০৫ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের মধ্যে ২টি দিক বর্ননা করা আছে আমি শুধু মাত্র যিকিরের ব্যপারটি নিয়ে আলোচনা করলাম যেমন-উক্ত আয়াতের যিকির দ্বারা ক্বালবী যিকির সার্বক্ষণিক পাছ আন ফাস বা শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত যিকির করাকে বুঝানো হয়েছে যেমন আপনি শ্বাস যখন নিবেন তখন বলবেন আল্লাহ এবং শ্বাস যখন ছাড়বেন তখন বলবেন হু (আল্লাহু.আর যিকির সদা সর্বদায় দিনে রাতে হাটা চলা বসা অবস্থায় সব সময় করতে হয় আবার অনেকেই এই আয়াতে সকাল সন্ধা যিকির করার কথা উল্লেখ করেছেন কারণ এর উদ্দেশ্য হলো দায়েমী বা সাধ্যঅনুযায়ী যিকিরে নিজেকে মশগুল রাখার নামই হলো ক্বালবী যিকির. অপর এক আয়াতে আছে-হে ঈমানদারগণ তোমরা অধিক মাত্রায় আল্লাহপাকের যিকির কর আর সকাল সন্ধা তাসবীহ পাঠ কর-সূরা আহযাব-৪১-৪২ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে আব্বাস (রা:)বলেছেন প্রত্যেক ইবাদতের কিছু সময় এবং সীমা নির্ধারিত করা আছে কিন্তু যিকিরের জন্য কোন নির্ধারিত সময় বা সীমা নির্ধারন বা অপরাগতার কোন অজর গ্রহণযোগ্য নয়.এই আয়াতের তাফসীরে রুহুল বয়ানের বর্ণিত আছে-অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির কর এর দ্বারা দিবা রাত্রি সর্ব সময় সর্ব রীতুতে পানি স্থলে মাঠে পর্বতে স্বদেশে প্রবাসে সুস্থতায় অসুস্থতায় প্রকাশ্যে গোপনে দন্ডায়মান উপবেশনে শয়নে অর্থাথ প্রতি অবস্থায় বা দায়েমীভাবে আল্লাহপাকের স্মরণে আপন ক্বালবে ক্বালবী যিকির যারী করতে হবে আর এটাই হলো কোরান  হাদীস ইজমা কিয়াসের সর্বশেষ রায় এখান থেকে গাফেল হলে জীবনকে বিফলের মালা নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে অপারে যেতে হবে. তাই আমি অধম সবাই কে বলছি আসূণ আমরা সবাই তরকীতের কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকট বায়াত হয়ে আপন ক্বালবের মধ্যে ক্বালবী যিকির যারী-আল্লাহ হাফেজ-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment