Saturday, September 12, 2015

(প্রসঙ্গ দুই ঈদ ব্যতীত কি আর কোন ঈদ নাই)

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ দুই ঈদ ব্যতীত কি আর কোন ঈদ নাই)
প্রথমে একটি কথা বলতে চায় ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অস্বীকার করতে গিয়ে কিছু মুরতাদ সম্প্রদায় বলে থাকে
দুই ঈদ ব্যতীত কি আর কোন ঈদ নাই! নাউযুবিল্লাহ !!যারা বলে দুই ঈদ ব্যতীত আর কোন ঈদ নাই, তারা কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ অস্বীকারকারী ! আর কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ অস্বীকারকারীরা কাফির |
আসুন আমরা দেখি ঈদ অর্থ কি এবং শরীয়তে কতগুলা ঈদ রয়েছে --
ঈদ অর্থ হলো আল্লাহর দেয়া কোন রহমতের দিনের জন্য কিছু লোক মিলে আনন্দ/খুশি উদযাপন করাকেই ঈদ বলে এক কথায় ঈদ মানে আল্লাহ রাসূলের নামে খুশি বা আনন্দ উদযাপন করা
হাদীস শরীফ -
০১: হযরত ওবায়িদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ননা করেন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুয়ার দিন বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায় ! এটি এমন একটি দিন যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈদ স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন !"
দলীল-
মিশকাত শরীফ - জুমুয়ার নামাজ অধ্যায় !
মুয়াত্তা মালিক শরীফ
ইবনে মাজাহ শরীফ
০২: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্নিত আছে যে, তিনি একদা - " আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ন করে দিলাম " ( সূরা মায়েদা ) আয়াত শরীফ খানা শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন ! তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিল সে বলে উঠলো, যদি এমন আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো, আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করতাম !' এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন একসাথে দুই ঈদ ছিলো - () জুমুয়ার দিন এবং () আরাফার দিন !"
দলীল --
তিরমীযি শরীফ
উক্ত হাদীস শরীফে জুমুয়ার দিনের সাথে সাথে আরাফার দিনকেও ঈদের দিন হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়েছে |
০৩: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মু'মিন মুসলমানদের প্রতি মাসে চারটি অথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে | অর্থা প্রতিমাসে চারটি অথবা পাঁচটি সোমবার শরীফ হয়ে থাকে |"
দলীল --
কিফায়া শরহে হিদায়া ২য় খন্ড - বাবু ছালাতিল ঈদাইন ,
হাশিয়ায়ে লখনবী আলাল হিদায়া !
০৪: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, রোযাদারের জন্য দুটি ঈদ বা খুশি | একটি হলো তার প্রতিদিন ইফতারের সময় | আর অন্যটি হলো মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতের সময় !'"
দলীল--
বুখারী শরীফ - কিতাবুস সাওম
মুসলিম শরীফ
মিশকাত শরীফ , রোজার অধ্যায়!
দেখুন, উক্ত হাদীস শরীফে রোজাদার দের জন্য দুটি ঈদ বা খুশির কথা বলা হইছে ! একটা তার ইন্তেকালের পর আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাত ! আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে , ইফতার করার সময় !
ইফতিার দুই প্রকার -
() ইফতারে কুবরা !
() ইফতারে ছোগরা !
কুবরা হচ্ছে, ঈদুল ফিতর যা হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত ! আর ছুগরা হচ্ছে, রোজাদার প্রতিদিন মাগরিবের সময় করে থাকেন !
এটি প্রতিবছর ২৯ বা ৩০ দিন হয়ে থাকে !
এছাড়া সুন্নত রোজা হিসাবে আরো রোজা রয়েছে, যেমন-
মুুহররম শরীফ মাসে ,১০ বা ১০,১১ তারিখ দুইটি রোজা এবং এর সাথে আরো টি রাখা হয়,
মোটা টি !
শাওয়াল মাসে টি রোজা রোজা!
যিলহজ্জ শরীফ মাসে হতে তারিখ পর্যন্ত টি রোজা !
এবং বাকি ১১ মাসে করে সুন্নত রোজা , মোট ৩৩ টি রোজা !
এই রোজাদার দের প্রতিটি ইফতার হলো ঈদ !
সুবহানাল্লাহ্!
আসুন আমারা মোট ঈদ সংখ্যা হিসাব করি --->>
বছরে ৫২ টি শুক্রবার + ৫২ টি সোমবার শরীফ + রমাদ্বান শরীফে ৩০ টি + বাকি ১২ মাসে করে ৩৪ টি + যিলহজ্জ মাসে টি + মুহররম মাসে টি + পহেলা রজব টি + ২৭ শে রজব ১টি + ১৫ শাবান টি =
( ৫২+৫২+৩০+৩৩++++)
= ১৮০ টি ঈদ !
সুবহানাল্লাহ্ !
এসব গুলা ঈদ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত !
আল্লাহু আকবার !
আশাকরি পাঠকগণ বুঝতে পেরেছেন শরীয়তে ঈদ ছাড়া আরো অনেক ঈদ আছে যারা বলে ঈদ ছাড়া আর কোনা ঈদ নাই তারা ঈদ অর্থ কি সেটাই জানে না জানলে আর কথা বলতো না তাই আসুণ আমরা শরীয়তের হুকুম আহকাম মেনে তরীকতের কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকট বায়াত হয়ে নিজেকে আল্লাহ রাসূলের প্রেমে বিলিয়ে দেয় বূলুন আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment