Sunday, September 13, 2015

" প্রসঙ্গ মোনাজাত বা সম্মিলিত মোনাজাত "








শরু করছি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে হাবীব আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
" প্রসঙ্গ মোনাজাত বা সম্মিলিত মোনাজাত "
লেখার প্রথমে একটি কবিতার কথা মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় এই কবিতাটি আমাদের শিক্ষক আমাদের শিখাতে বাধ্য করতেন এখন তো দেখিনা কবিতা টি হল সূফিয়া কামালের সাথে আমার কিছু কথা যোগ করেছি ভূল হলে মাফ করবেন---------
তুলি দুই হাত করি মোনাজাত--হে রহিম রহমান--কত সুন্দর করিয়া ধরণী মোদের করেছ দান--মোরা আজ সেই ধরণীতে সৃষ্টি করিয়াছী হিংসার গ্রাণ--এক দলে বলি মোনাজাত ম্লান--আরেক দলে বলি মোনাজাত অম্লান-- থেকে উদ্ধার কর দয়াময় হাবীব রহমান...আজ দু: ভরা ক্রান্ত হৃদয়ে লেখছি খোদার কাছে দুহাত তুলে মোনাজাত করবো তা নাকি বেদাত কোন যুগে বাস করছি সরল প্রাণ মুসলমানরা দেখি এখন মসজিদে নামায শেষে উঠে চলে যায়...উনারা যে খোদার কাছে নামায পরল সেই নামায হল কিনা ভূল হল কিনা নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য বা দেশের জন্য হাত তুলে মোনাজাত করবে সেই জিনিসটা পারছে না কেন এই অনিহা .আল্লাহর হাবীব কি নামায শেষে দু হাত তুলে মোনাজাত করেন নি.আসুন দেখে নেই. প্রত্যেকটা ইবাদতের সকল অংশ কোন একটা আয়াত বা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে নতুবা তা অগ্রহণযোগ্য হবে
عن الضحاک فإذا فرغت قال من الصلاۃ المکتوبۃ، وإلی ربک فارغب، قال في المسئلۃ والدعاء۰ (الدر المنثور : ۶/۳۶۵

- হযরত যাহ্হাক (রাঃ) সূরা ইনশিরাহ তথা আলাম নাশরাহ এর উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, যখন তুমি ফরজ নামায থেকে ফারেগ হবে তখন আল্লাহর দরবারে দুআতে মশগুল হবে (তাফসীরে দূররে মানছূর /৩৬৫)

(إذا فرغت من الصلاۃ المکتوبۃ فانصب في الدعاء۰ (تفسیر ابن عباس : ۵۱۴

-হযরত ইবনে আব্বাস- (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, “যখন তুমি ফরজ নামায হতে ফারেগ হও, তখন দুআয় মশগুল হয়ে যাবে (তাফসীরে ইবনে আব্বাস (রাঃ), ৫১৪ পৃঃ ) قال ابن عباس وقتادۃ والضحاک ومقاتل والکلبي : إذا فرغت من الصلاۃ المکتوبۃ أو مطلق الصلاۃ فانصب إلی ربک والدعاء، وار غب إلیہ في المسئلۃ۰
(تفسیر مظہري : ۱/۲۹۴)

-হযরত কাতাদাহ, যাহহাক কালবী (রাঃ) হতে উক্ত আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত আছে, তাঁরা বলেন-‘ফরজ নামায সম্পাদন করার পর দুআয় লিপ্ত হবে
(তাফসীরে মাযহারী, ১০/২৯৪ পৃঃ)


/ -হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) নবী কারীম সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তাআলা তাকীদ করে বলেছেন যে, হে মুহাম্মাদ! যখন আপনি নামায থেকে ফারিগ হবেন তখন দু করবেন, হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট ভাল কাজের তৌফিক কামনা করছি এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সাহায্য চাচ্ছি এবং আপনার দরবারের মিসকীন অর্থা আল্লাহ ওয়ালাদের মুহাব্বত কামনা করছি....
(তিরমিযী শরীফ /১৫৯ হাঃ নং ৩২৪৯)
হযরত মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, ‘আমি আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর (রাঃ) কে দেখেছি যে, তিনি এক ব্যক্তিকে সালাম ফিরানোর পূর্বে হাত তুলে মুনাজাত করতে দেখে তার নামায শেষ হওয়ার পর তাকে ডেকে বললেন, ‘রাসূলে পাক সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম কেবল নামায শেষ করার পরই হস্তদ্বয় উত্তোলন করে মুনাজাত করতেন; আগে নয়
(লাউস সুনান, /১৬১)
হযরত সায়িব বিন য়াযীদ (রাঃ) স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন নবী কারীম সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম যখন দু করতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন এবং দু শেষে হস্তদ্বয়কে চেহারায় মুছতেন
(আবু দাউদ শরীফ /২০৯ হাঃ নং ১৪৯২)
হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআর জন্য উভয় হাত উত্তোলন করেন যদ্দরুন আমি তাঁর বগলের সাদা অংশ দেখতে পাই(বুখারী শরীফ /৯৩৮ হাঃ নং ৬৩৪১)
হযরত উমর ফারুক (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী কারীম সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম দুআর জন্য যখন হাত তুলতেন তখন চেহারায় মুছার পূর্বে হাত নামাতেন না
(বুখারী শরীফ /১৭৬ হাঃ নং ৬৩৪১)
হযরত মুআয বিন জাবাল (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী কারীম সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, হে মুআয! আমি তোমাকে ওসীয়াত করছি যে, প্রত্যেক নামাযের পর দু পড়াকে তুমি কখনো ছাড়বে না-হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জিকির, শোকর এবং উত্তম ইবাদত করার জন্য সাহায্য কর
(নাসাঈ শরীফ /১৪৬, আবু দাউদ শরীফ /২১৩ হাঃ নং ১৫২২)
সকল কোরানী আয়াত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে, নবী কারীম সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক নামাযের পর মুনাজাত করতেন, চাই ফরজ হোক বা নফল এবং মুনাজাত করার সময় দুআর আদব হিসাবে উভয় হাত তুলতেন এবং শেষে উভয় হাত চেহারার মধ্যে মুছতেন আর নবী কারীম সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম যখন এরূপ আমল করতেন তাহলে সাহাবাগণও (রাঃ) আমল করতেন কারণ, নবী কারীম সল্লাল্লাহুআলাইহী ওয়া সাল্লাম এর আমল নির্দেশ-এর পরে সাহাবাগণ তার বিরুদ্ধাচারণ করতে পারেন না এরকম অসংধ্য হাদিস আছে যা এই অধম লিখে শেষ করতে পারবেনা..তারপরেও কেন সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে একটি দল ধোকা দিয়ে যাচ্ছে...আমরা যারা বুঝি তারাও চুপ করে বসে আছি..কোরানের আয়াত রাসূল (সা:) ওনার হাদীসকে বিকৃত করে সরলপ্রাণ মুসলমানদের যে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রায়ই টেলিভিশনের পর্দায় তারা ভাষণ দিয়ে যাচ্ছ সহিহ আর জাল বলে..দেশের শিক্ষিত মানূষ এখন তাদের দলে যোগ দিয়ে ফায়দা লূটছে...আসূন আমরা থেকে বেড়িয়ে আসি নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে কোরান হাদিস এবং আমাদের রাসূল (সা:)ওনার উত্তরশরীদের অনুসরণ করি তা না করে আমরা টেলিভিশনে সারাদিন বসে লেকচার শুনি আর হ্যা হ্যা বলে থাকি..আমাদের কান চোখ বিবেক এগুলি কি হ্যা হ্যা এর মধ্যে থাকবে....প্রশ্ন আপনাদের কাছে...আমি অধম পরিশেষে বলতে চায় জাগিয়ে তুলুন নিজের ভিতর টাকে অন্ধ আর বধির হয়ে থাকবে না থাকলে আপনার বোঝা আপনারি বহন করতে হবে আমাকে না..তাই এখনো সময় আছে পূর্ববতীগণদের অনুসরন করুন--যেমন চার খলীফা থেকে শূরু করে..তাবেয়ীন তাবে তাবেয়ীন..ওলি আওলিয়া গউস কুতুব ওনাদের অনুসরণ করুন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ


-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment