Saturday, September 12, 2015

২০ রাকাত তারাবীহ সমর্থনে দলীল সমূহ











২০ রাকাত তারাবীহ সমর্থনে দলীল সমূহ
দলিল-
হযরত সাঈব ইবনে ইয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেন, “খলীফা হযরত উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর আমলে (রমযান মাসে) মুসলমান সমাজ ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায এবং বিতরের নামাযও পড়তেন।
ইমাম বায়হাকী প্রণীতমারেফত-উস-সুনান ওয়াল্ আসার’, ৪র্থ খণ্ড, ৪২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৫৪০৯
হাদিসের মান সম্পর্কে 
  • ইমাম বায়হাকী (রহ:) অপর এক সনদে অনুরূপ একখানি রওয়ায়াত লিপিবদ্ধ করেছেন।
  • হযরত সাঈব ইবনে ইয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেন,
খলীফা হযরত উমর ইবনে আল-খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর শাসনামলে রমযান মাসে মুসলমানগণ ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায পড়তেন।তিনি আরও বলেন, “তাঁরা মিঈন পাঠ করতেন এবং খলীফা হযরত উসমান ইবনে আফফান (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর শাসনামলে (নামাযে) দণ্ডায়মান থাকার অসুবিধা থেকে স্বস্তির জন্যে তাঁরা নিজেদের লাঠির ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন।
ইমাম বায়হাকী রচিতসুনান আল-কুবরা’, ২য় খণ্ড, ৬৯৮- পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৪৬১৭
ইমাম নববী (রহ:) বলেন,
এটির সনদ সহীহ।
— ‘আল-খুলাসাতুল আহকাম’, হাদীস নং ১৯৬১
  • ইমাম বদরুদ্দীন আয়নী (রহ:) বলেন,
ইমাম বায়হাকী (রহ:) সহীহ সনদে সাহাবী হযরত সাঈব ইবনে এয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণনা করেছেন যে খলীফা হযরত উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মুসলমান সমাজ ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায পড়তেন এবং তা খলীফা হযরত উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর শাসনামলেও প্রচলিত ছিল।
— ’উমদাতুল ক্কারী শরহে সহীহ আল-বোখারী’, ৫ম খণ্ড, ২৬৪ পৃষ্ঠা; দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন হতে প্রকাশিত
  •  
সালাফীআলেম আল-মোবারকপুরীও এই হাদীসটির সনদকেসহীহবলেছে এবং এর পক্ষে ইমাম নববী (রহ:)-এর সমর্থনের কথা উদ্ধৃত করেছে।
— ’তোহফাতুল আহওয়াযী’, ৩য় খণ্ড, ৪৫৩ পৃষ্ঠা; দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন থেকে প্রকাশিত
ইমাম নববী (রহ:) বলেন,
এই সনদে সকল রাবী তথা বর্ণনাকারীসিকাবা নির্ভরযোগ্য।
— ‘আসার আল-সুনান’, :৫৪

দলিল-
ইয়াহইয়া আমার (ইমাম মালেক) কাছে মালেক হতে বর্ণনা করেন যে এয়াযীদ ইবনে রুমান বলেছেন, খলীফা হযরত উমর ইবনে আল-খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মুসলমানবৃন্দ রমযান মাসের (প্রতি) রাতে ২৩ রাকআত (তারাবীহ ২০ বিতর ) নামায পড়তেন।
ইমাম মালেক প্রণীতমুয়াত্তা মালেক’, সালাত অধ্যায়, মা জা ফী কায়ামে রমযান, ১ম খণ্ড, ১৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৩৮০

দলিল-
হযরত আবদুল আযীয বিন রাফিহতে বর্ণিত, তিনি বলেন: “হযরত উবাই ইবনে কাআব (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) মদীনা মোনাওয়ারায় রমযান মাসে ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযের জামাতে ইমামতি করতেন।
মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, ৭৭৬৬ নং হাদীস

দলিল-
আবদুর রহমান সুলামী বর্ণনা করেন যে হয়রত আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াযহু) রমযান মাসে কুরআন মজীদ তেলাওয়াতকারী হাফেযদের ডেকে তাদের মধ্যে একজনকে ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায পড়াতে বলেছিলেন এবং নিজে বিতরের নামাযে ইমামতি করতেন।
ইমাম বায়হাকী কৃতসুনান আল-কুবরা’, ২য় খণ্ড, ৬৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৪৬২০
দলিল-
হযরত হাসান বসরী (রহ:) বলেন: “খলীফা উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) রমযান মাসের (তারাবীহ) নামাযে হযরত উবাই ইবনে কা (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম)-এর ইমামতিতে মানুষদেরকে জামাতে কাতারবদ্ধ করেন এবং তিনি (ইবনে কা) ২০ রাকআত নামায পড়ান।
— ‘সিয়ার আল-লম ওয়াল নুবালাহ’, ১ম খণ্ড, ৪০০- পৃষ্ঠা, হযরত উবাই ইবনে কা (রা:)-এর জীবনী
ইমাম নববী (রহ:) ওপরের বর্ণনা সম্পর্কে বলেন:
এর সনদ সহীহ।
— ‘আল-খুলাসাত আল-আহকাম’, হাদীস নং ১৯৬১

দলিল-
হযরত আবূল হাসনা বর্ণনা করেন যে হযরত আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াযহু) জনৈক ব্যক্তিকে রমযান মাসে ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযে ইমামতি করার নির্দেশ দেন।
— ’মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা’, ৫ম খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৩

দলিল- 
হযরত নাফেইবনে উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে ওয়াকীবর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “হযরত ইবনে আবি মুলাইকা (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) রমযান মাসে আমাদের জামাতের ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযে ইমামতি করতেন।
মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৫

দলিল- 
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) বর্ণনা করেন যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে (প্রতি রাতে) নিজে নিজে ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায আদায় করতেন এবং এরপর রাকআত বেতরের নামাযও পড়তেন।
— ‘সুনান আল-বায়হাকী, হাদীস নং ১২১০২

দলিল  
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বর্ণনা করেন যে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায আদায় করতেন এবং এরপর রাকাত বেতরের নামাযও আদায় করতেন।
— ’মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা’, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৭৬৯২

দলিল ১০ 
হযরত আয়েশা (আলাইহিস সালাম) থেকে বর্ণিত, বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাতে ২০ রাকআত নামায মানুষের সাথে আদায় করেন; কিন্তু তিনি তৃতীয় রাতে আর বের হননি। তিনি বলেন, আমি আশংকা করি যে এটি তোমাদের (সাহাবা--কেরামের) প্রতি আবার বাধ্যতামূলক না হয়ে যায়।
ইবনে ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:) কৃতআল-তালখীস আল-হাবীর’, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৫৪০
বি:দ্র: ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:) এই হাদীস উদ্ধৃত করার পরে বলেন,
সকল মোহাদ্দেসীন (হাদীসের বিশারদ) হযরত আয়েশা (আলাইহিস সালাম) হতে এই বর্ণনার নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন, তবে রাকআতের সংখ্যার ক্ষেত্রে নয়।

দলিল ১১ 
আল-হারিস (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বর্ণনা করেন যে তিনি রমযান মাসে ২০ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন, আর রাকআত বেতরের নামাযেও ইমামতি করতেন এবং রুকূর আগে কুনুত পড়তেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৭

দলিল ১২ 
হযরত আবূ আল-বখতারী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণিত যে তিনি রমযান মাসে জামাআতে তারভিয়াত’ (অর্থাৎ, ২০ রাকআত তারাবীহ) নামাযের এবং রাকাত বেতরের নামাযের ইমামতি করতেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৮
বি:দ্র: তারাবীহ নামাযে প্রতি রাকআতে একতারভিহ’ (বিশ্রামের সময়) পাঁচতারভিহাতহলো *=২০ রাকআত।

দলিল ১৩ 
হযরত আতাইবনে রুবাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেন: আমি সব সময়- মানুষদেরকে ২৩ রাকআত (তারাবীহ) পড়তে দেখেছি, যাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল বেতরের নামায।
মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৭০

দলিল ১৪ 
হযরত শায়তার ইবনে শাকী হতে প্রমাণিত যে তিনি রমযান মাসে ২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের জামাআতে এবং বেতরের নামাযেও ইমামতি করতেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬২

দলিল ১৫ 
হযরত সাঈদ বিন উবাইদ বর্ণনা করেন যে হযরত আলী বিন রাবিয়াহ (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) তাঁদেরকে তারভিহাত (২০ রাকআত তারাবীহ) নামাযে এবং রাকআত বেতরের নামাযেও ইমামতি করতেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৭২

দলিল ১৬ 
ইবনে কুদামাহ (রহ:) ২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের পক্ষে যেএজমাহয়েছে, সে সম্পর্কে প্রমাণ পেশ করতে গিয়ে লিখেন:
আবূ আবদিল্লাহ (ইমাম আহমদ হাম্বল)-এর দৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠিত দলিল হলো ২০ রাকআত (তারাবীহ); ব্যাপারে একই মত পোষণ করেন সর্ব-হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহ:), ইমাম আবূ হানিফা (রহ:) ইমাম শাফেঈ (রহ:) ইমাম মালেক (রহ:)-এর মতে এটি ৩৬ রাকআত। তিনি মদীনাবাসীর রীতি অনুসরণ করেন। কেননা, সালেহ বলেন তিনি সেখানকার মানুষকে দেখেছিলেন ৪১ রাকআত কেয়ামুল্ লাইল (তারাবীহ) পালন করতে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল রাকআত বেতরের নামায। কিন্তু আমাদের প্রামাণ্য দলিল হচ্ছে খলীফা হযরত উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) মানুষদেরকে সমবেত করে হযরত ইবনে কা (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর ইমামতিতে ২০ রাকআত তারাবীহ নামায জামাআতে আদায় করিয়েছেন। হযরত হাসসান (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর সূত্রে এও বর্ণিত হয়েছে যে খলীফা হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) এভাবে ২০ রাত হযরত উবাই ইবনে কা (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর ইমামতিতে মানুষদেরকে জামাঅাতে নামায আদায় করিয়েছিলেন; আর তিনি (হযরত কা) রমযানের নিসফে (ওই সময়) শেষ দশ দিন তারাবীহ নিজের ঘরে পড়তেন। এই বর্ণনা ইমাম আবূ দাউদ (রহ:) হযরত সাইব ইবনে এয়াযীদ (রা:)-এর প্রদত্ত। ইমাম মালেক (রহ:) এয়াযীদ ইবনে রুমান থেকে এও বর্ণনা করেছেন যে, খলীফা হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মানুষেরা ২৩ রাকআত তারাবীহ আদায় করতেন, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল রাকআত বিতর।
ইবনে কুদামাহ আরও লিখেন:
হযরত আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াযহু) হতে এও বর্ণিত হয়েছে যে তিনি জনৈক ব্যক্তিকে ২০ রাকআত তারাবীহ জামাআতে ইমামতি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অতএব, ২০ রাকআত তারাবীহ ব্যাপারে এজমাপ্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। অধিকন্তু, সালেহ যে মদীনাবাসীদেরকে ৪১ রাকআত নামায পড়তে দেখেছিলেন, সে সম্পর্কে বলবো, সালেহ দুর্বল এবং আমরা জানি না ৪১ রাকআতের এই বর্ণনা কে দিয়েছিলেন। হতে পারে যে সালেহ কিছু মানুষকে ৪১ রাকআত পড়তে দেখেছিলেন, কিন্তু এটি তো হুজ্জাত (প্রামাণ্য দলিল) হতে পারে না। আমরা যদি ধরেও নেই যে মদীনাবাসী ৪১ রাকআত তারাবীহ (বেতরের রাকআত-সহ) পড়তেন, তবুও হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর নির্দেশ, যা তাঁর সময়কার সকল সাহাবা--কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন) অনুসরণ করেছিলেন, তা- অধিকতর অনুসরণযোগ্য। কয়েকজন উলামা বলেন যে মদীনাবাসী মুসলমানগণ ৩৬ রাকআত তারাবীহ পড়তেন যাতে মক্কাবাসী মুসলমানদের সাথে তা মিলে যায়; কেননা, মক্কাবাসীরা প্রতি রাকআত পড়ার পর তাওয়াফ করতেন এবং এভাবে তাঁরা বার তাওয়াফ করতেন। মদীনাবাসী মুসলমানগণ ওই সময়ের মধ্যে (অর্থাৎ, একেক তওয়াফে) রাকআত আদায় করে নিতেন (নওয়াফিল) কিন্তু আমরা যেহেতু জানি যে সাহাবা--কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) ২০ রাকআত তারাবীহ পড়েছেন, সেহেতু আমাদের তা- মান্য করা আবশ্যক।
ইবনে কুদামাহ প্রণীত আল-মুগনী, ২য় খণ্ড, ৬০৪ পৃষ্ঠা

দলিল ১৭ 
আল-গুনিয়াতুত্ তালেবীন গ্রন্থে লেখা আছে:
আল-গুনিয়াতুত্ তালেবীন, ২য় খণ্ড, ২৫ পৃষ্ঠা

দলিল ১৮ 
ইমাম বোখারী (রহ:) তাঁরআল-কুনাপুস্তকে রওয়ায়াত করেন:
হযরত আবূ আল-খুসাইব (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বর্ণনা করেন যে হযরত সুওয়াইদ বিন গাফালাহ (রা:) সব সময়- রমযান মাসে আমাদেরকে নিয়ে জামাআতে ২০ রাকআত তারাবীহ নামাযে ইমামতি করতেন।
আল-কুনা, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ২৩৪

দলিল ১৯ 
ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ- হযরত উমর (রাঃ) এর যুগে সাহাবারা বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন
মুয়াত্তা মালেক খঃ ১পৃঃ ১১৫

এতএব উপরের এতসব দলিলাজিল্লাহ দ্বারা প্রমানিত হলো যে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়া সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামত তাই এখন যদি কেউ রাকাত পড়ে তাহলে আল্লাহু রাব্বুল আলামিন ভালো জানেন তার ফায়ছালা তিনি কিভাবে করবেন। নিশ্চই যারা সাহাবা (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) গনের বিপক্ষে নিজের মনগড়া মতামত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করবেন না আর যা তিনি অপছন্দ করবেন তা আল্লাহ্রাব্বুল আলামিন অপছন্দ করেন


No comments:

Post a Comment