Wednesday, September 9, 2015

" প্রসঙ্গ মাযার শরীফ ও কবর এর মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান "

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
" প্রসঙ্গ মাযার শরীফ কবর এর মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান "
প্রথমে একটি কথা বলথে চায় আমরা শেষ নবীর উম্মত হিসেবে ৭৩ টি দলে উপদলে পরিণত হয়ে নিজেদের দ্বারাকে বজায় রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছি কেউ মাযার শরীফ যিয়ারত কে পূজা বলে চালিয়ে দিচ্ছি বুঝে না বুঝে আবার কেউ কবর পূজা বলে ফতোয়া দিচ্ছি কিন্তু প্রকৃত ইসলাম কি এটাই বলছে আসূন দেখি কোরান হাদীস কি বলে..(আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না বরং তারা জীবিত তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না) {সূরা বাকারা-১৫৪} কোরানের এই একটি আয়াত কি আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগেনা যেখানে আল্লাহ নিজেই বলছেন আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তারা জীবীত.. তাদের দেহ মোবারক পর্যন্ত মাটির জন্য হারাম করে দেওয়া হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে.. ইবনে মাযাহ আবু দাউদ শরীফে তা উল্লেখ করা আছে
মাযার কি..? মাযার একটি পবিত্র স্থান যেখানে যারা আল্লাহ রাসূলের প্রেমে নিজেকে দুনিয়ামুখী থেকে সড়িয়ে সর্বক্ষন খোদার প্রেমে মগ্ন হয়ে আল্লাহর পথে মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের উফাত স্থানকেই মাযার বলা হয়..আর কবর কি..? যেখানে মানুষের দেহের কোন অস্তিত্যই থাকেনা মানুষের দেহ সেখানে মাটি এক মহুর্তে ভক্ষণ করে নিয়ে নেয় হাড় ছাড়া কিছুই খুজে পাওয়া যায়না পক্ষান্তরে মাযার শরীফে শত শত যুগ পরেও ওনাদের দেহ যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় পাওয়া যায়….আশাকরি বুঝতে পেরেছেন মাযার শরীফ আর কবরের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান কেননা মৃত মানুষের জন্য কবর জীবীত মানুষের জন্য নয়  সেটা আল্লাহ পাক নিজেই পাক কোরানে ঘোষণা করেছেন আমি অধম কি বলব আর এবং ইসলামে কবপ পূজা নিষেধ..অজ্ঞ কিছু ভাইয়েরা মুসলিম শরীফের একটি হাদিস পেশ করেন সমস্ত মাযার শরিফ ভেঙ্গে ফেলার জন্য তাগিদ দেন তা নাকি আবার রাসূল (সা:)আদেশ করেছেন সেটা মাওলা আলী (রা:)কে আপনি এই হাদীস খানা পরে দেখবেন কাদের মাযার ভাঙ্গতে বলা হয়েছে আর কাদের টা রাখতে বলা হয়েছে সেখানে শুধু হাদিসটি উল্লেখ করা আছে বাট হাদীসের ব্যখ্যা নাই এই হাদীসের ব্যখ্যা ফতহুল বারীর ২য় খনড ২৬ পৃষ্ঠায় বলা আছে রাসূল (সা:)আদেশ করেছিলেন মাওলা আলীকে তুমি ঔই সব কবর ধবংস না করে ছাড়বেনা যেগুলো কাফের মুশরিক মুনাফেকদের কবর আশ্চর্যের ব্যাপার হলো কাফের মুশরিকদের হাদীস গুলো মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এটা কি কোন একটি চক্রান্তু না প্রশ্ন করুন নিজের বিবেক কে আরেকটি জিনিস খেয়াল পৃথিবীতে যত নবী রাসূল আম্বিয়াকেরাম গণ এসেছেন তাদের প্রত্যেকরি মাযার শরীফ আছে যেমন আদম (:)দাউদ (:)ইব্রাহিম (:)আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা:)ওনার প্রিয় সাহাবীগণ ওনার সাথে শায়িত আছেন এবং শেষে ঈসা (:) আসবেন রাসূল (সা:)ওনার সাথে রওযা হবেন এবং সেই সূত্র ধরে রাসূল (সা:)ওনার পরে গাউসে আযম মঈনুদ্দিন চিশতী (রা:)এবং অসংখ্য ওলি আওলিয়ার মাযার শরীফে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় যা পরম শ্রদ্ধার স্থান হিসেবে বিপদগামী মানুষ তাদেরকে উছিলা করে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে তৃপ্তি পায় আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার উছিলায় বিপদগামী মানুষকে বিপদমুক্ত করেন অতচ আমরা আল্লাহর সেই বন্ধুদের শানে কতই না বেয়াদবী করি তারা যদি আল্লাহর কাছে একবার ফরিয়াদ করে আমরা ধবংসে পরিণত হব এগুলি আমরা বুঝেও বুঝি না কারণ আমরা সঠিক লোকের মাধ্যমের কারণে পথভ্রষ্ঠ হয়ে রয়েছি আল্লাহ আপনি তাদেরকে আপনার বন্ধুর পথে চলার তৌফিক দান করুন আমিন..প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment