Wednesday, September 9, 2015

(প্রসঙ্গ যে বিষয়গুলো নিযে আলোচনা বা সমালোচনা করলে গীবত হয় না)

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ যে বিষয়গুলো নিযে আলোচনা বা সমালোচনা করলে গীবত হয় না)
সম্মানিত পাঠকগণ রাসূল (সা:) বলেছেন আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ টি দল হবে তার মধ্যে ১টি দল হবে হক পন্থী আর বাকী ৭২টিই বাতিল যে দলটি হক পন্থী সমস্ত উলামায়ে কেরামগণ যে  দলটি হক পন্থী বলেছেন সেটির নাম হলো আহলে সূণ্নাত ওয়াল জামাত এই আহলে সূণ্নাত ওয়াল জামাতের অনেকগুলো আকিদা আছে যা বাকী ৭২টি দলের সাথে কোন না কোন ভাবে মিলের পরিপন্থী যা হোক ইসলাম বর্তমানে ৭৩ টি দলে ভাগ হয়ে যার যার কর্ম দ্বারাকে টিকিয়ে রাখান জন্য সবাই মড়িয়া হয়ে উঠেছে আমরা সবাই কারো না কারো দল নিয়ে সমালোচনা করছি প্রতিদিন ফেইসবুকে টেলিভিশনে মসজিদ মাদ্রাসায় ওযাজ মাহফিলে ইত্যাদি ইত্যাদি এখন কথা হলো এগুলো সব কি গীবতের মধ্যে পড়ে হাদীসে গীবত করা মানে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সমান আবার সুন্নীরা যখন কোন না কোন দলের সঠিক সমালোচনা করে তখন সেই দল গুলি সূন্নীদের ফতোয়া দেয় গীবত করা ভাল না গীবত করলে মৃত ভাইয়ের গোশত খাবে তাহলে আমরা সবাই কি মৃত ভাইয়ের গোশত খাচ্ছি..? আসূণ দেখি যিনি ইসলাম কে বহু বছর শাসন করেছেন যিনি সুফী সম্রাট হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী (:)কি বলেছেন ওনার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কিতাবে পবিত্র কুরআন সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক বর্ননা করেছেনকয়েক প্রকার ব্যক্তির দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবত হয় না
নিচে এই এগুলির সংক্ষিপ্ত আলোচনা বর্ণনা করা হলওঃ-
এক নম্বরে বলা হয়েছে, কোনো লোক যদি কোনো কাজী সাহেবের কাছে যায় বিচারের জন্য, বিচারপ্রার্থী হয়ে বিচারের জন্য যদি সে সত্য কথা বলতে গিয়ে বিপরীতপক্ষের দোষত্রুটি বর্ণনা করে, তাহলে সেটা গীবত হবে না
দুই নম্বরে বলা হয়েছে, সে যদি কোনো মুফতী সাহেবের কাছে যায় ফতোয়ার জন্য, তখন সে ফতোয়ার জন্য যেটা সত্য সেটাই বলবে, এতে তার গীবত হবে না
তিন নম্বরে বলা হয়েছে, যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-ওমরাহ শাসক গোস্ঠি তাদের ইছলাহ বা সংশোধন করার জন্য দোষত্রুটিগুলি যদি ধরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটা গীবত হবে না
চার নম্বরে বলা হয়েছে, অহরহ পাপে লিপ্ত ফাসিকদের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে, সেটা গীবত হয় না ফাসিক বলা হয় যে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা হামেশা তরক করে তাদেরকে
পাঁচ নম্বরে বলা হয়েছে, যারা লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-তোতলা নামে মশহূর তাদেরকে লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-তোতলা বলে ডাকা হলে, সেটা গীবত হবে না
ছয় নম্বরে বলা হয়েছে, যদি কোনো পিতা তার ছেলেকে বিয়ে করাতে চায় বা মেয়েকে বিয়ে দিতে চায়, বিপরীত পক্ষের কাছে গিয়ে সেই ছেলে বা মেয়ের প্রতিবেশীর কাছে যদি, ছেলে বা মেয়ে সম্বন্ধে সংবাদ নেয় আর প্রতিবেশীর লোকেরা যদি সত্য কথা বলে অর্থা সেই ছেলে বা মেয়ের দোষত্রুটিগুলি বলে দেয়, তাহলে সেটা গীবত হবে না কারণ এখানে একজনের জীবন নিয়ে প্রশ্ন
আর সপ্তম যেটা বলা হয়েছে, যারা উলামায়েসূ বা দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী নামধারী আলিম পীর স্কলার যারা দ্বীনকে বিক্রি করে দুনিয়া অর্জন করে, তাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবত হবে না

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সঠিক বিষয়টি বুঝার তৌফিক দান করুন-আমীন! এখন আপনি যদি ইমাম গাজ্জালি থেকে নিজেকে বড় আলেম বড় জ্ঞানি মনে করেন তাহলে আমার কিছু বলার নাই বিছারে মা-হাসরে দেখা যাবে কার ভাগ্যে কি আছে
আল্রাহ সুবাহানু তাআলা আমাদের সবাইকে বুজার তৌফিক দান করুক আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment