আসসলামু আলাইকুম
শরু করছি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে হাবীব
আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দয়াল
মোখলেছ সাই এর সরণে...
" (প্রসঙ্গ হায়াতুন্নবী বা রাসূল (সা:) জীবীত) "
লেখার প্রথমে একটি কথা বলতে চায় মানুষের দেহের রাজা হল তার আত্না/রুহ আর সেই আত্নার/রুহের কোন মৃত্যু নেই..আত্না বা রুহ আল্লাহর আদেশে
একটি স্থানে চলে যায়..যা আমাদের আয়ত্তের বাহিরে..আমরা
আমাদের চর্ম চক্ষু
দিয়ে তা দেখতে
পাই না কিন্তু আল্লাহ আদেশে তা বিচরণ করে থাকে...যার কারণে এই দুনিয়া সৃষ্টি যিনি
আল্লাহ ব্যতীত সবকে
তার অধীনস্থ করা হয়েছে ওনি কি করে হুজরা শরীফে
মৃত (নাউযুবিল্লা)হতে পারে এটা কল্পনা করাই যায়না গেলেই
ঈমান চলে যাবে
নিশ্চিত...আদম (আ:) থেকে শুরু করে যত নবী রাসূল পয়গম্বরগণ এসেছেন তিনি সবার
স্বাক্ষী এবং প্রত্যেক নবী রাসূলের কাজ এবং তার উম্মতের কাজ রাসূল (সা:)
স্বচক্ষে দেখেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত ওনি তা দেখতে থাকবেন আল্লাহ তাকে এই গুন দিয়েছেন আর অন্য কোন নবীর
বেলায় এই গুণ দেননি এগুলি আমার
কোন মনের বানানো কথা না আমি শুধু
আমার মত করে লিখেছি আল্লাহর কোরান কি বলে দেখুন-
“এবং জেনে
রেখো, তোমাদের মধ্যে
আল্লাহর রাসূল , (ﷺ) রয়েছেন” (৪৯:৭)। ,
“অতঃপর তোমাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল
, (ﷺ) ” [৯:৯৪]
এবং “আপনি বলুন: আমল করে যাও; অতঃপর
তোমাদের আমল প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল , (ﷺ) এবং মোমেন মুসলমানবৃন্দ” (৯:১০৫)এই ৩টি আয়াত দিয়ে কি প্রমান হয়না রাসূল
(সা:)হুজরা শরীফে
জীবীত এবং সব কিছু দেখছেন আল্লাহর রহমতে..যেখানে কোরান বলতেছে আল্লাহ পথে যারা
শহীদ হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলোনা আর রাসূল (সা:)ওনার কথা আমি অধম আর কি বলব বলেন..ওনার
চেয়ে প্রিয় ব্যক্তি কে আছে এই জগতে..পারলে আমাকে
দেখান আমি তার গোলামী করব..(আল্লাহর পথে যারা শহীদ
হয় তাদের তোমরা
মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবে তা তোমরা
উপলব্ধি করতে পারো
না)। {সূরা বাকারা-১৫৪}
অজ্ঞনী ভাইয়েরা আমার আপনার
এই আয়াত টি থেকে শিক্ষ নিন যে রাসূল (সা:)বাদ দিলাম উনার
মুমিন উম্মতগণ তারাও
তাদের হুজরা শরীফে
জীবীত আছেন..প্রমান দিচ্ছি দেখেন কিছুদিন আগে এক সাহাবীর রওযা ভেঙ্গে ফেলেছে আমার রাসূলের দূশমনেরা
ভেঙ্গে কি দেখল নষ্ট হযে গেচে গলে গেছে ছবি দিয়েছি রাসূল (সা:) ওনার রওযার ছবির সাথে
দেখে নিন.. আল্রাহ হাদীস শরীফে বলেছেন শুধু আমার রাসূল না যে সঠিকভাবে রাসূল কে মহাব্বত
করবে তার দেহ মাটি স্পর্শ করতে পারবেনা এবং মাটির জন্য তার দেহ স্পর্শ করা হারাম...সুবাহানাল্লাহ...এই
সত্য কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে সে কোরান অস্বীকার করল এবং হাদীস আস্বীকার করল আর
আল্লাহর বিধান অস্বীকার করা মানেই তো বুঝেন মোনাফেক ছাড়া আর কিছুই না...আমি আপনাদের
সামনে কিছু হাদীস পেশ করব আপনারাই এখন বিচার করবেন...হাদিসের আলোকে মহানবী (দ:) জীবিত:-
দলিল - 1-- মুসলমানদের আকিদা হচ্ছে-রাসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আলমে বরযখে নিজ কবর মুবারকে সশরীরে জীবিত আছেন। তাইতো কোনো মুসলমান দূর থেকে রাসূলুল্লাহ
(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ… করলে সেই ব্যক্তির প থেকে তা ফেরেশতার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট পৌঁছানো হয় এবং তিনি তাগ্রহণ করেন। এছাড়া কেউ রওযা মুবারকের
নিকট এসে সালাত ও সালাম পাঠকরলে তা রাসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সরাসরি
গ্রহণ করেন। এ হায়াতুন নবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আকিদা ইসলামের দলিল
দিয়ে প্রমাণিত। [তথ্যসূত্র: সহিহ মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-১৭৮/ সুনানু বাইহাকি, হাদিস:
১৫৮৩/ সুনানু দারিমি, হাদিস: ২৭ নবীগণ কবরে জীবিত হওয়ার দলীল ...
দলিল - 2
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-নবীরা
কবরে জীবিত। আর তারা সেখানে নামায পড়েন। {মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৬৮৮৮, মুসনাদে
আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫, সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ, হাদীস নং-২২} তবে সেটা
বারযাখী জীবন, যা মানুষের জ্ঞানের বাইরে। ঐ ছালাত দুনিয়াবী ছালাতের সাথে তুলনীয় নয়।
দলিল - 3
হযরত আবু দারদা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি
থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ
বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম-মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে তিনি বললেন-হ্যাঁ!,
কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন। {ইবনে
মাজাহ, হাদীস নং-১৬৩৭, ১৬৩৬, সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯, আল মুজামুল
আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯}
দলিল নং - ৪
হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) বর্ণনা করেন যে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান, কেউ আমাকে
সালাম জানালে আল্লাহ আমার রূহকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন এবং আমি তার সালামের প্রত্যুত্তর
দেই। [আবূ দাউদ শরীফ, ৪র্থ বই, হাদীস নং ২০৩৬]
ইমাম নববী (রহ:) এ হাদীস সম্পর্কে বলেন, “আবূ দাউদ (রহ:) এটি সহীহ সনদে বর্ণনা
করেছেন।” [রিয়াযুস্ সালেহীন, ১:২৫৫, হাদীস # ১৪০২] গায়রে মুকাল্লিদীন তথা লা-মযহাবী
(আহলে হাদীস/’সালাফী’) গোষ্ঠীর নেতা কাজী শওকানী এই হাদীস বর্ণনার
আগে বলে, “এটি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) ও ইমাম আবূ দাউদ (রহ:) সহীহ এবং মারফু’ সনদে হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণনা করেন।” [নায়ল আল-আওতার, ৫:১৬৪]
দলিল নং - ৫
হযরত আবূদ্ দারদা (রা:) হতে বর্ণিত; মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “শুক্রবার দিন
আমার প্রতি অগণিত সালাওয়াত পাঠ করো, কেননা তার সাক্ষ্য বহন করা হবে। ফেরেশতাকুল এর
খেদমতে উপস্থিত থাকবেন। কেউ সালাওয়াত পাঠ আরম্ভ করলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার কাছে
পেশ হতে থাকবে।” আমি (আবূদ্ দারদা) জিজ্ঞেস করলাম তাঁর বেসালপ্রাপ্তির
পরও কি তা জারি থাকবে। তিনি জবাবে বল্লেন: “আল্লাহ পাক আম্বিয়া (আ:)-এর মোবারক শরীরকে
মাটির জন্যে হারাম করে দিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের মাযার-রওযায় জীবিতাস্থায় আছেন এবং সেখানে
তাঁরা রিযক-ও পেয়ে থাকেন।”
রেফারেন্স * হযরত আবূদ্ দারদা (রা:) বর্ণিত ও তিরমিযী শরীফে লিপিবদ্ধ; হাদীস
নং ১৩৬৬ * সুনানে ইবনে মাজাহ, ১ম খণ্ড, হাদীস নং ১৬২৬ * আবূ দাউদ শরীফ, ২য় খণ্ড, হাদীস
নং ১৫২৬….পরিশেষে সবার উদ্দেশ্য একটি কথা বলতে চাই যদি ঈমানের সহিত মৃত্যু বরণ করতে
চান আর রাসূল (সা:) ওনার সাফায়াত পেতে চান তাহলে অন্তত এ বিষয়টির প্রতি পূর্ণ ঈমান
আনেন হয়তো আল্লাহ সুবাহানু তাআলা এই উছিলায় নাজাত দিতে পারেন.আর কেউ সত্যের বাণী সমুহকে
মিথ্যায় রুপান্তরিত করতে গেলে সে নিজেই ধবংস হয়ে যাবে কারণ..সত্য কেয়ামত পর্যন্ত বহাল
থাকবে আমি অধম চলে যাবো এই দুনিয়া ছেড়ে তাতে কি হবে আমার যায়গায় আল্লাহ আরেক জনকে
প্রেরণ করবেন এই সত্য প্রকাশ করার জন্য আজীবন কেউ না কেউ তা প্রকাশ করে যাবেন...আমার
এই লেখনি তখনি ম্বার্থক হবে যখন কেউ তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করবে আর সিরাতল মুস্তাকিমে
চলতে পারবে-আমি অধম সবার জন্য এই প্রার্থনা করছি সবাইকে আল্লাহ যেন রহম করেন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া
সূন্নী খানকা শরীফ
No comments:
Post a Comment