জাবির (রা) এর হাদিসে নুর বিশ্লেষণ (পর্ব ১)
ওহাবী সালাফীরা এই হাদিসটিকে জাল প্রমান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তাই শুধু
সনদ আর রেফারেন্স দিয়েই শেষ করি নি বরং উক্ত
১টা হাদিস এর প্রতি মুহাদ্দিসগনের পর্যালোচনা ব্যাক্ত করলাম কিতাবের
স্ক্রীনশট সহ যাতে বাতিলের দল কোন মিথ্যাচার করতে না পারে আর।
Researched, Written & Edited by (MASUM BILLAH SUNNY)
Hadith E Noor of Jabir (RA)
জাবির (রা) বর্নিত নুর সম্পর্কিত হাদিসটি :
↓
↓
↓
নুর সম্পর্কে হাদিসটি এভাবে বর্নিত আছে যে :-
حضرت جابر بن عبد اﷲ رضی اﷲ عنہما سے مروی ہے فرمایا کہ میں نے بارگاہِ
رسالت مآب صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم میں عرض کیا : یا رسول اﷲ! میرے ماں باپ
آپ پر قربان! مجھے بتائیں کہ اﷲ تعالیٰ نے سب سے پہلے کس چیز کو پیدا کیا؟
حضور نبی اکرم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم نے فرمایا : اے جابر! بے شک اﷲ
تعالیٰ نے تمام مخلوق (کو پیدا کرنے) سے پہلے تیرے نبی کا نور اپنے نور (کے
فیض ) سے پیدا فرمایا، یہ نور اللہ تعالیٰ کی مشیت سے جہاں اس نے چاہا سیر
کرتا رہا۔ اس وقت نہ لوح تھی نہ قلم، نہ جنت تھی نہ دوزخ، نہ (کوئی) فرشتہ
تھا نہ آسمان تھا نہ زمین، نہ سورج تھا نہ چاند، نہ جن تھے اور نہ انسان،
جب اﷲ تعالیٰ نے ارادہ فرمایا کہ مخلوق کو پیدا کرے تو اس نے اس نور کو چار
حصوں میں تقسیم کر دیا۔ پہلے حصہ سے قلم بنایا، دوسرے حصہ سے لوح اور
تیسرے حصہ سے عرش بنایا۔ پھر چوتھے حصہ کو (مزید) چار حصوں میں تقسیم کیا
تو پہلے حصہ سے عرش اٹھانے والے فرشتے بنائے اور دوسرے حصہ سے کرسی اور
تیسرے حصہ سے باقی فرشتے پیدا کئے۔ پھر چوتھے حصہ کو مزید چار حصوں میں
تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے آسمان بنائے، دوسرے حصہ سے زمین اور تیسرے حصہ سے
جنت اور دوزخ بنائی۔ ۔ ۔ یہ طویل حدیث ہے۔
অর্থ : হযরত জাবির (রা:) আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم !!
আমার পিতা-মাতা আপনার কদম মোবারক এ কোরবানি হোক,
আপনি বলে দিন যে আল্লাহ্ পাক সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেছেন?
রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বললেন”
হে জাবের, নিশ্চই আল্লাহ্ তা'য়ালা সর্ব প্রথম স্বীয় (নিজ) নূর হতে তোমার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন !!”
তারপর সেই নূর আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায় ভ্রমণ রত ছিল। কেননা ঐ সময়
লাওহ-কলম , জান্নাত – জাহান্নাম
ফেরেশতা , আসমান- জমিন কিছুই ছিল না ।
তারপর আল্লাহ্ মাখলক সৃষ্টি করার ইচ্ছা করলেন..
তখন এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন..
প্রথম ভাগ দিয়ে কলম;
দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ;
তৃতীয় ভাগ দিয়ে আরশ এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে
বাকি সবকিছু সৃষ্টি করলেন....।
Translation : It is narrated by Imam Abdur Razaq from Mua'mar, from Ibn
al-Mankadr, from Jabir ibn `Abd Allah said to the Prophet (Peace Be Upon
Him) : "O Messenger of Allah (Peace Be Upon Him), may my father and
mother be sacrificed for you, tell me of the first thing Allah created
before all things." He (Peace Be Upon Him) said: "O Jabir, the first
thing Allah created was the light of your Prophet from His light, and
that light remained (lit. "turned") in the midst of His Power for as
long as He wished, and there was not, at that time, a Tablet or a Pen or
a Paradise or a Fire or an angel or a heaven or an earth. And when
Allah wished to create creation, he divided that Light into four parts
and from the first made the Pen, from the second the Tablet, from the
third the Throne, [and from the fourth everything else]......."
SANAD, EVIDANCE, ENQUIRY & RESEARCH ABOUT THIS HADITH IN DETAILS :
১ম সুত্র :
Chain of this hadtih :
হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
↓
জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
↓
মুহাম্মাদ বিন মুনকাদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
মা’মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।
Note : জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্নিত সনদটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ওনার (জান্নাতুল খুলদ) নামক কিতাবে বর্ননা করেছেন।
২য় সুত্র : উক্ত হাদিস খানা শাব্দিক পরিবর্তন সহ ""উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) " থেকেও বর্নিত আছে ।
আব্দুল মালেক যিয়াদাতুল্লাহ (রহ) ওনার (ফাওয়াইদ) কিতাবে বর্ননা করেছেন।
References with scan copy & pictures thats enough to prove both of 2
that -- the existence & validation-- of this Hadith in MUSANNAF
E ABDUR RAZZAQ :
↓
স্ক্যান কপি সহ কিতাবের ছবি সহ রেফারেন্স সহ দেয়া হল হল যা দ্বারা এই
হাদিসটি মুসান্নাফ কিতাবে ছিল, আছে, থাকবে এবং গ্রহনযোগ্যতা ২টাই প্রমান
করার জন্য যথেষ্ট :
►Musannaf Abdur Razaq, al-Juz al-Mafqud min al-Juz al-Awwal min al-Musannaf Abdur Razaq, Page No. 99, Hadith Number 18
►Qastalani in Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 71,
►Zurqani in Sharah Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 89-91,
►Ajluni in Kashf al-Khafa (وقال : رواه عبد الرزاق بسنده عن جابر بن عبد
اﷲ رضي اﷲ عنهما) Volume 001, Page No. 311, Hadith Number 827,
Imam 'Ajluni nain farmaya:
"Yeh Abdur Razzaq ki rawyat hay jisy unhoun nain apni Sanad say rawayat kiya hay."
ইমাম আজলুনী (রহ) বলেন, " এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি নিজ সনদে তা বর্ননা করেছেন "
►Halabi in his Sirah Volume 001, Page No. 50,
►Ashraf Ali Thanvi in Nashar ut-Tib Volume 001, Page No. 13
From : 'Iydarusi
Book : Tarekh An Nur as Saafir
Volume : 1
Page : 8
Imam 'Iydarusi nain farmaya:
"Yeh Abdur Razzaq ki rawyat hay jisy unhoun nain apni Sanad say rawayat kiya hay."
ইমাম ইয়দারুসি (রহ) বলেন," এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি স্বয়ং নিজ সনদে বর্ননা করেছেন "
From : Muhaddith 'Abdur Haq Dihlavi
Book : Madarij al-Nubuwwa
He declared this Hadeeth Sound and Authentic
মুহাদ্দিসে আব্দুল হক দেহলভী (রহ) বলেন, " এই হাদিসটি সহিহ এবং এর ভিত্তি আছে "
[Madarij al Nabuwah, Volume No.2, Page No. 2 (Persian edition), Volume
No.2, Page # 13 (Urdu Edition), Published by Shabbir Brothers, Urdu,
Bazaar Lahore.]
From : Ahmad al-Shami Son of Ibn e `Abidin
Book : commentary on Ibn Hajar al-Haytami's poem al-Ni`mat al-kubra `ala al-`alamin
From : Imam Nabhani
Book : Jawahir Al Bihar
Volume : 3
Page : 354
From : Yosuf Nabhani
Book : Anuwarul Muhammadia "Sarhe Mawahib al ladunnia"
এই হাদিসটি আরো বিভিন্ন কিতাবে বর্নিত আছে:-
♦দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
♦যুরকানী ১/৪৬
♦রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
♦মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
♦ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
♦আন-নিআমাতুল কুবরা ২ পৃ
♦হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
♦দাইলামী শরীফ ২/১৯১
♦মাকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং
♦মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
♦ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
♦নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
♦আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
♦আফদ্বালুল ক্বোরা
♦তারীখুল খমীস ১/২০
♦নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
♦দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
♦কাশফুল খফা ১/৩১১
♦তারিখ আননূর ১/৮
♦আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
♦আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
♦তাওয়ারীখে মুহম্মদ
♦আনফাসে রহীমিয়া
♦মা’ য়ারিফে মুহম্মদী
♦মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
♦আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
♦শিহাবুছ ছাকিব ৫০
♦মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
♦রেসালায়ে নূর ২ পৃ
♦হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
♦দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩
_________________________________________________
↓
↓
Validation and the History of the Juz Al Mafqood, Musannaf Abdur Razzaq [126-211 hijri] :
জায আল মাফকুদ, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর বৈধ্যতা ও ইতিহাস :
When the Musannaf Abdur Razzaq was first published it was incomplete according to its preface as shown in the picture below:
যখন " মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক " প্রথম প্রকাশিত হয় সেটা ছিল অসম্পুর্ন তা নিচের উক্ত প্রথম প্রকাশিত কিতাবের ভাষ্য থেকে দেখুন :-
Translation :
This copy that we found was copied or written and we adopted this copy
to use, all this copy is not complete. So to tell the people that this
copy is not complete we left one empty paper and we wish that the
Islamic Scholars will help us to fill this part.
অর্থ : এই কপি যেটা আমরা লিখিত (বা কপি করা) পেয়েছিলাম আমরা এটা ব্যবহারের
জন্য গৃহীত করেছিলাম, এটার পরো কপিটা সম্পুর্ন নেই। তাই সর্বসাধারনকে
জানানো যাচ্ছে যে, এই কপি টা অসম্পুর্ন এবং আমরা একটা খালি পৃষ্টা রেখে
দিলাম আমরা আশা রাখছি কোন ইসলামিক পন্ডিত বা বিশেষজ্ঞ আমাদের এই অংশটা
পুর্ন করতে সাহায্য করবে।
The Missing Chapter of Musnnaf (মুসান্নাফ কিতাবের হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়)
After detailed search around the world, this chapter was finally found in a library situated in Turkey.
সারা বিশ্বে অত্যন্ত খুঁজাখুঁজির পর এই হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়টা শেষে তুর্কিস্থানের এক লাইব্রেরীতে সন্ধান মিলে।
The following shows the original text:
এর আসল ইবারত গুলো দেখুন :-
Complete Hadith e Nur in Arabic :
Reference & The Proof of existence of this Hadith with pictures :-
এই হাদিসটি মুসান্নাফ কিতাবে রয়েছে বিভিন্ন কিতাবের ছবি সহ তার প্রমান :-
Many of the greatest scholars have mentioned this hadith in their books
and have directed its origins towards Abdur Razzaq, which is enough to
prove the validity and existence of this hadeeth.
ইসলামের উচ্চতর পর্যায়ের অনেক পন্ডিতগন এই হাদিস তাদের কিতাবে উল্লেখ্য
করেছেন এবং মুল সুত্র ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) থেকে বলে উল্লেখ্য করেছেন।
যা এই হাদিসের অস্তিত্ব প্রমান করাররার জন্য যথেষ্ট।
★ Allama Alusi in Tafsire Ruhul Ma'ani :-
↓
↓
Allama Alusi (rah) also said:
.........(shorten) report that "The first thing Allah created was the light of your Prophet, O Jabir,"!
★ ★ ইমাম বায়হাকী [Born : 384 AH/994 CE
Died : 458 AH/1066 CE]
তিনি উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন
বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম
বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয় – ” ইমাম বায়হাক্কী
রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয় যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের
অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব উপকৃত হয়েছে এবং
হাফিজে হাদীস এমন সাত ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট
বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
।”
রেফারেন্স :
আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।
★ এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম, আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে বর্ননা করেন–
ان الله تعالي خلق قبل الاشياء نور نبيك
“….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর “নূর” মুবারক সৃষ্টি করেন।”
রেফারেন্স :
দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩ পৃষ্ঠা।
উক্ত হাদিস সম্পর্কে সমর্থনকারী Islamic Scholars দের বিবৃতি দ্বারা উপরোক্ত সনদ এবং হাদিসের মান নির্নয় করি :-
★ শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (রহ) [পিরে পিরানী,মিরে মিরানী, গাউসে
সামাদানী, মাহবুবে সুবহানী, গাউসুল আযম দস্তগীর (রহ), [ 470 AH/1078
CE-- 561 AH/1166 CE ]
→→ তিনি তার বিখ্যাত [Sirr al-asrar fi ma yahtaju ilayh al-abrar (p.
12-14 of the Lahore edition)] কিতাবে বলেন, আমি (রাসুল) আল্লাহর নুর থেকে
সৃষ্ট আর আমার নুর থেকে সমস্ত বিশ্বাসীগন (ও সমস্ত কিছু) সৃষ্ট।
↓
↓
→→ তিনি তার লিখিত অপর এক কিতাবে বলেন,
রাসুল (সা) এর নুর থেকে আল্লাহর আরশ সৃষ্টি এবং এমন আরো কিছু (যা হাদিসে প্রথম) সৃষ্টি যেমন কলম, বুদ্ধিমত্তা।
[The Secret of Secrets (Cambridge: Islamic Texts Society, 1994)]
★ হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ) : [1058–1111 CE]
মুসান্নাফ কিতাব থেকে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াতকৃত এই হাদিসটি
বর্ননা করায় প্রমান হয়ে গেল যে এটি জাল হাদিস নয় বরং গ্রহনযোগ্য হাদিস
এবং মুসান্নাফ কিতাবে এটি রয়েছে। এজন্য তিনি নুরে মোহাম্মাদী
(দ) এর সৃষ্টির রহস্য এই হাদিস দ্বারা বর্ননা করেছেন।
↓
↓
★ ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (রহ) [1149 - 1209 CE]
লেখক : বিখ্যাত মুফাসসির ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (রহ)
কিতাব : স্বীয় কিতাব "দাখায়েকুল হাকায়েক" এ
ইমাম আব্দুর রাজ্জাক থেকে বর্নিত নূর সম্পর্কে উপরের হাদিসটি বর্ননা করেন যা মুসান্নাফ কিতাবের একই অধ্যায়ে বিদ্যমান।
↓
↓
ভন্ড ওহাবীদের কথায় যদি হাদিসে জাবির (রা) জাল হয় এটাও জাল হবে কারন একই
অধ্যায়ে এই হাদিস গুলো আছে। তাহলে কি ইমাম গাজ্জালি (রহ) জাল হাদিস
বর্ননাকারী? ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (রহ) জাল হাদিস বর্ননাকারী?
(নাউযুবিল্লাহ)
_________________________________________________
★ ইবনে আল-হাজ্ব আল-আবদারী ( ইমাম মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ, ওফাত ৭৩৬ হি) : নুর সম্পর্কে :
স্ক্যান কপি :
↓
↓
Imam Abu Abdullah Ibn al-Haaj al-Maliki (D. 736) writes:
"The first thing Allah created is the light (Nur) of Muhammad (Peace Be
Upon Him), and that light came and prostrated before Allah. Allah
divided it into four parts and created from the first part the Throne,
from the second the Pen, from the third the Tablet, and then similarly
He subdivided the fourth part into parts and created the rest of
creation. Therefore the light of the Throne is from the light of
Muhammad, the light of the Pen is from the light of Muhammad (Peace Be
Upon Him), the light of the Tablet is from the light of Muhammad, the
light of day, the light of knowledge, the light of the sun and the moon,
and the light of vision and sight are all from the light of Muhammad
(Peace Be Upon Him).
" সর্বপ্রথম আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর মুবারক সৃষ্টি করেছেন এবং
উক্ত নুর এসে আল্লাহর সামনে সিজদায় রত ছিল। আল্লাহ পাক একে ৪ ভাগ করলেন ১ম
ভাগ দিয়ে আরশ, ২য় ভাগ দিয়ে কলম & from the third the Tablet এবং
অত:পর সেই ৪ ভাগকে পুনরায় ভাগ (Subdivision) করলেন আর তা দিয়ে বাকি
সমস্তকিছু সৃষ্টি করলেন।"
রেফারেন্স :
★ ইবনে আল হাজ্ব [Al-Madkhal, Volume 002, Page No. 32-3] কিতাবে বর্ননা করেছেন →
★ [al-Khatib Abu al-Rabi` Muhammad ibn al-Layth's book Shifa' al-sudur] কিতাব থেকে
_________________________________________________
★ইমাম আব্দুল করিম যিলি (জন্ম ৭৬৬ হি.) ওনার [Namus al-a`zam wa al-qamus
al-aqdam fi ma`rifat qadar al-bani] কিতাবে দলিলস্বরুপ (evidence হিসেবে)
বর্ননা করেছেন।
★ ইমাম নাবহানী (ইউসুফ বিন ইসমাইল) একে দলিলস্বরুপ (evidence হিসেবে) বর্ননা করেছেন ৩টি কিতাবে ,
1
From : Nabhani
Book : Jawahir Al Bihar
Volume : 3
Page : 354
or,
[Jawahir al-bihar (p. 1125 or 4:220 of the Baba edition in Cairo)]
Download link in English :
http://pdf9.com/downloading-jawahir-ul-bihar-4-id-10941.html
2
From : Nabhani
Book : Anuwarul Muhammadia "Sarhe Mawahib al ladinnia"
মওলানা ইউসূফ নাবহানী (রহ:)-এর ‘আল-আনওয়ারুল মোহাম্মদীয়া শরহে মাওয়াহিব
আল-লাদুন্নিয়্যা ৯ /১৩ পৃষ্ঠা আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর সনদে।
Download in arabic (may differ in page no :-
http://www.hakikatkitabevi.net/book.php?bookCode=144
3
From : Nabhani
Book : Hujjat Allah `ala al-`alamin (p. 28)
_________________________________________________
★ ইমাম নিশাবুরি (নিজামউদ্দিন ইবনে হাসান, ওফাত ৭২৮ হি:) দলিলস্বরুপ (evidence হিসেবে) গ্রহন করেছেন, "
[সুরা জুমার (৩৯.১২) ‘ আমাকে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আমি প্রথম
মুসলিম হই।’] এই আয়াতের তফসীরে [Ghara'ib al-Qur'an (8:66 of the Baba
edition in Cairo).]
★ ইমাম ইউসুফ আল-সাইয়্যিদ হাসিম (রিফাই) বলেন যে এটা ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) বর্ননা করেছেন এবং এটা দলিল স্বরুপ।
Adillat ahl al-sunna wa al-jama`a al-musamma al-radd al-muhkam al-mani` (p. 22)
★ মুহাদ্দীস আব্দুল হক দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদিসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।
From : Muhaddith 'Abdur Haq Dihlavi
Book : Madarij al-Nubuwwa
★ ইমাম কুস্তালানী (রহ) (আহম্মদ ইবনে মুহাম্মদ, ওফাত ৯২৩ হি) বলেন, " এ
ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) এর রেওয়াত যিনি নিজ সনদে হযরত জাবির (রা) থেকে
বর্ননা করেছেন "
From : Qustalani
Book : Mawahib Al Laduniyah
Volume : 1
Page : 71
★ ইমাম কুস্তালানী তিনি তার বিখ্যাত [al-Mawahib al-laduniyya (1:55 of the
edition accompanied by Zarqani's commentary)] কিতাবে দলিল হিসেবে বর্ননা
করেছেন।
★ ইমাম যুরকানি (রহ) তার (শরহে মাওয়াহিব 1:56 of the Matba`a al-`amira
edition in Cairo) কিতাবে এই হাদিসটি বর্ননা করেছেন এবং এটা ইমাম আব্দুর
রাজ্জাক (রহ) এর থেকে বর্ননা বলে তার বিখ্যাত " মুসান্নাফ " কিতাবে রয়েছে
বলে উল্ল্যেখ করেছেন।
_________________________________________________
★ আ'লা হযরত আহমদ রেজা খান বেরলবী (রহ) -
হিজরি চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ জ্ঞানের enchyclopedia আ'লা হযরত আহমদ
রেজা খান বেরলবী (রহ) - উক্ত হাদিসে জাবির (রা) কে দলিল হিসেবে গ্রহন করে
বর্ননা করেছেন ওনার বিভিন্ন কিতাবে :
লেখক : আ'লা হযরত (রহ)
কিতাব :
১) হাদায়েকে বকশিস
২) নুরুল মোস্তফা
৩) সালাতুস সফা
৪) ফেরেশতা সৃষ্টির ইতিবৃত্তি
↓
↓
কিতাবের ছবি -
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
★★★ ওহাবী নেতারা যারা যারা এই হাদিসে নুরকে দলিল হিসেবে গ্রহন করেছেন :-
★ ASRAF ALI THANVI [আশরাফ আলী থানভী (ওহাবী নেতা) ] :
(i) আশরাফ আলী থানভী তার কিতাবে লিখেছেনঃ
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে যাবির (রাঃ)! মহান
আল্লাহ পাক সবকিছু সৃষ্টির করার পূর্বে আপনার রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারাক সৃষ্টি করেছেন।
(নাসরুত্তিব ৫)
(ii) আশরাফ আলী থানভী আরও লিখেছেনঃ
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আদম (আঃ) কে সৃষ্টি
করার ১৪ হাজার বছর পূর্বে আমি আমার রবের নিকট নূর হিসেবে ছিলাম।
(নাসরুত্তিব ৬)
(iii) আশরাফ আলী থানভী তার কিতাবে লিখেছেনঃ
একথা প্রসিদ্ধ যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন ছায়া
ছিলনা। কেননা তাঁর শরীর মোবারাক ছিল আপাদমস্তক নূর, তথা নূরে মোজাস্সাম।
(শুকুরুন নিয়ামাহ ৩৯)
(iv) আশরাফ আলী থানভী আরও লিখেছেনঃ
হুজূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই নূর এবং কোরআন শরীফ নামক
নূরেরও তিনি অধিকারী। তাহলে উভয় নূর মিলে কেন নূরুন নূর হবেন না ?
(সালসুজ সুদুর ৮৩)
তিনি তার বিখ্যাত কিতাব [Nashr al-tib (in Urdu, p. 6 and 215 of the
Lahore edition) ] এ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে
""দলিল (evidence) হিসেবে "" বর্ননা করেছেন এবং তিনি এর উপর বিশ্বাস রাখেন
[Relies upon it]
নুশরাত্বীব কিতাবের স্ক্রীনশট :
↓
↓
এটি মূল কিতাবের ছবি।
দেওবন্দী আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী তার “নশরুত্তীব ফি যিকরিন্নাবিয়্যিল হািবব” কিতাবের ২৫ পৃষ্ঠায় কি লিখেছেন দেখুন।
২. হযরত জাবের (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি নবিজীর কাছে জানতে চাইলেন সর্বপ্রথম
আল্লাহ কোন বস্তু সৃজন করেছেন। নবিজী বললেন হে জাবের ! সবার আগে যা সৃজন
সেটা তোমার নবিজির নুর।…….হাদিসটি দীর্ঘ উপরে দ্রাষ্টব্য ↑ ।( মুসান্নাফে
আব্দুর রাজ্জাক)
৩.আশরাফ আলী থানবী এ কিতাবের ২৬ পৃষ্ঠায় সে আরেটি হাদিস বর্ণনা করেছেন তা হলো।
হযরত আলী (রা.) বলেন, নবিজি বলেছেন, আমি আদম (আ.) এর সৃজন হওয়ার ১৪ হাজার
বছর পূর্বে আল্লাহর দরবারে নূর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম।(আহকাম ইবনে কাত্তান)
অথচ তার অনুসারীরা নবিজিকে নূর বললেই কাফের ফাত্ওয়া দিতে শুরু করে। তাই
আমরা বলবো যে এখন তোমাদের ফাত্ওয়ায় তোমাদের মুরুব্বি আশরাফ আলী থানবী কি
হন? মুসলমান নাকি কাফের?
SEE CLEARLY :
বাংলা অনুবাদ কৃত বই এর স্ক্রীনশট :
But Regret that They Also fabricated in Nashr ut Teeb: Some EXAMPLE :
Fabrication 1
Ashraf Ali Thanvee writes in the introduction to Nashr ut Teeb:
“It is written in the introduction to the book hisn e hassen that the
author of Burdah was struck with paralysis .When all medical help became
useless, then he wrote this burdah for blessings (barakah). He was
blessed to see( vision of ) prophet( sal allahu alayhi wa sallam).The
prophet ( sal allahu alayhi wa sallam) moved his hand ( over the body)
and he was immediately cured.” [Nashr ut Teeb, page 2]
It is seen that this incidence has been mentioned by Allamah Muhammed
bin Muhammed Al-Jazri Al-Shafi'ee ( died 833 AH) in his book Hisn e
Haseen and it clearly proves that prophet is dafi’ al-bala’I wal-
waba’I wal-qahti wal- maradi wal –alam [One who repels calamities,
epidemics, droughts, ailments and anxieties].
The deobandi scholar Rasheed Gangohi said that Darud Taj should not be
recited as it is shirk because it contains this line “ dafi’ al-bala’I
wal- waba’I wal-qahti wal- maradi wal –alam”.
^This was refuted by many scholars of Ahlus sunnah.
Whenever a sunni lay man had debate with deobandi scholars ,on Prophet
being called dafi’ al-bala’I wal- waba’I , this evidence was presented
to the deobandi scholars , reminding them that this has been mentioned
in the book written by their own cult leader (akabir/elder)
Deobandis were always in an awkward situation to face this evidence.
So in this latest edition of Nashr ut Teeb, the foreword has been removed because it mentioned this incidence.
Fabrication 2
In chapter 21, Ashraf ali Thanvi has written a poem in Arabic and he himself provided the Urdu translation of this poem:
The ^poem begins with:
“dastigiree kijiye meray nabee , Kashma kash mein tum hee ho meray nabi”
[Nash ut Teeb, chapter 21 , page 194]
(Help me O Nabi !, in times of difficulty you are the one to help me )
The poem is lengthy and shows istighatha practiced by Ashraf ali Thanvi.
This was one of the evidence presented by the sunni layman to deobandi scholars showing the permissibility of istighataha!
Since istighataha is shirk as per other deobandis and they would not
like to call their leader as Mushrik , they have deleted this complete
poem from the New Edition!
A List of some prove of Their Fabrication :
-- Kissing thumbs during Adhan (http://www.islamieducation.com/en/refutation/kissing-thumbs-deobandi-fabrication.html)
--Fabrication in Fazaile Amal (Their own book)
(http://www.falaah.co.uk/books/fabrications/140-deobandi-fabrication-in-fazaile-amal)
-- Fabrication in Al Qawl al Badi (http://salafiaqeedah.blogspot.co.uk/2012/05/deobandi-fabrication-of-al-qawl-al-badi.html)
-- Fabrication in Madarajun Nabuwa (http://salafiaqeedah.blogspot.com/2012/05/deobandi-fabrication-in-madarajun.html)t
-- Fabrication in Nashr ut Taib (Their own book)
(http://salafiaqeedah.blogspot.co.uk/2012/05/deobandi-fabrication-in-nashr-ut-teeb.html)
-- Fabrication in Sunan e Nisai (http://www.islamieducation.com/en/refutation/wahabi-fabrication-in-sunan-nasai.html)
-- Fabrication in Tafseer e Sawi (http://www.islamieducation.com/en/refutation/wahabi-fabrication-in-tafsir-sawi.html)
-- Fabrication in Ghanya ut Talibeen
(http://www.islamieducation.com/en/refutation/ghinya-al-talibeen-and-wahabi-fabrication.html)
-- Fabrication in Taqwiya tul Eeman (Their own book) (http://www.islamieducation.com/en/refutation/biggest-fabrication.html)
-- Fabrication in Sharah as Shifa
(http://www.falaah.co.uk/books/fabrications/188-deobandi-fabrication-in-sharah-al-shifa-mulla-ali-al-qari)
_________________________________________________
★ ইসমাইল দেহলভী (ওহাবীনেতা মৃত্যু ১২৪৬ হি) তার [Yek rawzah (p. 11 of the
Maltan edition)] কিতাবে বলেন : "[জাবির (রা) এর হাদিসে নুর দ্বারা]
আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার (রাসুলুল্লাহ সা. এর) নুর মোবারক সৃষ্টি করেছেন।"
★ উমর ইবনে আহমদ [ওফাত ১২৯৯ হি] তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ [Sharh qasidat
al-burda (p. 73 of the Karachi edition) ] এর মধ্যে দলিল হিসেবে বর্ননা
করেছেন।
_________________________________________________
★ ওহাবীদের নেতা রশিদ আহমদ গাংগুহী :-
(i) রশীদ আহমেদ গাংগুহী লিখেছেনঃ
একারণে মহান আল্লাহ পাক তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
শানে এরশাদ করেন- তোমাদের নিকট আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে এসেছে একখানা নূর।
উক্ত আয়াতে বর্ণিত নূর হচ্ছেন হুজূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
(এমদাদুস সুলুক ৮৫)
(ii) রশিদ আহমেদ গাংগুহী আরও লিখেছেনঃ
একথা মুতাওয়াতির বর্ণণা থেকে প্রমাণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারাকের কোন ছায়া ছিলনা। প্রকাশ থাকে যে নূরের দেহ
ছাড়া বাকি সকল দেহের ছায়া রয়েছে।
(এমদাদুস সুলুক ৮৬)
(iii) রশিদ আহমদ গাংগুহী তার [ Fatawa rashidiyya (p. 157 of the Karachi edition) ] এ বলেন,
সিহাহ সিত্তার হাদিসের সংকলনে এই হাদিসটি নেই কিন্তু
"" মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ) একে শুধু বর্ননাই করেন নি বরং একে সহীহ হিসেবে বলেছেন এবং বলেছেন এর ভিত্তি আছে ।"" (উপরে ওনার ভাষ্য দেয়া আছে)।
স্ক্যনকপি : নুর সম্পর্কে আরো বর্ননা দেখুন :-
↓
↓
বর্তমান চলমান দেওবন্দীরা রাসূল (দ.) কে আমরা নুরের সৃষ্টি বললেই বিরুধিতা করেণ সবসময়।
১. প্রথম ছবিটি দেখুন এ কিতাবের নাম """এমদাদুস সুলুক"""। যার প্রথম পৃষ্ঠার ছবি আপনাদেরকে দেখালাম।
এটি লিখেছেন দেওবন্দীর কুতুবুল আকতাব হাজী মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী।
যিনি বাংলাদেশের চরমোনাই এর গুরু উজানীর কারী ইব্রাহিমেরও গুরু বা পীর
ছিলেন।
২. দ্বিতীয় ছবিটিততে সুরা মায়েদার ১৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তিনি স্বীকার
করলেন এ নুর দ্বারা রাসূল (দ.) এর নূরানি সত্ত্বা কে বুঝিনো হয়েছে।
৩.তৃতীয় ছবিটি তে ১১৫ নং পৃষ্ঠায় নবিজির ছায়া ছিল না গাঙ্গুহী লিখলেন,
শুধু তাই নয় বরং আরোও বলেছেন নুর ছাড়া সব কিছুরই ছায়া থাকে।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! বন্ধুরা আমরা দেওবন্দীদেরকে বলতে চাই আমরা নবিকে নূর
বললেই যদি কাফির হয়ে যাই তাহলে আপনাদের গুরু রশিদ আহম্মক কী হবেন? আপনারাই
বলুন
_________________________________________________
★ ওহাবীনেতা আব্দুল হাই লাখনভী (মৃত্যু ১৩০৪) :
(i) আব্দুল হাই লাখনভী তার [ al-Athar al-marfu`a fi al-akhbar al-mawdu`a (p. 33-34 of the Lahore edition) ] বলেন :
"মুহাম্মদ (সা) এর নুর সম্পর্কিত হাদিসটি (al-nur al-muhammadi)
প্রাথমিকভাবে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (রহ) এর বর্নিত হাদিসের
মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যা যথার্থভাবে সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর উপরে (রাসুলুল্লাহ
সা. এর নুরকে) নির্দিষ্টভাবে অগ্রাধিকার দেয়।
(ii) আব্দুল হাই লাখনাভী লিখেছেনঃ
হুজূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শরীর মোবারাকের কোন ছায়া ছিল না, কারণ তিনি ছিলেন নূর।
(তালিকুল আযিব লি হাল্লি হাসিয়াতুল যালালি মানতিকিত তাহাযিল)
★ ইশান ইলাহি জহির (ওহাবী নেতা) , তার কিতাব [Hadiyyat al-mahdi (p. 56 of
the Sialkut edition)] এ বলেছেন, আল্লাহ তার সৃষ্টির সুচনা করেছিলেন নুরে
মুহাম্মাদী সা. (al-nur al-muhammadi) দ্বারা তারপর তিনি পানির উপর আরশ
সৃষ্টি করেন। মুহাম্মাদ (সা) এর নুর সমস্ত সৃষ্টির প্রাথমিক উপাদান যার
থেকে হাদিসে (এটাও) এসেছে যে প্রথম সৃষ্ট বস্তু হল কলম।
★ হোসাইন আহমেদ মাদানী লিখেছেনঃ
সমস্ত কায়নাত নূরে মোহাম্মাদ থেকে সৃষ্ট। যদি আপনি না হতেন তাহলে আমি আসমান-যমীন সৃষ্টি করতাম না। আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারাক সৃষ্টি করেছেন এই সমস্ত হাদীস সমূহের এটাই অর্থ।
(সিহাবুস সাকিব ৫০)
★ বাংলাদেশের দেওবন্দী আজিজুল হক বুখারী শরীফের অনুবাদে সিরাত সংখ্যা ৫/৩ এ লিখেছেঃ
সমস্ত সৃষ্টির পূর্বে নবীজীর নূর মোবারাক সৃষ্টি হয়েছে।
★ ইউসুফ লুদায়ান্নাবী লিখেছেনঃ হুজুর
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারাক সবকিছুর পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছে।
(আপকা মাসায়েল অর উনকা হাল ৩/৮৩)
_______________________________________________
No comments:
Post a Comment