আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম
দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব
শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা
হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার
মূর্শীদ কেবলা দয়াল
মোখলেছ সাই কে অন্তরে রেখে
(প্রসঙ্গ তাজীমী সেজদাহ)
সেজদাহ কি..."সেজদা "শব্দটির অর্থ হলো--মাথা নত করা
,ইবাদাতের জন্য কপাল
ও নাককে মাটিতে রাখা ,কাকুতি মিনতি
সহকারে মাথা নত করা। তাছাড়া সেজদা
শব্দের অর্থ আনুগত্য স্বীকার করা ,নম্রতা ও বশ্যতা স্বীকার করা ,আত্মসমর্পণ করা ইত্যাদি বুঝায়।
সেজদাহ কত প্রকার...সেজদা
২ প্রকার প্রথমত ইবাদতের জন্য সেজদা
যা একমাত্র খোদার জন্য করা হয় আর দ্বিতীয়ত আল্লাহর প্রিয়
খাশ বান্দাদের সম্মানে করা হয় যাকে তাজীমী সেজদা বলা হয় (রহিত আছে)
এখন কথা হলো আল্লাহর রাসূল (সা:) তো শরীয়ত বাদ দিয়ে
মারেফত করেন নাই কারণ মাংস ছাড়া
হাড্ডির যেমন মূল্য
নেই তেমনী হাড্ডি ছাড়া মাংসের মূল্য
নেই..আজকাল অনেক
পীরের দরবার গুলোতে দেখি সেজদা করতে
আসলে সেই সেজদা
শরীয়ত পরীপন্থি শরীয়তে সেটা যায়েয না তবুও অনেকেই সেজদা
করে থাকেন আবার
অনেকেই এটার পক্ষে
অনেক দলিল ও দার করান সেখান
থেকে আমি একটি
দলিল নিয়ে আলোচনা করব--সূরা আল বাক্বারাহ:34 - এবং যখন আমি হযরত আদম
(আঃ)-কে সেজদা
করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই
ইবলীস ব্যতীত সবাই
সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে
অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। এই আয়াতটি দিয়ে
অনেকেই তাজীমী সেজদা
করার পক্ষে দলিল
পেশ করেন আবার
বলেন যদি সেজদাহ না করি তাহলে
তো শয়তানের অর্ন্তভুক্ত হয়ে গেলাম তাদের
কথা ঠিক আছে কিন্তু আদম (আ:) কে কেন আল্লাহ সেজদা করতে ফেরেশতাদের নির্দেশ করেছেন সেটা
কি অনেকেই জানেন
আমরা অনেকই জানি
না বা জানতে
চেষ্ঠা ও করি না আসূণ আগে জেনে নেই কেন আদম (আ:) কে ফেরেশতা গণ সেজদা
করেছিলেন আদম (আ:) ওনার মাঝে আমার
নবী মুহম্মদ (সা:)ওনি নূর হিসেবে সেখানে
বিদ্যমান ছিলেন আর সেই নূরে মুহাম্মাদীর জন্য আল্লাহ সুবাহানু তাআলা সকল ফেরেশতাদের আদেশ করেছিলেন সেজদা বা তাজীমা সেজদা করার
জন্য অন্য কোন
উদ্দেশ্য নয় (মাদরেযুন নবুয়্যাত) আশাকরি পাঠকগণ বুঝতে পেরেছেন আদম
(আ:) কে কেন সেজদা করা হয়েছিল তবে তা এখন শরীয়তে নিষিদ্ধ এখন যারা এই আয়াতটি দলিল হিসেবে তাজীমী সেজদার পক্ষে নিতে
চান তাদেরকে আমি বলব আমার ব্যক্তিগত মনোভাব থেকে আপনারা যে পীরের কাছে
বায়াত হয়েচেন বা শিক্ষা নিয়েচেন তার সূরত কী আপনার
সামনে সবসময় দেখতে
পান
বা নিজের সূরত
নিজেই
কি দেখতে পান যদি পীরের সূরত এবং নিজের সূরত যখন খুশি দেকতে পান নিজের মধ্যে ঠিক তখনি আপনার জন্য
সেটা সটিক হবে বলে মনে করি আর যদি পীরের
সূরত ও নিজের
সূরত কোনটাই নিজের
মধ্যে দেখেত পান না তাহলে সেটা
গুনাহ বা আপনার
জন্য যায়েয নয় আশাকরি পাঠকগণ বুঝতে
পেরেছেন আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি..এখন যারা খাটি ওলি/পীর আছেন তাদের মাধ্যমে
যদি আপনি আল্লাহ রাসূল কে দেখতে পান তাহলে সেটা প্রকৃত পক্ষে আল্লাহকেই সেজদা করা হবে
এরকম কামেলে মোকাম্মেল ওলী পেলে আপনি তার চরণ ধুলি মাথায় নিতে পারেন এতে কোন সমস্যা
নেই কিন্তু বর্তমানে এরকম ওলী খুব কমই আছে বলে আমার মনে হয় আর যারা আছেন তারা বর্থমান
পীরদের মত ব্যবসা নিয়ে বসে নাই তারা আল্লাহ রাসূলের প্রেমে পাগল হয়ে এদিক ওদিক ছুটে
বেড়াচ্ছে তাই ওই সকল ভন্ড পীরদের থেকে সাবধান হউন।আর আমার জানামতে কোন ওলি বা পীর
তারা কোনদিনই বলেনি যে মুরীদগণ আমাকে তোমরা সেজদা করো এরকম নযির পৃথিবীতে নেই বললেই
চলে আর যারা সঠিক লোকদের এই দোষারোপ করেন সেটার পাপের শাস্তি আপনাদের বহন করতে হবে
অন্যকে নয় কারন সেটা আপনারই একটা পাপের ফসল।তাই যারা তরীকতপন্থী তাদের সবাইকে আমি অনুরোধ
করে বলব হুট করেই সেজদা পরে যাবেন না যদি ওনাকে না দেখতে পান নিজের মধ্যে সেই যোগ্যতা
যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে তাকে কদমবুচি করেন তাতে কোন সমস্যা নেই বরং তা সুন্নাতের
অর্ন্তভুক্ত তাই আবার ও অনুরোধ করছি পীর যদি আপনাকে মুরীদ বলে সীকৃতী দেয় তাহলেই কেবল
সেটা সম্ভব না হলে বিয়ে না করে যে কাজ করা হয় সেটা যেমন গুনাহ ও অবৈধ পক্ষান্তরে শরীয়ত
মতে বিয়ে করে বর বধু সেজে সে কাজটি করা হয় সেটি যেমন যায়েয এবং সওয়াবের অর্ন্তভুক্ত
হবেন আশা করি..পরিশেষে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যদি আমার ভুল ত্রুটি হয় মাফ করবেন
কারণ আমি শত শত ভুল করি কারণ ভুল করিই বলে অধম পাপি-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা
শরীফ
No comments:
Post a Comment