Wednesday, September 9, 2015

(প্রসঙ্গ রাসূল (সা:)নিজেই নূরের সত্তা ছিলেন সুবাহানাল্লাহ)

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ রাসূল (সা:)নিজেই নূরের সত্তা ছিলেন সুবাহানাল্লাহ)
১৪০০ বছর পর থেকে ইসলাম দিন দিন বিভিন্ন অনবিজ্ঞ আলেমদের কারণে বিভিন্ন ফেরকার মধ্যে সাধারন মুসলিম পতিত হচ্ছে কেই শুধু সাহাবীদের অণুসরণ করে কেই শুধু আহলে বায়াত কে অনুসরণ করে কেউ শুধু মাযহাব বাদ দিয়ে নিজেদের মতামত কে ধরে আছে এরকম বিভিন্ন মতামত হতে হতে ৭৩ টি দলে এসে পৌছেচে যার করুণ দশা এখন বর্তমান যামানার মানুষ ভোগ করছে যার ফলে সূন্নীদের সাথে ৭২ টি দল এবং তাদের উপদলের সাথে যুদ্ধ লেগেই আছে এবং তা ইমাম মাহদি (:)আসা পর্যন্ত লেগেই থাকবে কিন্তু সুন্নী বা ওলি আওলিয়াদের দল বা আহলে সূন্নাত ওয়াল জামাত সঠিক মতাদর্শের উপর টিকে থাকবে এটা রাসূল (সা:)ওনি এবং সমস্ত মুসলিম খলীফাগনের বাণী কারণ আহলে সূন্নাত ওয়াল জামাতের সাথে কেউ কোরান হাদিস এবং ইজমা কিয়াস দিয়ে বা দলিল দিয়ে টিকে থাকতে পারেনা আর এই জামাত যে সঠিক দেখেন পৃথিবীতে যথ ধরনের দল রয়েছে সব দলই এই জামাত কে নকল করে বিভিন্ন মতাদর্শ তৈরী করে এই দলের বিরুদ্ধে কারন দলিল সঠিক থাকলেই কেবল সেটা কে নকল করা যায় নকল কে কেউ নকল করে না এটা আশা করি সবার জানা আছে তাই রাসূল (সা:)ওনার ওফাতের পর থেকেই বিভিন্ন ফেতনা সৃষ্টি করে এই জামাতটির বিরুদ্ধে যা কেয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে.যা পূর্ববর্তীদের সাথে বহাল ছিল তারা যুদ্ধ করতে করতে কারবালা পর্যন্ত ইমাম হাসান ইমাম হোসেন (রা:)ওনাদের জীবন দিয়ে সেই জামাত কে টিকিয়ে রেখেছেন যার ফল আমরা এখনো ভুগ করছি এবং সত্যর পতাকা হাতে নিয়ে বিজয়ের সাথে লড়ে যাচ্ছি ৭২ টি দলের সাথে আল্লাহ রাসূল (সা:)এবং সমস্ত আম্বিয়াকেরাম এবং ওলি আওলিয়া দের যে কি অসীম দযা জামাতের সাথে রয়েছে তা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবে না.আমরা সবাই মুসলিম মুখে মুখে দাবী করি কিন্তু আকীদা গত ভাবে ৭২ টি দলের সাথে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের তফাত থাকবেই আর আকীদা ঠিক না হলে নাম মাত্র মুসলিম হয়ে কোন লাভ নেই আহলে সূন্নাত ওযাল জামাতের অনেক আকিদা আছে তার মধ্যে সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আকীদা হলো আমার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)হলেন নূরের সত্তা বা নূরে মোয়াজ্জাম বা সমস্ত দেহই হলো নূরে মুহাম্মাদী আজ আমি অধম ওনি যে নূরের সত্তা ব্যপারটি কোরান হাদীস এবং ইজমা কিয়াসের ভিত্তিতে নিম্নে আলোচনা করব:(০১.আসিয়া গিয়াছে আল্লাহর পক্ষ হইতে তোমাদের নিকট এক মহান নূর এবং সুস্পষ্ট কিতাব (পারা-৬রুকু-)
আলোচ্য আয়াতে ইবনে আব্বাস (রা:)থেকে শুরু করে যত পূর্ববর্তী তাফসীরগণ ছিলেন সবাই এক বাক্য বলেছেন যে এখানে নূর বলতে হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে বুঝানো হয়েছে এবং সুষ্পষ্ট কিতাব বলতে কোরান মাজীদে কে বুঝিয়েছেন এই আয়াতের ব্যখ্যায় বলা আছে রাসূল (সা:)যখন মায়ের গর্ভে থেকে পৃথিবীতে আসার শুভাগমণ করেন তখন সাথে সাথে নূরের বিকাশ ঘটে এবং উক্ত নূরের আলোতে সিরিয়ার রাজপ্রসাদ গুলি আলোতে জল জল করে বর্হিবিশ্বে এই নূরের আলোর বিকাশ সর্বপ্রথম সিরিয়ায় হয়েছিল এবং সেই নূরের আলোর সূত্র ধরে মুসলমানরা সর্বপ্রথম সিরিয়া দেশ জয় করেছিলো.
রাসূল(সা:)নূরের সত্তা-বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বুখারী শরীফের ৫ম খন্ডে ৩৬ পৃ: বেলাদত বা জন্ম এই অধ্যায়ে রাসুল (সা:)কে নূরের সত্তা বলা হয়েছে নূরের সত্তা বলতে ওনি রাসূল (সা:) যে পা থেকে মাথা পর্য়ন্ত নুর দ্বারা সৃষ্টি সেটাই বুঝিয়েছেন তবে এখানে সত্তা কথাটি সাধারণদের বুঝার বাইরে তাই আমি অধম সত্তা কথাটি এখানে পরিষ্কার করতে চাই আমার মত করে আগে সেই বিখ্যাত হাদীসটি একটু দেখি হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, “তিনি বলেন- আমি আরজ করলাম, হে রাসুল আল্লাহ্ (সঃ), আপনার উপর আমার পিতা মাতা সর্গিত, আল্লাহতালা সর্বপ্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন? উত্তরে নবী করিম (সঃ) বলেন-- হে জাবের, আল্লাহতালা সর্ব প্রথম সমস্ত বস্তুর পূর্বে তাঁর আপন নূর হতে তোমার নবীর নূর পয়দা করলেন তারপর আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী সেই নূর পরিভ্রমণ করতে লাগল ওই সময় না ছিল লউহে-মাহফুজ, না ছিল কলম, না ছিল বেহেস্ত, না ছিল দোজখ, না ছিল ফেরেশতা, না ছিল আকাশ, না ছিল পৃথিবী, না ছিল সূর্য, না ছিল চন্দ্র, না ছিল জিন জাতি, না ছিল মানবজাতী অতঃপর যখন আল্লাহ্ তালা অন্যান্য বস্তু সৃষ্টি করার মনস্ত করলেন, তখন ওই নূর কে চার ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে কলম, ২য় ভাগ দিয়ে লউহে-মাহফুজ, ৩য় ভাগ দিয়ে আরশ সৃষ্টি করলেন অবশিষ্ট এক ভাগকে আবার চার ভাগে ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে আরশ বহনকারী ফেরেশতা, ২য় ভাগ দিয়ে কুরশি, ৩য় ভাগ দিয়ে অন্যান্য ফেরেশতা সৃষ্টি করলেন ২য় চার ভাগের অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার পুনরায় চার ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে আকাশ, ২য় ভাগ দিয়ে জমিন, ৩য় ভাগ দিয়ে বেহেস্ত-দুজখ সৃষ্টি করলেন অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার চার ভাগে ভাগ করে ১ম ভাগ দিয়ে মোমেনদের নয়নের দৃষ্টি, ২য় ভাগ দিয়ে কালবের নূর তথা আল্লাহ্র মারেফত, ৩য় ভাগ দিয়ে তাদের মহবতের নূর তথা তাওহিদি কালেমালা ইলাহা ইল্লালাহু মহাম্মুদুর রাসুলাল্লাহ (সঃ)” সৃষ্টি করলেন এবং বাকি এক ভাগ দিয়ে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলেন পাঠকগণ খেয়াল করেন সমস্ত কিছু সৃষ্টি করার আগে আমার পেয়ারে নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেন এবং তখন অন্য কিছুই সৃষ্টি হয়নি এটা পরিষ্কার ভাবে এখান থেকে বুঝা যায় তখন শুধু আল্লাহ এবং ওনার পেয়ারে হাবিব ছিলেন এই দুই জন ব্যতীত আরে কোন কিছুই সৃষ্টির মধ্যে ছিলনা আল্লাহ নিজ নূর থেকেই ওনার সর্বশ্রেষ্ঠ নূরময় হাবীব কে সৃষ্টি করে থুদরতি ভাবে রেখে দেন তারই প্রেমে.আবার বলছি দেখেন এই হাদীসে পরিষ্কার হলো আল্লাহ সর্বপ্রথম রাসূল (সা:)কে সৃষ্টি করেন আল্লাহর নিজ নূর থেকে আর সেটা ছিল জাতী নূর আর জাতি নূর বলেই পৃথিবীতে সূর্য্যের আলোতে ওনার কোন ছাযা পড়তো না কারণ ওনার নূর কে সূর্য্য ভেদ করতে পারতো না কারণ ওনি যে জাতি গত আলো তাকে সেফাতী আলো কি করে ভেদ করবে যেমন জীবরাঈল (:)ওনি নূরের সৃষ্টি রাসূল (সা:) নূরের সৃষ্টি মেরাজ রজনীতে যখন লা মোকাম বা আল্লাহর কাছাকাছি দুজনেই হলেন তখন জীবরাঈল (:)বলেন হে আল্লাহর হাবীব আমি জীবরাঈল যদি আর এক পা সামনে এগিয়ে যায় তাহলে আমি পুড়ে ছাই হয়ে যাবো সুবাহানাল্লাহ কিন্তু আমার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)ওনি সরাসরি লা মোকামে প্রবেশ করলেন এবং আল্লাহর সাথে  দেখা করলেন তা কি করে সম্ভব প্রশ্ন রইলো আপনাদের প্রতি..?..ওনার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্যে নূর আর নূর বিধ্যমান ওনি যখন কথা বলতেন তখন উনার দাত মোবারকের ফাক হতে নূর বের হতো এবং ওনার শরীরের প্রতিটি পশম পর্যন্ত আল্লাহ নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন যার ফলে ওনার মুখের লালা মোবারকের ছোয়ায় আবু বক্কর (রা:)সর্প ধবংসন হতে বেচে যায় এরকম অসংখ্য মোয়েযা বিদ্যমান আছে সুবাহানাল্লাহ..তাই আমি অধম নূরের সত্তা বলতে আরো একটু সহজ ভাবে বলি যেমন..রাসূল (সা:)ওনার হাত পা চোখ কান নাক মাথা পেট নাভী চুল নখ সবকিছুই জাতী নূরে সৃষ্টি তাই ওই হাদীস শরীফে ওনাকে নূরের সত্তা বরে উল্লেখ করেছেন পাঠকগন আশা করি আপনারা নূরের সত্তা বলতে কি বুঝিয়েচেন ওই হাদীসে  সেটা বুঝতে পেরেছেন আমি অধমের যদি ভুল হয় ক্ষমার চোখে দেখবেন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment