Wednesday, September 9, 2015

" প্রসঙ্গ রাসূল (সা:) কি আমাদের মত মানুষ ছিলেন "

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
" প্রসঙ্গ রাসূল (সা:) কি আমাদের মত মানুষ ছিলেন "
আমরা আমাদের সারা বিশ্বে দিন দিন ইসলাম বেড়েই চলেছে সেই সাথে সাথে নামধারী মুসলিম বেড়েই চলেছে শুধু আরবী কিছু শিখেই টিভিতে বসে মসজিদে ঘুড়ে ঘুড়ে ফতোয়া দিচ্ছি রাসূল তো আমাদের মত মানূস ওনি খাবার খেয়েছেন সংসার করেছেন ঘুমিয়েছেন ব্যবসা করেছেন সন্তানাদি নিয়েছেন প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদি এখন প্রশ্ন হলো জীবরাঈল (:) তো বুহবার মানুষ রুপে নবী করীম (সা:)ওনার কাছে এসেছেন এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন তাই বলে কি জীবরাঈল (:)মানুষ হয়ে গেছেন আরেকটি হাদীসে আছে জীবরাঈল (:)ওনার ৭০০০০ বছর আগে রাসূল (সা:) হাকীকতে সৃষ্টি আর আমি আর আপনি ওনাকে মানুষ হিসেবে সাব্যস্ত করার জন্য উঠে পড়ে লেগিছি কোরানে কারীম খোজ করলে পাওয়া যায় আল্লাহ মানুষদেরকে ইনসান বলে ডাক দিয়েছেন কিন্তু কোন নবী রাসূলগণকে ইনসান বলেন নাই বাশার বলে সম্বোধন করেছেন কিন্তু আমরা নির্বোধ রাসূল (সা:) কে আমাদের মত মানুষ হিসেবে সাব্যস্ত করার চেষ্ঠা করে যাচ্ছি..কিছু নির্বোধ লোকেরা কোরানে কারীমে ১১ টি আয়াত আছে পুরো কোরানে সেই আয়াতগুলি দিয়ে তারা প্রমান করতে চায় রাসূল (সা:)ওনি আমাদের মত মানূষ কিন্তু হাদীস শরীফ কি বলে দেখুন..হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, প্রিয়নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদের কারো মত নই (বুখারী /২৬৩ আবূ দাউদ/১৩৭)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের অনুরূপ নই(বুখারী /২৬৩, ফতহুল বারী /১৬৪)
হযরত আবূ সাঈদ খুদুরী (রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমি আকৃতিগতভাবে তোমাদের মত নই (বুখারী /২৬৩, ফতহুল বারী /১৬৫)
হযরত আবূ হুরায়রা(রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযুর রাহমাতুল্লিল আলামীন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে আমার অনুরূপ কে রয়েছে?” (বুখারী /২৬৩, ফতহুল বারী /১৬৭),
এখন বলুন রাসূল (সা:) ওনি নিজেই বলে গেছেন আকৃতিভাবে আমি তোমাদের মত নই কিন্তু আফসোস আমরা রাসূল (সা:)ওনার শানে বেয়াদবী করে আবার ওনার উম্মত দাবী করে আসছি হলো আমাদের বর্থমান ইসলাম পাঠকগণ হাদীস শরীফ খুজলে পাওয়া যায় রাসূল (সা:)ওনার সমস্ত দেহ নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তাকে যার কারণে ওনার পবিত্র দেহের ছায়া মোবারক জমীনে পরেনি দেখূন হাদীস শরীফ..() প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাকীম তিরমীযি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ননা করেন--
অর্থ: নিশ্চয়ই সূর্য চাঁদের আলোতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না"
দলীল-
নাওয়াদেরুল উছুল
() ইমামুল মুহাদ্দিসিন, ফক্বীউল মিল্লাত, আল্লামা হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আরেকটি সনদে হাদীস শরীফ বর্ননা করেন-
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত"

দলীল-
জামউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ২১৭ পৃষ্ঠা

() প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, হাফিজে হাদীস, রঈসুল মুহাদ্দিসিন, হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
অর্থ: হযরত হাকীম তিরমীযি রহমাতুল্লাহি আলাইহি " নাওয়াদিরুল উছুল" নামক কিতাবে জাকওয়ান থেকে বর্ননা করেন, নিশ্চয়ই সূর্য চাঁদের আলোতেও রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না"
দলীল-
খাছায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ১২২ পৃষ্ঠা
() বিখ্যাত আলেমে দ্বীন, শায়খুল উলামা, মুহাদ্দিস , আল্লামা ইব্রাহিম বেজরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত"

দলীল-
আল মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া আলা শামায়েলে মুহম্মদীয়া ১০৫ পৃষ্ঠা
আশাকরি পাঠকগণ ইনসান আর বাশারের পার্থ্ক্য কিছুটা হলেও বুঝেছেন তাই আসূন আমরা কোরান হাদীস সঠিকভাবে বুঝে তাফসীর পড়ে রাসূল (সা:)ওনারশানে কথা বলি কোরানের সঠিক মর্ম না বুজে কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকি আল্লাহ যেন আমাদের সিরাতাল মুস্তাকিম বা সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন আমিন-প্রচার-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment