আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম
দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব
শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা
হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার
মূর্শীদ কেবলা দয়াল
মোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ রাসূল
(সা:)ওনার প্রস্রাব মোবারক পূত
পবিত্র ছিল)
আজকাল
আমাদের দেশে কিছু
কাঠ মোল্লারা এবং
তাদের অনুসারীরা বলে
রাসূল (সা:)ওনার
প্রস্রাব মোবারক নাপাক
আর উঠের প্রস্রাব পাক
যদিও উঠের প্রস্রাবের ব্যাপারে হাদীসটি সচরাচর
কিন্তু রাসূল (সা:)ওনার প্রস্রাব যে
পাক পবিত্র সেটা
সেই মোল্লারা মানতে
নারাজ আর পবিত্রতার হাদীসটি তারা
ইচ্ছে করেই প্রকাশ
করেনা আসলে তার
রহস্য কি.? অথচ
তারা বলে রাসূল
(সা:)ওনার অনুসারী প্রত্যেক সাহাবায়ে কেরাম
থেকে শুরু করে
মাযহাবের ইমামগণ মুজতাহিদগণ তারা
প্রত্যেকেই ওনার প্রস্রাব মোবারককে পূত
পবিত্র বলে সম্বোধন করছেন.সবচেয়ে মজার
ব্যপার হলো সহীহ
হাদীসে বর্ণিত আছে
রাসূল (সা:)এক
রাতে ঘুম থেকে
উঠে প্রস্রাবের পাত্রে
প্রস্রাব করে আবার
ঘুমিয়ে পড়েন তখনকার
এক সাহাবী সেই
রাতে তার পানির
তৃষ্ণা পেয়ে ভুল
করে সে রাসূল
(সা:)ওনার প্রসাব
মোবারক পান করে
ফেলেন সকালে উঠে
তা রাসূল (সা:)ওনার কাছে
ব্যক্ত করেন সরদারে
আলম মুহাম্মদ (সা:)তা শুনে
মুচকি হাসলেন আর
বললেন তোমার পেটের
ব্যথা চিরদিনের জন্য
নিবারণ হয়ে গেলো
তার মানে সেই
সাহাবীর জীবনে পেটের
অসূখ আর হয়নি-সুবাহানাল্লাহ.এই
হাদীস ছাড়া ও
আরো হাদীসে আছে
রাসূল (সা:)যেখানে
প্রস্রাব পায়খানা মোবারক করতে
মাটি তা সাথে
সাথে বিদীর্ণ করে
দিত তার মানে
মাঠি তা নিজেই
ভক্ষণ করে নিতো
আর সেই মাটি
খেকে এক সুগন্ধ
ছড়াতো যা প্রত্যক্ষ্য ভাবে
এক সাহাবী সেখানে
গিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করেছেন.এখন আপনারাই বিচার
করেন যার কারণে
এই দুনিয়া সূষ্টি
যার কারণে এই
উঠ সৃষ্টি সেই
উটের প্রস্রাব যদি
পাক হতে পারে
আর আমার রাসূল
(সা:)ওনার প্রস্রাব কি
করে নাপাক হয়
প্রশ্ন রাখলাম বিবেকবাণ ভাইদের
কাছে..? আর আমি
আপনাদের সামনে বিশ্ব
বিখ্যাত শায়খ মুহাদ্দেস দেহলভী
(র:)নিজ রচিত
হাদীসের কিতাব থেকে
দলিল দিলাম এবং
সাথে অনেক উলামায়ে কেরাম
ফকিহগণের ফতোয়া দিলাম
যা দেখে আপনারা
অতি সহজেই বুঝতে
পারবেন আমার রাসূল
(সা:)ওনার প্রস্রাব মোবারক পূত
পবিত্র ছিলো এবং
সেই প্রস্রাব মোবারক পান
করার কারণে রোগ
দুরীভুত হয়-সুবাহানাল্লাহ..
নিম্ন
বর্ণিত আলেমগণ এ
মত পোষণ করে
থাকেন যথা-
১-
হাফেজ ইবনে হাজার
আসকালানী রহঃ- ফাতহুল
বারী-১/২৭২।
২-
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী
রহঃ, উমদাতুল কারী-১/৩৫।
৩-
ইমাম নববী রহঃ,শরহে মুহাজ্জাব-১/২৩৪।
৪-
মোল্লা আলী কারী
রহঃ, জমউল ওসায়েল
শুরুস শামায়েল-২/২।
৫-
হাফেজ জালালুদ্দীন সুয়ুতী
রহঃ, খাসায়েলে কুবরা-১/৭১।
৬-
আল্লামা ইবনে আবেদীন
শামী রহঃ, ফাতাওয়ায়ে শামী-১/৩১৮।
৭-
নিহায়াতুল মুহতাজ প্রণেতা-১/২৪২।
৮-মুগনিয়ুল মুহতাজ-১/৭৯।
৯-শায়েখ মুহাম্মদ আব্দুল
হক মুহাদ্দেসে দেহলবী,
মাদারেজুন নবুওত-১/৪৩।প্রমুখ
পরিশেষে আমি
এ টুকুই বলতে
চাই যারা রাসূল
(সা:)ওনার প্রস্রাব মোবারক নাপাক
বলে অভিহিত করে
তারা আমার রাসূল
(সা:)ওনার শানে
বেয়াদবী করে আর
ইসলামের এই লেবাশ
ধরে রাসূল (সা:)ওনার শানে
বেয়াদবী করে তাদের
স্থান কি হবে
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই ভাল
জানেন তাই সবাইকে
অনুরোধ করছি না
বুঝে কোন কিছু
বলা থেকে বিরত
থাকুন-আল্লাহ আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী
খানকা শরীফ
No comments:
Post a Comment