Friday, September 11, 2015

নূর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রিয় আহলে বাইত, বংশধর (রা.)

নূর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রিয় আহলে বাইত, বংশধর (রা.)-
এর ভালবাসা, অনুসরণই আল্লাহর সন্তুষ্টি জান্নাত লাভের মাধ্যম
হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আহলে বাইত বংশধর। আপনাদের প্রতি প্রেম-ভালবাসা অবতীর্ণ আসমানী কিতাব আল-কুরআনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে (সকল ঈমানদারের জন্য) ফরজ করা হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত ফিকহবিদ, শাফেয়ী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা, ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রীস আশ-শাফেয়ী (.) (১৫০হি.-২০৪হি.)
বিশ্বমানবতার মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ নবী রাসূলগণকে (.) পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। নবী রাসূলগণের (.) অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ সঠিক ইমান এনে প্রকৃত মুসলিম হয়েছে। সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বশেষ নবী রাসূল, আল্লাহর প্রিয় হাবীব, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মোস্ত্মফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবতার মুক্তির জন্য পবিত্র কুরআনের সাথে স্বীয় পবিত্র আহলে বাইতকে (রা.) বিশ্বের সকল মুসলিমের জন্য হিদায়েত পথ প্রদর্শক হিসাবে ঘোষণা করেছেন। যারা পবিত্র কুরআন আহলে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণ করবে শুধুমাত্র তারাই সিরাতুল মুস্ত্মাকিম বা সঠিক পথ, যে পথ অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ভালবাসা পাওয়া যায়, সে পথ প্রাপ্ত হবে। পবিত্র বিদায় হজ্বের ভাষণে আল্লাহর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- হে মানব সকল! আমি তোমাদের নিকট এমন বিষয় রেখে যাচ্ছি, যা সুদৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরলে (পরিপূর্ণ অনুসরণ করলে) তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট (সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত) হবে না। আর সে বিষয় হল আল্লাহ কিতাব পবিত্র কুরআন এবং আমার বংশধর, আহলে বাইত। (মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা-৫৬৯)
আহলে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরিচয়:
আহলে বাইত--রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে যারা সাইয়্যেদুল মুরসালিন নূরে মুজাস্সম, মুমিনদের প্রতি রাউফুর রাহিম, সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার বংশধর হযরত ফাতেমাতুজ জুহরা, হযরত আলী, হযরত ইমাম হাসান ইমাম হুসাইন (রা.)কে বুঝানো হয়।
ব্যাপারে হাদীসে পাকে এসেছে, একদা প্রত্যুষে আল্লাহর প্রিয় হাবীব চাঁদর গায়ে বসে আছেন। তখন ইমাম হাসান আগমন করলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে চাঁদরের ভিতরে নিলেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে ইমাম হুসাইন, হযরত ফাতেমা এবং হযরত আলী (রা.) আগমন করলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদেরকে চাঁদরের ভিতরে নিলেন এবং ইরশাদ করলেন- হে
্থ কামিল (স্নাতকোত্তর) ফিক্ দ্বিতীয় বর্ষ, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
আল্লাহ! এঁরা (ইমাম হাসান, হুসাইন, আলী ফাতেমা রা.) আমার আহলে বাইত এবং একনিষ্ঠ পরিবার। অতএব আল্লাহ আপনি তাঁদের হতে সকল দূষণীয়তা দূর করে দিন এবং তাঁদেরকে পূত পবিত্র করে দিন। (মিশকাত শরীফ ৫৬৮ পৃষ্ঠা)
মহান আল্লাহ দোয়া কবুল করে ইরশাদ করেন- (হে প্রিয় হাবীব!) নিশ্চয়ই আল্লাহ আহলে বাইতের থেকে দূষণীয়তা দরীভূত করে দিতে চান এবং তাঁদেরকে তিনি পূত পবিত্র করবেন। (সূরা: আহযাব; আয়াত-৩৩)
মহান আল্লাহ চাঁদর আবৃতদেরকে আহলে বাইত বলেছেন এবং তাঁদেরকে পূত পবিত্র ষোঘণা করেছেন। এজন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আলী, হযরত ফাতেমা, ইমাম হাসান ইমাম হুসাইন (রা.)কে একত্রে পাক পাঞ্জাতন বলা হয়। যা পবিত্র কুরআনের সুস্পষ্ট ঘোষণা। পাক পাঞ্জাতন অর্থ পবিত্র পাঁচটি দেহ মোবারক। যাঁদের প্রতি মহব্বতের সাথে তাকালে ইমান নসিব হয়, জীবনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। মহান আল্লাহ পাক পাঞ্জাতনের প্রতি মুহব্বতের সাথে তাকানো বান্দাকে প্রিয় বান্দা হিসাবে কবুল করে জান্নাত দান করেন। কেহ যদি পাক পাঞ্জাতন শব্দ শুনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে তাহলে সে সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কুরআনকে অবজ্ঞা করল। আর পবিত্র কুরআনকে অবজ্ঞা করে কেহ ইমানদার দাবি করলেও বেইমান হয়ে যাবে। এটাই জুমহুর ফিকহবিদগণের বক্তব্য।
আহলে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা নবীজীর বংশধরের প্রতি প্রেম-ভালবাসা সকল ইমানদারের জন্য ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে হাকীমে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- হে প্রিয় হাবীব! আপনি (সকল ইমানদারকে) বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট আমার অবদানের বিনিময়ে কিছুই কামনা করি না। তবে আমার বংশধরের প্রতি প্রেম-ভালবাসা অবশ্যই কামনা করি। (সূরা শুরা, আয়াত-২৩)
যে ব্যক্তি আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসা রাখবে সে ব্যক্তিই কেবল মাত্র ইমানের দাবিদার। আহলে বাইতের ভালবাসা ব্যতীত ইমানদার হওয়া যায় না। মহান আল্লাহ প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহর ভালবাসার জন্য আমাকে (নবীজীকে) ভালবাস আর আমার ভালবাসার জন্য (ভালবাসার দাবিদার হলে) আমার আহলে বাইত (বংশধর) কে ভালবাস। (মেশকাত শরীফ-৫৭৩ পৃষ্ঠা)
নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আহলে বাইত বংশধরকে ভালবাসে না এমনকি বিরুদ্ধে বলে তারা আল্লাহ প্রেমিক নয়। তারা ঈমানদার হতে পারে না। ঈমানদার হওয়ার জন্য নবী বংশের প্রতি ভালবাসা ভালবাসা রাখা আবশ্যক। হাদীস শরীফে এসেছে- সাইয়্যেদুনা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহর শপথ, যার হাতে আমার জীবন। নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল (প্রিয় নবীজীর) পরিবারের সদস্য বা বংশধর আমার পরিবারের সদস্য বা বংশধর আমার পরিবারের সদস্যদের থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয় (আমি অধিক ভালবাসি) (বুখারী শরীফ)
কোন ব্যক্তি ঈমানদার দাবি করলে অবশ্যই তাকে নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বংশধরকে ভালবাসতে হবে। আর নবী বংশের ভালবাসার মাধ্যম ব্যক্তি ঈমানদার হতে পারে। যে ব্যক্তির অন্ত্মরে নবী বংশের ভালবাসা থাকবে না তার অন্ত্মরে ঈমান প্রবেশ করবে না। হাদীস শরীফে বিশ্ব মানবতার জন্য ইমানের দিক নির্দেশনা প্রদান করে প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- কোন ব্যক্তি অন্ত্মরে ইমান প্রবেশ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত্ম না তোমাদেরকে (নবী বংশকে) আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসবে। (মিশকাত শরীফ ৫৭০ পৃষ্ঠা)
একথা সুস্পষ্টভাবে বলা যায়, ঈমানদার হতে হলে অন্ত্মরে প্রিয় নবীজির আহলে বাইতের ভালবাসা অবশ্যই থাকতে হবে। অন্যথায়, পোশাক, পরিচ্ছদে মুসলিম হলেও প্রকৃত পক্ষে এটা হবে সুস্পষ্ট মুনাফেকী। আর মুনাফিকরা কাফেরদের থেকেও নিকৃষ্ট জাহান্নামের শাস্ত্মি ভোগ করবে।
পবিত্র কোরআনে হাকীমে ইরশাদ হচ্ছে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা (যারা মুখে ইমানের কথা বলে এবং অন্ত্মরে কুফরী রাখে) জাহান্নামের দোযখের সর্বনিম্ন স্ত্মরে থাকবে। (সুরা: নিসা; আয়াত ১৪৫)
পবিত্র কুরআনে আজীজে সূরা তাওবায় ইরশাদ হচ্ছে, আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ মুনাফিক নারী এবং কাফেরদের জন্য জাহান্নামের আগুন (তথা আগুন দ্বারা শাস্ত্মি) প্রদানের অঙ্গিকার করেছেন। তারা (মুনাফিক কাফেররা) জাহান্নামের আগুনে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে (শাস্ত্মি ভোগ করবে) (সূরা: তাওবা ৬৭ আয়াত)
সকলের উচিত ইমান নষ্টকারী মুনাফেকী আমল থেকে বিরত থেকে আহলে বাইতের প্রতি যথাযথ ভালবাসার মাধ্যমে সঠিক ইমানদার হওয়া।
আহলে বাইতের (রা:) মর্যাদা :
আহলে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ মর্যাদা লাভে ধন্য। আহলে বাইতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তাঁদের প্রতি প্রেম-ভালবাসা সকল ইমানদারের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন। আহলে বাইতের (রা:) প্রেম ভালবাসা প্রকৃত ইমানদারের পরিচায়ক। পবিত্র কুরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, নিশ্চয়ই যারা ইমান আনে এবং কর্ম করে অতিসত্ত্বর রহমান আল্লাহ তাদের অন্ত্মরে প্রেম-ভালবাসা সৃষ্টি করে দিবেন। (সূরা: মরিয়ম-৯৬ আয়াত)
বিবেকবান ব্যক্তি মাত্রই সহজে বোধগম্য যে, মহান আল্লাহ নবী বংশের (রা:) প্রেম ভালবাসা সৃষ্টি করেছেন যারা ইমান আনে এবং কর্ম করে তাদের সকলের অন্ত্মরে। এখানে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়, যাদের অন্ত্মরে নবী বংশের (রা:) প্রতি প্রেম-ভালবাসা বিদ্যমান প্রকৃতপক্ষে তারাই হল ইমানদার এবং তাদের ভাল কাজগুলো আল্লাহর নিকট পুন্য কাজ হিসাবে গণ্য হবে এবং বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান জান্নাত দান করা হবে।
হযরত ইমাম হাসানও ইমাম হুসাইন (রা:) হলেন সকল জান্নাতী যুবকদের সর্দার। হাদীসে পাকে প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- হযরত ইমাম হাসান হুসাইন (রা:) জান্নাতের অধিবাসীদের সকলের সর্দার। (মিশকাত শরীফ ৫৭০ পৃষ্ঠা)
ইমাম হাসান হুসাইন (রা:) এমন বিশেষ ব্যক্তিত্ব যাঁদেরকে প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত্ম ভালবাসতেন এবং যারা তাঁদেরকে ভালবাসবে তাদের জন্য আল্লাহর ভালবাসা লাভে সুসংবাদ প্রদান করেছেন। পবিত্র হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে, (আল্লাহর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন) হে আল্লাহ! আমি (নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) হাসানও হুসাইনকে ভালবাসি। অতএব (আল্লাহ) আপনিও তাঁদের ভালবাসুন। আর যারা হাসানও হুসাইনকে (রা:) ভালবাসে সে প্রেমিকদেরকে (আল্লাহ) আপনি ভালবাসুন। (মিশকাত শরীফ ৫৭০ পৃষ্ঠা)
যে ব্যক্তি ইমাম হাসান হুসাইনকে (রা:) ভালবাসবে সে প্রকৃতপক্ষে নবীজিকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালবাসল। আর নবীজিকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালবাসলে আল্লাহকেই ভালবাসা হয়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, যে ব্যক্তি নবীজির অনুসরণ করল সে আল্লাহর আনুগত্য করল। (সূরা নিসা- ৮০ আয়াত)
হাদীস শরীফে এসেছে, আর যে ব্যক্তি আমাকে (নবীজীকে) ভালবাসবে সে আমার সাথে জান্নাতে (চির শান্ত্মিতে) থাকবে। (মিশকাত শরীফ ৩০ পৃষ্ঠা)
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ এবং নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্তুষ্টির জন্য নবী বংশকে (রা:) ভালবাসবে, তাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট হবেন এবং জান্নাত দান করবেন।
আহলে বাইত নবী বংশ (রা:) বিশ্ব মানবতার জন্য পথের নিদর্শন। যারা আহলে বাইতের (রা:) অনুসরণ, অনুকরণ করবে তারা বিভ্রান্ত্মি পথ ভ্রষ্টতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। হযরত নূহ (:) এর জাতির মধ্য থেকে তাঁর অনুসারীগণ মহা প্লাবন থেকে মুক্তি লাভের জন্য নৌকার মধ্যে আরোহন করেছিলেন এবং ধবংশও মৃত্যু থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। আর আহলে আহলে বাইত নবীবংশও নূহ (:) এর নৌকা সাদৃশ্য। তাঁদের (রা:) অনুসরণ, ভালবাসা, অনুকরণের মাধ্যমে পথ ভ্রষ্টতার মহাপ্লাবন থেকে মানব জাতি তথা ইমানদারগণ মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হবে। হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে, প্রখ্যাত সাহাবী সাইয়্যেদুনা হযরত আবু যর গিফারী (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি কাবা শরীফের দরজা ধরাবস্থায় বলেন, আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সালাম কে বলতে শুনেছি। তিনি (পবিত্র নবুয়তি জবানে) ইরশাদ করেন, সাবধান! নিশ্চয়ই আমার আহলে বাইত (নবী বংশ) হযরত নূহ আলাইহিস সালামের নৌকা সাদৃশ্য। যে ব্যক্তি আহলে বাইতের নৌকায় আরোহণ করবে সে (সকল প্রকার পথ ভ্রষ্টতা থেকে) মুক্তি পাবে। আর যে ব্যক্তি আহলে বাইতের নৌকায় আরোহণ থেকে বিরত থাকবে সে (পথ ভ্রষ্ট হওয়ার মাধ্যমে) ধ্বংস হয়ে যাবে। (মিশকাত শরীফ- ৫৭৩ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, ইমান রক্ষা করে সিরাতুম মুস্ত্মাকিম এর উপর অটল অবিচল থাকার জন্য প্রতিটি ইমানদারের জন্য আহলে বাইত নবীবংশের (রা:) প্রতি পরিপূর্ণ ভালবাসা রেখে অনুসরণ করতে হবে। আহলে বাইতের (রা:) প্রতি পরিপূর্ণ ভালবাসা রেখে অনুসরণ করতে হবে। আহলে বাইতের (রা:) ভালবাসা, অনুসরণের মাধ্যমেই মহান আল্লাহর সুন্তুষ্টি জান্নাত লাভের মাধ্যমে ইহকালিন কল্যাণ এবং পরকালিন মুক্তি অর্জন করা সম্ভব। মহান আল্লাহ দয়া করে আমাদেরকে নবী বংশের (রা:) খাঁটি প্রেমিক অনুসারীদের অন্ত্মর্ভূক্ত করে মর্যাদা দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন বিহুরমাতি সাইয়্যিদিল মুরসালীন


No comments:

Post a Comment