Wednesday, September 9, 2015

(মাযহাব অনুসরণ করা ওয়াজিব সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর সাপেক্ষে)

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
 (মাযহাব অনুসরণ করা ওয়াজিব সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর সাপেক্ষে)
আজকাল মাযহাবের নাম শুনলেই বর্তমান যামানার কিছু লোকের মধ্যে হিংসা প্রতিহিংসার আগুন জ্বলে উঠে আসলে এই হিংসা প্রতিহিংসার মানে কি কেউ বলতে পারেন আমি ধারণা করছি এবং বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামগণের বিভিন্ন মতবাদ রাসূল (সা:)ওনার হাদীস দেখে বুঝলাম যারা মাযহাব কে অস্বীকার করে তারা ইসলামের মধ্যে বিভিন্ন ফেতনা সৃষ্টি করে মুসলিমদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করতে চায় আর বর্তমানে এটাই হচ্ছে আমার আকায়ে মদীনা রাসূল (সা:)ওনি বলেছেন তোমরা পূর্ববতীগণদের অনুসরণ করো তারা যদি সাপের গর্তে হাত দেয় তোমরা তা করো-সুবাহানাল্লাহ কিন্তু বর্তমান যামানার কিছু দল বের হয়েছে যারা টিভিতে বসে পূর্ববর্তী ইমামগণদের নামে বিভিন্ন কুরুচী মন্তব্য করে যাচ্ছে তারা বলে কোন মাযহাব মানতে হবে না শুধু কোরান সহীহ হাদীস অনুসরণ করলেই হবে. যদি শুধু মাত্র কোরান হাদীস অনুসরণ করতে বলাই হতো তাহলে সূরা ফাতিহায় নং আয়াতে কেন বলা হলো যাদেরকে আল্লাহ হেদায়াত দিয়ে পাঠিয়েছেন তাদেরকে অনুসরণ করতে আছে কি কোন জবাব লা-মাযহাবী ভাইদের কাছে.? আপনি যদি কোরান হাদীস দিয়ে সবি বুঝে যান তাহলে মাদ্রাসার শিক্ষক বা ওস্তাদের কি প্রয়োজন ছিলো কোরান আর হাদীসতো সামনেই আছে আর আল্লাহ সুবাহানু তাআলার কি বা দরকান ছিলো যুগে যুগে নবী রাসূলগণকে পাঠানোর কোরান আর হাদীসইতো সবকিছুর সমাধান...শুধু কোরান হাদীস যে সরলপথ না সেটা বুঝানোর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা ফাতিহা থেকে শুরু করে সূরা নিসা সহ আরো অন্যান্য সূরায় মুজতাহিদগণদের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে কিন্তু বর্তমান যামানার বেকুবের দল তাদের নামে ডাহা জালিয়াতী করে তাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে একা একা হাটতে শিখাচ্ছে কিন্তু মানূষ কি বোকা একাই একাই হাটতে চায় কারো সাহায্য ছাড়া তাদের ধোকায়া পড়ে হায় আফসোস তাদের জন্য..কিছুদিন আগে একটি ছবি পোষ্ট করেছিলাম সেটার মধ্যে একটু বুঝিযে ছিলাম যে আপনি ধরেন কিশোরগন্জ ধেকে ঢাকা যাবেন তো ঢাকা যাওয়ার ৪টি রাস্তা আছে রাস্তা গুলি হচ্ছে বিমান-ট্রেন-বাস-লঞ্চ এই ৪টি রাস্তা বহন করে আপনি ঢাকা যেতে পারবেন এই ৪টি কিন্তু একই জায়গায় নিয়ে পৌছাবে আপনাকে ৪টি গন্তব্য স্থান জায়গা না একই জায়গা আর তা হলো ঢাকা সুতরাং আমাদের ইসলামের মধ্যে কোরান হাদীস পর্যালোচনা করে রাসূল (সা:)বেলা থেকে শুরু করে হিজরী সালে পরিপূর্ণ ইসলামী শরীয়তের আইন গঠন করে দেন এই ইমাম তাদের সবার গন্তব্য স্থান একটি তা হলো আল্লাহ রাসূল (সা:)কে পাওয়া রাস্তা রকম হতে পারে এতে কিছু যাই আসেনা আবার আপনি বলবেন যে তারা তো মানুষ তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু মজার ব্যপার এখানে যদি কোরান হাদীস দিয়ে ইজতিহাদ করতে গিয়ে যদি ইমামের কেউ ভুল করেন তাদের আপনার ভয়ের কিছু নেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই ভুল ইজতিহাদের ক্ষেত্রে গুনাহ না দিয়ে সওয়াব দিবেন তবে সওয়াব খানিকটা কম হবে কিন্তু আমল করলে গুনাহ হবেনা (হাদীস শরীফ)আর আল্লাহ যাদেরকে নবী রাসূলগণদের পরে উম্মতের জন্য হেদায়াতে দিয়ে পাঠিয়েছেন তারা কোন ভুল করতে পারে না বলে আমার ১০০% দীড় বিশ্বাস কারণ তাদের অনুসরণ করলেই যে আমার রাসূল (সা:)ওনাকে অনুসরণ করা হয় আর রাসূলকে অনুরসরণ করলেই যে আল্লাহ কে অনুরসরণ করা হয়. তাই আসূল হিংসা প্রতিহিংসার ঘোড়ামী ছেড়ে কোরান হাদীস ইজমা কিয়াসকে মেনে আল্লাহ রাসূল কে ডাকি আর যদি আপনারা মাযহাবের মুজতাহিদ ইমাম গন দের অস্বীকার করেন বা পুরো মাযহাবটাকেই অস্বীকার করেন তাহলে কোরান মতে আপনারা জাহান্নামী আয়াতটির তাফসীর পড়ে দেখবেন যে যারা মাযাহাব বা কিয়াস কে অস্বীকার করে তারা জাহান্নামী-সূরা-নিসা-১১৫ আয়াত-তাই আমরা সবাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন আমাদের সরলপথে চলার তৌফিক দান করেন-আমিন-ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন সবাই-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

No comments:

Post a Comment