Thursday, September 10, 2015

(প্রসঙ্গ ইয়া রাসূলাল্রাহ বা ইয়া মুহাম্মদ (দ:)বলার বৈধতা)


আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে...
 (প্রসঙ্গ ইয়া রাসূলাল্রাহ বা ইয়া মুহাম্মদ (:)বলার বৈধতা)
কথায় আছে আদবে ইনসান বেয়াদবে শয়তান যার কারণে এই কুলখানিয়াত সৃষ্টি যার কারণে আমরা এই দ্বীন দুনিয়ার সকল কিছু ভোগ করছি তার নাম যদি ইজ্জতের সহিত আদবের সহিত না নেই তাহলে আমি কি করে আল্লাহ কে পাব যে আল্লাহ নিজেই পাক কোরানে বলতেছে যে ব্যক্তি আমার রাসূল কে মহব্বত করল সে যেন আমি আল্রাহকে মহব্বত করলো আর যে ব্যক্তি আমার রাসূল কে মহব্বত করল না এবং আমার রাসূলের নাম শুনার পর তার উপর দুরুদ পড়ল না আমি আল্লাহ তার উপরে খুশি হতে পারলাম না-সুবাহানাল্লাহ.এত বড় ইজ্জত আদব মুহাব্বত আল্লাহ দিয়েছেন আর আমরা নামধারী মুসলিম আজ তাকে ঠিকমত ইজ্জত দেওয়া তো দুরের কথা তাকে ইয়া রাসূলাল্রাহ বরে ডাকব তাও নাকি আবার এটা শিরক হয়ে যায়-নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)বর্তমান নামধারী যে কত আলেম আছে ইয়া রাসূলাল্লাহ বলে ডাকাকে শিরকে ফতোয়া দিচ্ছে আসলে তারা কি আলেম আমার মনে হয় তারাই আলেম নামের জালেম কারণ তাদের দ্বারাই সাধারণ মুসল্লিগণ আজ বিভ্রান্তিতে ভোগছে কিন্তু সত্যকে আর কত গোপন রাখা যায় এক দিন না এক দিন তা প্রকাশ হবেই এটাই বিধির বিধান তাই এক ভাইয়ের সহযোগীতায় এবং আমি অধমের পরিশ্রমে আপনাদের জন্য এই হাদীসগুলো খুজে বের করলাম যে (ইয়া রাসূলাল্লাহ বলা বৈধ এবং তা রাসূল (:)প্রিয় সাহাবীই ইয়া রাসূলাল্লাহ বলে ডেকেছেন)ইয়া রাসূলাল্লাহ বা ইয়া মুহাম্মদ বলার হাদীসগুলি নিম্নরুপ---
.
হযরত আব্দুর রাহমান বিন সা থেকে বর্ণিত, একবার হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার এক পা অসাড় অনুভুতিশুন্য হয়ে গেল. লোক তাকে বললেন, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তির নাম স্মরণ করুন.অতঃপর ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন,ইয়া মুহাম্মাদ.রেফারেন্সঃ
/আল আদাবুল মুফরাদ
ইমাম বুখারী
হাদীস/৯৬৪
হাদীসটির বিশুদ্ধতা :-
এই বর্ণনাকারী আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর ব্যাপারে দেখুন, হাদীস শাস্ত্রের ইমামগণ কী বলেছেনঃ
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন,
আবু ইসহাক আস সাবিয়ী একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী
ইয়াহিয়া বিন মুয়ীন বলেন,
তিনি একজন নির্ভরযোগ্য হাদীস বর্ণনাকারী
আলী বিন মাদীনী বলেন,
সমগ্র উম্মতের মধ্যে ছয়জনের নিকট ইলিম সংরক্ষিত তথা মাহফুয
তন্মধ্যে একজন হলেন, আবু ইসহাক আস সাবিয়ী
ইমাম যাহাবী বলেন,
আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত হাদীস দ্বারা দ্বীনের সকল বিষয়ে দলীল প্রদান করা যাবে
রেফারেন্সঃ
সিয়ারু লামিন নুবালা
ইমাম যাহাবী
আত তাবাকাতুস সালিসাহ
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিসগণের মন্তব্য যার পক্ষে, সেই আবু ইসহাক আস সাবিয়ীর বর্ণিত আলোচ্য হাদিসটি নিঃসন্দেহে সহীহ তথা বিশুদ্ধ
.
-নবী .' নাতনী, নবী .' সাহাবী যাইনআব রাদ্বিআল্লাহু আনহার যাইনআব রা. কারবালার ময়দানে বলেছেন,
কারবালা থেকে ডাক দিলেন এবং বললেন-
ইয়া মুহাম্মাদা! ইয়া রাসূল আল্লাহ! দেখে যান, আপনার পুত্রদের হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে
আল কামিল ফিত তারিখ - খন্ড ২৭৮ , আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া - ৮ম খন্ড ২১০, তারিখে তাবারী - খন্ড ৩৩৬
.
হজরত আবু বক্কর ছিদ্দিক (রা ) শাসন আমলে মিথ্যা নবীর দাবীদার "মুসায়লামা কাজ্জাব " এর বিরুদ্বে আমিরুল মুমিনীন হজরত খালিদ বিন ওয়ালিদ এর
নেতৃত্বে ইমামা (ইরাক ) সেনাবিহিনী পাঠালে যুদ্ব চলাকালীন যখন তারা দিক নির্দেশনা হারিয়ে ফেলে তখন তারা সাহায্যর জন্য ডাক দেন ,
ইয়া মুহাম্মাদা ,ইয়া মুহাম্মাদা
সুত্র : তারিখে তাবারী ,মুসায়লামা অধ্যায় , ,তারিখে কামিল - ইবনে আছির ১ম খন্ড -৪৪৮. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া -৭ম খন্ড ৪০৭
প্রিয় পাঠকগণ আমি এখানে ৩টি হাদীস পেশ করলাম আপনারা আশাকরি আর বিভ্রান্তি হবেন না
এবং ইমাম বূখারী (:)রচিত আল আদাবুল মুফরাদ হাদীস গ্রন্থে পেশ করেছেন যার আরবী এবারত এর ছবি সহ বাংলা অনুবাদ দিলাম আশা করি একটু হলেও উপকৃত হবেন.আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুক-আমিন.
বি:দ্র:-এই হাদীসটিতে লা মাযহাবীরা ষড়যন্ত্র করেছে এটার রহস্য আগামী পোষ্টে প্রকাশ করব.ইনশাল্লাহ দোয়া করবেন এবং আমাদের সাথেই থাকবেন এবং পোষ্টটি আপনার ইমানের সহিত শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন..আল্লাহ আমিন..প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ


No comments:

Post a Comment