আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম
দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব
শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা
হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার
মূর্শীদ কেবলা দয়াল
মোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ ইসলামী শরীয়তের মোট উতসো কয়টি এবং কি কি)
ইসলামী শরীয়তের উতসো গুলো কি কি তা নিম্নরুপ সংক্ষেপে আলোচনা করলাম
১.কিতাবুল্লাহ:
ইসলামের ফিকহের সর্বপ্রথম এবং মূল উতসো হলো
কিতাবুল্লাহ বা কোরান মাজীদ যা আমরা
সকলেই জানি।
২.সূন্নাহ:
সূন্নাহ হলো আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজী হযরত মোহাম্মদ (সা:)ওনার হাদীস
আর এটি ইসলামী ফিকহের ২য় উতসো
যা অকাট্যভাবে শরীয়তের দলিল
রাসূল (সা:)দীর্ঘ
২৩ বছর জীবনে
কুরান মাজীদের ব্যখ্যায় যে সকল কথা এবং কাজ করে গেছেন মূলত সে গুলোকেই হাদীস বলা হয়। আর হাদীস
ছাড়া কোরান মাজীদ
কখনো বুঝা সম্ভব
নয় তাই যারা
হাদীস মানে না তারা মুলত ইসলামকেই মানে না।
৩.সাহাবায়ে কেরামের অভিমত:
শরীয়তের এবং ফিকহে হানাফীর ৩য় উতসো হলো
সাহাবায়ে কেরামের অভিমত
এবং তাদের দেওয়া ফতোয়া যা উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য অকাট্য দলিল কারন
রাসূল (সা:) নিজেই
বলেছেন হাদীস শরীফে
যে ব্যক্তি আমার
সঠিক পথের কোন
এক সাহাবীকে অনুসরণ করবে সে জান্নাত লাভ করবে।
৪.ইজমা:
ইজমার আভিদানিক অর্থ হলো
একমত হওয়া শরীয়তের পরিভাষায় একই যুগের
মধ্যে কয়েকজন নেককার মুজতাহিদ গণদের শরীয়তের বিষয়ে একমত হওয়া
ইজমা বলা হয় যা উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য ৪র্থ দলিল। তবে ইজমা ৩ প্রকার যেমন-সাহাবাগনের ইজমা তাবেয়ীগনের ইজমা এবং ইজতিহাদী বিষয়ে হয়েছে সেই ইজমা।
৫.কিয়াস
কিয়াস শব্দের আভিদানিক অর্থ হলো অনুমান করা বা সম্বনিত করা,শরীয়তের পরিভাষায় মুল বিষয়ের সাথে হুকুম
আহকামের মধ্যে কোন
শাখার বিষয়কে তুলনা
করাকে কিয়াস বলে বস্তুত যে বিষয়
সম্পর্কে কোরান সূণ্নাহ ইজমাতে বর্ণিত কোন
বিষয়ের হুকুমের সাথে
মিল রেখে বিধি
বিধান উদ্ভাবন করাকেই কিয়াস বলে যা শরীয়তের ৫ম দলীল।
৬.ইসতিহসান:
ফিকহের পরিভাষায় ইসতিহান বলতে
প্রকাশ্য কিয়াসকে বাদ দিয়ে কোরান সূন্নাহ ইজমা এর বিরোধী না হয়ে অপ্রকাশ্য কিয়াসকে অবলম্বন করার
নামই হচ্ছে ইসতিহসান তার কারণ প্রকাশ্যে কিয়াসে এমন কিছু
বিষয় আছে যা কোরান-হাদীস ও ইজমা এর পরিপন্থী এ মতা বস্থায় উক্ত প্রকাশ্য কিয়াস কে বাদ দেওয়া
পসন্দনীয়, তাই একে ইসতিহসান বলে।আর এটা শরীয়তের জন্য ৬ষ্ঠতম দলিল।
৭.উরফ:
উরফ হলো সেই বিষয়
যে বিষয়টি জন কল্যাণের জন্য অধিকতর উপযোগী এবং যে বিষয় গুলি নতুন
নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে
এবং যে গুলোর বিধি বিধান সরাসরি ৬টি উতসের মধ্যে
নেই তবে ৬টি উতসের বিরোধী নয় এরকম ভাবে কোন
রায় দেওয়া কে উরফ বলা হয়, মোট কথা সাধারন মানুষের কার্যাবলীর উপর বর্তমান পরিস্থিতির রায় দেওয়া কে উরফ বলা হয় তবে এ উরফ ২ প্রকার
১ উরফে সহীহ যা নস বা কোরান হাদীসের পরিপন্থী নয় এবং ২ উরফে
ফাসিদ যা নস এর পরিপন্থী এটা থেকে সাবধান। মোদ্দাকথা হচ্ছে উরফ শরীয়তের সহকারী উতসো যা উম্মতে মোহাম্মাদীর জন্য দলিল। আর ইমামে
আযম সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ৬টির উতসের
মধ্যে থেকে কোন
দলিল না পেলে
কেবল তখনি উরফের
নীতি অবলম্বন করতেন-আর এ সকল আইনী উতসো নিয়ে
বর্তমান ইসলামী শরীয়তের দলিল গঠিত যা কস্মিন কালেও এই আইনি ফেকাহ শাস্ত্র গঠন করা সম্ভব
হবে কি না কোন মোল্লার পক্ষে যদি থাকে তাহলে
খন্ডন করুন দেখি...?
পরিশেষে আমি অধম এ টুকুই বলতে
চায় যারা এত বড় মাপের ইমামের সহিত বেয়াদবী করে তারা কি করে মানুষ হতে পারে
আল্লাহ ভাল জানেন
আর আজ থেকে
শরীয়তের উতসো গুলি
সবাই মনে রাখার
চেষ্ঠা করবেন বলে আশাকরি ভাল লাগলে
শেয়ার করবেন কারন
আপনার একটি শেয়ার
দ্বারা উম্মতে মুহাম্মদির অনেক উপকার হতে পারে বলে আমি মনে করি-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ
No comments:
Post a Comment